Ajker Patrika

ঢাকায় মার্কেট দখলের চেষ্টায় শীর্ষ সন্ত্রাসীরা

  • নজর চাঁদার ৫০ কোটি টাকায়
  • দখলে এগিয়ে শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমন
  • সামনে রাখা হচ্ছে বিএনপির লোককে
  • আরেক চক্রে পিচ্চি হেলাল ও সুইডেন আসলাম
আমানুর রহমান রনি, ঢাকা 
আপডেট : ৩০ জানুয়ারি ২০২৫, ১৩: ১৫
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

রাজধানীর নিউ এলিফ্যান্ট রোড ও নিউমার্কেট এলাকায় রয়েছে ছোট-বড় ৫৭টি মার্কেট। এসব বিপণিবিতানসহ ওই এলাকায় ১১ হাজারের বেশি বিভিন্ন ধরনের দোকান ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। এসব দোকান ও মার্কেট থেকে প্রতি মাসে বিভিন্ন সেবা খাত ও সার্ভিস চার্জের নামে ৪৫-৫০ কোটি টাকা চাঁদা তোলা হয়। পরিবর্তিত আইনশৃঙ্খলা ও রাজনৈতিক পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে এই বড় অঙ্কের অর্থের ভাগ পেতে মার্কেটগুলোর নিয়ন্ত্রণ নিতে মাঠে নেমেছে দেশের কয়েকজন শীর্ষ সন্ত্রাসী। ভয়ভীতি দেখিয়ে ও হামলা করে ইতিমধ্যে বেশির ভাগ মার্কেট নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে তারা।

গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরপরই নিউমার্কেট ও নিউ এলিফ্যান্ট রোড এলাকার মার্কেট নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার প্রতিযোগিতায় নামে দেশের শীর্ষ সন্ত্রাসী ও তাদের অনুসারীরা। এ প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে প্রথমেই বিভিন্ন মার্কেট ও দোকানে তালা দেওয়া শুরু হয়। এরপর সংশ্লিষ্ট মার্কেট পরিচালনা কমিটির নেতাদের ফোনে বা তলব করে হুমকি দেওয়া হতে থাকে। এতে আতঙ্কিত হয়ে নেতাদের অনেকে মার্কেটে যাওয়াই বন্ধ করে দেন। এরপর সন্ত্রাসীরা একে একে বিভিন্ন মার্কেট তাদের নিয়ন্ত্রণে নেয় এবং নিজেদের পছন্দের লোক বসায়। কোনো কোনো ক্ষেত্রে এ ব্যাপারে মার্কেট পরিচালনা কমিটির নেতাদের ভয় দেখিয়ে লিখিত অনুমোদন নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে এলাকার ৫৭টি মার্কেটের পরিচালনা কমিটিতেই হয় সন্ত্রাসীরা নিজেদের লোক বসিয়েছে, না হয় আগের কমিটি গোপনে আপস করে টিকে আছে।

কেস স্টাডি গাউসুল আজম মার্কেট

মোতালেব মিয়াসহ কয়েকজন ব্যবসায়ী ২০০০ সালের শেষ দিকে নীলক্ষেতের গাউসুল আজম সুপার মার্কেট নামের বিপণিবিতানটি নির্মাণ করেন। বর্তমানে সেখানে ৮৪২টি দোকান রয়েছে। বর্তমান কমিটির সভাপতি মোতালেব মিয়া এবং সাধারণ সম্পাদক বদিউজ্জামান বাবুল। বাবুল আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরপরই স্থানীয় সন্ত্রাসীরা মার্কেটটিতে তালা দেয়। পরে আইন- শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হস্তক্ষেপে সে তালা খোলা হলেও ঘটনা শেষ হয়নি। এরপর থেকে মোতালেব ও বাবুলকে অপরিচিত ব্যক্তিরা হুমকি দিতে থাকে। আতঙ্কে বাবুল আর মার্কেটে ফেরেননি। মোতালেব হুমকির মধ্যেই নিউমার্কেট থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি মকবুল হোসেন সরদারের মধ্যস্থতায় মার্কেটে যান। এরপরও বিভিন্ন মাধ্যমে হুমকি পেতে থাকায় বিএনপির তরুণ প্রজন্মের এক শীর্ষ নেতার দ্বারস্থ হন মোতালেব মিয়া। মোতালেব মিয়া জানিয়েছেন, গত সেপ্টেম্বরে তিনি রাজধানীর বাংলামোটরে বিএনপির ওই নেতার অফিসে যান। নেতা তাঁর সঙ্গে থাকা কয়েকজনের সঙ্গে মোতালেবের পরিচয় করিয়ে দেন। তাঁদের মধ্যে ছিলেন শীর্ষ সন্ত্রাসী পিচ্চি হেলাল ও সুইডেন আসলাম। মোতালেব মিয়ার দাবি, তাঁর কোনো কথা না শুনেই বিএনপির নেতা বলেন, ‘কামালকে সাধারণ সম্পাদক করে মার্কেট চালান।’ তিনি মোতালেবকে আর কথা বলতে দেননি।

বিএনপির ওই নেতার সুপারিশ করা কামাল হলেন ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক কামাল হোসেন। পিচ্চি হেলালের ঘনিষ্ঠ কামাল একসময় ঢাকা কলেজ ছাত্রদলের নেতা ছিলেন।

সেদিনের ঘটনার বিষয়ে মোতালেব মিয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, তিনি বিএনপির নেতার কাছে সমাধানের জন্য গিয়েছিলেন। কিন্তু সেখানে পিচ্চি হেলাল ও সুইডেন আসলামকে দেখে ভয় পেয়ে যান। এদিকে বিএনপির নেতার সমর্থন পেয়ে কামাল হোসেন লোকজন নিয়ে গাউসুল আজম সুপার মার্কেট দখলে নিয়ে নিজেকে সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করেন। আগের সাধারণ সম্পাদক বাবুলকে হুমকি দিয়ে এ মর্মে লিখিত নিয়ে নেন তিনি।

এ বিষয়ে বদিউজ্জামান বাবুল বলেন, ক্রমাগত হুমকির মুখে তিনি মার্কেটে আসা বন্ধ করেন এবং সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে অব্যাহতি নেন।

কামাল হোসেন এখন নিয়মিত মার্কেটের দোকান মালিক সমিতির অফিসে বসেন। এই মার্কেট থেকে প্রতি মাসে অবৈধ দোকানভাড়া, গ্যাস, পানি ও বিদ্যুৎ, পরিচ্ছন্নতা, নিরাপত্তা, মার্কেটের কর্মীসহ বিভিন্ন খাতে অন্তত ৫০ লাখ টাকা তোলা হয়। এসব বাবদ কিছু অর্থ পরিশোধ করে বাকিটা নিজেদের পকেটে রাখে মার্কেট পরিচালনা কমিটি।

কামাল হোসেনকে মার্কেটের সাধারণ সম্পাদক মেনে নিয়েই সভাপতি মোতালেব মিয়া আবার মার্কেটে যাওয়া শুরু করেন। এ অবস্থায় গত ১৮ ডিসেম্বর মার্কেটে তাঁর ওপর হামলা করা হয়। এ ঘটনায় থানায় করা সাধারণ ডায়েরিতে তিনি কামাল হোসেনকে অভিযুক্ত করেন। তবে কামাল হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, তিনি হামলা করেননি; বরং মোতালেব মিয়া আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের নিয়ে বৈঠক করছেন খবর পেয়ে হাজারীবাগের কিছু ছেলে এসে তাঁকে ধরেছিল। তিনি খবর পেয়ে এসে মোতালেবকে উদ্ধার করেন।

দখলের লড়াইয়ে এগিয়ে ইমন

এলাকার সব মার্কেটের পরিচালনা কমিটির সাধারণ সদস্যরা জানিয়েছেন, দখলে এগিয়ে রয়েছেন শীর্ষ সন্ত্রাসী সানজিদুল ইসলাম ইমন। অন্যদিকে ইমামুল হাসান হেলাল (পিচ্চি হেলাল), সুইডেন আসলাম এবং কয়েক সন্ত্রাসী জোট বেঁধে আরেকটি বলয় সৃষ্টি করেছে। তবে ইমনের প্রভাবের সঙ্গে তারা পেরে উঠছে না। ধানমন্ডি ও নিউমার্কেট এলাকার ছাত্রদল ও যুবদলের প্রভাবশালী নেতারা ইমনের সঙ্গে রয়েছেন। কয়েকটি মার্কেট পরিচালনা কমিটির নেতা ও পুলিশের সূত্র বলেছে, নিয়ন্ত্রণ দখলের পর মার্কেটগুলোর পরিচালনা কমিটির সামনে রাখা হচ্ছে বিএনপির নেতা-কর্মীদের। নেপথ্যে থাকছে শীর্ষ সন্ত্রাসীরা।

পিচ্চি হেলালের ভাই ওয়াহেদুল হাসান দীপু এলিফ্যান্ট রোড কম্পিউটার ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি। ১০ জানুয়ারি রাতে মাল্টিপ্ল্যান মার্কেটের সামনে হামলার শিকার হন দীপু এবং ইপিএস কম্পিউটার সিটির মাল্টিপ্ল্যান শাখার যুগ্ম সদস্যসচিব এহতেসামুল হক। দীপু এ ঘটনায় করা হত্যাচেষ্টা মামলায় শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমনকে আসামি করেছেন।

ওয়াহেদুল হাসান দীপু আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর আগস্ট, সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরে ক্রমাগত চাঁদা দাবি করে আসছিল একটি চক্র। সেপ্টেম্বরে একদিন আমার অফিসে মুন্না, এ কে এম চঞ্চল ও খোকন নামের কয়েকজন আসে। তারা এসে ‘ক্যাপ্টেন কথা বলবে’ বলে একটি ফোন ধরিয়ে দেয় আমাকে। ওপাশ থেকে আমাকে বলা হয়, ‘ওরা যেভাবে বলে, সেভাবে মার্কেট চালাও।’ আমি ফোন রাখার পর ওই লোকদের কাছে ‘ক্যাপ্টেন’ কে জানতে চাই। তারা বলে, ‘ইমন ভাই’।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, মাল্টিপ্ল্যান মার্কেটে পিচ্চি হেলালের আপন ভাই থাকায় এখনো এটির পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিতে পারেননি ইমন। তবে নিউমার্কেটসহ গাউছিয়া, চাঁদনী চক, ইস্টার্ন মল্লিকা, চন্দ্রিমা সুপার মার্কেট ও ধানমন্ডি হকার্স মার্কেটের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছেন তিনি। মার্কেটসহ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ইমনের সঙ্গে পিচ্চি হেলালের দ্বন্দ্ব বাড়ছে। এ নিয়ে ভবিষ্যতে আরও সংঘাতের আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা।

নিউ এলিফ্যান্ট রোডে পিচ্চি হেলালের ভাই দীপুর ওপর হামলার ঘটনায় কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ হোসাইন ওরফে মিথুনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁকে ছাড়িয়ে নিতে নিউমার্কেট থানায় হামলা চালায় অনুসারীরা। ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছির আজকের পত্রিকা’কে বলেন, মিথুনকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

ব্যবস্থা নেওয়ার প্রত্যয় পুলিশের

বিষয়টি নিয়ে ডিএমপির রমনা বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মাসুদ আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, মার্কেটের নিয়ন্ত্রণের লড়াই নিয়ে যতগুলো অভিযোগ পুলিশের কাছে এসেছে, সব কটির বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তবে কিছু লোক নীরবে আঁতাতও করছে, সেখানে তো পুলিশ ব্যবস্থা নিতে পারে না। তবে সবকিছু পুলিশের নজরদারিতে আছে। ছোট সন্ত্রাসী, বড় সন্ত্রাসী কিংবা শীর্ষ সন্ত্রাসী—যে-ই হোক, তাদের বিরুদ্ধে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

কোন্দল, তবু আশাবাদী বিএনপি

  • চার আসনের দুটিতে বিভক্ত বিএনপি
  • ভোটারদের কাছে ছুটছেন বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর সম্ভাব্য প্রার্থীরা
  • তৎপর এনসিপি, গণঅধিকার পরিষদ, খেলাফত মজলিস, ইসলামী আন্দোলন
  • এবারও স্বতন্ত্র প্রার্থী হচ্ছেন হা-মীম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে আজাদ
হাসান মাতুব্বর, ফরিদপুর
কোন্দল, তবু আশাবাদী বিএনপি

