চাকরি দেওয়ার কথা বলে ঘুষ নেওয়ায় ২ পুলিশ কনস্টেবল বরখাস্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা ও মাদারীপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১১ মে ২০২৪, ১৭: ৪০
আপডেট : ১১ মে ২০২৪, ১৮: ১১

পুলিশে নিয়োগ দেওয়ার কথা বলে এক ব্যক্তির কাছ থেকে টাকা নেওয়ার ঘটনায় শহীদুল ইসলাম ও তানজিলা আক্তার নামে দুই কনস্টেবলকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে পুলিশ সদর দপ্তর। 

আজ শনিবার পুলিশ সদর দপ্তর থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এর আগে টাকা আত্মসাতের ঘটনায় এক ব্যক্তি মাদারীপুর পুলিশ সুপারের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দেন। এ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদও প্রচারিত হয়। 

বিবৃতিতে পুলিশ সদর দপ্তর জানিয়েছে, কনস্টেবল তানজিলা ও শহীদুল মাদারীপুরের মোস্তফাপুর ছোট বাড্ডা গ্রামের রতন দাসের কাছ থেকে চাকরি দেওয়ার নামে ১৪ লাখ টাকা নেন। এ নিয়ে মাদারীপুর জেলা পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন রতন দাস। 

তিনি অভিযোগ করেন, ২০২২ সালের ডিসেম্বরে কনস্টেবল নিয়োগ পরীক্ষায় চাকরি দেওয়ার কথা বলে রতন দাসের কাছ থেকে ১৪ লাখ টাকা নিয়েছেন। 
পুলিশ সুপার ঘটনাটি তদন্তের নির্দেশ দেন। এরপর তদন্ত করে প্রাথমিক সত্যতা পায় জেলা পুলিশ। এরপর ৯ মে অভিযুক্ত দুই কনস্টেবলকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। 

মাদারীপুর সদর উপজেলার মস্তফাপুরের রবি দাসের ছেলে রতন দাস। তিনি একটি দোকানে কাজ করতেন। সেখানেই পরিচয় হয় পুলিশ কনস্টেবল তানজিলা আক্তারের সঙ্গে। পরে পুলিশের চাকরির আগ্রহের কথা জানান রতন। এরপর গত বছর কনস্টেবল নিয়োগের সময় তানজিলা আক্তার তাঁকে চাকরি দেওয়ার কথা বলে ১৪ লাখ টাকা নেন। বিশ্বাস অর্জনের জন্য তানজিলা কমিউনিটি ব্যাংকের একটি চেকও দেন। চাকরি না হলে টাকা ফেরত দেবেন। তবে কনস্টেবল নিয়োগের ফলাফলে রতন দাসের নাম আসেনি, তাঁর চাকরিও হয়নি। এরপর মাদারীপুরের পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী রতন দাসের বাবা রবি দাস। 

রতন দাস অভিযোগ করেন, তানজিলা আক্তার টাকা নিয়ে চাকরি দিতে পারেননি। সেই টাকা দিয়ে তানজিলার স্বামী ফরিদপুরের ভাঙ্গায় ব্যবসা শুরু করেন। টাকা ফেরত চাইলে তিনি বিভিন্ন রকমের টালবাহানা করেন। এই ঘুষ নেওয়ার সঙ্গে শহিদুল নামে এক পুলিশও জড়িত।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত