কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
অবরোধের প্রথম দিনে কুলিয়ারচরে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির সংঘর্ষের ঘটনায় নিহত দুজনের মধ্যে একজন গুলিবদ্ধ হয়েছেন। আরেকজনের গলায় শুধু ধারালো কিছুর আঘাতে ক্ষত চিহ্ন পাওয়া গেছে। কিশোরগঞ্জের দুটি হাসপাতালের চিকিৎসকেরা এসব তথ্য দিয়েছেন।
আজ মঙ্গলবার সকালে পুলিশে ও বিএনপির মধ্যে সংঘর্ষে উপজেলার ছয়সূতি ইউনিয়নে ছয়সূতি বাজার এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এ ঘটনায় দুজন নিহত ছাড়াও দুপক্ষের ৬০-৭০ জন আহত হয়েছে।
নিহতরা হলেন ছাত্রদল কর্মী রেফায়েত উল্লাহ (২০) ও ছয়সূতি ইউনিয়ন কৃষক দল সভাপতি বিল্লাল মিয়া (৩৬)। বিল্লাল কুলিয়ারচর উপজেলার ছয়সূতি ইউনিয়নের কাজল মিয়ার ছেলে আর রেফায়েত এই ইউনিয়নের কাউছার মিয়ার ছেলে।
তাঁরা দুজন পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন বলে বিএনপি দাবি করেছে। তবে চিকিৎসকদের তথ্য অনুযায়ী, শুধু রিফাত গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। বিল্লাল মিয়ার গায়ে গুলির চিহ্ন পাওয়া যায়নি।
শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক মো. কামরুল হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আজকের অবরোধে আমরা দুজন রোগী পাই। দুজনের মধ্যে একজন মারা গেছেন আর একজনকে ভর্তি করা হয়েছে। যিনি মারা গেছেন, তাঁর নাম বিল্লাল। তাঁর গলায় ক্ষত পাওয়া গেছে। নিহতের গলায় আঘাতের যে চিহ্ন তা ধারালো কিছু দিয়ে করা।’
আর রিফাতের মরদেহ আছে জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। এই হাসপাতালের এডিশনাল চিফ অব ওয়ার্ড মাস্টার রুকুনুজ্জামান বলেন, রিফাতের শরীরে গুলির চিহ্ন পাওয়া গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, অবরোধের মধ্যে সকালে ছয়সূতি বাজার এলাকায় টহল পুলিশ সদস্যরা পৌঁছালে বিএনপির কর্মীদের সঙ্গে তাঁদের সংঘর্ষ বাধে। তারা পুলিশের দিকে ইটপাটকেল ও ককটেল নিক্ষেপ করে। পুলিশও তাদের ছত্রভঙ্গ করতে কয়েক রাউন্ড রাবার বুলেট ছোড়ে।
কুলিয়ারচর উপজেলা বিএনপির সভাপতি নুরুল মিল্লাত আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের মিছিল ছিল খুবই শান্তিপূর্ণ। শান্তিপূর্ণ মিছিলে পুলিশ নির্বিচার গুলি ছোড়ে। পুলিশের গুলিতে রেফায়েত ও বিল্লাল নামে আমাদের দুইজন নেতা মারা যান।’
কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি শরীফুল আলম বলেন, সকাল ৯টার দিকে অবরোধের সমর্থনে ছয়সূতী ইউনিয়নে আঞ্চলিক সড়কে অবস্থান নেন বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা। পুলিশ বাধা দিলেও সড়কে মিছিল করেন তাঁরা।
কুলিয়ারচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘এ ঘটনায় আমি আহত হয়েছি। বিএনপি-জামায়াতের নেতা-কর্মীরা অতর্কিত হামলা চালান। তাঁরা ককটেল নিক্ষেপও করেন। এ ঘটনায় পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’
এদিকে ওসিসহ ১৫ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন জানিয়ে কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ বলেন, ‘পুলিশকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে আক্রমণ করা হয়েছে। পুলিশ তাদের জীবন রক্ষার্থে আইনানুগ ব্যবস্থা নিয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘মৃত বিল্লালের সুরতহাল প্রতিবেদনে তার যে ইনজুরি দেখা গিয়েছে, তাতে প্রতীয়মান হয় এটি কোনো গুলির ইনজুরি নয়। অন্তর্ঘাতমূলক কোনো কিছু হতে পারে। বিষয়টি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তদন্ত করা হচ্ছে।’
অবরোধের প্রথম দিনে কুলিয়ারচরে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির সংঘর্ষের ঘটনায় নিহত দুজনের মধ্যে একজন গুলিবদ্ধ হয়েছেন। আরেকজনের গলায় শুধু ধারালো কিছুর আঘাতে ক্ষত চিহ্ন পাওয়া গেছে। কিশোরগঞ্জের দুটি হাসপাতালের চিকিৎসকেরা এসব তথ্য দিয়েছেন।
আজ মঙ্গলবার সকালে পুলিশে ও বিএনপির মধ্যে সংঘর্ষে উপজেলার ছয়সূতি ইউনিয়নে ছয়সূতি বাজার এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এ ঘটনায় দুজন নিহত ছাড়াও দুপক্ষের ৬০-৭০ জন আহত হয়েছে।