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফরিদপুরের চারটি আসনের সব কটিতে প্রাথমিক মনোনয়ন দিয়েছে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী। নেতা-কর্মীদের নিয়ে এলাকায় ব্যাপক প্রচার চালাচ্ছেন উভয় দলের সম্ভাব্য প্রার্থীরা। তৎপর এনসিপি, গণঅধিকার পরিষদ, খেলাফত মজলিস, ইসলামী আন্দোলন, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মতো দলগুলোও। আগামী নির্বাচনে জেলায় অন্তত ৩০ জন প্রার্থী হবেন। তাঁদের মধ্যে হা-মীম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে আজাদসহ অন্তত ছয়জন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছেন।

চার আসনের দুটিতেই বিএনপির জন্য বড় চ্যালেঞ্জ দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দল। তবে চ্যালেঞ্জ কাটিয়ে ওঠার ব্যাপারে আশাবাদী জেলা বিএনপির সদস্যসচিব এ কে এম কিবরিয়া স্বপন। তিনি বলেন, ‘অভ্যন্তরীণ কোন্দলে ভোটে প্রভাব ফেলবে না। বিভেদ ভুলে

সবাই ধানের শীষের পক্ষেই কাজ করবে।’ জামায়াতে ইসলামীর জেলা আমির মুহাম্মাদ বদরুদ্দীন বলেন, ‘চার আসনেই আমাদের ভালো অবস্থান রয়েছে। এখন ইসলামি সমমনা ৮ দলের বিষয়ে কেন্দ্র যে সিদ্ধান্ত দেবে, সেটি মেনে নেওয়া হবে।’

ফরিদপুর-১

আলফাডাঙ্গা, বোয়ালমারী ও মধুখালী উপজেলা নিয়ে ফরিদপুর-১ আসন। তিন উপজেলার মধ্যে বোয়ালমারী ও মধুখালীতে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের ভোট প্রায় সমান। আলফাডাঙ্গায় প্রায় ৯০ শতাংশ মানুষ আওয়ামী লীগ সমর্থক। ৫ আগস্টের পর বিএনপির প্রভাব বাড়লেও দলটির অভ্যন্তরীণ কোন্দল চরমে। উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি শামসুদ্দিন মিয়া ঝুনুর সঙ্গে কৃষক দলের সহসভাপতি খন্দকার নাসিরুল ইসলামের বিবাদে নেতা-কর্মীরা বিভক্ত হয়ে পড়েন। গত ৭ নভেম্বর উপজেলা সদরে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ রণক্ষেত্রে রূপ নেয়। এর মধ্যে ৪ ডিসেম্বর সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে খন্দকার নাসিরুল ইসলামের নাম ঘোষণা করে বিএনপি। এ ঘোষণায় ক্ষুব্ধ শামসুদ্দিন মিয়া ঝুনুর সমর্থকেরা।

খন্দকার নাসিরুল ইসলাম বলেন, ‘দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে বহুদিন পরে গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগের সুযোগ এসেছে। এটি কাজে লাগাতে দলে কোনো ভেদাভেদ না রেখে সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার চেষ্টা করছি।’ শামসুদ্দীন মিয়া বলেন, ‘খন্দকার নাসিরকে মনোনয়ন দিয়ে জাতীয়তাবাদী শক্তিকে ধ্বংস করা হয়েছে। তাঁর কোনো গ্রহণযোগ্যতা নেই, এলাকায় তাঁর কোনো ভোট নেই। যারা দলকে আজকের পর্যায়ে এনেছে, তাদের মূল্যায়ন করা হয়নি। সমর্থকদের নিয়ে বসে পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করা হবে।’

জামায়াতে ইসলামীর সম্ভাব্য প্রার্থী জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান ড. মো. ইলিয়াস মোল্যা। নেতা-কর্মীদের নিয়ে এলাকায় ব্যাপক গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। দলের জেলা আমির মুহাম্মদ বদরুদ্দীন বলেন, একজন হেভিওয়েট প্রার্থী হিসেবে এলাকায় ইলিয়াস মোল্যার গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। ভোটারদের কাছ থেকে ব্যাপক সাড়া মিলছে।

জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম থেকে মুফতি মো. জাকির হুসাইন কাসেমী, খেলাফত মজলিস থেকে মুফতি শারাফাত হুসাইন ও ইসলামী আন্দোলন থেকে ওয়ালিউর রহমান প্রার্থী হতে পারেন। এনসিপির মনোনয়ন পেতে পারেন হাসিবুর রহমান অপু। সাবেক ছাত্রদল নেতা আবুল বাসার খান ও সাংবাদিক আরিফুর রহমান দোলন স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।

ফরিদপুর-২

সালথা ও নগরকান্দা উপজেলা নিয়ে ফরিদপুর-২ আসন। ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে এখান থেকে নির্বাচিত হন বিএনপির সাবেক মহাসচিব কে এম ওবায়দুর রহমান। এবার বিএনপির প্রাথমিক মনোনয়ন পেয়েছেন তাঁর মেয়ে শামা ওবায়েদ। নির্বাচনী প্রচারে বাবার উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থী নগরকান্দা উপজেলা আমির সোহরাব হোসেন। বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের প্রার্থী হতে পারেন শাহ আকরাম আলী। ফরিদপুরে তিনি সর্বজনশ্রদ্ধেয় মুরব্বি হিসেবে পরিচিত। ইসলামি বক্তা হিসেবেও তাঁর জনপ্রিয়তা রয়েছে। শাহ আকরাম আলী বলেন, ‘আমাদের এলাকায় আলেম-ওলামাদের সমর্থক বেশি। সেই হিসেবে চেষ্টা করছি ইসলামি দলগুলোর একক প্রার্থী হতে। সভা-সমাবেশে যেভাবে সাড়া পাচ্ছি, তাতে আমি বিজয়ী হওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী।’

ফরিদপুর-৩

ফরিদপুর সদর উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন এবং একটি পৌরসভা নিয়ে ফরিদপুর-৩ আসন। ১৯৯১ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত আসনটি ছিল বিএনপির সাবেক মন্ত্রী চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফের দখলে। এবার এখানে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী তাঁর মেয়ে চৌধুরী নায়াব ইউসুফ। তবে তাঁকে মেনে নিতে রাজি নন আরেক মনোনয়নপ্রত্যাশী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মোদাররেছ আলী ইছার অনুসারীরা। চৌধুরী নায়াব ইউসুফের প্রাথমিক মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে সমাবেশও করেছেন তাঁরা। চৌধুরী নায়াব ইউসুফ বলেন, ‘আমার বাবা এখান থেকে বারবার নির্বাচিত হয়েছেন। এটা প্রমাণিত যে ফরিদপুর সদরের মানুষ বিএনপিকে ভালোবাসে। মানুষ গত ১৫ বছর ভোট দিতে পারেনি। তারা আবার বিএনপির শাসন ফেরাতে চায়।’

জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থী আবদুত তাওয়াব নেতা-কর্মীদের নিয়ে এলাকায় ব্যাপক প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। প্রচারে দখল বাণিজ্য ও চাঁদাবাজিমুক্ত একটি বৈষম্যহীন সমাজ গঠনের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন তিনি। স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে পারেন হা-মীম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে আজাদ। স্বতন্ত্র হলেও তাঁকে শক্তিশালী প্রার্থী হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। ২০২৪ সালে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে তিনি প্রায় ৬০ হাজার ভোটের ব্যবধানে জয়লাভ করেন। তবে গত ১৯ অক্টোবর তাঁর গণসংযোগে বিএনপি সমর্থকদের হামলার পর তাঁকে আর মাঠে দেখা যায়নি।

খেলাফত মজলিস থেকে আমজাদ হোসাইন, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম থেকে কামরুজ্জামান ও ইসলামী আন্দোলন থেকে কে এম সারোয়ার মনোনয়ন পেতে পারেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে পারেন মোর্শেদুল ইসলাম আসিফ নামের এক তরুণ। হাতেনাতে চাঁদাবাজ ধরে পুলিশে সোপর্দ করে এলাকায় আলোচনার জন্ম দিয়েছেন তিনি। ফরিদপুর পৌরসভায় নিজ উদ্যোগে মশকনিধন কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।

ফরিদপুর-৪

ভাঙ্গা, চরভদ্রাসন ও সদরপুর উপজেলা নিয়ে ফরিদপুর-৪ আসন। এখানে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম বাবলু। তাঁর পৈতৃক বাড়ি ফরিদপুর-২ আসনে হলেও দল তাঁকে এখানে প্রাথমিক মনোনয়ন দিয়েছে। তাঁর বিভিন্ন সমাবেশ ও উঠান বৈঠকে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের পদধারী নেতাদের দেখা গেছে। জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থী ভাঙ্গা উপজেলা আমির সরোয়ার হোসেন। সভা-সমাবেশের মাধ্যমে ভোটারদের আকৃষ্ট করার চেষ্টা করছেন তিনি। খেলাফত মজলিসের প্রার্থী হতে পারেন মো. মিজানুর রহমান মোল্যা। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রচার চালাচ্ছেন স্থপতি মুজাহিদ বেগ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

দিপুকে পিটিয়ে হত্যার পর লাশে আগুন

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
দিপু চন্দ্র দাস। ছবি: সংগৃহীত
দিপু চন্দ্র দাস। ছবি: সংগৃহীত

ময়মনসিংহের ভালুকায় দিপু চন্দ্র দাস নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার পর তাঁর লাশে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার ডুবালিয়াপাড়া এলাকার পাইওনিয়ার নিট কম্পোজিট কারখানা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। এই ঘটনার পর পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, দিপু যে প্রতিষ্ঠানে কাজ করতেন সেই প্রতিষ্ঠানের সহকর্মীরাই তাঁকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, কারখানায় কর্মরত ওই শ্রমিকের বিরুদ্ধে ধর্মীয় কটূক্তির অভিযোগ ওঠে। বিষয়টি জানাজানি হলে সেখানে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে তাঁকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। পরে তাঁর মরদেহ ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশে গাছে ঝুলিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয় এবং এলাকায় চরম উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং অর্ধদগ্ধ মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

দিপু চন্দ্র দাস দুই বছর ধরে ভালুকার জামিরদিয়া এলাকার পাইওনিয়ার নিটওয়্যারস বিডি লিমিটেডে কাজ করছিলেন। তিনি জেলার তারাকান্দা উপজেলার রবি চন্দ্র দাসের ছেলে।

ভালুকা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহেদুল ইসলাম বলেন, ‘ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে দিপু চন্দ্র দাসকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। বিপুলসংখ্যক মানুষের কারণে তাৎক্ষণিকভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়নি। প্রায় দুই ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা হয়।’

এদিকে হত্যাকাণ্ডের ঘটনার পর নিহত দিপুর স্ত্রী মেঘনা রানী বলেন, ‘আমার একমাত্র সন্তান আজ বাবা-হারা। অভাবের সংসার নিয়ে কোথায় যাব, বুঝতে পারছি না। এই হত্যার বিচার চাই।’

আর দিপু চন্দ্র দাসের বোন চম্পা দাস বিলাপ করে বলেন, ‘আমার ভাই বিএ পাস। সে সাধারণ বাটন মোবাইল ব্যবহার করত। ধর্ম নিয়ে তার যথেষ্ট জ্ঞান ছিল। মহানবীকে (সা.) নিয়ে কটূক্তি করার মতো মানুষ সে নয়। উৎপাদন বাড়ানো নিয়ে শ্রমিক ও মালিকপক্ষের সঙ্গে তার বিরোধ ছিল—এমন কথা শুনেছি। সেই কারণেই তাকে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, কোম্পানির লোকজন চাইলে তাঁকে জনতার হাতে তুলে না দিয়ে পুলিশের কাছে দিতে পারতেন। তাহলে এমন নির্মম মৃত্যু হতো না।

নিহত দিপুর বাবা রবি চন্দ্র দাস বলেন, ‘আমার ছেলে ছিল পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। ধর্ম নিয়ে কটূক্তি করলে দেশে আইন আছে, আইনের মাধ্যমেই বিচার হতো। আমরা গরিব বলে ছেলের জীবন রক্ষা করতে পারিনি।’

এদিকে এই ঘটনার জেরে গতকাল শুক্রবার নিহত দিপুর ছোট ভাই অপু চন্দ্র দাস বাদী হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের নামে ভালুকা মডেল থানায় অভিযোগ করেছেন। গতকাল বিকেলে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন ভালুকা মডেল থানার ওসি জাহেদুল ইসলাম।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

৭ ঘণ্টা পর ঝালকাঠির অবরোধ প্রত্যাহার, যান চলাচল স্বাভাবিক

ঝালকাঠি প্রতিনিধি  
বরিশাল–খুলনা আঞ্চলিক মহাসড়কের ঝালকাঠি অংশে অবরোধ সাত ঘণ্টা পর প্রত্যাহার করে নিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
বরিশাল–খুলনা আঞ্চলিক মহাসড়কের ঝালকাঠি অংশে অবরোধ সাত ঘণ্টা পর প্রত্যাহার করে নিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

ইনকিলাব মঞ্চের প্রতিষ্ঠাতা ও মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে হত্যার প্রতিবাদে এবং খুনিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে তাঁর নিজ জেলা ঝালকাঠিতে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে ছাত্র-জনতা। সাত ঘণ্টা পর পুলিশের অনুরোধে আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে অবরোধ প্রত্যাহার করা হলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

আজ জুমার নামাজ শেষে বেলা আড়াইটার দিকে বরিশাল–খুলনা আঞ্চলিক মহাসড়কের ঝালকাঠি কলেজ মোড় এলাকায় অবরোধ শুরু করেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ। অবরোধ চলাকালে মহাসড়কের উভয় পাশে বিপুলসংখ্যক যানবাহন আটকে পড়ে। ফলে যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। তবে রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস, জরুরি ওষুধ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় কাঁচামাল বহনকারী যান চলাচলের সুযোগ দেওয়া হয়।

অবরোধ কর্মসূচিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, এনসিপি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, গণঅধিকার পরিষদের নেতা-কর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন। এ সময় মহাসড়কে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করা হয়।

বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য দেন এনসিপির ঝালকাঠি জেলা আহ্বায়ক মাইনুল ইসলাম মান্না, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঝালকাঠি জেলা আহ্বায়ক আল তৌফিক লিখন, যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াসিন ফেরদৌস ইফতি, সদস্যসচিব রাইয়ান বিন কামাল, গণঅধিকার পরিষদ ঝালকাঠি জেলা যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঝালকাঠি-২ আসনের মনোনীত প্রার্থী মাহমুদুল ইসলাম সাগরসহ অন্য নেতারা।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঝালকাঠি জেলা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াসিন ফেরদৌস ইফতি বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের একজন গুরুত্বপূর্ণ সহযোদ্ধাকে দুর্বৃত্তরা গুলি করে হত্যা করেছে। তিনি সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন। হামলাকারীদের ইন্টারপোলের মাধ্যমে দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। তা না হলে আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

ঝালকাঠি সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) বেলায়েত হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, বেলা আড়াইটায় অবরোধ শুরু হওয়ায় বরিশাল–খুলনা আঞ্চলিক মহাসড়কে ব্যাপক যানজট সৃষ্টি হয়। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনা করে পরিস্থিতি শান্ত করা হলে তাঁরা রাত সাড়ে ৯টার দিকে অবরোধ প্রত্যাহারে সম্মত হন। পরে সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সাবেক নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ ও সাবেক মেয়রের বাড়িতে আগুন

দিনাজপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২: ৪৪
সাবেক প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও সেতাবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আসলাম হোসেনের বোচাগঞ্জের বাড়িতে আগুন দিয়েছেন একদল লোক। ছবি: আজকের পত্রিকা
সাবেক প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও সেতাবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আসলাম হোসেনের বোচাগঞ্জের বাড়িতে আগুন দিয়েছেন একদল লোক। ছবি: আজকের পত্রিকা

সাবেক নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও সেতাবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আসলাম হোসেনের বোচাগঞ্জের বাড়িতে আগুন দিয়েছে একদল লোক। আজ শুক্রবার রাতে দুজনের বাড়িতে আগুন লাগার সংবাদ পেয়ে বোচাগঞ্জ থানা-পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা সেখানে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

স্থানীয় জনতা ও বোচাগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও সেতাবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আসলাম হোসেনের বাড়িতে আগুন দেওয়া হয়। তবে কারা আগুন দিয়েছে, এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা যায়নি।

বোচাগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের সাব-অফিসার শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘রাত সোয়া ৮টার দিকে সাবেক মেয়র আসলামের বাড়িতে আগুন লাগার খবর পেয়ে আমরা সেখানে পৌঁছাই। বর্তমানে আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা হয়েছে।’

এ ছাড়া খালিদ মাহমুদের বাড়ির আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে জানার জন্য বোচাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও কোনো সাড়া মেলেনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত