Ajker Patrika

বিলম্ব সঙ্গী করেই রেলে ঈদযাত্রা শুরু

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০৫ জুলাই ২০২২, ১৬: ৫৪
বিলম্ব সঙ্গী করেই রেলে ঈদযাত্রা শুরু

রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশনে ঈদে নাড়ির টানে ঘরে ফেরার আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়েছে আজ মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে। ঈদযাত্রার প্রথম ট্রেন ছিল রাজশাহীগামী ধূমকেতু এক্সপ্রেস। প্রথম ট্রেনটিই কমলাপুর ছেড়ে যায় দেড় ঘণ্টা দেরিতে। সকাল থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে ১৮টি ট্রেন ছেড়ে যায়। এর মধ্যে নির্ধারিত সময়ের হিসাবে দেরিতে ছেড়েছে ৬টি ট্রেন। আজ মোট ৩৭টি ট্রেন কমলাপুর থেকে ছেড়ে যাওয়ার কথা রয়েছে। আর প্রথম দিনই দেরিতে ট্রেন ছাড়ায় ভোগান্তিতে যাত্রীরা।

এদিকে কমলাপুর রেলস্টেশনসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা শিডিউল বিপর্যয় মানতে নারাজ। তাঁরা বলছেন, দেরিতে ট্রেনগুলো স্টেশনে আসায় সেগুলো দেরি করে ছেড়েছে। শিডিউল মেনে ট্রেন ছাড়ার বিষয়ে তাঁদের প্রস্তুতি রয়েছে। ঈদযাত্রার বাকি দিনগুলোতে যাত্রীরা নির্বিঘ্নে ভোগান্তি ছাড়াই যাত্রা করতে পারবে বলে স্টেশন কর্তৃপক্ষের আশা।

ঈদযাত্রার প্রথম দিনে কমলাপুর রেলস্টেশনে গিয়ে দেখা যায়, কর্মজীবী অনেকেই আগেভাগে পরিবারের সদস্যদের বাড়িতে পাঠিয়ে দিচ্ছেন। সেই সঙ্গে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি শুরু হওয়ায় শিক্ষার্থীদের সংখ্যা অনেক।

কমলাপুর রেলস্টেশন ম্যানেজারের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চিলাহাটিগামী ‘নীলসাগর এক্সপ্রেস’ ট্রেনটি সকাল ৬টা ৪০ মিনিটে ছাড়ার কথা ছিল। সেটি এক ঘণ্টা দেরিতে স্টেশন ছেড়ে যায়। রাজশাহীগামী ‘ধূমকেতু এক্সপ্রেস’ সকাল ৭টায় ছাড়ার কথা থাকলেও তা দেড় ঘণ্টা দেরিতে সকাল সাড়ে ৭টায় স্টেশন ছাড়ে। খুলনাগামী ‘সুন্দরবন এক্সপ্রেস’ সকাল সোয়া ৮টায় ছাড়ার কথা থাকলেও তা সাড়ে ৯টার দিকে স্টেশন ছাড়ে। এ ছাড়া দেওয়ানগঞ্জগামী তিস্তা এক্সপ্রেস ২৫ মিনিট, রংপুর এক্সপ্রেস ৩০ মিনিট দেরিতে স্টেশন ছেড়ে গেছে। তারাকান্দিগামী অগ্নিবীণা এক্সপ্রেস বেলা ১১টায় স্টেশন ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও এক ঘণ্টা ১০ মিনিট দেরিতে ছেড়ে যায়।

মোহাম্মদপুর মডেল কলেজের ছাত্র পাভেল ও রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজে ছাত্র ইফতেখার দুই বন্ধু। একসঙ্গে ঈদ করতে অগ্নিবীণা এক্সপ্রেসে জামালপুর যাচ্ছে। ট্রেন ছাড়তে দেড় ঘণ্টা দেরি হওয়ায় খুবই বিরক্ত তারা। পাভেল বলে, ‘এমনিতেই রাস্তায় অনেক জ্যাম থাকে। তাই আরামদায়ক হবে ভেবে ট্রেনে যাত্রা করা। কিন্তু ট্রেন যদি এক ঘণ্টা দেরি হয়, তাহলে তো ভোগান্তির শেষ নেই। অনেক কষ্ট করে টিকিট পাইতে হইছে। তার ওপর রেলওয়ে সেবা অ্যাপ দিয়ে তো লগ ইন হচ্ছে না।’

সঙ্গে চারজন বন্ধু নিয়ে অগ্নিবীণা এক্সপ্রেসে ট্রেনে ময়মনসিংহে যাবেন মাদ্রাসাছাত্র মো. সালমান। ট্রেনটি ছাড়তে দেরি হয়েছে এক ঘণ্টা। দীর্ঘ এই সময় ট্রেনে বসেই প্রতিবেদককে বলেন, ‘ট্রেন যদি এভাবে দেরি হয় তাহলে তো ভোগান্তি বাড়বে। কুমিল্লা থেকে আসছি, এখন যদি বাড়ি যেতে দেরি হয়, বাড়ির লোকজন চিন্তায় থাকবে।’

তাবাসুম ইসলাম কিশোরগঞ্জে যাচ্ছেন ঈদ উদ্‌যাপন করতে। বলেন, ‘ট্রেন ১০ মিনিট লেট করে ছেড়েছে এতে আমি উদ্বিগ্ন না। পরিবারের সঙ্গে ঈদ করতে যেতে পারছি এটাই আনন্দের।’

মো. আলিফ কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেসে বাড়ি যাচ্ছেন। তিনি জানান, শুক্রবার সকাল ৮টা ২০ মিনিটে নিজের বাসা থেকে অনলাইনে টিকিট কেটেছেন। তিনি যখন সার্ভারে প্রবেশ করেন, তখন ১৬ হাজার লোক পেন্ডিং দেখাচ্ছিল। ঈদযাত্রায় তাঁর অনুভূতির কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘২২ ঘণ্টা না দাঁড়িয়ে অনলাইনে সহজে টিকিট কাটতে পেরে আমি আনন্দিত। এ ছাড়া বাড়িতে পরিবারের সঙ্গে ঈদ করতে যেতে পারছি এ জন্য খুব ভালো লাগছে।’ 

কমলাপুর রেলস্টেশনে লাইনে দাঁড়িয়ে অগ্রিম টিকিট কাটছেন যাত্রীরা

কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের ব্যবস্থাপক মো. মাসুদ সারওয়ার বলেন, ‘স্টেশনে ট্রেন বিলম্বে আসায় ট্রেন ছাড়তে দেরি হয়েছে। নির্দিষ্ট সময়ে ট্রেন ছাড়ার সব প্রস্তুতি আমাদের রয়েছে। অনাকাঙ্ক্ষিত কোনো ঘটনা না ঘটলে বা দুর্ঘটনা না হলে আমরা ঈদযাত্রার বাকি দিনগুলোতে ঠিক সময়েই ট্রেন ছাড়তে পারব।’ 

এই ব্যবস্থাপকের দাবি, এখন পর্যন্ত সবগুলো ট্রেনই শিডিউল অনুযায়ী ছেড়েছে। শুধু রংপুর এক্সপ্রেস, নীলসাগর এক্সপ্রেস ও সুন্দরবন এক্সপ্রেস—এই তিন ট্রেন কিছুটা দেরিতে ছেড়েছে। এটাকে শিডিউল বিপর্যয় বলে না। এটা অপারেশনাল বিলম্ব ছিল। সামনের দিনগুলোতে এগুলোও নির্ধারিত সময়ে ছাড়বে বলে তাঁর আশা। 

কমলাপুর রেলস্টেশনের ব্যবস্থাপক বলেন, ‘গতকাল রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চলে একটি ইঞ্জিন বিকলের ঘটনা ঘটে। সে কারণে ট্রেন ঢাকায় আসতে দেরি হয়েছে। এখান থেকে ছাড়তেও দেরি হয়েছে। যেসব ট্রেন এক ঘণ্টা দেরি করছে, তা স্বাভাবিক। এটাকে শিডিউল বিপর্যয় বলা চলে না।’ তিনি আরও বলেন, ‘একটা সময় ছিল যখন সকালের ট্রেন বিকেলে, বিকেলের ট্রেন রাত ১২টায় বা পরের দিন ছেড়েছে। এখন সে অবস্থা নেই। মানুষের ঈদযাত্রা নিরাপদ করাই এখন লক্ষ্য। সবাই আনন্দ করার জন্যই বাড়ি যাচ্ছে, এতে যেন কোনো বিঘ্ন না ঘটে। এসব বিবেচনায় ট্রেনগুলো একটু সময় নিয়ে চালানো হয়।’ 

ঈদে রেল দুর্ঘটনার বিষয়ে এই স্টেশনের ব্যবস্থাপক বলেন, ‘অনেকেই ঈদযাত্রায় ট্রেনে তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হন। প্রতিটি স্টেশনে বলা আছে, যেন যাত্রীরা নিরাপদে নামতে পারে এবং কেউ যেন ট্রেনের ছাদে উঠতে না পারে। কয়েক মিনিট বিলম্ব হলেও যাত্রীরা যেন নিরাপদে ওঠানামা করতে পারে সেই বিষয়টি নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।’ স্টেশনে স্বাস্থ্যবিধি মানা ও মাস্ক পরার বিষয়ে মাসুদ সারওয়ার বলেন, ‘করোনার প্রাদুর্ভাব বেড়ে গেছে। স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে মাস্ক পরার বিষয়ে যাত্রীদের বলা হচ্ছে। যাত্রীদের কতটা সচেতন, তারা কতটা স্বাস্থ্যবিধি মানছে তা নিয়ে প্রশ্ন আছে।’ 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘কোম্পানির লোকেরাই আমার ভাইকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে’

আমি লজ্জিত, নিজেকে মাটিতে পুঁতে দিতে ইচ্ছে করছে—ফেসবুকে প্রেস সচিব

তাহলে কি বাংলাদেশ-ভারত ফাইনাল

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার সম্পাদকের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ফোনালাপ

গণমাধ্যমে হামলা ও ময়মনসিংহে নৃশংসতায় জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না, সরকারের বিবৃতি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

৭ ঘণ্টা পর ঝালকাঠির অবরোধ প্রত্যাহার, যান চলাচল স্বাভাবিক

ঝালকাঠি প্রতিনিধি  
বরিশাল–খুলনা আঞ্চলিক মহাসড়কের ঝালকাঠি অংশে অবরোধ সাত ঘণ্টা পর প্রত্যাহার করে নিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
বরিশাল–খুলনা আঞ্চলিক মহাসড়কের ঝালকাঠি অংশে অবরোধ সাত ঘণ্টা পর প্রত্যাহার করে নিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

ইনকিলাব মঞ্চের প্রতিষ্ঠাতা ও মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে হত্যার প্রতিবাদে এবং খুনিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে তাঁর নিজ জেলা ঝালকাঠিতে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে ছাত্র-জনতা। সাত ঘণ্টা পর পুলিশের অনুরোধে আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে অবরোধ প্রত্যাহার করা হলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

আজ জুমার নামাজ শেষে বেলা আড়াইটার দিকে বরিশাল–খুলনা আঞ্চলিক মহাসড়কের ঝালকাঠি কলেজ মোড় এলাকায় অবরোধ শুরু করেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ। অবরোধ চলাকালে মহাসড়কের উভয় পাশে বিপুলসংখ্যক যানবাহন আটকে পড়ে। ফলে যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। তবে রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস, জরুরি ওষুধ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় কাঁচামাল বহনকারী যান চলাচলের সুযোগ দেওয়া হয়।

অবরোধ কর্মসূচিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, এনসিপি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, গণঅধিকার পরিষদের নেতা-কর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন। এ সময় মহাসড়কে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করা হয়।

বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য দেন এনসিপির ঝালকাঠি জেলা আহ্বায়ক মাইনুল ইসলাম মান্না, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঝালকাঠি জেলা আহ্বায়ক আল তৌফিক লিখন, যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াসিন ফেরদৌস ইফতি, সদস্যসচিব রাইয়ান বিন কামাল, গণঅধিকার পরিষদ ঝালকাঠি জেলা যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঝালকাঠি-২ আসনের মনোনীত প্রার্থী মাহমুদুল ইসলাম সাগরসহ অন্য নেতারা।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঝালকাঠি জেলা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াসিন ফেরদৌস ইফতি বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের একজন গুরুত্বপূর্ণ সহযোদ্ধাকে দুর্বৃত্তরা গুলি করে হত্যা করেছে। তিনি সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন। হামলাকারীদের ইন্টারপোলের মাধ্যমে দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। তা না হলে আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

ঝালকাঠি সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) বেলায়েত হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, বেলা আড়াইটায় অবরোধ শুরু হওয়ায় বরিশাল–খুলনা আঞ্চলিক মহাসড়কে ব্যাপক যানজট সৃষ্টি হয়। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনা করে পরিস্থিতি শান্ত করা হলে তাঁরা রাত সাড়ে ৯টার দিকে অবরোধ প্রত্যাহারে সম্মত হন। পরে সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘কোম্পানির লোকেরাই আমার ভাইকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে’

আমি লজ্জিত, নিজেকে মাটিতে পুঁতে দিতে ইচ্ছে করছে—ফেসবুকে প্রেস সচিব

তাহলে কি বাংলাদেশ-ভারত ফাইনাল

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার সম্পাদকের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ফোনালাপ

গণমাধ্যমে হামলা ও ময়মনসিংহে নৃশংসতায় জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না, সরকারের বিবৃতি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সাবেক নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ ও সাবেক মেয়রের বাড়িতে আগুন

দিনাজপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২: ৪৪
সাবেক প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও সেতাবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আসলাম হোসেনের বোচাগঞ্জের বাড়িতে আগুন দিয়েছেন একদল লোক। ছবি: আজকের পত্রিকা
সাবেক প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও সেতাবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আসলাম হোসেনের বোচাগঞ্জের বাড়িতে আগুন দিয়েছেন একদল লোক। ছবি: আজকের পত্রিকা

সাবেক নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও সেতাবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আসলাম হোসেনের বোচাগঞ্জের বাড়িতে আগুন দিয়েছে একদল লোক। আজ শুক্রবার রাতে দুজনের বাড়িতে আগুন লাগার সংবাদ পেয়ে বোচাগঞ্জ থানা-পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা সেখানে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

স্থানীয় জনতা ও বোচাগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও সেতাবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আসলাম হোসেনের বাড়িতে আগুন দেওয়া হয়। তবে কারা আগুন দিয়েছে, এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা যায়নি।

বোচাগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের সাব-অফিসার শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘রাত সোয়া ৮টার দিকে সাবেক মেয়র আসলামের বাড়িতে আগুন লাগার খবর পেয়ে আমরা সেখানে পৌঁছাই। বর্তমানে আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা হয়েছে।’

এ ছাড়া খালিদ মাহমুদের বাড়ির আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে জানার জন্য বোচাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও কোনো সাড়া মেলেনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘কোম্পানির লোকেরাই আমার ভাইকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে’

আমি লজ্জিত, নিজেকে মাটিতে পুঁতে দিতে ইচ্ছে করছে—ফেসবুকে প্রেস সচিব

তাহলে কি বাংলাদেশ-ভারত ফাইনাল

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার সম্পাদকের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ফোনালাপ

গণমাধ্যমে হামলা ও ময়মনসিংহে নৃশংসতায় জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না, সরকারের বিবৃতি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ময়মনসিংহে যুবককে পিটিয়ে হত্যা: অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে মামলা

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২: ১৮
দিপু চন্দ্র দাস। ছবি: সংগৃহীত
দিপু চন্দ্র দাস। ছবি: সংগৃহীত

ময়মনসিংহের ভালুকায় দিপু চন্দ্র দাস (২৮) নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা ও মরদেহে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আজ শুক্রবার নিহত দিপুর ছোট ভাই অপু চন্দ্র দাস বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ভালুকা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহেদুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিক্ষুব্ধ জনতার হাতে নিহত হন দিপু চন্দ্র দাস। এ ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা হয়েছে।

এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার ডুবালিয়াপাড়া এলাকার পাইওনিয়ার নিট কম্পোজিট কারখানা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত দিপু চন্দ্র দাস জেলার তারাকান্দা উপজেলার মোকামিয়া কান্দা গ্রামের রবি চন্দ্র দাসের ছেলে। তিনি ওই কোম্পানির শ্রমিক ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘কোম্পানির লোকেরাই আমার ভাইকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে’

আমি লজ্জিত, নিজেকে মাটিতে পুঁতে দিতে ইচ্ছে করছে—ফেসবুকে প্রেস সচিব

তাহলে কি বাংলাদেশ-ভারত ফাইনাল

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার সম্পাদকের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ফোনালাপ

