নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বাংলাদেশ গার্মেন্টস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল ওয়ার্কার্স ফেডারেশনের গাজীপুর শাখার সভাপতি মো. শহীদুল ইসলামের মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের করা মামলার ছয় আসামির মধ্যে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে শিল্প পুলিশ। তবে এই দুজনসহ মোট তিন আসামি নির্দোষ বলে দাবি করেছে বাংলাদেশ পোশাক শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশনের নেতারা।
আজ রোববার সকালে রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর রুনি মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির নেতারা এ দাবি জানান।
এই মামলায় বাংলাদেশ পোশাক শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশনের গাজীপুর জেলা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মাজহারুল, কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আকাশকে ও গাজীপুর জেলার সভাপতি রাসেলকে আসামি করা হয়েছে বলে সংগঠনটির সভাপতি তুহীন চৌধুরী জানান।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক শাখাওয়াত হোসেন সংবাদ সম্মেলনে বলেন, গত ২৫ জুন ঘটনার সময় মাজহারুল পরিবারের সঙ্গে কোরবানির পশু কিনতে যাচ্ছিলেন। আকাশ বিজিএমইএ অফিসে ছিলেন আর রাসেল বোর্ড বাজারে সংগঠনের অফিসে অবস্থান করছিলেন ৷
আকাশের স্ত্রী নাসরিন আকতার তাঁর স্বামী নির্দোষ দাবি করে বলেন, মোস্তফা নামের এক পোশাক শ্রমিকের সঙ্গে আকাশের দ্বন্দ্ব ছিল ৷ তিনি কিছুদিন সংগঠনে (বাংলাদেশ পোশাক শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশন) কাজ করেছেন ৷ পরে নানা কাণ্ডে তাকে সংগঠন থেকে বের করে দেন আকাশ। এ কারণে আমার স্বামীকে (আকাশ) শহীদ ভাইয়ের মৃত্যুর ঘটনায় ফাঁসিয়ে দিয়েছেন। শহীদুল ইসলামের সঙ্গে আকাশের খুব ভালো সম্পর্ক ছিল বলে জানান তিনি।
শহীদুল হত্যা মামলার এজাহারে মারামারির কথা উল্লেখ থাকলেও ২৫ জুন টঙ্গীর প্রিন্স জ্যাকার্ড সোয়েটার লিমিটেডের সামনে কোনে মারামারি হয়নি বলে দাবি করেছেন বাংলাদেশ পোশাক শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশনের নেতারা।
সংগঠনের সভাপতি তুহীন চৌধুরী বলেন, শহীদুল হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন বলে আমরা লোকমুখে শুনেছি ৷ পুলিশের প্রতিবেদনেও বলা হয়েছে, কোনো মারধরের চিহ্ন নাই ৷ আমাদের সংগঠনের তিন নেতাকে ফাঁসানো হয়েছে ৷ তবে শহীদুল ইসলামের মৃত্যুর ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও প্রকৃত দোষীদের বিচার দাবি করেছেন তারা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মামলার বাদী কল্পনা আখতার আজকের পত্রিকাকে বলেন, যারা শহীদুলের পথ রোধ করেছে এবং মেরেছে তারা অবশ্যই মালিকের লোক। এখন যদি বের হয়ে আসে তারা ফেডারেশনের লোক তাহলে আমার প্রশ্ন তারা ফেডারেশনের লোক হয়ে কীভাবে একজন শ্রমিককে মেরে ফেলে? আর পুলিশের পক্ষ থেকে কোনো প্রতিবেদনও দেওয়া হয়নি বলে তারা আমাকে জানিয়েছে। আমি পুলিশের উপর আস্থা রাখছি। আমিও চাই না নিরপরাধ কারও বিচার হোক। এদিকে কল্পনার অভিযোগ অস্বীকার করে প্রিন্স জ্যাকার্ড সোয়েটার কারখানার মালিক মো. সাইফ উদ্দিন গণমাধ্যমকে বলেছেন, শহিদুলের মৃত্যুর ঘটনায় আমার কারখানার কেউ জড়িত নন।
মামলার তদন্তের বিষয়ে জানতে চাইলে গাজীপুর জেলা শিল্প পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইমরান আহম্মেদ আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছেন, রোববার সকালে শহীদুল হত্যা মামলার ছয় নম্বর আসামি হানিফ ম্যানেজারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৷ সেখানে কারা ছিল কারা ছিল না সেগুলো তদন্তেই বেড়িয়ে আসবে। মামলা হয়েছে, আমরা আইনি ব্যবস্থা নিচ্ছি। এখন পর্যন্ত মাজহারুল ও হানিফকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আমরা সব কিছু যাচাই বাছাই করে তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি ৷
উল্লেখ, গত ২৫ জুন সন্ধ্যায় টঙ্গীর প্রিন্স জ্যাকার্ড সোয়েটার লিমিটেডের পোশাক শ্রমিকদের বকেয়া বেতনভাতা পরিশোধের দাবিতে মালিকপক্ষের সঙ্গে কথা বলতে যান শহীদুল ইসলাম। সেখান থেকে শহীদুল বেরিয়ে আসার পর হানিফ ম্যানেজার ও তাঁর সহযোগীদের বাধার মুখে পড়েন শহীদুল ও তাঁর সঙ্গে থাকা আরও দুই শ্রমিক নেতা। সেখানে ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে শহীদুল গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন ৷ পরে তাকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
বাংলাদেশ গার্মেন্টস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল ওয়ার্কার্স ফেডারেশনের গাজীপুর শাখার সভাপতি মো. শহীদুল ইসলামের মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের করা মামলার ছয় আসামির মধ্যে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে শিল্প পুলিশ। তবে এই দুজনসহ মোট তিন আসামি নির্দোষ বলে দাবি করেছে বাংলাদেশ পোশাক শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশনের নেতারা।
আজ রোববার সকালে রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর রুনি মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির নেতারা এ দাবি জানান।
এই মামলায় বাংলাদেশ পোশাক শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশনের গাজীপুর জেলা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মাজহারুল, কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আকাশকে ও গাজীপুর জেলার সভাপতি রাসেলকে আসামি করা হয়েছে বলে সংগঠনটির সভাপতি তুহীন চৌধুরী জানান।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক শাখাওয়াত হোসেন সংবাদ সম্মেলনে বলেন, গত ২৫ জুন ঘটনার সময় মাজহারুল পরিবারের সঙ্গে কোরবানির পশু কিনতে যাচ্ছিলেন। আকাশ বিজিএমইএ অফিসে ছিলেন আর রাসেল বোর্ড বাজারে সংগঠনের অফিসে অবস্থান করছিলেন ৷
আকাশের স্ত্রী নাসরিন আকতার তাঁর স্বামী নির্দোষ দাবি করে বলেন, মোস্তফা নামের এক পোশাক শ্রমিকের সঙ্গে আকাশের দ্বন্দ্ব ছিল ৷ তিনি কিছুদিন সংগঠনে (বাংলাদেশ পোশাক শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশন) কাজ করেছেন ৷ পরে নানা কাণ্ডে তাকে সংগঠন থেকে বের করে দেন আকাশ। এ কারণে আমার স্বামীকে (আকাশ) শহীদ ভাইয়ের মৃত্যুর ঘটনায় ফাঁসিয়ে দিয়েছেন। শহীদুল ইসলামের সঙ্গে আকাশের খুব ভালো সম্পর্ক ছিল বলে জানান তিনি।
শহীদুল হত্যা মামলার এজাহারে মারামারির কথা উল্লেখ থাকলেও ২৫ জুন টঙ্গীর প্রিন্স জ্যাকার্ড সোয়েটার লিমিটেডের সামনে কোনে মারামারি হয়নি বলে দাবি করেছেন বাংলাদেশ পোশাক শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশনের নেতারা।
সংগঠনের সভাপতি তুহীন চৌধুরী বলেন, শহীদুল হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন বলে আমরা লোকমুখে শুনেছি ৷ পুলিশের প্রতিবেদনেও বলা হয়েছে, কোনো মারধরের চিহ্ন নাই ৷ আমাদের সংগঠনের তিন নেতাকে ফাঁসানো হয়েছে ৷ তবে শহীদুল ইসলামের মৃত্যুর ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও প্রকৃত দোষীদের বিচার দাবি করেছেন তারা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মামলার বাদী কল্পনা আখতার আজকের পত্রিকাকে বলেন, যারা শহীদুলের পথ রোধ করেছে এবং মেরেছে তারা অবশ্যই মালিকের লোক। এখন যদি বের হয়ে আসে তারা ফেডারেশনের লোক তাহলে আমার প্রশ্ন তারা ফেডারেশনের লোক হয়ে কীভাবে একজন শ্রমিককে মেরে ফেলে? আর পুলিশের পক্ষ থেকে কোনো প্রতিবেদনও দেওয়া হয়নি বলে তারা আমাকে জানিয়েছে। আমি পুলিশের উপর আস্থা রাখছি। আমিও চাই না নিরপরাধ কারও বিচার হোক। এদিকে কল্পনার অভিযোগ অস্বীকার করে প্রিন্স জ্যাকার্ড সোয়েটার কারখানার মালিক মো. সাইফ উদ্দিন গণমাধ্যমকে বলেছেন, শহিদুলের মৃত্যুর ঘটনায় আমার কারখানার কেউ জড়িত নন।
মামলার তদন্তের বিষয়ে জানতে চাইলে গাজীপুর জেলা শিল্প পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইমরান আহম্মেদ আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছেন, রোববার সকালে শহীদুল হত্যা মামলার ছয় নম্বর আসামি হানিফ ম্যানেজারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৷ সেখানে কারা ছিল কারা ছিল না সেগুলো তদন্তেই বেড়িয়ে আসবে। মামলা হয়েছে, আমরা আইনি ব্যবস্থা নিচ্ছি। এখন পর্যন্ত মাজহারুল ও হানিফকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আমরা সব কিছু যাচাই বাছাই করে তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি ৷
উল্লেখ, গত ২৫ জুন সন্ধ্যায় টঙ্গীর প্রিন্স জ্যাকার্ড সোয়েটার লিমিটেডের পোশাক শ্রমিকদের বকেয়া বেতনভাতা পরিশোধের দাবিতে মালিকপক্ষের সঙ্গে কথা বলতে যান শহীদুল ইসলাম। সেখান থেকে শহীদুল বেরিয়ে আসার পর হানিফ ম্যানেজার ও তাঁর সহযোগীদের বাধার মুখে পড়েন শহীদুল ও তাঁর সঙ্গে থাকা আরও দুই শ্রমিক নেতা। সেখানে ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে শহীদুল গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন ৷ পরে তাকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
পদ্মা সেতু নির্মাণে আওয়ামী লীগের কৃতিত্ব নেই উল্লেখ করে এই নেতা বলেন, ‘বলতে পারেন আওয়ামী লীগ পদ্মা সেতু করেছে। আমি যদি কষ্ট করে উপার্জন করে একটা তিনতলা বিল্ডিং করি, মানুষ আমাকে সাধুবাদ জানাবে, মোবারকবাদ জানাবে। আর যদি মানুষের থেকে লোন নিয়ে তিনতলা বিল্ডিং করি, মানুষ আমাকে বেহায়া বলবে। হাসিনা যখন ২০০৯
১৬ মিনিট আগেসিলেট বিভাগ, মৌলভীবাজার জেলা, কমলগঞ্জ, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, জেলার খবর
২৪ মিনিট আগেলালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় জমি দখল নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়েছে। আজ শুক্রবার দুপুরে উপজেলার টংভাঙ্গা ইউনিয়নের গেন্দুকুড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ও বিজিবি ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এতে ইউপি সদস্যসহ অন্তত ১১ জন আহত হন।
২৬ মিনিট আগেব্যবসায়ীদের সংগঠন দ্য চাঁপাইনবাবগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির পরিচালনা পর্ষদের ২০২৪-২৬ মেয়াদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামীকাল শনিবার। সংগঠনটিতে ২২ জন পরিচালকের মধ্যে চারজন ট্রেড গ্রুপ থেকে ইতিমধ্যে মনোনীত হয়েছেন। ভোটাভুটি হবে ১৮ পরিচালক পদে। এর মধ্যে ১৩ জন সাধারণ ও ৫ জন সহযোগী পরিচালক।
১ ঘণ্টা আগে