নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

হোলি আর্টিজানে হামলায় অস্ত্রের পাশাপাশি বোমাও ব্যবহার করে-ছিলেন জঙ্গিরা। সেই বোমার অবিকল প্রতিরূপের ওপর স্ক্যানার মেশিন বসালেই ভয়াবহ সেই ঘটনার আদ্যোপান্ত স্ক্রিনে ভেসে উঠবে। কোন জঙ্গি সংগঠন হামলা করেছে, কে কে অংশ নিয়েছেন, কতজন গ্রেপ্তার হয়েছেন, কী ধরনের অস্ত্র ও বোমা ব্যবহার করা হয়েছে—সবই।
ঢাকা মহানগর পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের সদস্যরা এমন একটি ডিজিটাল সংগ্রহশালা তৈরি করেছেন, যার নাম বোমার ডিজিটাল তথ্যভান্ডার। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা (এফবিআই)-এর সদস্যরা সেটা পরিদর্শনও করেছেন।
সিটিটিসির প্রধান মো. আসাদুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, শুধু বাংলাদেশে নয়, দক্ষিণ এশিয়ায়ও এটা সবচেয়ে বড় বোমা ডেটাসেন্টার।
বুধবার ডেটাসেন্টারটি ঘুরে দেখা গেল, এতে মোট ছয়টি সেকশন রয়েছে। এর একটি হলো বোমা সংগ্রহশালা। প্রতিটি ঘটনার সঙ্গে মিল রেখে একটি করে বোমার প্রতিরূপ বানানো হয়েছে। সেই প্রতিরূপের ওপর স্ক্যানার ধরলেই পাশে রাখা বড় মনিটরে বিস্ফোরণের পূর্বে ও পরে ঘটনাস্থল থেকে আলামতের নমুনা, প্রকৃতি, প্রতিরূপ, বিশ্লেষণ, নিষ্ক্রিয়করণের কৌশল ও জঙ্গিসংশ্লিষ্টতা সংক্রান্ত ছবি ভেসে উঠছে। দেয়ালে কাঠের র্যাকে বোম ও আইইডির জন্য ৬১টি অবিকল প্রতিরূপ তৈরি করা হয়েছে। সেখানে সাজানো আছে হোলি আর্টিজান, সীতাকুণ্ড, তাজিয়া মিছিল, নারায়ণগঞ্জ পুলিশ বক্স, মৌলভীবাজার জঙ্গি আস্তানা থেকে উদ্ধার করা বোমার নমুনা।
পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিট সূত্র বলছে, স্বাধীনতার পর থেকে এখন পর্যন্ত দেশে ৭৬ ধরনের বোমা শনাক্ত করা গেছে। ২০০০ সালের পর থেকে গত ২০ বছরে বিভিন্ন হামলায় ৬১ ধরনের বোমা ব্যবহার করা হয়েছে। বোমাগুলোর মধ্যে এক্সপ্রেস সফটওয়্যার, গ্যাস ক্যান ইআইডি, ককটেল, হ্যান্ড গ্রেনেড, মাইন লাইক গ্রেনেডও রয়েছে।
দেশের জঙ্গি সংগঠনগুলোর মধ্যে তিনটি সংগঠন হামলার ক্ষেত্রে বোমা বা গ্রেনেড ব্যবহার করে। হরকাতুল জিহাদ আল ইসলামী (হুজি), জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ (জেএমবি) আর নব্য জেএমবি। তবে বিভিন্ন সময় আনসার আল ইসলাম বোমা হামলার পরিকল্পনা করলেও তা বাস্তবায়ন করতে পারেনি।
কাউন্টার টেররিজমের বোমা নিষ্ক্রিয় ইউনিটের অতিরিক্ত উপকমিশনার রহমত উল্লাহ চৌধুরী আজকের পত্রিকা বলেন, রাস্তায় পড়ে থাকা বোমাসদৃশ বস্তুটি আসলেই বোমা কি না, তা নিশ্চিত করা যাবে এখন থেকে। এ জন্য বোমাসদৃশ বস্তুটির ছবি তুলে যে কেউ বোমা ডেটাসেন্টারে পাঠাতে পারবেন। সেই ছবি বিশ্লেষণ করে মুহূর্তেই বিস্তারিত তথ্য জানানো যাবে। পাশাপাশি বোম ডিসপোজাল ইউনিটের সদস্যদের পৌঁছানোর আগপর্যন্ত কী করতে হবে, সেটাও বলে দেওয়া হবে।
সিটিটিসি বোম নিষ্ক্রিয়করণ ইউনিটের এই কর্মকর্তা বলেন, ২০০৬ সালে বোম ডিসপোজাল ইউনিট প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে প্রায় দুই হাজার বোমা উদ্ধার করা হয়েছে। প্রতিদিন সারা দেশ থেকে বোমাসংক্রান্ত ১০ থেকে ১২টি ফোনকল আসে।
বোমা নিষ্ক্রিয় ইউনিটের ৩৮ জন সদস্য আছেন। দেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে বোমা সম্পর্কীয় বিষয় নিয়ে কর্মঘণ্টা ভাগ করে ২৪ ঘণ্টা সাত দিনই কাজ করবে। এই পুরো প্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করবে বিশেষ একটি সফটওয়্যার।

হোলি আর্টিজানে হামলায় অস্ত্রের পাশাপাশি বোমাও ব্যবহার করে-ছিলেন জঙ্গিরা। সেই বোমার অবিকল প্রতিরূপের ওপর স্ক্যানার মেশিন বসালেই ভয়াবহ সেই ঘটনার আদ্যোপান্ত স্ক্রিনে ভেসে উঠবে। কোন জঙ্গি সংগঠন হামলা করেছে, কে কে অংশ নিয়েছেন, কতজন গ্রেপ্তার হয়েছেন, কী ধরনের অস্ত্র ও বোমা ব্যবহার করা হয়েছে—সবই।
ঢাকা মহানগর পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের সদস্যরা এমন একটি ডিজিটাল সংগ্রহশালা তৈরি করেছেন, যার নাম বোমার ডিজিটাল তথ্যভান্ডার। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা (এফবিআই)-এর সদস্যরা সেটা পরিদর্শনও করেছেন।
সিটিটিসির প্রধান মো. আসাদুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, শুধু বাংলাদেশে নয়, দক্ষিণ এশিয়ায়ও এটা সবচেয়ে বড় বোমা ডেটাসেন্টার।
বুধবার ডেটাসেন্টারটি ঘুরে দেখা গেল, এতে মোট ছয়টি সেকশন রয়েছে। এর একটি হলো বোমা সংগ্রহশালা। প্রতিটি ঘটনার সঙ্গে মিল রেখে একটি করে বোমার প্রতিরূপ বানানো হয়েছে। সেই প্রতিরূপের ওপর স্ক্যানার ধরলেই পাশে রাখা বড় মনিটরে বিস্ফোরণের পূর্বে ও পরে ঘটনাস্থল থেকে আলামতের নমুনা, প্রকৃতি, প্রতিরূপ, বিশ্লেষণ, নিষ্ক্রিয়করণের কৌশল ও জঙ্গিসংশ্লিষ্টতা সংক্রান্ত ছবি ভেসে উঠছে। দেয়ালে কাঠের র্যাকে বোম ও আইইডির জন্য ৬১টি অবিকল প্রতিরূপ তৈরি করা হয়েছে। সেখানে সাজানো আছে হোলি আর্টিজান, সীতাকুণ্ড, তাজিয়া মিছিল, নারায়ণগঞ্জ পুলিশ বক্স, মৌলভীবাজার জঙ্গি আস্তানা থেকে উদ্ধার করা বোমার নমুনা।
পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিট সূত্র বলছে, স্বাধীনতার পর থেকে এখন পর্যন্ত দেশে ৭৬ ধরনের বোমা শনাক্ত করা গেছে। ২০০০ সালের পর থেকে গত ২০ বছরে বিভিন্ন হামলায় ৬১ ধরনের বোমা ব্যবহার করা হয়েছে। বোমাগুলোর মধ্যে এক্সপ্রেস সফটওয়্যার, গ্যাস ক্যান ইআইডি, ককটেল, হ্যান্ড গ্রেনেড, মাইন লাইক গ্রেনেডও রয়েছে।
দেশের জঙ্গি সংগঠনগুলোর মধ্যে তিনটি সংগঠন হামলার ক্ষেত্রে বোমা বা গ্রেনেড ব্যবহার করে। হরকাতুল জিহাদ আল ইসলামী (হুজি), জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ (জেএমবি) আর নব্য জেএমবি। তবে বিভিন্ন সময় আনসার আল ইসলাম বোমা হামলার পরিকল্পনা করলেও তা বাস্তবায়ন করতে পারেনি।
কাউন্টার টেররিজমের বোমা নিষ্ক্রিয় ইউনিটের অতিরিক্ত উপকমিশনার রহমত উল্লাহ চৌধুরী আজকের পত্রিকা বলেন, রাস্তায় পড়ে থাকা বোমাসদৃশ বস্তুটি আসলেই বোমা কি না, তা নিশ্চিত করা যাবে এখন থেকে। এ জন্য বোমাসদৃশ বস্তুটির ছবি তুলে যে কেউ বোমা ডেটাসেন্টারে পাঠাতে পারবেন। সেই ছবি বিশ্লেষণ করে মুহূর্তেই বিস্তারিত তথ্য জানানো যাবে। পাশাপাশি বোম ডিসপোজাল ইউনিটের সদস্যদের পৌঁছানোর আগপর্যন্ত কী করতে হবে, সেটাও বলে দেওয়া হবে।
সিটিটিসি বোম নিষ্ক্রিয়করণ ইউনিটের এই কর্মকর্তা বলেন, ২০০৬ সালে বোম ডিসপোজাল ইউনিট প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে প্রায় দুই হাজার বোমা উদ্ধার করা হয়েছে। প্রতিদিন সারা দেশ থেকে বোমাসংক্রান্ত ১০ থেকে ১২টি ফোনকল আসে।
বোমা নিষ্ক্রিয় ইউনিটের ৩৮ জন সদস্য আছেন। দেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে বোমা সম্পর্কীয় বিষয় নিয়ে কর্মঘণ্টা ভাগ করে ২৪ ঘণ্টা সাত দিনই কাজ করবে। এই পুরো প্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করবে বিশেষ একটি সফটওয়্যার।
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

হোলি আর্টিজানে হামলায় অস্ত্রের পাশাপাশি বোমাও ব্যবহার করে-ছিলেন জঙ্গিরা। সেই বোমার অবিকল প্রতিরূপের ওপর স্ক্যানার মেশিন বসালেই ভয়াবহ সেই ঘটনার আদ্যোপান্ত স্ক্রিনে ভেসে উঠবে। কোন জঙ্গি সংগঠন হামলা করেছে, কে কে অংশ নিয়েছেন, কতজন গ্রেপ্তার হয়েছেন, কী ধরনের অস্ত্র ও বোমা ব্যবহার করা হয়েছে—সবই।
ঢাকা মহানগর পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের সদস্যরা এমন একটি ডিজিটাল সংগ্রহশালা তৈরি করেছেন, যার নাম বোমার ডিজিটাল তথ্যভান্ডার। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা (এফবিআই)-এর সদস্যরা সেটা পরিদর্শনও করেছেন।
সিটিটিসির প্রধান মো. আসাদুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, শুধু বাংলাদেশে নয়, দক্ষিণ এশিয়ায়ও এটা সবচেয়ে বড় বোমা ডেটাসেন্টার।
বুধবার ডেটাসেন্টারটি ঘুরে দেখা গেল, এতে মোট ছয়টি সেকশন রয়েছে। এর একটি হলো বোমা সংগ্রহশালা। প্রতিটি ঘটনার সঙ্গে মিল রেখে একটি করে বোমার প্রতিরূপ বানানো হয়েছে। সেই প্রতিরূপের ওপর স্ক্যানার ধরলেই পাশে রাখা বড় মনিটরে বিস্ফোরণের পূর্বে ও পরে ঘটনাস্থল থেকে আলামতের নমুনা, প্রকৃতি, প্রতিরূপ, বিশ্লেষণ, নিষ্ক্রিয়করণের কৌশল ও জঙ্গিসংশ্লিষ্টতা সংক্রান্ত ছবি ভেসে উঠছে। দেয়ালে কাঠের র্যাকে বোম ও আইইডির জন্য ৬১টি অবিকল প্রতিরূপ তৈরি করা হয়েছে। সেখানে সাজানো আছে হোলি আর্টিজান, সীতাকুণ্ড, তাজিয়া মিছিল, নারায়ণগঞ্জ পুলিশ বক্স, মৌলভীবাজার জঙ্গি আস্তানা থেকে উদ্ধার করা বোমার নমুনা।
পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিট সূত্র বলছে, স্বাধীনতার পর থেকে এখন পর্যন্ত দেশে ৭৬ ধরনের বোমা শনাক্ত করা গেছে। ২০০০ সালের পর থেকে গত ২০ বছরে বিভিন্ন হামলায় ৬১ ধরনের বোমা ব্যবহার করা হয়েছে। বোমাগুলোর মধ্যে এক্সপ্রেস সফটওয়্যার, গ্যাস ক্যান ইআইডি, ককটেল, হ্যান্ড গ্রেনেড, মাইন লাইক গ্রেনেডও রয়েছে।
দেশের জঙ্গি সংগঠনগুলোর মধ্যে তিনটি সংগঠন হামলার ক্ষেত্রে বোমা বা গ্রেনেড ব্যবহার করে। হরকাতুল জিহাদ আল ইসলামী (হুজি), জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ (জেএমবি) আর নব্য জেএমবি। তবে বিভিন্ন সময় আনসার আল ইসলাম বোমা হামলার পরিকল্পনা করলেও তা বাস্তবায়ন করতে পারেনি।
কাউন্টার টেররিজমের বোমা নিষ্ক্রিয় ইউনিটের অতিরিক্ত উপকমিশনার রহমত উল্লাহ চৌধুরী আজকের পত্রিকা বলেন, রাস্তায় পড়ে থাকা বোমাসদৃশ বস্তুটি আসলেই বোমা কি না, তা নিশ্চিত করা যাবে এখন থেকে। এ জন্য বোমাসদৃশ বস্তুটির ছবি তুলে যে কেউ বোমা ডেটাসেন্টারে পাঠাতে পারবেন। সেই ছবি বিশ্লেষণ করে মুহূর্তেই বিস্তারিত তথ্য জানানো যাবে। পাশাপাশি বোম ডিসপোজাল ইউনিটের সদস্যদের পৌঁছানোর আগপর্যন্ত কী করতে হবে, সেটাও বলে দেওয়া হবে।
সিটিটিসি বোম নিষ্ক্রিয়করণ ইউনিটের এই কর্মকর্তা বলেন, ২০০৬ সালে বোম ডিসপোজাল ইউনিট প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে প্রায় দুই হাজার বোমা উদ্ধার করা হয়েছে। প্রতিদিন সারা দেশ থেকে বোমাসংক্রান্ত ১০ থেকে ১২টি ফোনকল আসে।
বোমা নিষ্ক্রিয় ইউনিটের ৩৮ জন সদস্য আছেন। দেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে বোমা সম্পর্কীয় বিষয় নিয়ে কর্মঘণ্টা ভাগ করে ২৪ ঘণ্টা সাত দিনই কাজ করবে। এই পুরো প্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করবে বিশেষ একটি সফটওয়্যার।

হোলি আর্টিজানে হামলায় অস্ত্রের পাশাপাশি বোমাও ব্যবহার করে-ছিলেন জঙ্গিরা। সেই বোমার অবিকল প্রতিরূপের ওপর স্ক্যানার মেশিন বসালেই ভয়াবহ সেই ঘটনার আদ্যোপান্ত স্ক্রিনে ভেসে উঠবে। কোন জঙ্গি সংগঠন হামলা করেছে, কে কে অংশ নিয়েছেন, কতজন গ্রেপ্তার হয়েছেন, কী ধরনের অস্ত্র ও বোমা ব্যবহার করা হয়েছে—সবই।
ঢাকা মহানগর পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের সদস্যরা এমন একটি ডিজিটাল সংগ্রহশালা তৈরি করেছেন, যার নাম বোমার ডিজিটাল তথ্যভান্ডার। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা (এফবিআই)-এর সদস্যরা সেটা পরিদর্শনও করেছেন।
সিটিটিসির প্রধান মো. আসাদুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, শুধু বাংলাদেশে নয়, দক্ষিণ এশিয়ায়ও এটা সবচেয়ে বড় বোমা ডেটাসেন্টার।
বুধবার ডেটাসেন্টারটি ঘুরে দেখা গেল, এতে মোট ছয়টি সেকশন রয়েছে। এর একটি হলো বোমা সংগ্রহশালা। প্রতিটি ঘটনার সঙ্গে মিল রেখে একটি করে বোমার প্রতিরূপ বানানো হয়েছে। সেই প্রতিরূপের ওপর স্ক্যানার ধরলেই পাশে রাখা বড় মনিটরে বিস্ফোরণের পূর্বে ও পরে ঘটনাস্থল থেকে আলামতের নমুনা, প্রকৃতি, প্রতিরূপ, বিশ্লেষণ, নিষ্ক্রিয়করণের কৌশল ও জঙ্গিসংশ্লিষ্টতা সংক্রান্ত ছবি ভেসে উঠছে। দেয়ালে কাঠের র্যাকে বোম ও আইইডির জন্য ৬১টি অবিকল প্রতিরূপ তৈরি করা হয়েছে। সেখানে সাজানো আছে হোলি আর্টিজান, সীতাকুণ্ড, তাজিয়া মিছিল, নারায়ণগঞ্জ পুলিশ বক্স, মৌলভীবাজার জঙ্গি আস্তানা থেকে উদ্ধার করা বোমার নমুনা।
পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিট সূত্র বলছে, স্বাধীনতার পর থেকে এখন পর্যন্ত দেশে ৭৬ ধরনের বোমা শনাক্ত করা গেছে। ২০০০ সালের পর থেকে গত ২০ বছরে বিভিন্ন হামলায় ৬১ ধরনের বোমা ব্যবহার করা হয়েছে। বোমাগুলোর মধ্যে এক্সপ্রেস সফটওয়্যার, গ্যাস ক্যান ইআইডি, ককটেল, হ্যান্ড গ্রেনেড, মাইন লাইক গ্রেনেডও রয়েছে।
দেশের জঙ্গি সংগঠনগুলোর মধ্যে তিনটি সংগঠন হামলার ক্ষেত্রে বোমা বা গ্রেনেড ব্যবহার করে। হরকাতুল জিহাদ আল ইসলামী (হুজি), জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ (জেএমবি) আর নব্য জেএমবি। তবে বিভিন্ন সময় আনসার আল ইসলাম বোমা হামলার পরিকল্পনা করলেও তা বাস্তবায়ন করতে পারেনি।
কাউন্টার টেররিজমের বোমা নিষ্ক্রিয় ইউনিটের অতিরিক্ত উপকমিশনার রহমত উল্লাহ চৌধুরী আজকের পত্রিকা বলেন, রাস্তায় পড়ে থাকা বোমাসদৃশ বস্তুটি আসলেই বোমা কি না, তা নিশ্চিত করা যাবে এখন থেকে। এ জন্য বোমাসদৃশ বস্তুটির ছবি তুলে যে কেউ বোমা ডেটাসেন্টারে পাঠাতে পারবেন। সেই ছবি বিশ্লেষণ করে মুহূর্তেই বিস্তারিত তথ্য জানানো যাবে। পাশাপাশি বোম ডিসপোজাল ইউনিটের সদস্যদের পৌঁছানোর আগপর্যন্ত কী করতে হবে, সেটাও বলে দেওয়া হবে।
সিটিটিসি বোম নিষ্ক্রিয়করণ ইউনিটের এই কর্মকর্তা বলেন, ২০০৬ সালে বোম ডিসপোজাল ইউনিট প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে প্রায় দুই হাজার বোমা উদ্ধার করা হয়েছে। প্রতিদিন সারা দেশ থেকে বোমাসংক্রান্ত ১০ থেকে ১২টি ফোনকল আসে।
বোমা নিষ্ক্রিয় ইউনিটের ৩৮ জন সদস্য আছেন। দেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে বোমা সম্পর্কীয় বিষয় নিয়ে কর্মঘণ্টা ভাগ করে ২৪ ঘণ্টা সাত দিনই কাজ করবে। এই পুরো প্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করবে বিশেষ একটি সফটওয়্যার।

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদি হত্যার প্রতিবাদে শরীয়তপুর জেলা শহরে মশাল মিছিল করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। গতকাল শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় শহরের জুলাই স্মৃতিস্তম্ভ চত্বর থেকে মশাল মিছিলটি শুরু হয়।
৪১ মিনিট আগে
সাতক্ষীরার বহুল প্রতীক্ষিত রেললাইনের নির্মাণকাজ এগোচ্ছে কচ্ছপগতিতে। এক যুগ আগে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের পর গেল মাসে যশোরের নাভারণ থেকে সাতক্ষীরা পর্যন্ত রেললাইন নির্মাণের ডিপিপি প্রণয়ন করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগে
ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া উপজেলার আমুয়া ইউনিয়নে হাসপাতালসংলগ্ন ধোপাবাড়ির খালের ওপর সেতুর নির্মাণ প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হলেও কাজ শেষ হয়নি। দুই পাড়ে খুঁটি (পিলার) নির্মাণ করে বন্ধ রয়েছে কাজ। এতে পাশের ঝুঁকিপূর্ণ কাঠের সেতু ব্যবহার করতে হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের।
৬ ঘণ্টা আগে
ময়মনসিংহের নান্দাইলে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নেতা হাবিবুর রহমান বাচ্চুর বিরুদ্ধে নরসুন্দা নদীর পাড় দখল করে পাকা ভবন নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। মুশুল্লি ইউনিয়নের তারের ঘাট বাজারসংলগ্ন নদীর জায়গা দখল করে দোতলা মার্কেট নির্মাণ করছেন তিনি।
৬ ঘণ্টা আগেশরীয়তপুর প্রতিনিধি

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদি হত্যার প্রতিবাদে শরীয়তপুর জেলা শহরে মশাল মিছিল করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। গতকাল শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় শহরের জুলাই স্মৃতিস্তম্ভ চত্বর থেকে মশাল মিছিলটি শুরু হয়। মিছিলটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে শরীয়তপুর-ঢাকা সড়কের চৌরঙ্গী মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে প্রায় আধা ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন দলটির নেতা-কর্মীরা। এ সময় হাদি হত্যার ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেন তাঁরা।
এনসিপির শরীয়তপুর জেলার সদস্যসচিব সবুজ তালুকদার বলেন, ‘হাদি হত্যাকাণ্ড কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। ভিন্নমত দমন ও রাজনৈতিক কণ্ঠরোধের ধারাবাহিকতারই অংশ এই হত্যাকাণ্ড। দিনদুপুরে খুনিরা গুলি করে কীভাবে পালিয়ে গেল? এক সপ্তাহ পার হয়ে গেলেও খুনিদের গ্রেপ্তার করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। আমরা অবিলম্বে এই হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত, প্রকৃত খুনিদের গ্রেপ্তার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। তা না হলে আরও কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হব।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক আমিন মোহাম্মদ জিতু বলেন, ‘এটি শুধু একজন ব্যক্তির হত্যাকাণ্ড নয়, এটি মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর সরাসরি আঘাত। এই হত্যার বিচার না হলে তরুণ সমাজ রাজপথে আবারও দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলবে।’
বিক্ষোভে এনসিপি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদি হত্যার প্রতিবাদে শরীয়তপুর জেলা শহরে মশাল মিছিল করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। গতকাল শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় শহরের জুলাই স্মৃতিস্তম্ভ চত্বর থেকে মশাল মিছিলটি শুরু হয়। মিছিলটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে শরীয়তপুর-ঢাকা সড়কের চৌরঙ্গী মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে প্রায় আধা ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন দলটির নেতা-কর্মীরা। এ সময় হাদি হত্যার ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেন তাঁরা।
এনসিপির শরীয়তপুর জেলার সদস্যসচিব সবুজ তালুকদার বলেন, ‘হাদি হত্যাকাণ্ড কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। ভিন্নমত দমন ও রাজনৈতিক কণ্ঠরোধের ধারাবাহিকতারই অংশ এই হত্যাকাণ্ড। দিনদুপুরে খুনিরা গুলি করে কীভাবে পালিয়ে গেল? এক সপ্তাহ পার হয়ে গেলেও খুনিদের গ্রেপ্তার করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। আমরা অবিলম্বে এই হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত, প্রকৃত খুনিদের গ্রেপ্তার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। তা না হলে আরও কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হব।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক আমিন মোহাম্মদ জিতু বলেন, ‘এটি শুধু একজন ব্যক্তির হত্যাকাণ্ড নয়, এটি মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর সরাসরি আঘাত। এই হত্যার বিচার না হলে তরুণ সমাজ রাজপথে আবারও দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলবে।’
বিক্ষোভে এনসিপি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

হোলি আর্টিজানে হামলায় অস্ত্রের পাশাপাশি বোমাও ব্যবহার করে-ছিলেন জঙ্গিরা। সেই বোমার অবিকল প্রতিরূপের ওপর স্ক্যানার মেশিন বসালেই ভয়াবহ সেই ঘটনার আদ্যোপান্ত স্ক্রিনে ভেসে উঠবে। কোন জঙ্গি সংগঠন হামলা করেছে, কে কে অংশ নিয়েছেন, কতজন গ্রেপ্তার হয়েছেন,
০২ সেপ্টেম্বর ২০২১
সাতক্ষীরার বহুল প্রতীক্ষিত রেললাইনের নির্মাণকাজ এগোচ্ছে কচ্ছপগতিতে। এক যুগ আগে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের পর গেল মাসে যশোরের নাভারণ থেকে সাতক্ষীরা পর্যন্ত রেললাইন নির্মাণের ডিপিপি প্রণয়ন করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগে
ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া উপজেলার আমুয়া ইউনিয়নে হাসপাতালসংলগ্ন ধোপাবাড়ির খালের ওপর সেতুর নির্মাণ প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হলেও কাজ শেষ হয়নি। দুই পাড়ে খুঁটি (পিলার) নির্মাণ করে বন্ধ রয়েছে কাজ। এতে পাশের ঝুঁকিপূর্ণ কাঠের সেতু ব্যবহার করতে হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের।
৬ ঘণ্টা আগে
ময়মনসিংহের নান্দাইলে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নেতা হাবিবুর রহমান বাচ্চুর বিরুদ্ধে নরসুন্দা নদীর পাড় দখল করে পাকা ভবন নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। মুশুল্লি ইউনিয়নের তারের ঘাট বাজারসংলগ্ন নদীর জায়গা দখল করে দোতলা মার্কেট নির্মাণ করছেন তিনি।
৬ ঘণ্টা আগেআবুল কাসেম, সাতক্ষীরা

সাতক্ষীরার বহুল প্রতীক্ষিত রেললাইনের নির্মাণকাজ এগোচ্ছে কচ্ছপগতিতে। এক যুগ আগে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের পর গেল মাসে যশোরের নাভারণ থেকে সাতক্ষীরা পর্যন্ত রেললাইন নির্মাণের ডিপিপি প্রণয়ন করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
সাতক্ষীরাবাসী বলছে, শত বছরের প্রতীক্ষিত রেললাইন নির্মিত হলে একদিকে যেমন সুন্দরবনকেন্দ্রিক পর্যটন বিকশিত হবে, অন্যদিকে পণ্য পরিবহনে খরচ কমায় ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারিত হবে।
সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসন ও অন্যান্য সূত্রে জানা যায়, ১৯১৪ সালে ব্রিটিশ ভাইসরয় সাতক্ষীরাকে রেললাইনে সংযুক্ত করে সুন্দরবন পর্যন্ত সম্প্রসারণের নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু সেই নির্দেশনা বাস্তবায়িত হয়নি। ১৯৫৮ সালে সাতক্ষীরা-ভেটখালি সড়ক নির্মাণের সময় জমি অধিগ্রহণ করেও নির্মিত হয়নি রেললাইন।
দীর্ঘকাল পরে ২০১০ সালে সাতক্ষীরার শ্যামনগরে এক জনসভায় তৎকালীন সরকারপ্রধান নাভারণ-সাতক্ষীরা-মুন্সিগঞ্জ রেললাইন নির্মাণের ঘোষণা দেন। ২০১৩ সালে সম্ভাব্যতা যাচাই করে মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন দেয় অস্ট্রেলিয়ার ক্যানারেইল কোম্পানি লিমিটেড। সম্ভাব্যতা যাচাই করতে খরচ হয় ১১ কোটি টাকা। সম্ভাব্যতা ম্যাপে ৯৮ কিলোমিটার রেললাইনে ৮টি স্টেশনের প্রস্তাব রাখা হয়।
এরপর আবারও থেমে যায় রেললাইন নির্মাণের উদোগ। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর রেললাইন স্থাপনের দাবিতে সাতক্ষীরায় বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের ব্যানারে আন্দোলন শুরু হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে নাভারণ-সাতক্ষীরা রেললাইন স্থাপনের উদ্যোগের অংশ হিসেবে যশোর রেলওয়ের পক্ষ থেকে সরেজমিন পরিদর্শন করা হয়। এরপর গত মাসে যশোরের নাভারণ থেকে সাতক্ষীরা পর্যন্ত ৫টি স্টেশনযুক্ত ৪২ কিলোমিটার রেললাইনের ডিপিপি প্রণয়ন করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে জেলা প্রশাসনের একটি সূত্র।
সাতক্ষীরার বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের শেষ জেলা সাতক্ষীরায় ২২ লাখের বেশি মানুষের বাস। এ জেলা থেকে দেশের অন্যান্য স্থানে যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম সড়কপথ। সুন্দরবন, চিংড়ি, আম ও ভোমরা বন্দরের কারণে অর্থনৈতিকভাবে ক্রমেই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠায় সাতক্ষীরায় রেললাইন নির্মাণ এখন সময়ের দাবি।
জেলা চিংড়ি চাষি সমিতির সাধারণ সম্পাদক ডা. আবুল কালাম বাবলা বলেন, নৌপথ ও আকাশপথে যাতায়াতের কোনো সুযোগ নেই জেলাবাসীর। রেললাইন নির্মিত হলে মৎস্য খাতের নতুন দিকের সূচনা হবে।
সাতক্ষীরা জেলা নাগরিক কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলী নূর খান বাবুল বলেন, ‘সাতক্ষীরা থেকে আমরা যে পরিমাণ রাজস্ব সরকারকে দিই, সে ধরনের উন্নয়ন চোখে পড়ে না।’
ভোমরা সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আবু মুসা বলেন, কলকাতা থেকে ভোমরা স্থলবন্দরের দূরত্ব মাত্র ৬০ কিলোমিটার। তাই রেললাইন হলে ভোমরায় ব্যবসা-বাণিজ্যের চিত্র পাল্টে যাবে।
সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক আফরোজা আখতার বলেন, ‘জিআই পণ্য আম, চিংড়ি এবং ভোমরা স্থলবন্দরের পণ্য পরিবহনের জন্য সাতক্ষীরায় রেললাইন নির্মাণ জরুরি। আমি জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে রেললাইন নির্মাণের জন্য যত প্রচেষ্টা রয়েছে, সেটা করব।’

সাতক্ষীরার বহুল প্রতীক্ষিত রেললাইনের নির্মাণকাজ এগোচ্ছে কচ্ছপগতিতে। এক যুগ আগে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের পর গেল মাসে যশোরের নাভারণ থেকে সাতক্ষীরা পর্যন্ত রেললাইন নির্মাণের ডিপিপি প্রণয়ন করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
সাতক্ষীরাবাসী বলছে, শত বছরের প্রতীক্ষিত রেললাইন নির্মিত হলে একদিকে যেমন সুন্দরবনকেন্দ্রিক পর্যটন বিকশিত হবে, অন্যদিকে পণ্য পরিবহনে খরচ কমায় ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারিত হবে।
সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসন ও অন্যান্য সূত্রে জানা যায়, ১৯১৪ সালে ব্রিটিশ ভাইসরয় সাতক্ষীরাকে রেললাইনে সংযুক্ত করে সুন্দরবন পর্যন্ত সম্প্রসারণের নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু সেই নির্দেশনা বাস্তবায়িত হয়নি। ১৯৫৮ সালে সাতক্ষীরা-ভেটখালি সড়ক নির্মাণের সময় জমি অধিগ্রহণ করেও নির্মিত হয়নি রেললাইন।
দীর্ঘকাল পরে ২০১০ সালে সাতক্ষীরার শ্যামনগরে এক জনসভায় তৎকালীন সরকারপ্রধান নাভারণ-সাতক্ষীরা-মুন্সিগঞ্জ রেললাইন নির্মাণের ঘোষণা দেন। ২০১৩ সালে সম্ভাব্যতা যাচাই করে মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন দেয় অস্ট্রেলিয়ার ক্যানারেইল কোম্পানি লিমিটেড। সম্ভাব্যতা যাচাই করতে খরচ হয় ১১ কোটি টাকা। সম্ভাব্যতা ম্যাপে ৯৮ কিলোমিটার রেললাইনে ৮টি স্টেশনের প্রস্তাব রাখা হয়।
এরপর আবারও থেমে যায় রেললাইন নির্মাণের উদোগ। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর রেললাইন স্থাপনের দাবিতে সাতক্ষীরায় বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের ব্যানারে আন্দোলন শুরু হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে নাভারণ-সাতক্ষীরা রেললাইন স্থাপনের উদ্যোগের অংশ হিসেবে যশোর রেলওয়ের পক্ষ থেকে সরেজমিন পরিদর্শন করা হয়। এরপর গত মাসে যশোরের নাভারণ থেকে সাতক্ষীরা পর্যন্ত ৫টি স্টেশনযুক্ত ৪২ কিলোমিটার রেললাইনের ডিপিপি প্রণয়ন করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে জেলা প্রশাসনের একটি সূত্র।
সাতক্ষীরার বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের শেষ জেলা সাতক্ষীরায় ২২ লাখের বেশি মানুষের বাস। এ জেলা থেকে দেশের অন্যান্য স্থানে যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম সড়কপথ। সুন্দরবন, চিংড়ি, আম ও ভোমরা বন্দরের কারণে অর্থনৈতিকভাবে ক্রমেই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠায় সাতক্ষীরায় রেললাইন নির্মাণ এখন সময়ের দাবি।
জেলা চিংড়ি চাষি সমিতির সাধারণ সম্পাদক ডা. আবুল কালাম বাবলা বলেন, নৌপথ ও আকাশপথে যাতায়াতের কোনো সুযোগ নেই জেলাবাসীর। রেললাইন নির্মিত হলে মৎস্য খাতের নতুন দিকের সূচনা হবে।
সাতক্ষীরা জেলা নাগরিক কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলী নূর খান বাবুল বলেন, ‘সাতক্ষীরা থেকে আমরা যে পরিমাণ রাজস্ব সরকারকে দিই, সে ধরনের উন্নয়ন চোখে পড়ে না।’
ভোমরা সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আবু মুসা বলেন, কলকাতা থেকে ভোমরা স্থলবন্দরের দূরত্ব মাত্র ৬০ কিলোমিটার। তাই রেললাইন হলে ভোমরায় ব্যবসা-বাণিজ্যের চিত্র পাল্টে যাবে।
সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক আফরোজা আখতার বলেন, ‘জিআই পণ্য আম, চিংড়ি এবং ভোমরা স্থলবন্দরের পণ্য পরিবহনের জন্য সাতক্ষীরায় রেললাইন নির্মাণ জরুরি। আমি জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে রেললাইন নির্মাণের জন্য যত প্রচেষ্টা রয়েছে, সেটা করব।’

হোলি আর্টিজানে হামলায় অস্ত্রের পাশাপাশি বোমাও ব্যবহার করে-ছিলেন জঙ্গিরা। সেই বোমার অবিকল প্রতিরূপের ওপর স্ক্যানার মেশিন বসালেই ভয়াবহ সেই ঘটনার আদ্যোপান্ত স্ক্রিনে ভেসে উঠবে। কোন জঙ্গি সংগঠন হামলা করেছে, কে কে অংশ নিয়েছেন, কতজন গ্রেপ্তার হয়েছেন,
০২ সেপ্টেম্বর ২০২১
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদি হত্যার প্রতিবাদে শরীয়তপুর জেলা শহরে মশাল মিছিল করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। গতকাল শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় শহরের জুলাই স্মৃতিস্তম্ভ চত্বর থেকে মশাল মিছিলটি শুরু হয়।
৪১ মিনিট আগে
ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া উপজেলার আমুয়া ইউনিয়নে হাসপাতালসংলগ্ন ধোপাবাড়ির খালের ওপর সেতুর নির্মাণ প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হলেও কাজ শেষ হয়নি। দুই পাড়ে খুঁটি (পিলার) নির্মাণ করে বন্ধ রয়েছে কাজ। এতে পাশের ঝুঁকিপূর্ণ কাঠের সেতু ব্যবহার করতে হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের।
৬ ঘণ্টা আগে
ময়মনসিংহের নান্দাইলে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নেতা হাবিবুর রহমান বাচ্চুর বিরুদ্ধে নরসুন্দা নদীর পাড় দখল করে পাকা ভবন নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। মুশুল্লি ইউনিয়নের তারের ঘাট বাজারসংলগ্ন নদীর জায়গা দখল করে দোতলা মার্কেট নির্মাণ করছেন তিনি।
৬ ঘণ্টা আগেআরিফ রহমান, ঝালকাঠি

ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া উপজেলার আমুয়া ইউনিয়নে হাসপাতালসংলগ্ন ধোপাবাড়ির খালের ওপর সেতুর নির্মাণ প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হলেও কাজ শেষ হয়নি। দুই পাড়ে খুঁটি (পিলার) নির্মাণ করে বন্ধ রয়েছে কাজ। এতে পাশের ঝুঁকিপূর্ণ কাঠের সেতু ব্যবহার করতে হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ নড়বড়ে ও ভাঙাচোরা ওই সেতু দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। এতে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছে শিক্ষার্থী, নারী, শিশু ও হাসপাতালে আসা রোগীরা।
উপজেলা প্রকৌশল কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স সুপ্তি কনস্ট্রাকশন এবং কবির ট্রেডার্স যৌথভাবে ২০২১-২২ অর্থবছরে প্রকল্পটির কার্যাদেশ পায়। সেতুটি নির্মাণে ৫ কোটি ৪৩ লাখ ১৯ হাজার ৬৮০ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। নির্মাণকাজ ২০২২ সালের মে মাসে শুরু হয়। ২০২৩ সালের অক্টোবরের মধ্যে কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও সেতুর নকশা পরিবর্তনের কারণে প্রকল্পের ব্যয় বাড়িয়ে ৬ কোটি ১৩ লাখ ২৫ হাজার ৪৪৭ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। এ জন্য মেয়াদ নির্ধারণ করা হয় চলতি বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত। কিন্তু প্রায় ছয় মাস আগে মেয়াদ শেষ হলেও নির্মাণকাজ খুঁটি পর্যন্তই আটকে আছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটির মালিকেরা জেলহাজতে থাকা এবং তাঁদের সব ব্যাংক হিসাব স্থগিত রয়েছে। এ কারণে নির্মাণকাজ বন্ধ রয়েছে। ঠিকাদারদের পক্ষ থেকে বারবার প্রতিশ্রুতি দিলেও কার্যক্রম শুরু করতে পারছে না।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষে প্রকল্প প্রকৌশলী মিলন ঘরামি ও ব্যবস্থাপক মো. বাহাদুর হাওলাদার জানিয়েছেন, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে কাজ পুনরায় শুরু করা হবে এবং তিন থেকে চার মাসের মধ্যে শেষ করা হবে।
প্রকল্পের অগ্রিম কোনো বিল তোলা হয়েছে কি না জানতে চাইলে উপজেলা উপসহকারী প্রকৌশলী মো. জিয়াউর রহমান বলেন, এখন পর্যন্ত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান অগ্রিম কোনো বিল তোলেনি। তবে কাজের বেশ কয়েকটি মেমো তাঁদের কাছে আছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, ধোপাবাড়ির খাল অনেক প্রশস্ত। এ জন্য স্থানীয়দের কাছে এটি নদী হিসেবে পরিচিত। খালটি বিষখালী নদীর সঙ্গে যুক্ত। খালের ওপর দীর্ঘদিন ধরে একটি কাঠের সেতু রয়েছে। এটি দিয়ে যানবাহন চলাচল করতে পারে না। নড়বড়ে হওয়ায় পথচারীরাও অনেক ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন। সেতুটি শুধু আমুয়া ইউনিয়নের নয়, বরং পুরো কাঁঠালিয়া উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ যোগাযোগমাধ্যম। সেতুটিকে কেন্দ্র করে রয়েছে ৯টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, উপজেলার একমাত্র আমুয়া হাসপাতাল, আমুয়া বন্দর ও তিনটি বড় বাজার। প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ এই সেতু ব্যবহার করছে, যার মধ্যে শিক্ষার্থী, রোগী, ব্যবসায়ী, নারী ও শিশু রয়েছে। বর্ষা মৌসুমে নদীর পানি বাড়লে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে ওঠে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরে সেতুর কাজ বন্ধ থাকায় স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। স্কুলশিক্ষার্থীরা আতঙ্ক নিয়ে কাঠের সেতু পার হয়। রোগী নিয়ে হাসপাতালে যেতে গিয়ে পরিবারগুলোর দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে।
আমুয়ার জনপ্রতিনিধি নকিরুল ইসলাম বলেন, ‘সেতুটি আমাদের এলাকার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু বছরের পর বছর কাজ বন্ধ হয়ে আছে।’
শেখ ফজিলাতুন্নেছা ভোকেশনাল ইনস্টিটিউটের প্রধান শিক্ষক মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘আমাদের শিক্ষার্থীরা প্রতিদিন ভাঙাচোরা কাঠের সেতু দিয়ে স্কুলে আসা-যাওয়া করে। যেকোনো সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে দ্রুত কাজ শেষ করা প্রয়োজন।’
কাঁঠালিয়া উপজেলা প্রকৌশলী মো. গোলাম মোস্তফা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কাজ দ্রুত শেষ করার জন্য নিয়মিত তাগিদ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি না থাকায় কাজ বাতিলের সুপারিশ করা হয়েছে।’
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের ঝালকাঠির জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শহীদুল ইসলাম সরকারের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তিনি সাড়া দেননি।

ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া উপজেলার আমুয়া ইউনিয়নে হাসপাতালসংলগ্ন ধোপাবাড়ির খালের ওপর সেতুর নির্মাণ প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হলেও কাজ শেষ হয়নি। দুই পাড়ে খুঁটি (পিলার) নির্মাণ করে বন্ধ রয়েছে কাজ। এতে পাশের ঝুঁকিপূর্ণ কাঠের সেতু ব্যবহার করতে হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ নড়বড়ে ও ভাঙাচোরা ওই সেতু দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। এতে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছে শিক্ষার্থী, নারী, শিশু ও হাসপাতালে আসা রোগীরা।
উপজেলা প্রকৌশল কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স সুপ্তি কনস্ট্রাকশন এবং কবির ট্রেডার্স যৌথভাবে ২০২১-২২ অর্থবছরে প্রকল্পটির কার্যাদেশ পায়। সেতুটি নির্মাণে ৫ কোটি ৪৩ লাখ ১৯ হাজার ৬৮০ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। নির্মাণকাজ ২০২২ সালের মে মাসে শুরু হয়। ২০২৩ সালের অক্টোবরের মধ্যে কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও সেতুর নকশা পরিবর্তনের কারণে প্রকল্পের ব্যয় বাড়িয়ে ৬ কোটি ১৩ লাখ ২৫ হাজার ৪৪৭ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। এ জন্য মেয়াদ নির্ধারণ করা হয় চলতি বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত। কিন্তু প্রায় ছয় মাস আগে মেয়াদ শেষ হলেও নির্মাণকাজ খুঁটি পর্যন্তই আটকে আছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটির মালিকেরা জেলহাজতে থাকা এবং তাঁদের সব ব্যাংক হিসাব স্থগিত রয়েছে। এ কারণে নির্মাণকাজ বন্ধ রয়েছে। ঠিকাদারদের পক্ষ থেকে বারবার প্রতিশ্রুতি দিলেও কার্যক্রম শুরু করতে পারছে না।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষে প্রকল্প প্রকৌশলী মিলন ঘরামি ও ব্যবস্থাপক মো. বাহাদুর হাওলাদার জানিয়েছেন, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে কাজ পুনরায় শুরু করা হবে এবং তিন থেকে চার মাসের মধ্যে শেষ করা হবে।
প্রকল্পের অগ্রিম কোনো বিল তোলা হয়েছে কি না জানতে চাইলে উপজেলা উপসহকারী প্রকৌশলী মো. জিয়াউর রহমান বলেন, এখন পর্যন্ত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান অগ্রিম কোনো বিল তোলেনি। তবে কাজের বেশ কয়েকটি মেমো তাঁদের কাছে আছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, ধোপাবাড়ির খাল অনেক প্রশস্ত। এ জন্য স্থানীয়দের কাছে এটি নদী হিসেবে পরিচিত। খালটি বিষখালী নদীর সঙ্গে যুক্ত। খালের ওপর দীর্ঘদিন ধরে একটি কাঠের সেতু রয়েছে। এটি দিয়ে যানবাহন চলাচল করতে পারে না। নড়বড়ে হওয়ায় পথচারীরাও অনেক ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন। সেতুটি শুধু আমুয়া ইউনিয়নের নয়, বরং পুরো কাঁঠালিয়া উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ যোগাযোগমাধ্যম। সেতুটিকে কেন্দ্র করে রয়েছে ৯টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, উপজেলার একমাত্র আমুয়া হাসপাতাল, আমুয়া বন্দর ও তিনটি বড় বাজার। প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ এই সেতু ব্যবহার করছে, যার মধ্যে শিক্ষার্থী, রোগী, ব্যবসায়ী, নারী ও শিশু রয়েছে। বর্ষা মৌসুমে নদীর পানি বাড়লে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে ওঠে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরে সেতুর কাজ বন্ধ থাকায় স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। স্কুলশিক্ষার্থীরা আতঙ্ক নিয়ে কাঠের সেতু পার হয়। রোগী নিয়ে হাসপাতালে যেতে গিয়ে পরিবারগুলোর দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে।
আমুয়ার জনপ্রতিনিধি নকিরুল ইসলাম বলেন, ‘সেতুটি আমাদের এলাকার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু বছরের পর বছর কাজ বন্ধ হয়ে আছে।’
শেখ ফজিলাতুন্নেছা ভোকেশনাল ইনস্টিটিউটের প্রধান শিক্ষক মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘আমাদের শিক্ষার্থীরা প্রতিদিন ভাঙাচোরা কাঠের সেতু দিয়ে স্কুলে আসা-যাওয়া করে। যেকোনো সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে দ্রুত কাজ শেষ করা প্রয়োজন।’
কাঁঠালিয়া উপজেলা প্রকৌশলী মো. গোলাম মোস্তফা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কাজ দ্রুত শেষ করার জন্য নিয়মিত তাগিদ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি না থাকায় কাজ বাতিলের সুপারিশ করা হয়েছে।’
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের ঝালকাঠির জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শহীদুল ইসলাম সরকারের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তিনি সাড়া দেননি।

হোলি আর্টিজানে হামলায় অস্ত্রের পাশাপাশি বোমাও ব্যবহার করে-ছিলেন জঙ্গিরা। সেই বোমার অবিকল প্রতিরূপের ওপর স্ক্যানার মেশিন বসালেই ভয়াবহ সেই ঘটনার আদ্যোপান্ত স্ক্রিনে ভেসে উঠবে। কোন জঙ্গি সংগঠন হামলা করেছে, কে কে অংশ নিয়েছেন, কতজন গ্রেপ্তার হয়েছেন,
০২ সেপ্টেম্বর ২০২১
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদি হত্যার প্রতিবাদে শরীয়তপুর জেলা শহরে মশাল মিছিল করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। গতকাল শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় শহরের জুলাই স্মৃতিস্তম্ভ চত্বর থেকে মশাল মিছিলটি শুরু হয়।
৪১ মিনিট আগে
সাতক্ষীরার বহুল প্রতীক্ষিত রেললাইনের নির্মাণকাজ এগোচ্ছে কচ্ছপগতিতে। এক যুগ আগে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের পর গেল মাসে যশোরের নাভারণ থেকে সাতক্ষীরা পর্যন্ত রেললাইন নির্মাণের ডিপিপি প্রণয়ন করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগে
ময়মনসিংহের নান্দাইলে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নেতা হাবিবুর রহমান বাচ্চুর বিরুদ্ধে নরসুন্দা নদীর পাড় দখল করে পাকা ভবন নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। মুশুল্লি ইউনিয়নের তারের ঘাট বাজারসংলগ্ন নদীর জায়গা দখল করে দোতলা মার্কেট নির্মাণ করছেন তিনি।
৬ ঘণ্টা আগেনান্দাইল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি

ময়মনসিংহের নান্দাইলে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নেতা হাবিবুর রহমান বাচ্চুর বিরুদ্ধে নরসুন্দা নদীর পাড় দখল করে পাকা ভবন নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। মুশুল্লি ইউনিয়নের তারের ঘাট বাজারসংলগ্ন নদীর জায়গা দখল করে দোতলা মার্কেট নির্মাণ করছেন তিনি।
হাবিবুর রহমান বাচ্চু মুশুল্লি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন। তিনি তারের ঘাট বাজার পাথর ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক।
সরেজমিনে দেখা যায়, তারের ঘাট বাজারে নরসুন্দা নদীর ওপর সড়ক ও জনপথ বিভাগের একটি সেতু রয়েছে। সেতুর পশ্চিম পাশে নদীর উপরে নির্মাণ হচ্ছে পাকা ভবন। সাংবাদিকেরা ছবি তুলতে গেলে হাবিবুর রহমান বাচ্চুর ছেলে মো. ফয়সাল ছবি তোলার কারণ জানতে যান। এ সময় তিনি দাবি করেন, নদীর ওপর কোনো মার্কেট নির্মাণ করা হচ্ছে না। নিজেদের জায়গায় নির্মাণ করা হচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয়রা জানান, আওয়ামী লীগ আমলে সাবেক এমপি তুহিনের প্রভাব খাটিয়ে এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করেছেন হাবিবুর রহমান বাচ্চু। অবৈধভাবে পাথর ব্যবসার পাশাপাশি দখল করেছেন সরকারি জায়গা। ইউপি নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে চেয়ারম্যান হতে চেয়েছিলেন। তবে সরকার পতনের পর ভোল বদলে ফেলেন।
নদীর জায়গায় ভবন নির্মাণের বিষয়ে হাবিবুর রহমান বাচ্চু বলেন, ‘এই জমি আমার নিজস্ব সম্পত্তি। নদীর পাড়ের ভেতরে আমার আরও প্রায় ৫০ ফুট জমি আছে।’ তবে মুশুল্লি ইউনিয়নের সহকারী ভূমি কর্মকর্তা (তহশিলদার) মো. মোখলেছুর রহমান বলেন, ‘নির্মাণাধীন স্থাপনাটি কোনো ব্যক্তিগত জমিতে নয়। এটি সড়ক ও জনপথ বিভাগের অধিগ্রহণ করা জমির মধ্যে পড়ে। কর্তৃপক্ষের নির্দেশে নির্মাণকাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’
কিশোরগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী বিজয় চন্দ্র বসাক বলেন, ‘সড়ক ও সেতুর দুই পাশে সওজের নিজস্ব জমি রয়েছে। সওজের জায়গায় স্থাপনা নির্মাণ করা হলে তদন্তের মাধ্যমে অপসারণ করা হবে।’
নান্দাইলের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফাতেমা জান্নাত বলেন, অভিযোগের বিষয়টি খতিয়ে দেখতে সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আপাতত নির্মাণকাজ বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে।

ময়মনসিংহের নান্দাইলে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নেতা হাবিবুর রহমান বাচ্চুর বিরুদ্ধে নরসুন্দা নদীর পাড় দখল করে পাকা ভবন নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। মুশুল্লি ইউনিয়নের তারের ঘাট বাজারসংলগ্ন নদীর জায়গা দখল করে দোতলা মার্কেট নির্মাণ করছেন তিনি।
হাবিবুর রহমান বাচ্চু মুশুল্লি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন। তিনি তারের ঘাট বাজার পাথর ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক।
সরেজমিনে দেখা যায়, তারের ঘাট বাজারে নরসুন্দা নদীর ওপর সড়ক ও জনপথ বিভাগের একটি সেতু রয়েছে। সেতুর পশ্চিম পাশে নদীর উপরে নির্মাণ হচ্ছে পাকা ভবন। সাংবাদিকেরা ছবি তুলতে গেলে হাবিবুর রহমান বাচ্চুর ছেলে মো. ফয়সাল ছবি তোলার কারণ জানতে যান। এ সময় তিনি দাবি করেন, নদীর ওপর কোনো মার্কেট নির্মাণ করা হচ্ছে না। নিজেদের জায়গায় নির্মাণ করা হচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয়রা জানান, আওয়ামী লীগ আমলে সাবেক এমপি তুহিনের প্রভাব খাটিয়ে এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করেছেন হাবিবুর রহমান বাচ্চু। অবৈধভাবে পাথর ব্যবসার পাশাপাশি দখল করেছেন সরকারি জায়গা। ইউপি নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে চেয়ারম্যান হতে চেয়েছিলেন। তবে সরকার পতনের পর ভোল বদলে ফেলেন।
নদীর জায়গায় ভবন নির্মাণের বিষয়ে হাবিবুর রহমান বাচ্চু বলেন, ‘এই জমি আমার নিজস্ব সম্পত্তি। নদীর পাড়ের ভেতরে আমার আরও প্রায় ৫০ ফুট জমি আছে।’ তবে মুশুল্লি ইউনিয়নের সহকারী ভূমি কর্মকর্তা (তহশিলদার) মো. মোখলেছুর রহমান বলেন, ‘নির্মাণাধীন স্থাপনাটি কোনো ব্যক্তিগত জমিতে নয়। এটি সড়ক ও জনপথ বিভাগের অধিগ্রহণ করা জমির মধ্যে পড়ে। কর্তৃপক্ষের নির্দেশে নির্মাণকাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’
কিশোরগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী বিজয় চন্দ্র বসাক বলেন, ‘সড়ক ও সেতুর দুই পাশে সওজের নিজস্ব জমি রয়েছে। সওজের জায়গায় স্থাপনা নির্মাণ করা হলে তদন্তের মাধ্যমে অপসারণ করা হবে।’
নান্দাইলের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফাতেমা জান্নাত বলেন, অভিযোগের বিষয়টি খতিয়ে দেখতে সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আপাতত নির্মাণকাজ বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে।

হোলি আর্টিজানে হামলায় অস্ত্রের পাশাপাশি বোমাও ব্যবহার করে-ছিলেন জঙ্গিরা। সেই বোমার অবিকল প্রতিরূপের ওপর স্ক্যানার মেশিন বসালেই ভয়াবহ সেই ঘটনার আদ্যোপান্ত স্ক্রিনে ভেসে উঠবে। কোন জঙ্গি সংগঠন হামলা করেছে, কে কে অংশ নিয়েছেন, কতজন গ্রেপ্তার হয়েছেন,
০২ সেপ্টেম্বর ২০২১
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদি হত্যার প্রতিবাদে শরীয়তপুর জেলা শহরে মশাল মিছিল করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। গতকাল শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় শহরের জুলাই স্মৃতিস্তম্ভ চত্বর থেকে মশাল মিছিলটি শুরু হয়।
৪১ মিনিট আগে
সাতক্ষীরার বহুল প্রতীক্ষিত রেললাইনের নির্মাণকাজ এগোচ্ছে কচ্ছপগতিতে। এক যুগ আগে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের পর গেল মাসে যশোরের নাভারণ থেকে সাতক্ষীরা পর্যন্ত রেললাইন নির্মাণের ডিপিপি প্রণয়ন করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগে
ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া উপজেলার আমুয়া ইউনিয়নে হাসপাতালসংলগ্ন ধোপাবাড়ির খালের ওপর সেতুর নির্মাণ প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হলেও কাজ শেষ হয়নি। দুই পাড়ে খুঁটি (পিলার) নির্মাণ করে বন্ধ রয়েছে কাজ। এতে পাশের ঝুঁকিপূর্ণ কাঠের সেতু ব্যবহার করতে হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের।
৬ ঘণ্টা আগে