নিহতরা হলেন ছাত্রদল কর্মী রেফায়েত উল্লাহ (২০) ও ছয়সূতি ইউনিয়ন কৃষক দল সভাপতি বিল্লাল মিয়া (৩৬)। বিল্লাল কুলিয়ারচর উপজেলার ছয়সূতি ইউনিয়নের কাজল মিয়ার ছেলে আর রেফায়েত এই ইউনিয়নের কাউছার মিয়ার ছেলে।
তাঁরা দুজন পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন বলে বিএনপি দাবি করেছে। তবে চিকিৎসকদের তথ্য অনুযায়ী, শুধু রিফাত গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। বিল্লাল মিয়ার গায়ে গুলির চিহ্ন পাওয়া যায়নি।
শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক মো. কামরুল হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আজকের অবরোধে আমরা দুজন রোগী পাই। দুজনের মধ্যে একজন মারা গেছেন আর একজনকে ভর্তি করা হয়েছে। যিনি মারা গেছেন, তাঁর নাম বিল্লাল। তাঁর গলায় ক্ষত পাওয়া গেছে। নিহতের গলায় আঘাতের যে চিহ্ন তা ধারালো কিছু দিয়ে করা।’
আর রিফাতের মরদেহ আছে জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। এই হাসপাতালের এডিশনাল চিফ অব ওয়ার্ড মাস্টার রুকুনুজ্জামান বলেন, রিফাতের শরীরে গুলির চিহ্ন পাওয়া গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, অবরোধের মধ্যে সকালে ছয়সূতি বাজার এলাকায় টহল পুলিশ সদস্যরা পৌঁছালে বিএনপির কর্মীদের সঙ্গে তাঁদের সংঘর্ষ বাধে। তারা পুলিশের দিকে ইটপাটকেল ও ককটেল নিক্ষেপ করে। পুলিশও তাদের ছত্রভঙ্গ করতে কয়েক রাউন্ড রাবার বুলেট ছোড়ে।
কুলিয়ারচর উপজেলা বিএনপির সভাপতি নুরুল মিল্লাত আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের মিছিল ছিল খুবই শান্তিপূর্ণ। শান্তিপূর্ণ মিছিলে পুলিশ নির্বিচার গুলি ছোড়ে। পুলিশের গুলিতে রেফায়েত ও বিল্লাল নামে আমাদের দুইজন নেতা মারা যান।’
কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি শরীফুল আলম বলেন, সকাল ৯টার দিকে অবরোধের সমর্থনে ছয়সূতী ইউনিয়নে আঞ্চলিক সড়কে অবস্থান নেন বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা। পুলিশ বাধা দিলেও সড়কে মিছিল করেন তাঁরা।
কুলিয়ারচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘এ ঘটনায় আমি আহত হয়েছি। বিএনপি-জামায়াতের নেতা-কর্মীরা অতর্কিত হামলা চালান। তাঁরা ককটেল নিক্ষেপও করেন। এ ঘটনায় পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’
এদিকে ওসিসহ ১৫ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন জানিয়ে কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ বলেন, ‘পুলিশকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে আক্রমণ করা হয়েছে। পুলিশ তাদের জীবন রক্ষার্থে আইনানুগ ব্যবস্থা নিয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘মৃত বিল্লালের সুরতহাল প্রতিবেদনে তার যে ইনজুরি দেখা গিয়েছে, তাতে প্রতীয়মান হয় এটি কোনো গুলির ইনজুরি নয়। অন্তর্ঘাতমূলক কোনো কিছু হতে পারে। বিষয়টি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তদন্ত করা হচ্ছে।’
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেছেন, সংস্কৃতির নতুন রূপ হচ্ছে সিনেমা, যা সমাজ পরিবর্তনে ভূমিকা রেখে চলেছে। সিনেমার মাধ্যমে একটি জাতিকে উজ্জীবিত করা যায়। তাই ভালো সিনেমা বিনির্মাণের বিকল্প নেই।
১ মিনিট আগেচট্টগ্রামের কর্ণফুলীতে কক্সবাজারগামী একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে শাহ আমানত সেতুর টোলবক্সের সঙ্গে ধাক্কা লেগে সড়ক বিভাজকের ওপর উঠে পড়ে। এতে বাসটির সামনের অংশ দুমড়েমুচড়ে গেছে।
২১ মিনিট আগেআহত শিক্ষার্থী সোহেলুল হক বলেন, “আমরা গিয়ে বলেছিলাম স্যার আমাদের জীবনটা বাঁচান স্যার। তিন বছরেও আপনি কিছু করতে পারেননি। আমরা এনওসি এনেছি। আপনি সাইন করে দেন। এনওসিতে লেখা ছিল, ‘আমরা যেহেতু ওদের নিবন্ধনের ব্যবস্থা করতে পারছি না। অন্য কোথাও পড়াশোনা করলে আমাদের আপত্তি নেই।’ এই এনওসিতে তিনি...
২৫ মিনিট আগেবরিশালের গৌরনদীতে ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পুকুরে পড়ে দুজন নিহত হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের গৌরনদীতে উপজেলার বার্থী ইউনিয়নের তাঁরাকূপি আরিফ ফিলিং স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে