Ajker Patrika

সরকার ও ইসি চাইলেই সুষ্ঠু নির্বাচন হয়: সুজন সম্পাদক

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
সরকার ও ইসি চাইলেই সুষ্ঠু নির্বাচন হয়: সুজন সম্পাদক

সরকার ও নির্বাচন কমিশন চাইলে যে কোনো নির্বাচন সুষ্ঠু হয়। এর পাশাপাশি প্রার্থী দুর্নীতিগ্রস্ত না হলে এবং মনোনয়ন বাণিজ্য না হলে নির্বাচন সুষ্ঠু হতে পারে বলে মত দিয়েছেন সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার। 

অধ্যাপক রওনক জাহানের সঞ্চালনায় এবং রেহমান সোবহানের সভাপতিত্বে শনিবার ‘সদ্য সমাপ্ত নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচন: জনপ্রতিনিধি নির্বাচন প্রক্রিয়া এবং অভিজ্ঞতা’ শীর্ষক ভার্চুয়াল সংলাপে এই মত দেন তিনি। 

বদিউল আলম বলেন, প্রশাসন যদি নির্বাচনকে প্রভাবিত করার চেষ্টা না করে এবং রাজনৈতিক দলগুলো যদি বিশৃঙ্খলা আচরণ না করে এবং সহিংসতা না করলে সুষ্ঠু নির্বাচন হয়। প্রার্থী দুর্নীতিগ্রস্ত হলে, মনোনয়ন বাণিজ্য হলে নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়। কারণ মনোনয়ন বাণিজ্য হলে সর্বশক্তি নিয়োগ করে নির্বাচন করে বিনিয়োগ উঠিয়ে নিতে চায়। এবার নাসিক নির্বাচন কমিশন এমন কোনো আচরণ করেনি যা সুষ্ঠু নির্বাচনে বাধা হয়। নারায়ণগঞ্জে সরকারের ভূমিকা ছিল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। প্রশাসন দৃশ্যমানভাবে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করেনি। প্রার্থীরাও অসদাচরণ করেননি। 

নারায়ণগঞ্জ নির্বাচন আওয়ামী লীগের জন্য ঝুঁকি ছিল না উল্লেখ করে বদিউল আলম বলেন, কারণ প্রার্থী হিসেবে আইভী তারকা প্রার্থী। প্রভাব ছাড়াই জিতে আসার সম্ভাবনা উজ্জ্বল ছিল। তাই এখানে সরকারের কোনো ঝুঁকি ছিল না। স্থানীয় নির্বাচনের মাধ্যমে পরিবর্তন হবে না। অতএব আইভী হেরে গেলেও কিছু যায় আসে না। নির্বাচন যে সুষ্ঠুভাবে করা যায় এই বার্তাটা খুব জোরালোভাবে দেওয়া হয়েছে। মানুষ এটা গ্রহণ করবে কিনা, তা তাদের বিষয়। 

বদিউল আলম বলেন, ইভিএম ব্যবহার করে হারিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে তৈমুর অভিযোগ করেছেন। তবে আমি ব্যক্তিগতভাবে বিশ্বাস করি না এটা হয়েছে। তবে কেউ প্রমাণ করতে পারবে না। ভোট পুনর্গণনার কোনো সুযোগ নেই। ইভিএম মেশিন কেনার আগে যে কারিগরি কমিটি করা হয়েছিল সেই কমিটির সদস্য অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরী নিরাপত্তা ত্রুটির কথা জানিয়ে সই করেননি। তিনি বলেছিলেন, কাগজে কোনো ব্যাকআপ নেই। আমিও বলে আসছি জাতীয় নির্বাচনে এই ইভিএম ব্যবহার করা উচিত নয়। 

সুজন সম্পাদক বলেন, ‘এটা একটা ইউনিক নির্বাচন। এর থেকে অনেক কিছু শিক্ষণীয়। সরকার ও নির্বাচন কমিশন চাইলে আর প্রার্থী যদি দুর্নীতগ্রস্ত না হয় সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে। তবে ইভিএম থেকে সাবধান থাকা দরকার।’ 

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে কেন ভোট কম পড়েছে, সে বিষয়ে গবেষণা হওয়া উচিত বলে মত দিয়েছেন স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞা তোফায়েল আহমেদ। তিনি বলেন, সৎ ও জনসম্পৃক্ত নেতৃত্ব প্রার্থী হলে মানুষ ভোট দিতে আসে। নারায়ণগঞ্জে সরকার কোনো ঝুঁকি অনুভব করেনি। যার ফলে কেউ সেখানে সহিংসতা করেনি। 

সংলাপে অংশ নিয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, ইভিএমকে হারার কারণ হিসেবে বলেছেন তৈমুর। আমি তো মনে করি এটা উভয়ের জন্যই প্রযোজ্য। আইভী বলেছেন, তার ভোট কম পাওয়ার জন্য ইভিএম মেশিন। ইভিএম নিয়ে আপনাদের (সিপিডি) কাছ থেকে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব পেলে সেটা সরকার ও নির্বাচন কমিশন অবশ্যই বিবেচনা করবে। 

এম এ মান্নান বলেন, ‘হারার পরে তৈমুরকে বিএনপি থেকে বহিষ্কার করা হলো। আগে কেন করল না? বিএনপি তার প্রতি অবিচার করেছে। নারায়ণগঞ্জ নির্বাচনে প্রমাণ হয়েছে আওয়ামী লীগ ও আওয়ামী লীগ সরকার পজিটিভ রোল প্লে করেছে। যারা মাঠ ছেড়ে চলে যায়, মাঠের বাইরে গিয়ে পানি ঘোলা করে তাদের সমন্ধে বেশি করে বলুন। কারণ তারা আপনাদের কথা শুনবে বলে আমরা আশা করি।’ 

সাবেক নির্বাচন কমিশনার এম সাখাওয়াত হোসেন, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, সংসদ সদস্য অ্যারোমা দত্ত, বিএনপির সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানা, নারায়ণগঞ্জের মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী সংলাপে অংশ নেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

চার মন্ত্রণালয় ও প্রতিষ্ঠানের সেবা ডিজিটাইজ করার নির্দেশ দিল সরকার

গত দশ বছর ভিসা না পাওয়ার কারণে বাংলাদেশে আসতে পারিনি: মাইলাম

তিন নারী আমার জীবনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ: তারেক রহমান

একাত্তর ও এক-এগারোর সময় বাংলাদেশ বিষয়ে মার্কিন নীতি ভুল ছিল: ড্যানিলোভিচ

সীতাকুণ্ডে সৈকতে বন্ধুকে বেঁধে রেখে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত