প্রাথমিক ও মাধ্যমিকে যৌন ও প্রজনন শিক্ষা অন্তর্ভুক্তির আহ্বান বিএনপিএসের

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশ : ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ২০: ২২
আপডেট : ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৮: ২১

নারীবান্ধব সমাজ গড়তে বিদ্যালয়ে যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য বিষয়ে শিক্ষা দেওয়া দরকার। কিন্তু শিক্ষকেরা এসব বিষয় পড়াতে চান না। আমাদের সমাজ ও পরিবারের সদস্যরাও মেয়েদের স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে আলোচনা করতে চান না। এ সব ট্যাবু ভেঙে বেরিয়ে আসতে হবে। প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষার সিলেবাসে যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। 

আজ সোমবার সকালে রাজধানীর মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের কনফারেন্স হলে বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘ (বিএনপিস) আয়োজিত ‘জাতীয় এসআরএইচআর কনফারেন্স ও যুব সম্মেলন-২৩’ এ বক্তারা এসব কথা বলেন। তারা কৈশরবান্ধব স্কুল ও নারীবান্ধব হাসপাতাল গড়ে তোলার আহবান জানান। 

‘যুব ও কিশোর-কিশোরীদের জন্য নিশ্চিত হোক যৌন প্রজনন স্বাস্থ্য ও অধিকার’ এই স্লোগানে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন কমিউনিটি বেইজড হেলথ কেয়ার (সিবিএইচসি) ও বাংলাদেশ চিকিৎসা গবেষণা পরিষদের (বিএমআরসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী। 

এ সময় তিনি বলেন, ‘নারীদের যৌন ও স্বাস্থ্যসেবা সম্পর্কে নতুন প্রজন্মকে সচেতন করে গড়ে তুলতে হবে। নারী সমাজকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। আগামী দিনে কমিনিটি ক্লিনিক নারীদের স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে কাজ করবে বলেও অঙ্গীকার করেন তিনি।’ 

সম্মেলন উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘের চেয়ারপার্সন শহীদজায়া শ্যামলী নাসরীন চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘নারীরা ৩০-৪০ বছর আগে যেসব কথা বলতে পারত না, এখন কিছুটা হলেও তারা নিজেদের স্বাস্থ্যসেবার কথা মুখফুটে কথা বলতে পারছে। আজকের নারীরা সামনে দিকে এগিয়ে যাক এটাই প্রত্যাশা করি।’

বক্তারা সমাজের মুলধারা থেকে বিচ্ছিন্ন নারীদের হাতে হাত ধরে সামনে এগিয়ে নেওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। 

নেদারল্যান্ডস অ্যাম্বেসির পলিসি অ্যাডভাইজার (সোস্যাল সেক্টর) মুশফিকা জামান সাতিয়ার বলেন, বর্তমানে দেশে নারীদের সংখ্যা ৫১ শতাংশ। আমাদের নাগরিক সমাজ, সরকার ও ডোনাররা সবাই একযোগে কাজ করলে নারীরা রাষ্ট্রের উন্নয়নশীল কাজে আরও সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারবে। পাশাপাশি ভবিষ্যতে অর্থনীতিতে ভুমিকা রাখবে। 

খাগড়াছড়ি মহিলা কল্যাণ সমিতির (কেএমকেএস) নির্বাহী পরিচালক শেফালিকা ত্রিপুরা বলেন, ‘আমাদের সমাজে নারীদের মাসিক হলে তারা রান্না করতে পারে না। এ ছাড়া নানা কুসংস্কারে কারণে নারীরা জরায়ু ও ব্রেস্ট কান্সারে আক্রান্ত হচ্ছে। চিকিৎসা করাতে প্রতিবছর লাখ লাখ টাকা ব্যয় হচ্ছে।’

সভাপ্রধান হিসেবে উপস্থিতি ছিলেন বিএনপিএসের নির্বাহী পরিচালক রোকেয়া কবীর। তিনি বলেন, ‘যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য শিক্ষা প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত করলে বড় পরিসরে মানুষের মাঝে সচেনতা গড়ে উঠবে। সারাদেশে স্থানীয় পর্যায়ে কমিনিটি ক্লিনিক, জেলা ও উপজেলা হাসপাতালেও নারীবান্ধব কর্ণার ও সচেতনতা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন।’ 

বক্তারা সমাজের প্রচলিত কুসংস্কার ভেঙে নারী ও যুব সমাজকে এগিয়ে নিতে সরকার, রাজনীতিবিদ, শিক্ষকসমাজ এবং পরিবারকে একসঙ্গে কাজ করার আহবান জানান। তারা বলেন, রাষ্ট্রকে এগিয়ে নিতে নারী পুরুষ সমানভাবে এগিয়ে যেতে হবে। নারীদের পেছনে ফেলে কোনোভাবে রাষ্ট্র এগিয়ে যেতে পারে না।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

টাঙ্গাইলে দুই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান র‍্যাবের হাতে গ্রেপ্তার

পুলিশ ফাঁড়ি দখল করে অফিস বানিয়েছেন সন্ত্রাসী নুরু

ঢাকার রাস্তায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালকদের বিক্ষোভ, জনদুর্ভোগ চরমে

শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ সুরক্ষায় নতুন উদ্যোগ

জাতিকে ফ্রি, ফেয়ার অ্যান্ড ক্রেডিবল নির্বাচন উপহার দিতে চাই: নতুন সিইসি

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত