ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টা মামলার অভিযোগপত্রের বিরুদ্ধে পরীমণি নারাজি আবেদন

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশ : ০১ ডিসেম্বর ২০২১, ১৪: ৪৫
আপডেট : ০৫ জানুয়ারি ২০২২, ১২: ৪৩

ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টা মামলায় পুলিশের দেওয়া অভিযোগপত্রের বিরুদ্ধে নারাজি আবেদন করেছেন চিত্রনায়িকা পরীমনি। আজ বুধবার দুপুরে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৯ এর বিচারক মো. হেমায়েত উদ্দিনের আদালতে তিনি এ আবেদন করেন। 

একই সঙ্গে পরীমনি তদন্ত সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) মাধ্যমে অধিকতর তদন্তের আবেদন জানান। আবেদনপত্রে পরীমনি উল্লেখ করেন, তদন্তকারী কর্মকর্তা সঠিক ও সুষ্ঠুভাবে তদন্ত করেননি। ওই হোটেলের একজন ওয়েটার ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে অভিযুক্ত ছিল। ঘটনার পরে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) তাকে তুলে আনে এবং তিনি তাঁর অপরাধ স্বীকার করেন। পুলিশের জমা দেওয়া অভিপত্রে তাকে আসামি করা হয়নি। এমনকি তাঁর নামই অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়নি। বাদীপক্ষের সাক্ষী বহ্নির নাম অভিযোগপত্রে রাখা হয়নি এবং তাকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদও করেনি। যে কারণে এই মামলার অধিকতর তদন্ত হওয়ার প্রয়োজন। 

আদালত পরীমনির জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করেছেন এবং মামলার নথি পর্যালোচনা করে পরে আদেশ দেবেন বলে জানিয়েছেন। একই সঙ্গে মামলার আসামি উত্তরা ক্লাব লিমিটেডের সাবেক সভাপতি নাসির ইউ মাহমুদ ও তাঁর সহযোগী তুহিন সিদ্দিকী অমিকে পূর্ব শর্তে জামিন দেন। 

গত ৬ সেপ্টেম্বর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) মো. কামাল হোসেন ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। এতে উত্তরা ক্লাব লিমিটেডের সাবেক সভাপতি নাসির ইউ মাহমুদ ও তাঁর সহযোগী তুহিন সিদ্দিকী অমিসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। প্রাথমিক তথ্য বিবরণীতে (এফআইআর) শাহ শহিদুল আলমের নাম না থাকলেও তদন্তের সময় সম্পৃক্ততা পাওয়ায় পুলিশ অভিযোগপত্রে তাঁর নাম অন্তর্ভুক্ত করে। 

আসামিদের মধ্যে নাসির ও অমি জামিনে আছেন এবং শহিদুলকে অভিযোগপত্রে 'পলাতক' দেখানো হয়। তদন্তকারী কর্মকর্তা শহিদুলের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা দেওয়ার জন্য আদালতে আবেদন করেন। 

গত ১৪ জুন রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী ও জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য নাসির, অমি এবং আরও চারজন অজ্ঞাত ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন পরীমনি। 

সেদিনই উত্তরা ১ নম্বর সেক্টরের একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে নাসির ও অমিকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে বিমানবন্দর থানায় দায়ের করা আরও একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। 

অভিযোগপত্রে ধর্ষণ চেষ্টা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগ আনা হয়নি। কিন্তু মারধর ও শ্লীলতাহানি অভিযোগ আনা হয়। পরীমনি ট্রাইব্যুনালে বলেন, তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছিল এবং হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু পুলিশ তদন্ত করে ধর্ষণ ও হত্যা চেষ্টার অভিযোগ প্রমাণ হয়নি বলে আদালতকে জানিয়েছেন। পুলিশের তদন্ত প্রতিবেদন পরিমাণে প্রত্যাখ্যান করেন। 

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত