Ajker Patrika

জাবিতে মধ্যরাতে জঙ্গলে নিয়ে র‍্যাগ, ১১ শিক্ষার্থীকে শোকজ

জাবি প্রতিনিধি
আপডেট : ২৯ মে ২০২৩, ১৯: ৪৫
জাবিতে মধ্যরাতে জঙ্গলে নিয়ে র‍্যাগ, ১১ শিক্ষার্থীকে শোকজ

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) প্রাণিবিদ্যা বিভাগের নবীন শিক্ষার্থীদের মধ্যরাতে জঙ্গলে ডেকে নিয়ে র‍্যাগিং করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ১১ শিক্ষার্থীকে শোকজ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন ভুক্তভোগীরা। 

শিক্ষার্থীরা হলেন মওলানা ভাসানী হলের নূর ইসলাম, মো. আবদুস ছবুর, প্রিন্স কুমার রায়, খন্দকার মোয়াজ ইসলাম ও মীর মশাররফ হোসেন হলের মিঠুন রায়, মো. তানভীর ইসলাম, চিরঞ্জীত মণ্ডল, এ বি এম আব্দুল্লাহ আল কাফি, আহমেদ ইজাজুল হাসান আরিফ এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের মো. রাসেল হোসাইন ও মো. জোবায়েদ হাসান। তাঁরা সবাই প্রাণিবিদ্যা বিভাগের ৫০তম ব্যাচের শিক্ষার্থী।

আজ সোমবার দুপুরে সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আ স ম ফিরোজ উল হাসান।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গতকাল রোববার রাত ১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিডনি ফিল্ড এলাকায় র‍্যাগিংয়ের এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে সেখানে উপস্থিত হন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিমের সদস্য সহকারী অধ্যাপক এস এম এ মওদুদ আহমেদ ও মো. রনি হোসাইন। তাঁদের উপস্থিতি টের পেয়ে প্রাণিবিদ্যা বিভাগের ৫০ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা দৌড়ে পালিয়ে যান। এ সময় আব্দুল্লাহ আল কাফি নামে এক শিক্ষার্থীকে পাকড়াও করেন প্রক্টরিয়াল টিমের সদস্যরা। পরে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে র‍্যাগিংয়ের সঙ্গে জড়িত অন্য শিক্ষার্থীদের কথা জানতে পারেন তাঁরা। 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ৫১ ব্যাচের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘রাত ৮টায় বড় ভাইয়েরা (৫০ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা) সিডনি ফিল্ডসংলগ্ন জঙ্গলে আমাদের ডাকেন। কিন্তু ভাইয়েরা আসেন রাত ১১টায়। এরপর প্রায় দেড় ঘণ্টার মতো আমাদের র‍্যাগ দেওয়া হয়। এ সময় আমাদের মানসিকভাবে হেনস্তা করা হয়। ম্যানার শেখানোর নামে সিনিয়ররা আমাদের গালিগালাজ করেন। মুরগি ও চেয়ার বানানো হয়। এ ছাড়া সিনিয়রদের সালাম না দেওয়ায় শাসায় এবং আমাদের একজনের গায়ে জুতা নিক্ষেপ করা হয়।’ 

অভিযুক্ত শিক্ষার্থী এ বি এম আব্দুল্লাহ আল কাফি বলেন, ‘আজকে আমাদের ডিপার্টমেন্টের জুনিয়রদের ডাকা হয়েছিল। আমরা ৫০ ব্যাচের ১০-১২ জন ছিলাম। এর মধ্যে আমিসহ ছিল নূর ইসলাম, তানভীর ইসলাম, মো. আবদুস ছবুর, প্রিন্স কুমার রায়, আহমেদ ইজাজুল হাসান আরিফ, চিরঞ্জীত মণ্ডল, মো. রাসেল হোসাইন, সিজান, খন্দকার মোয়াজ ইসলাম ও মিঠুন রায়। এ সময় ওদেরকে র‍্যাগ দেওয়া হয়, তবে আমি দেই নাই। আমি কীভাবে যেন আজকে এসে পড়ছি। আমি ভুল স্বীকার করছি আর এমনটা হবে না।’ 

সহকারী প্রক্টর ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (আইবিএ) সহকারী অধ্যাপক এস এম এ মওদুদ আহমেদ বলেন, ‘আমরা রাতে জানতে পারি যে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিডনি ফিল্ডসংলগ্ন জঙ্গলে নবীন শিক্ষার্থীদের র‍্যাগিং করা হচ্ছে। এমন খবরের ভিত্তিতে প্রক্টর স্যারের নির্দেশে আমরা দুজন সহকারী প্রক্টর ঘটনাস্থলে যাই। যাওয়া মাত্রই কয়েকজন সেখান থেকে দৌড়ে পালিয়ে যায়। তবে আমরা আব্দুল্লাহ আল কাফি নামে একজনকে ধরতে পারি। কারা সেখানে উপস্থিত ছিলে সে তাদের নাম জানিয়েছে।’ 

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নূরুল আলম বলেন, ‘র‍্যাগিংয়ের বিরুদ্ধে আমরা জিরো টলারেন্সে আছি। অভিযুক্তদের ইতিমধ্যে শোকজ করেছি। তাদের কোনো ধরনের ছাড় দেওয়া হবে না।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ভারতের ভিসা নীতি দুই দেশের মানুষের মধ্যে সম্পর্কে প্রভাব ফেলছে: বলছেন কূটনীতিকেরা

ফাইনালে ভারতের ‘যম’কে খেলানো নিয়ে দোটানায় নিউজিল্যান্ড

বিকেলে সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে ছাত্রদল ও এনসিপি

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বিলুপ্তের সিদ্ধান্ত হয়নি, নাহিদের মন্তব্যের জবাবে উমামা

আ.লীগ নেতার গ্রেপ্তার নিয়ে রাজশাহীতে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত