ফরিদপুর প্রতিনিধি
ভারী বর্ষণের সঙ্গে আকস্মিক ঝড়ে বিধ্বস্ত হয়েছে ফরিদপুরের তিন উপজেলার অন্তত ১০টি গ্রাম। গ্রামগুলোর অধিকাংশ বসতঘর দুমড়ে-মুচড়ে গেছে। উপড়ে পড়েছে শত শত গাছপালা। অনেকে মাথা গোঁজার একমাত্র ঠাঁই হারিয়ে অসহায় হয়ে পড়েছেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার ভোর থেকে জেলায় শুরু হয় মুষলধারে বর্ষণ। চলে আজ শুক্রবার সকাল পর্যন্ত। জেলায় চলতি বছরের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে বলে জেলা আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম জানিয়েছেন। তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ১২৯ দশমিক ৯ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। এতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে জনজীবন।
ভারী বর্ষণে জেলা শহরের পূর্ব খাবাসপুর ও দক্ষিণ ঝিলটুলীর বাসিন্দারা পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। শতাধিক পরিবার এখন পানিবন্দী। ওই এলাকার বাসিন্দা জিল্লুর রহমান রাসেল বলেন, বৃষ্টি হলেই এই এলাকা পানিতে তলিয়ে যায়। বারবার পৌর মেয়রকে জানানোর পরেও কিছুই করছেন না। গতকালের ভারী বর্ষণে যে পানি হয়েছে তা আগামী দুই দিনেও শুকাবে না।
এদিকে গতকাল সন্ধ্যায় আকস্মিক ঝড় হয় আলফাডাঙ্গা, সালথা ও ভাঙ্গা উপজেলায়। এতে উপজেলাগুলোর অন্তত ১০টি গ্রামের প্রায় ২০০ ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে। তবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের হিসাবে ৭৬টি কাঁচা-পাকা ঘরের ক্ষতি হয়েছে। তাৎক্ষণিক ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়িয়েছে উপজেলা প্রশাসন। তবে সঠিক ক্ষতির পরিমাণ এখনো জানা যায়নি।
ঝড়ে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আলফাডাঙ্গা উপজেলার সদর ইউনিয়ন ও টগরবন্ধ ইউনিয়নের অন্তত ছয়টি গ্রাম। ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামগুলোর মধ্যে রয়েছে সদর ইউনিয়ন বিদ্যাধর, ব্রাহ্মণ-জাটিগ্রাম, বেজিডাঙ্গা ও টগরবন্ধ ইউনিয়নের মালা, কৃষ্ণপুর-টগরবান, তিতুরকান্দি।
গ্রামগুলোতে ঝড়ের স্থায়িত্ব ছিল মাত্র এক মিনিট। এতে শতাধিক কাঁচা-পাকা ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে, উপড়ে পড়েছে কমপক্ষে তিন শতাধিক গাছপালা। এ ছাড়া তিনটি বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে পড়ে ওই এলাকায় বিদ্যুতের সংযোগ বন্ধ রয়েছে। তবে কোনো হতাহতের ঘটনা না ঘটলেও ক্ষতিগ্রস্তরা অনেকেই খোলা আকাশের নিচে এবং আশপাশের বাড়ি ও এলাকায় অবস্থান নিয়েছে।
টগরবন্ধ ইউনিয়নের বাসিন্দা ও উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান লায়লা বেগম বলেন, খবর পেয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে সাধ্যমতো সহযোগিতার চেষ্টা করা হয়েছে। টগরবন্ধ ইউনিয়নের তিনটি গ্রামের ৬০ থেকে ৭০টি কাঁচা-পাকা বাড়িঘর, কয়েক শ গাছপালা ভেঙে উপড়ে পড়ে।
আলফাডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রফিকুল হক বলেন, ঝড়ে উপজেলার দু-তিনটি গ্রামের ২০টি ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। বর্তমানে ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণে কাজ চলছে। গাছপালা সরানো হচ্ছে। তালিকা করে সহায়তা দেওয়া হবে।
এদিকে সালথা উপজেলার বল্লভদী ইউনিয়নের সোনাতন্দী নামে একটি গ্রামে ঝড় আঘাত হানে। বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ঝড়টির স্থায়িত্ব ছিল মাত্র তিন মিনিট বলে জানান স্থানীয়রা। এতে ভেঙে গেছে ২১টি ঘরবাড়ি ও অসংখ্য গাছপালা।
সালথার ইউএনও আনিচুর রহমান বালি বলেন, উপজেলার শুধু একটি গ্রামেই ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গ্রামটির অন্তত ২১টি ঘরবাড়ির ক্ষতি হয়েছে এবং ১০-১২টি ঘরের বেশি ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে তাৎক্ষণিক সহায়তা হিসেবে ২৫ কেজি চাল, ডাল, তেল ও লবণ দেওয়ার প্রস্তুতি চলছে।
অন্যদিকে ভাঙ্গা উপজেলার আজিমনগর, পুকুরিয়া ও নওয়াপাড়া গ্রামের ৩০-৩৫টি ঘরবাড়ির ক্ষতি হয়েছে বলে জানান ইউএনও আজিম উদ্দিন। ইউএনও বলেন, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনো জানা যায়নি। তাৎক্ষণিকভাবে জেলা প্রশাসকসহ আমরা শুকনো খাবার নিয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে যাচ্ছি।
জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. কামরুল আহসান তালুকদার বলেন, হঠাৎ করে ঝড়টি আঘাত হানে। স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের সর্বাত্মক সাহায্য সহযোগিতা করা হবে।
ভারী বর্ষণের সঙ্গে আকস্মিক ঝড়ে বিধ্বস্ত হয়েছে ফরিদপুরের তিন উপজেলার অন্তত ১০টি গ্রাম। গ্রামগুলোর অধিকাংশ বসতঘর দুমড়ে-মুচড়ে গেছে। উপড়ে পড়েছে শত শত গাছপালা। অনেকে মাথা গোঁজার একমাত্র ঠাঁই হারিয়ে অসহায় হয়ে পড়েছেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার ভোর থেকে জেলায় শুরু হয় মুষলধারে বর্ষণ। চলে আজ শুক্রবার সকাল পর্যন্ত। জেলায় চলতি বছরের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে বলে জেলা আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম জানিয়েছেন। তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ১২৯ দশমিক ৯ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। এতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে জনজীবন।
ভারী বর্ষণে জেলা শহরের পূর্ব খাবাসপুর ও দক্ষিণ ঝিলটুলীর বাসিন্দারা পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। শতাধিক পরিবার এখন পানিবন্দী। ওই এলাকার বাসিন্দা জিল্লুর রহমান রাসেল বলেন, বৃষ্টি হলেই এই এলাকা পানিতে তলিয়ে যায়। বারবার পৌর মেয়রকে জানানোর পরেও কিছুই করছেন না। গতকালের ভারী বর্ষণে যে পানি হয়েছে তা আগামী দুই দিনেও শুকাবে না।
এদিকে গতকাল সন্ধ্যায় আকস্মিক ঝড় হয় আলফাডাঙ্গা, সালথা ও ভাঙ্গা উপজেলায়। এতে উপজেলাগুলোর অন্তত ১০টি গ্রামের প্রায় ২০০ ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে। তবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের হিসাবে ৭৬টি কাঁচা-পাকা ঘরের ক্ষতি হয়েছে। তাৎক্ষণিক ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়িয়েছে উপজেলা প্রশাসন। তবে সঠিক ক্ষতির পরিমাণ এখনো জানা যায়নি।
ঝড়ে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আলফাডাঙ্গা উপজেলার সদর ইউনিয়ন ও টগরবন্ধ ইউনিয়নের অন্তত ছয়টি গ্রাম। ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামগুলোর মধ্যে রয়েছে সদর ইউনিয়ন বিদ্যাধর, ব্রাহ্মণ-জাটিগ্রাম, বেজিডাঙ্গা ও টগরবন্ধ ইউনিয়নের মালা, কৃষ্ণপুর-টগরবান, তিতুরকান্দি।
গ্রামগুলোতে ঝড়ের স্থায়িত্ব ছিল মাত্র এক মিনিট। এতে শতাধিক কাঁচা-পাকা ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে, উপড়ে পড়েছে কমপক্ষে তিন শতাধিক গাছপালা। এ ছাড়া তিনটি বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে পড়ে ওই এলাকায় বিদ্যুতের সংযোগ বন্ধ রয়েছে। তবে কোনো হতাহতের ঘটনা না ঘটলেও ক্ষতিগ্রস্তরা অনেকেই খোলা আকাশের নিচে এবং আশপাশের বাড়ি ও এলাকায় অবস্থান নিয়েছে।
টগরবন্ধ ইউনিয়নের বাসিন্দা ও উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান লায়লা বেগম বলেন, খবর পেয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে সাধ্যমতো সহযোগিতার চেষ্টা করা হয়েছে। টগরবন্ধ ইউনিয়নের তিনটি গ্রামের ৬০ থেকে ৭০টি কাঁচা-পাকা বাড়িঘর, কয়েক শ গাছপালা ভেঙে উপড়ে পড়ে।
আলফাডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রফিকুল হক বলেন, ঝড়ে উপজেলার দু-তিনটি গ্রামের ২০টি ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। বর্তমানে ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণে কাজ চলছে। গাছপালা সরানো হচ্ছে। তালিকা করে সহায়তা দেওয়া হবে।
এদিকে সালথা উপজেলার বল্লভদী ইউনিয়নের সোনাতন্দী নামে একটি গ্রামে ঝড় আঘাত হানে। বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ঝড়টির স্থায়িত্ব ছিল মাত্র তিন মিনিট বলে জানান স্থানীয়রা। এতে ভেঙে গেছে ২১টি ঘরবাড়ি ও অসংখ্য গাছপালা।
সালথার ইউএনও আনিচুর রহমান বালি বলেন, উপজেলার শুধু একটি গ্রামেই ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গ্রামটির অন্তত ২১টি ঘরবাড়ির ক্ষতি হয়েছে এবং ১০-১২টি ঘরের বেশি ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে তাৎক্ষণিক সহায়তা হিসেবে ২৫ কেজি চাল, ডাল, তেল ও লবণ দেওয়ার প্রস্তুতি চলছে।
অন্যদিকে ভাঙ্গা উপজেলার আজিমনগর, পুকুরিয়া ও নওয়াপাড়া গ্রামের ৩০-৩৫টি ঘরবাড়ির ক্ষতি হয়েছে বলে জানান ইউএনও আজিম উদ্দিন। ইউএনও বলেন, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনো জানা যায়নি। তাৎক্ষণিকভাবে জেলা প্রশাসকসহ আমরা শুকনো খাবার নিয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে যাচ্ছি।
জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. কামরুল আহসান তালুকদার বলেন, হঠাৎ করে ঝড়টি আঘাত হানে। স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের সর্বাত্মক সাহায্য সহযোগিতা করা হবে।
উত্তরের জেলা কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে বেড়েছে শীতের তীব্রতা। মধ্য রাত থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে শুরু করে। সকাল ৯-১০টা পর্যন্ত কুয়াশায় ঢেকে থাকে চারপাশ। এ সময় হেড লাইট জ্বালিয়ে চলাচল করে যানবাহন। এমন অবস্থায় ভোগান্তি বেড়েছে অটোরিকশাচালক ও খেটে খাওয়া মানুষের।
১০ মিনিট আগেরাজধানীর জুরাইনে সড়ক ও রেলপথ অবরোধ করে রাখা ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে। এ ঘটনায় বেলা পৌনে ১২টা থেকে ঢাকা-পদ্মা সেতু রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল। পরে চালকেরা অবরোধ তুলে নিলে ৩ ঘণ্টা পর বেলা ৩টার দিকে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
২৪ মিনিট আগেপ্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেছেন, সংস্কৃতির নতুন রূপ হচ্ছে সিনেমা, যা সমাজ পরিবর্তনে ভূমিকা রেখে চলেছে। সিনেমার মাধ্যমে একটি জাতিকে উজ্জীবিত করা যায়। তাই ভালো সিনেমা বিনির্মাণের বিকল্প নেই।
৩৫ মিনিট আগেচট্টগ্রামের কর্ণফুলীতে কক্সবাজারগামী একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে শাহ আমানত সেতুর টোলবক্সের সঙ্গে ধাক্কা লেগে সড়ক বিভাজকের ওপর উঠে পড়ে। এতে বাসটির সামনের অংশ দুমড়েমুচড়ে গেছে।
১ ঘণ্টা আগে