নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
হাইওয়ে ছাড়া সব সড়কে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালাতে দেওয়া, সড়কে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলাচলে পুলিশি হয়রানি বন্ধসহ বেশ কয়েকটি দাবিতে আজ বুধবার সকালে রাজধানীর শ্মশানঘাটে গণমিছিল করেছে রিকশা-ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়ন। মিছিলটি শ্মশানঘাটের লোহার ব্রিজ থেকে সোয়ারীঘাট হয়ে সেকশন রনি মার্কেট গিয়ে শেষ হয়।
গণমিছিলে অংশ নেওয়া আন্দোলনকারীরা স্লোগান তোলেন ‘রাস্তা আছে যেখানে অটো চলবে সেখানে’, ‘সব হাতে কাজ চাই, সব মুখে ভাত চাই।’
সমাবেশে রাকসুর সাবেক ভিপি ও বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) কেন্দ্রীয় সদস্য রাগীব আহসান মুন্না বলেন, ‘দেশের ৯৯ ভাগ সম্পদের মালিক ১ ভাগ মানুষ আর ৯৯ ভাগ মানুষের কাছে বাকি ১ শতাংশ সম্পদ। রাস্তায় তারা বড় বড় গাড়ি চালালে আপত্তি নেই কিন্তু গরিব মানুষ ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালালে আপত্তি তোলা হয়। পরিবারের মুখে শুধু দুবেলা ভাত তুলে দিতে তারা রিকশা চালায়। আর পুলিশ সেখানে এই রিকশাচালকদের হয়রানি করে।’
রাগীব আহসান মুন্না আরও বলেন, ‘আজকে যারা ক্ষমতায় আছে, তারা বাংলাদেশের সংবিধান মানে না। মৌলিক অধিকার ও গণতন্ত্র তারা মানে না। বাংলাদেশের মানুষ ভোট দিয়ে নেতা নির্বাচনের অধিকার রাখে কিন্তু আজ সেই অধিকার কোথায়? পুলিশ তার ক্ষমতা গরিব ও দুর্বল মানুষের ওপর চালাচ্ছে। এই যে দেশে দিনদিন শিশুশ্রম বৃদ্ধি পাচ্ছে, এর দায় কার? অবশ্যই তা সরকারের।’
সিপিবির সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য আবদুল্লাহ আল ক্বাফী রতন বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধে এই রিকশাচালক বস্তিবাসীদের অবদান কোনো অংশে কম নয়। মুক্তিযুদ্ধের সময় ৬৮ শতাংশ মানুষ ভূমিহীন ছিল এখন তা ৮২ শতাংশ। এসব মানুষ গ্রামে কাজ পায় না তাই তারা রিকশা চালানোর জন্য শহরে আসে। আমরা ছোটবেলায় প্যাডেল দিয়ে রিকশা চালানো দেখলে কষ্ট পেতাম, ভাবতাম একটা মোটর লাগিয়ে দিলে মানুষের কষ্ট কমে যাবে। আজ তা দেওয়াও হয়েছে। কিন্তু তাদের রাস্তায় চলতে বাধা দেওয়া হচ্ছে।’
আবদুল্লাহ আল ক্বাফী রতন আরও বলেন, ‘যারা গরিব মানুষ তারা শান্তিতে থাকুক সেটা সরকার চায় না। তাই তারা মোটর রিকশা বন্ধ করতে চায়। এই মোটর আমদানি করেছে কারা? যারা গুলশান আর মতিঝিল এসি ভবনে দিন পার করে তারা। এনজিও থেকে চালকেরা যখন লোন নিয়ে এটা (মোটর) কিনেছে তখন তাদের কথা এটা চালাতে দেওয়া যাবে না। দেশের সর্বোচ্চ আদালত গরিবের পক্ষে থেকেছে। সর্বোচ্চ আদালত বলেছে, ব্যাটারিচালিত রিকশা চলবে।’
বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক লিটন নন্দি বলেন, ‘১৫ ডিসেম্বরের আগপর্যন্ত আজিমপুর মোড় পর্যন্ত ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলত। একটা কোম্পানি সেখানে নতুন গাড়ি নামিয়েছে। এরপর পুলিশ এই রিকশা ধরা শুরু করেছে। দেশের সুপ্রিম কোর্ট ১৮ এপ্রিল হাইওয়ে বাদে সব রাস্তায় অটোরিকশা চলতে পারবে বলে নির্দেশ দিয়েছে। রিকশাচালক ভাইয়েরা আপনারা আদালতের একটা রায়ের কপি সঙ্গে রাখবেন। তারা রিকশা ধরলে কপি দেখাবেন। ভয় পাবেন না। সবাই একসঙ্গে মাঠে নামলে সবাই আপনাদের ভয় পাবে তাই আপনাদের ঐক্যবদ্ধ থাকা জরুরি।’
লিটন নন্দি অভিযোগ করে বলেন, ‘এর আগে পুলিশ যখন অটোরিকশা ধরত তখন মোটা অঙ্কে রিকশাচালকদের কাছে টাকা আদায় করত। মোহাম্মদপুরে ডাম্পিং থেকে একটা গাড়ি ছাড়াতে ২ হাজার ৫০০ টাকা দিতে হয়েছে পুলিশদের এমনও উদাহরণও আছে। যত দিন রাস্তায় অটোরিকশা ধরা বন্ধ হবে না তত দিন আমাদের এই আন্দোলন চলবে।
হাইওয়ে ছাড়া সব সড়কে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালাতে দেওয়া, সড়কে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলাচলে পুলিশি হয়রানি বন্ধসহ বেশ কয়েকটি দাবিতে আজ বুধবার সকালে রাজধানীর শ্মশানঘাটে গণমিছিল করেছে রিকশা-ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়ন। মিছিলটি শ্মশানঘাটের লোহার ব্রিজ থেকে সোয়ারীঘাট হয়ে সেকশন রনি মার্কেট গিয়ে শেষ হয়।
গণমিছিলে অংশ নেওয়া আন্দোলনকারীরা স্লোগান তোলেন ‘রাস্তা আছে যেখানে অটো চলবে সেখানে’, ‘সব হাতে কাজ চাই, সব মুখে ভাত চাই।’
সমাবেশে রাকসুর সাবেক ভিপি ও বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) কেন্দ্রীয় সদস্য রাগীব আহসান মুন্না বলেন, ‘দেশের ৯৯ ভাগ সম্পদের মালিক ১ ভাগ মানুষ আর ৯৯ ভাগ মানুষের কাছে বাকি ১ শতাংশ সম্পদ। রাস্তায় তারা বড় বড় গাড়ি চালালে আপত্তি নেই কিন্তু গরিব মানুষ ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালালে আপত্তি তোলা হয়। পরিবারের মুখে শুধু দুবেলা ভাত তুলে দিতে তারা রিকশা চালায়। আর পুলিশ সেখানে এই রিকশাচালকদের হয়রানি করে।’
রাগীব আহসান মুন্না আরও বলেন, ‘আজকে যারা ক্ষমতায় আছে, তারা বাংলাদেশের সংবিধান মানে না। মৌলিক অধিকার ও গণতন্ত্র তারা মানে না। বাংলাদেশের মানুষ ভোট দিয়ে নেতা নির্বাচনের অধিকার রাখে কিন্তু আজ সেই অধিকার কোথায়? পুলিশ তার ক্ষমতা গরিব ও দুর্বল মানুষের ওপর চালাচ্ছে। এই যে দেশে দিনদিন শিশুশ্রম বৃদ্ধি পাচ্ছে, এর দায় কার? অবশ্যই তা সরকারের।’
সিপিবির সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য আবদুল্লাহ আল ক্বাফী রতন বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধে এই রিকশাচালক বস্তিবাসীদের অবদান কোনো অংশে কম নয়। মুক্তিযুদ্ধের সময় ৬৮ শতাংশ মানুষ ভূমিহীন ছিল এখন তা ৮২ শতাংশ। এসব মানুষ গ্রামে কাজ পায় না তাই তারা রিকশা চালানোর জন্য শহরে আসে। আমরা ছোটবেলায় প্যাডেল দিয়ে রিকশা চালানো দেখলে কষ্ট পেতাম, ভাবতাম একটা মোটর লাগিয়ে দিলে মানুষের কষ্ট কমে যাবে। আজ তা দেওয়াও হয়েছে। কিন্তু তাদের রাস্তায় চলতে বাধা দেওয়া হচ্ছে।’
আবদুল্লাহ আল ক্বাফী রতন আরও বলেন, ‘যারা গরিব মানুষ তারা শান্তিতে থাকুক সেটা সরকার চায় না। তাই তারা মোটর রিকশা বন্ধ করতে চায়। এই মোটর আমদানি করেছে কারা? যারা গুলশান আর মতিঝিল এসি ভবনে দিন পার করে তারা। এনজিও থেকে চালকেরা যখন লোন নিয়ে এটা (মোটর) কিনেছে তখন তাদের কথা এটা চালাতে দেওয়া যাবে না। দেশের সর্বোচ্চ আদালত গরিবের পক্ষে থেকেছে। সর্বোচ্চ আদালত বলেছে, ব্যাটারিচালিত রিকশা চলবে।’
বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক লিটন নন্দি বলেন, ‘১৫ ডিসেম্বরের আগপর্যন্ত আজিমপুর মোড় পর্যন্ত ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলত। একটা কোম্পানি সেখানে নতুন গাড়ি নামিয়েছে। এরপর পুলিশ এই রিকশা ধরা শুরু করেছে। দেশের সুপ্রিম কোর্ট ১৮ এপ্রিল হাইওয়ে বাদে সব রাস্তায় অটোরিকশা চলতে পারবে বলে নির্দেশ দিয়েছে। রিকশাচালক ভাইয়েরা আপনারা আদালতের একটা রায়ের কপি সঙ্গে রাখবেন। তারা রিকশা ধরলে কপি দেখাবেন। ভয় পাবেন না। সবাই একসঙ্গে মাঠে নামলে সবাই আপনাদের ভয় পাবে তাই আপনাদের ঐক্যবদ্ধ থাকা জরুরি।’
লিটন নন্দি অভিযোগ করে বলেন, ‘এর আগে পুলিশ যখন অটোরিকশা ধরত তখন মোটা অঙ্কে রিকশাচালকদের কাছে টাকা আদায় করত। মোহাম্মদপুরে ডাম্পিং থেকে একটা গাড়ি ছাড়াতে ২ হাজার ৫০০ টাকা দিতে হয়েছে পুলিশদের এমনও উদাহরণও আছে। যত দিন রাস্তায় অটোরিকশা ধরা বন্ধ হবে না তত দিন আমাদের এই আন্দোলন চলবে।
দেশীয় পেঁয়াজ, রসুন, আলু ও লবণের ভরা মৌসুম এখন। চলতি মৌসুমে এসব পণ্য উৎপাদন পর্যাপ্ত হওয়ায় এই সময়ে কৃষকের মুখে হাসি ফোটার কথা। কিন্তু লাভ তো দূরে থাক, পণ্যের উৎপাদন খরচও তুলতে না পেরে হতাশ কৃষকেরা।
১ ঘণ্টা আগেদুই দিনের মধ্যে ভোজ্যতেলের সংকট কেটে যাবে—এমন প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। উপদেষ্টার দেওয়া দুই দিন কেটে গেছে, কিন্তু কাটেনি বোতলজাত সয়াবিন তেলের সংকট। গতকাল বুধবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ও সুপারশপগুলো ঘুরে অধিকাংশ জায়গায় বোতলজাত সয়াবিন তেল পাওয়া যায়নি।
১ ঘণ্টা আগেরাজশাহীতে রিকশাচালককে জুতাপেটা করে সাময়িক বরখাস্ত হওয়া পবা উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা জাহিদ হাসান রাসেলের কর্মকাণ্ডে অতিষ্ঠ ছিলেন বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তাঁর বিরুদ্ধে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে দুটি লিখিত অভিযোগও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এসব বিষয়ে কোনো তদন্ত হয়নি। ফলে বারবার পার পেয়ে গেছেন
২ ঘণ্টা আগেমাসালা দোসা, হায়দরাবাদি চিকেনসহ বিদেশি স্বাদের খাবার যেমন আছে, তেমনি রয়েছে দেশের প্রচলিত ইফতার—ছোলা, মুড়ি, বেগুনি। নানান স্বাদের বাহারি ইফতারসামগ্রী স্তরে স্তরে সাজানো। রকমারি এসব ইফতার নিয়ে ক্রেতার অপেক্ষায় বসে আছেন বিক্রয়কর্মীরা। তবে ক্রেতা তুলনামূলক কম।
২ ঘণ্টা আগে