গণমাধ্যমে হামলা ও ময়মনসিংহে নৃশংসতায় জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না, সরকারের বিবৃতি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার পত্রিকা অফিসে হামলায় র‍্যাকের নিন্দা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার পত্রিকা অফিসে হামলায় র‍্যাকের নিন্দা

কতিপয় উচ্ছৃঙ্খল ব্যক্তি দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকা অফিসে যে হামলা চালিয়েছে, তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে রিপোর্টার্স অ্যাগেইনস্ট করাপশন (র‍্যাক)।

অন্যদিকে, দুই গণমাধ্যমে আটকে পড়া সাংবাদিকদের উদ্ধার করতে গিয়ে নাজেহাল ও হেনস্তার শিকার হয়েছেন ইংরেজি দৈনিক দ্য নিউ এজের সম্পাদক প্রবীণ সাংবাদিক নূরুল কবীর। এ ঘটনারও তীব্র নিন্দা ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে র‍্যাক। অবিলম্বে এসব ঘটনার সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও দ্রুত তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানিয়েছে র‍্যাক।

শুক্রবার এক বিবৃতিতে সভাপতি আলাউদ্দিন আরিফ ও সাধারণ সম্পাদক তাবারুল হক বলেন, সংবাদমাধ্যম রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের অন্যতম প্রধান ভিত্তি। গণমাধ্যমের কণ্ঠ রুদ্ধ করতে সহিংসতা, ভয়ভীতি প্রদর্শন, হামলা কিংবা হেনস্তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এ ধরনের কর্মকাণ্ড গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, মতপ্রকাশের সাংবিধানিক অধিকার এবং আইনের শাসনের সম্পূর্ণ পরিপন্থী।

১৮ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) রাত ১২টার দিকে উচ্ছৃঙ্খল কতিপয় ব্যক্তি প্রথমে দৈনিক প্রথম আলো, তারপর দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকা অফিসে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে। এ সময় পত্রিকা দুটির অনেক সাংবাদিক ভবনের ভেতরে আটকা পড়েছিলেন। খবর পেয়ে সেনা, পুলিশ ও বিজিবি সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে হামলাকারীদের সরিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে ভবনের ভেতরে আটকে পড়া সাংবাদিকদের উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

পত্রিকা দুটির শীর্ষ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রাতে আকস্মিক হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার পর কর্মীদের সবাইকে দ্রুত অফিস ত্যাগ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ফলে শুক্রবার ছাপা পত্রিকা বের করা সম্ভব হয়নি।

র‍্যাক নেতারা বলেন, মনে হচ্ছে একটি গোষ্ঠী অত্যন্ত সচেতনভাবে প্রতিপক্ষ বানাতে গণমাধ্যমকে টার্গেট করে হামলা চালিয়েছে। এটা খুবই দুঃখজনক ও মর্মান্তিক। স্বাধীন সাংবাদিকতায় বিশ্বাসী বর্তমান সরকারের সময় এমন ঘটনা ন্যক্কারজনক। ডিআরইউ মনে করে, ওসমান হাদি একজন দেশপ্রেমিক জুলাই যোদ্ধা ছিলেন। শহীদ ওসমান হাদিসহ ছাত্র-জনতার ত্যাগের কারণে তৎকালীন ফ্যাসিস্ট সরকার দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছে।

হাদির মৃত্যুকে পুঁজি করে যারা গণমাধ্যমের ওপর হামলা করেছে, তারা হাদির অনুসারী নয়, এটা স্পষ্ট। কতিপয় মহল হাদির মৃত্যুকে ব্যবহার করে নিজেদের কদর্য চেহারা প্রকাশ করেছে। অবিলম্বে এসব ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে দৃস্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান নেতারা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘কোম্পানির লোকেরাই আমার ভাইকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে’

আমি লজ্জিত, নিজেকে মাটিতে পুঁতে দিতে ইচ্ছে করছে—ফেসবুকে প্রেস সচিব

তাহলে কি বাংলাদেশ-ভারত ফাইনাল

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার সম্পাদকের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ফোনালাপ

গণমাধ্যমে হামলা ও ময়মনসিংহে নৃশংসতায় জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না, সরকারের বিবৃতি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত