নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
নওগাঁর মান্দা উপজেলায় স্ত্রীর দুই প্রেমিকের পরিকল্পনায় ব্যবসায়ী স্বামী মনসুর রহমানকে নির্মমভাবে পিটিয়ে ও ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করা হয়। এই ঘটনায় নিহতের স্ত্রীর দুই প্রেমিকের একজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। তাঁর নাম জাহাঙ্গীর আলম (২৯)। তিনি এই ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী।
গতকাল বুধবার রাতে সাভার থানার হেমায়েতপুর এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাব বলছে, নিহত মনসুর রহমানের প্রথম স্ত্রী হাসিনা একাধিক পরকীয়ার সঙ্গে জড়িত। জাহাঙ্গীর নামের স্থানীয় দুই যুবকের সঙ্গে পরকীয়ায় জড়ায় সে। তাঁর এই পরকীয়ায় বাধা দিলে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে দুই জাহাঙ্গীর মিলে মনসুরকে হত্যা করে।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র্যাব-৩ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ জানান, নওগাঁর মান্দা এলাকার বাসিন্দা নিহত মনসুর ও গ্রেপ্তার আসামি জাহাঙ্গীর পাশের গ্রামের বাসিন্দা। নিহত মনসুর বিভিন্ন দোকানে চানাচুর বিক্রি করত। সে দুটি বিয়ে করে স্ত্রীদের নিয়ে নিজ বাড়িতে বসবাস করত। প্রথম স্ত্রী হাসিনা ও দ্বিতীয় স্ত্রী মেঘনা। হাসিনা বিভিন্ন পুরুষের সঙ্গে পরকীয়া প্রেমে আসক্ত। প্রথমে হাসিনা সাহেব আলীর ছেলে জাহাঙ্গীর আলমের সঙ্গে পরকীয়া প্রেমে জড়ায়। এরপর মোজাহারের ছেলে জাহাঙ্গীরের সঙ্গেও প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে তাঁর।
গত ১৫ নভেম্বর সন্ধ্যায় মনসুরের নিজ বাড়িতে সাহেব আলীর ছেলে জাহাঙ্গীরসহ তাঁর আরও কয়েকজন বন্ধু হাসিনার সঙ্গে দেখা করতে আসে। বন্ধুদের পাশের ঘরে বসিয়ে হাসিনা ও জাহাঙ্গীর মনসুরের রুমে অবস্থান করে। এ সময় আপত্তিকর অবস্থায় মনসুর তাঁর স্ত্রীকে দেখতে পায়। এই ঘটনায় জাহাঙ্গীরের সঙ্গে কাটাকাটি শুরু হয় মনসুরের। একপর্যায়ে তাঁদের মধ্যে হাতাহাতি হয়। এ সময় জাহাঙ্গীরের বন্ধুরা মনসুর ও জাহাঙ্গীরের মধ্যে বিবাদ মীমাংসার কথা বলে মনসুরকে বাড়ির পাশের একটি বাগানে নিয়ে যায়। এই ঘটনার সময় মনসুরের দ্বিতীয় স্ত্রী মেঘনা জাহাঙ্গীর এবং মনসুরকে বাড়ি থেকে বাগানের দিকে চলে যেতে দেখে।
র্যাব-৩ অধিনায়ক আরও বলেন, ‘হাসিনা ও জাহাঙ্গীরের আপত্তিকর অবস্থাটি দেখে ফেলার ঘটনাটি ছিল পূর্বপরিকল্পিত। এ ঘটনার পেছনের মূল মাস্টারমাইন্ড ছিল নিহতের স্ত্রীর প্রেমিক ও একই এলাকার মোজাহারের ছেলে জাহাঙ্গীর। এক জাহাঙ্গীরের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করেন সাহেব আলীর ছেলে ও হাসিনার আরেক প্রেমিক জাহাঙ্গীর। হত্যার পরিকল্পনা অনুযায়ী তাঁরা দুই-তিন দিন আগে থেকে মনসুরের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করে।’
মনসুরকে হত্যার মাস্টারমাইন্ড ও মূল পরিকল্পনাকারী জাহাঙ্গীর আগে থেকেই বাগানে অপেক্ষায় ছিল উল্লেখ করে আরিফ মহিউদ্দিন বলেন, ‘পরিকল্পনা অনুযায়ী মনসুরকে বাগানে নিয়ে যাওয়ার পর মোজাহারের ছেলে জাহাঙ্গীরের নেতৃত্বে সবাই মিলে বেধড়ক পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। আহত মনসুরের হত্যা নিশ্চিত করতে গ্রেপ্তার জাহাঙ্গীর তাঁর মাফলার দিয়ে মনসুরের গলায় পেঁচিয়ে গাছের ডালের সঙ্গে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দেয়।’
ঘটনার পরদিন সকালে মৃত মনসুরের দ্বিতীয় স্ত্রী মেঘনা খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে বাগানে ঝুলন্ত স্বামীর মরদেহ দেখতে পায়। স্বামীকে সাহেব আলীর ছেলে জাহাঙ্গীরের সঙ্গে বের হতে দেখেছিল মেঘনা। তাই এই জাহাঙ্গীরকে হত্যাকারী হিসেবে সন্দেহ করা হয়। পরবর্তীতে গত ১৭ নভেম্বর নিহতের বাবা বদের আলী ওরফে বুদু কবিরাজ বাদী হয়ে সাহেব আলীর ছেলে জাহাঙ্গীর ও অজ্ঞাত ৪-৫ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
তবে হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী ও মোজাহারের ছেলে জাহাঙ্গীর আড়ালে থেকে যায়। গ্রেপ্তার জাহাঙ্গীর হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে অত্যন্ত সুকৌশলে সাভারের হেমায়েতপুর এলাকায় এসে আত্মগোপন করে। এখানে একটি গার্মেন্টসে চাকরি শুরু করে। তবে তাঁর সম্পৃক্ততার বিষয়টি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর গভীর তদন্তে সামনে আসে। পরবর্তীতে অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানান র্যাবের এ কর্মকর্তা।
নওগাঁর মান্দা উপজেলায় স্ত্রীর দুই প্রেমিকের পরিকল্পনায় ব্যবসায়ী স্বামী মনসুর রহমানকে নির্মমভাবে পিটিয়ে ও ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করা হয়। এই ঘটনায় নিহতের স্ত্রীর দুই প্রেমিকের একজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। তাঁর নাম জাহাঙ্গীর আলম (২৯)। তিনি এই ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী।
গতকাল বুধবার রাতে সাভার থানার হেমায়েতপুর এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাব বলছে, নিহত মনসুর রহমানের প্রথম স্ত্রী হাসিনা একাধিক পরকীয়ার সঙ্গে জড়িত। জাহাঙ্গীর নামের স্থানীয় দুই যুবকের সঙ্গে পরকীয়ায় জড়ায় সে। তাঁর এই পরকীয়ায় বাধা দিলে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে দুই জাহাঙ্গীর মিলে মনসুরকে হত্যা করে।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র্যাব-৩ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ জানান, নওগাঁর মান্দা এলাকার বাসিন্দা নিহত মনসুর ও গ্রেপ্তার আসামি জাহাঙ্গীর পাশের গ্রামের বাসিন্দা। নিহত মনসুর বিভিন্ন দোকানে চানাচুর বিক্রি করত। সে দুটি বিয়ে করে স্ত্রীদের নিয়ে নিজ বাড়িতে বসবাস করত। প্রথম স্ত্রী হাসিনা ও দ্বিতীয় স্ত্রী মেঘনা। হাসিনা বিভিন্ন পুরুষের সঙ্গে পরকীয়া প্রেমে আসক্ত। প্রথমে হাসিনা সাহেব আলীর ছেলে জাহাঙ্গীর আলমের সঙ্গে পরকীয়া প্রেমে জড়ায়। এরপর মোজাহারের ছেলে জাহাঙ্গীরের সঙ্গেও প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে তাঁর।
গত ১৫ নভেম্বর সন্ধ্যায় মনসুরের নিজ বাড়িতে সাহেব আলীর ছেলে জাহাঙ্গীরসহ তাঁর আরও কয়েকজন বন্ধু হাসিনার সঙ্গে দেখা করতে আসে। বন্ধুদের পাশের ঘরে বসিয়ে হাসিনা ও জাহাঙ্গীর মনসুরের রুমে অবস্থান করে। এ সময় আপত্তিকর অবস্থায় মনসুর তাঁর স্ত্রীকে দেখতে পায়। এই ঘটনায় জাহাঙ্গীরের সঙ্গে কাটাকাটি শুরু হয় মনসুরের। একপর্যায়ে তাঁদের মধ্যে হাতাহাতি হয়। এ সময় জাহাঙ্গীরের বন্ধুরা মনসুর ও জাহাঙ্গীরের মধ্যে বিবাদ মীমাংসার কথা বলে মনসুরকে বাড়ির পাশের একটি বাগানে নিয়ে যায়। এই ঘটনার সময় মনসুরের দ্বিতীয় স্ত্রী মেঘনা জাহাঙ্গীর এবং মনসুরকে বাড়ি থেকে বাগানের দিকে চলে যেতে দেখে।
র্যাব-৩ অধিনায়ক আরও বলেন, ‘হাসিনা ও জাহাঙ্গীরের আপত্তিকর অবস্থাটি দেখে ফেলার ঘটনাটি ছিল পূর্বপরিকল্পিত। এ ঘটনার পেছনের মূল মাস্টারমাইন্ড ছিল নিহতের স্ত্রীর প্রেমিক ও একই এলাকার মোজাহারের ছেলে জাহাঙ্গীর। এক জাহাঙ্গীরের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করেন সাহেব আলীর ছেলে ও হাসিনার আরেক প্রেমিক জাহাঙ্গীর। হত্যার পরিকল্পনা অনুযায়ী তাঁরা দুই-তিন দিন আগে থেকে মনসুরের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করে।’
মনসুরকে হত্যার মাস্টারমাইন্ড ও মূল পরিকল্পনাকারী জাহাঙ্গীর আগে থেকেই বাগানে অপেক্ষায় ছিল উল্লেখ করে আরিফ মহিউদ্দিন বলেন, ‘পরিকল্পনা অনুযায়ী মনসুরকে বাগানে নিয়ে যাওয়ার পর মোজাহারের ছেলে জাহাঙ্গীরের নেতৃত্বে সবাই মিলে বেধড়ক পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। আহত মনসুরের হত্যা নিশ্চিত করতে গ্রেপ্তার জাহাঙ্গীর তাঁর মাফলার দিয়ে মনসুরের গলায় পেঁচিয়ে গাছের ডালের সঙ্গে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দেয়।’
ঘটনার পরদিন সকালে মৃত মনসুরের দ্বিতীয় স্ত্রী মেঘনা খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে বাগানে ঝুলন্ত স্বামীর মরদেহ দেখতে পায়। স্বামীকে সাহেব আলীর ছেলে জাহাঙ্গীরের সঙ্গে বের হতে দেখেছিল মেঘনা। তাই এই জাহাঙ্গীরকে হত্যাকারী হিসেবে সন্দেহ করা হয়। পরবর্তীতে গত ১৭ নভেম্বর নিহতের বাবা বদের আলী ওরফে বুদু কবিরাজ বাদী হয়ে সাহেব আলীর ছেলে জাহাঙ্গীর ও অজ্ঞাত ৪-৫ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
তবে হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী ও মোজাহারের ছেলে জাহাঙ্গীর আড়ালে থেকে যায়। গ্রেপ্তার জাহাঙ্গীর হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে অত্যন্ত সুকৌশলে সাভারের হেমায়েতপুর এলাকায় এসে আত্মগোপন করে। এখানে একটি গার্মেন্টসে চাকরি শুরু করে। তবে তাঁর সম্পৃক্ততার বিষয়টি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর গভীর তদন্তে সামনে আসে। পরবর্তীতে অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানান র্যাবের এ কর্মকর্তা।
দেশীয় পেঁয়াজ, রসুন, আলু ও লবণের ভরা মৌসুম এখন। চলতি মৌসুমে এসব পণ্য উৎপাদন পর্যাপ্ত হওয়ায় এই সময়ে কৃষকের মুখে হাসি ফোটার কথা। কিন্তু লাভ তো দূরে থাক, পণ্যের উৎপাদন খরচও তুলতে না পেরে হতাশ কৃষকেরা।
১ ঘণ্টা আগেদুই দিনের মধ্যে ভোজ্যতেলের সংকট কেটে যাবে—এমন প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। উপদেষ্টার দেওয়া দুই দিন কেটে গেছে, কিন্তু কাটেনি বোতলজাত সয়াবিন তেলের সংকট। গতকাল বুধবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ও সুপারশপগুলো ঘুরে অধিকাংশ জায়গায় বোতলজাত সয়াবিন তেল পাওয়া যায়নি।
১ ঘণ্টা আগেরাজশাহীতে রিকশাচালককে জুতাপেটা করে সাময়িক বরখাস্ত হওয়া পবা উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা জাহিদ হাসান রাসেলের কর্মকাণ্ডে অতিষ্ঠ ছিলেন বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তাঁর বিরুদ্ধে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে দুটি লিখিত অভিযোগও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এসব বিষয়ে কোনো তদন্ত হয়নি। ফলে বারবার পার পেয়ে গেছেন
২ ঘণ্টা আগেমাসালা দোসা, হায়দরাবাদি চিকেনসহ বিদেশি স্বাদের খাবার যেমন আছে, তেমনি রয়েছে দেশের প্রচলিত ইফতার—ছোলা, মুড়ি, বেগুনি। নানান স্বাদের বাহারি ইফতারসামগ্রী স্তরে স্তরে সাজানো। রকমারি এসব ইফতার নিয়ে ক্রেতার অপেক্ষায় বসে আছেন বিক্রয়কর্মীরা। তবে ক্রেতা তুলনামূলক কম।
২ ঘণ্টা আগে