গাজীপুরের টঙ্গীতে বকেয়া বেতনের দাবিতে একটি পোশাক কারখানার শ্রমিকেরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন। আজ বুধবার সকাল পৌনে ৯টার দিকে টঙ্গীর আউচপাড়া এলাকার তারাটেক্স ফ্যাশন লিমিটেডের শ্রমিকেরা এই আন্দোলনে নামেন।

গাজীপুর শিল্প পুলিশের পরিদর্শক (টঙ্গী জোন) কৃপা সিন্ধু বালা আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিক্ষুব্ধ কয়েক হাজার শ্রমিক ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের এশিয়া পাম্প এলাকায় অবস্থান নিলে মহাসড়কের উভয় পাশের যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। শ্রমিকদের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি। তাঁদেরকে সড়ক ছেড়ে কারখানায় ফিরে যেতে অনুরোধ জানিয়েছি।

কারখানা সূত্রে জানা গেছে, কারখানায় প্রায় দুই হাজার শ্রমিক কাজ করেন। শ্রমিকদের গত সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসের বকেয়া বেতন কারখানা মালিক এখনো পরিশোধ করেননি। কয়েক দিন আগে শ্রমিকদের কয়েকজন প্রতিনিধি ও কারখানার কর্মকর্তারা বৈঠক করেন। বৈঠকে সেপ্টেম্বর মাসের বেতন গতকাল মঙ্গলবার পরিশোধ করার কথা থাকলেও পরিশোধ করেনি কারখানা কর্তৃপক্ষ। আজ বুধবার সকালে কারখানার শ্রমিকেরা কারখানায় কাজে যোগ দিতে আসেন। কাজে যোগ দেওয়ার আগেই বেতন পরিশোধ করতে কারখানা কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানান।

কারখানা কর্তৃপক্ষ বেতন পরিশোধের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্তের কথা জানায়নি শ্রমিকদের। এতে শ্রমিকেরা বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। পরে আজ সকাল পৌনে ৯টার দিকে শ্রমিকেরা কারখানা ছেড়ে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের এশিয়া পাম্প এলাকায় মহাসড়কের উভয় পাশে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। মহাসড়ক অবরোধের খবরটি শিল্প পুলিশের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলছেন।

বিক্ষুব্ধ শ্রমিকেরা বলেন, কয়েক দফা আলোচনার পরেও কারখানা মালিক আমাদের বেতন পরিশোধ করেননি। আজ আমরা সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছি। আমাদের বেতন পরিশোধের ঘোষণা এলে আমরা সড়ক থেকে সরে যাব।

তারাটেক্স ফ্যাশন লিমিটেড কারখানাটির মালিক আবুল হোসেন মজুমদারের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের (দক্ষিণ) উপপুলিশ কমিশনার মো. ইব্রাহিম খান বলেন, কারখানার শ্রমিকেরা মহাসড়কে অবস্থান নেওয়ায় সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে টঙ্গীর শালিকচূড়া থেকে টঙ্গী বাজার ব্রিজ ও গাজীপুরা বাস স্ট্যান্ড থেকে বড় বাড়ি পর্যন্ত দীর্ঘ যানবাহনের সারি রয়েছে। ভোগান্তিতে পড়েছেন এ সড়ক ব্যবহারকারী যাত্রীরা। শ্রমিকেরা সড়ক থেকে সরে গেলেই যান চলাচল স্বাভাবিক হয়ে আসবে।