Ajker Patrika

সাবেক কর কমিশনারের বাড়ি থেকে পড়ে গৃহকর্মীর মৃত্যু, গাড়িতে আগুন দিল বিক্ষুব্ধ জনতা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৯: ২৯
সাবেক কর কমিশনারের বাড়ি থেকে পড়ে গৃহকর্মীর মৃত্যু, গাড়িতে আগুন দিল বিক্ষুব্ধ জনতা

রাজধানীর রামপুরা বনশ্রীর একটি বহুতল বাড়িতে আসমা বেগম (৪২) নামে এক গৃহকর্মীর মৃত্যুর ঘটনায় বিক্ষুব্ধ বাসিন্দারা দুইটি গাড়ি ও একটি মোটরসাইকেলে আগুন দিয়েছে। এ সময় পুলিশের ওপর হামলা চালায় বিক্ষুব্ধরা। পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সংঘর্ষে রামপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ (ওসি) চারজন পুলিশ ও তিন ব্যক্তি আহত হয়েছেন। 

বাড়ির মালিকের দাবি, ওই গৃহকর্মী ছাদ থেকে লাফিয়ে পরে আত্মহত্যা করেছেন। তবে বিক্ষুব্ধ বাসিন্দাদের দাবি, গৃহকর্মীকে হত্যা করা হয়েছে। 

পুলিশ মৃত্যুর কারণ জানতে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। 

আজ রোববার সকালে রামপুরার বনশ্রীর–ডি ব্লকের ৪ নম্বর রোডের ৩২ নম্বর বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে। বাড়িটির মালিক দেলোয়ার হোসেন নামে সাবেক একজন কর কমিশনার। নিহত আসমা বেগম বাড়ির মালিক দেলোয়ারের মেয়ে কানিজ ফাতিমার মিরপুরের মধ্যমনিপুরের বাসায় কাজ করতেন। দুদিন আগে কানিজ ফাতিমা গৃহকর্মী আসমা বেগমকে নিয়ে ওই বাড়িতে বেড়াতে আসেন। নিহত আসমা বেগমের গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর থানার কোকরাই এলাকায়। 

সরেজমিনে বাড়িটির নিচে দেখা যায়, ছয় তলা বাসাটির সামনে কাচের টুকরা পড়ে আছে। বাসার নিচতলায় তিনটি প্রাইভেটকার ভাঙচুর করা। দুটি গাড়ি, একটি মোটরসাইকেল পুড়ে গেছে। নিচতলার একটি কক্ষের জানালার কাচ ভাঙচুর করা হয়েছে। এ ছাড়া ছয়তলা ভবনটির নিচতলা ও দ্বিতীয় তলা অনেকটাই পুড়ে গেছে। আগুনের শিখায় কালো দাগ তৃতীয় ও চতুর্থ তলায়। সিঁড়িতেও আগুনের শিখার কালো দাগ দেখা গেছে। সন্ধ্যা নাগাদ বাসাটির সামনের সড়ক বন্ধ রাখে পুলিশ। 
 
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে রামপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মশিউর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সকালে বাড়ির মালিকের ছেলে মেহেদী হাসান জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এ ফোন দেন। সংবাদ পেয়ে পুলিশের একটি দল ওই বাড়ির সামনে যায়। সেখানে গিয়ে এক নারীর মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন। কিছু লোকও ওই মরদেহ ঘিরে ছিল। মরদেহ উদ্ধার করে যখন ময়নাতদন্তের জন্য পুলিশের দল আইনগত প্রক্রিয়া শুরু করেছিল, তখন বিক্ষুব্ধ জনতা তাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। ইটপাটকেলের আঘাতে আমিসহ ৭-৮ জন আহত হয়েছি।’ 

আসমা বেগমকে দুই মাস আগে কানিজ ফাতিমার বাসায় গৃহকর্মীর কাজ পাইয়ে দেন তারই এলাকার আরেক গৃহকর্মী রেশমা বেগম। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আসমা আমার এলাকার মেয়ে। আমাদের দুজনের বাড়িই বাজিতপুর। আসমার স্বামী মারা গেছে। এক ছেলে আজিজুর রহমান বাড়িতে স্ত্রী–সন্তান নিয়ে থাকে। আসমা ঢাকাতে বিভিন্ন বাসা বাড়িতেই কাজ করত। দুই মাস আগে মধ্যমনিপুরে কানিজ ফাতিমার বাড়িতে দশ হাজার টাকা বেতনে কাজে দেই।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘আজ সকালে কানিজ ফাতিমা আমাকে ফোন দিয়ে জানায়, বনশ্রীতে একটা ঝামেলা হয়েছে, দ্রুত আসেন। আমি এসে দেখি রাস্তায় আসমার রক্তাক্ত মরদেহ পরে আছে। মাথা দিয়ে রক্ত বের হচ্ছে। অনেক মানুষ মরদেহ ঘিরে আছে। পরে আমাকে বাড়ির চারতলায় বাড়িওয়ালার বাসায় নিয়ে যায়। ঘটনার বর্ণনা দিয়ে তারা সবাই আমাকে বলেন, আসমা ছাদে কাপড় শুকাতে দিতে গিয়ে লাফিয়ে পরে আত্মহত্যা করেছেন। আমার বিশ্বাস হলো না। ছাদ থেকে কেন লাফ দেবে। এরপর আমাকে আর নিচে নামতে দেয়নি। পরে বাড়িতে লোকজন আগুন ধরিয়ে দেয়। এটা আত্মহত্যা বলে আমরা বিশ্বাস হয় না।’ 

ঘটনার বর্ণনা দিয়ে বাড়িওয়ালা মো. দেলোয়ার হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গাজীপুরে একটি রিসোর্টে বেড়াতে গিয়েছিলাম পরিবারের সবাই মিলে। রাতে ফিরে আসি। আমাদের বাসার ছাদে কাপড় ধোয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। সকালে কাজের মেয়ে আসমা কাপড় ধোয়ার কথা বলে ছাদে যায়। তার কিছুক্ষণ পরই শুনি নিচে লাশ পড়ে আছে। পরে পুলিশকে খবর দেই। তার কিছুক্ষণের মধ্যেই লোকজন ভাঙচুর শুরু করে।’ 
 
আজ রোববার সকাল ৮টার দিকে বনশ্রী-ই ব্লকের ৪ নম্বর রোডের ৩২ নম্বর বাসায় এ ঘটনা ঘটে। ছবি: সংগৃহিততিনি দাবি করেন, আসমা তার ছেলেকে নিয়ে বেশ কিছু দিন ধরেই মানসিক চাপে ছিলেন। নিজে যেই টাকা আয় করতেন তা ছেলেকে পাঠাতেন। 
 
ঘটনাস্থলের সামনের একটি বাড়ির নিরাপত্তাকর্মী মো. বারেক মোল্লা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ঘুম থেকে উঠেই শুনি বাইরে লাশ পড়ে আছে। বের হয়ে দেখি, সামনের ভবনের গেটের পিলারের কাছেই সালোয়ার কামিজ পরা একটা নারীর লাশ পড়ে আছে। মাথায় আঘাত ও রক্ত ছড়িয়ে আছে। প্রথমে অল্প কিছু লোক ছিল। কয়েক মিনিটের মধ্যেই শত শত লোক জড়ো হয়ে যায়।’ 

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী বনশ্রী-ই ব্লকের ফুটপাতে চা বিক্রেতা সিরাজুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সকালে বনশ্রী এলাকায় খবর ছড়িয়ে পরে ডি–ব্লকে গৃহকর্মীকে হত্যা করে সড়কে মরদেহ ফেলে রাখা হয়েছে। এরপর দ্রুত ওই বাড়ির সামনে বিভিন্ন ব্লকের গৃহকর্মীরা জড়ো হতে থাকেন। তারা বিক্ষোভ শুরু করেন। পুলিশ মরদেহ নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল, তখন শ্রমিক, গৃহকর্মী, রিকশাচালকেরা বাড়িতে হামলা চালায়।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘বাড়ির প্রধান ফটক দিয়ে বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করে। এর কিছুক্ষণ পর বাড়িটির নিচতলায় আগুন দেখা যায়। ধোয়া বের হয়। পুলিশ লাঠিপেটা করেও প্রথমে কাউকে সরাতে পারেনি। পরে পুলিশ বাড়ানো হলে কয়েক দফায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।’ 

সংঘর্ষের পর ঘটনার বর্ণনা দিয়ে বনশ্রী সোসাইটির নিরাপত্তা বিষয়ক সম্পাদক আহসান উল্লাহ সাংবাদিকদের বলেন, গৃহকর্মীকে হত্যা করা হয়েছে বলে গুজব ছিল। এমন খবর পেয়ে তিনি নিজেই সকালে বাড়িটিতে যান। গিয়ে তিনি শুনতে পান বাড়ির মালিক দেলোয়ার হোসেনের মেয়ের বাসার গৃহকর্মী বেড়াতে এসে ছাদ থেকে পড়ে নিহত হয়েছেন। সেই ঘটনা নিয়ে এই সংঘর্ষ হয়েছে। 

নিহত আসমা বেগমের সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করেছেন রামপুরা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) তওফিকা ইয়াসমিন। সুরতহাল প্রতিবেদনে মৃত্যুর সম্ভাব্য কারণ উল্লেখ করা হয়েছে আত্মহত্যা। তিনি তার প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছেন, বাড়ির মালিকের মেয়ে কানিজ ফাতিমার ভাষ্যমতে ষষ্ঠতলা ভবনের ছাদ থেকে লাফিয়ে পরে আসমা বেগম আত্মহত্যা করেছেন। পুলিশকে খবর দিলে দ্রুত আমি ঘটনাস্থলে যাই। সেখানে গিয়ে সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করি। 

এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মতিঝিল বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) হায়াতুল ইসলাম বলেন, ‘শত শত লোক জড়ো হয়ে পুলিশের ওপর হামলা করেছে। তারা পুলিশকে লাশ উদ্ধারে বাধা দেয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। একপর্যায়ে তারা বাড়িটির নিচ তলায় রাখা দুটি গাড়ি ও একটি মোটরসাইকেলে আগুন দেয়। নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘কোম্পানির লোকেরাই আমার ভাইকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে’

আমি লজ্জিত, নিজেকে মাটিতে পুঁতে দিতে ইচ্ছে করছে—ফেসবুকে প্রেস সচিব

তাহলে কি বাংলাদেশ-ভারত ফাইনাল

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার সম্পাদকের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ফোনালাপ

গণমাধ্যমে হামলা ও ময়মনসিংহে নৃশংসতায় জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না, সরকারের বিবৃতি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

৭ ঘণ্টা পর ঝালকাঠির অবরোধ প্রত্যাহার, যান চলাচল স্বাভাবিক

ঝালকাঠি প্রতিনিধি  
বরিশাল–খুলনা আঞ্চলিক মহাসড়কের ঝালকাঠি অংশে অবরোধ সাত ঘণ্টা পর প্রত্যাহার করে নিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
বরিশাল–খুলনা আঞ্চলিক মহাসড়কের ঝালকাঠি অংশে অবরোধ সাত ঘণ্টা পর প্রত্যাহার করে নিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

ইনকিলাব মঞ্চের প্রতিষ্ঠাতা ও মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে হত্যার প্রতিবাদে এবং খুনিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে তাঁর নিজ জেলা ঝালকাঠিতে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে ছাত্র-জনতা। সাত ঘণ্টা পর পুলিশের অনুরোধে আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে অবরোধ প্রত্যাহার করা হলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

আজ জুমার নামাজ শেষে বেলা আড়াইটার দিকে বরিশাল–খুলনা আঞ্চলিক মহাসড়কের ঝালকাঠি কলেজ মোড় এলাকায় অবরোধ শুরু করেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ। অবরোধ চলাকালে মহাসড়কের উভয় পাশে বিপুলসংখ্যক যানবাহন আটকে পড়ে। ফলে যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। তবে রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস, জরুরি ওষুধ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় কাঁচামাল বহনকারী যান চলাচলের সুযোগ দেওয়া হয়।

অবরোধ কর্মসূচিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, এনসিপি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, গণঅধিকার পরিষদের নেতা-কর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন। এ সময় মহাসড়কে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করা হয়।

বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য দেন এনসিপির ঝালকাঠি জেলা আহ্বায়ক মাইনুল ইসলাম মান্না, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঝালকাঠি জেলা আহ্বায়ক আল তৌফিক লিখন, যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াসিন ফেরদৌস ইফতি, সদস্যসচিব রাইয়ান বিন কামাল, গণঅধিকার পরিষদ ঝালকাঠি জেলা যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঝালকাঠি-২ আসনের মনোনীত প্রার্থী মাহমুদুল ইসলাম সাগরসহ অন্য নেতারা।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঝালকাঠি জেলা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াসিন ফেরদৌস ইফতি বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের একজন গুরুত্বপূর্ণ সহযোদ্ধাকে দুর্বৃত্তরা গুলি করে হত্যা করেছে। তিনি সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন। হামলাকারীদের ইন্টারপোলের মাধ্যমে দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। তা না হলে আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

ঝালকাঠি সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) বেলায়েত হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, বেলা আড়াইটায় অবরোধ শুরু হওয়ায় বরিশাল–খুলনা আঞ্চলিক মহাসড়কে ব্যাপক যানজট সৃষ্টি হয়। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনা করে পরিস্থিতি শান্ত করা হলে তাঁরা রাত সাড়ে ৯টার দিকে অবরোধ প্রত্যাহারে সম্মত হন। পরে সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘কোম্পানির লোকেরাই আমার ভাইকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে’

আমি লজ্জিত, নিজেকে মাটিতে পুঁতে দিতে ইচ্ছে করছে—ফেসবুকে প্রেস সচিব

তাহলে কি বাংলাদেশ-ভারত ফাইনাল

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার সম্পাদকের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ফোনালাপ

গণমাধ্যমে হামলা ও ময়মনসিংহে নৃশংসতায় জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না, সরকারের বিবৃতি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সাবেক নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ ও সাবেক মেয়রের বাড়িতে আগুন

দিনাজপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২: ৪৪
সাবেক প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও সেতাবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আসলাম হোসেনের বোচাগঞ্জের বাড়িতে আগুন দিয়েছেন একদল লোক। ছবি: আজকের পত্রিকা
সাবেক প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও সেতাবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আসলাম হোসেনের বোচাগঞ্জের বাড়িতে আগুন দিয়েছেন একদল লোক। ছবি: আজকের পত্রিকা

সাবেক নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও সেতাবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আসলাম হোসেনের বোচাগঞ্জের বাড়িতে আগুন দিয়েছে একদল লোক। আজ শুক্রবার রাতে দুজনের বাড়িতে আগুন লাগার সংবাদ পেয়ে বোচাগঞ্জ থানা-পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা সেখানে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

স্থানীয় জনতা ও বোচাগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও সেতাবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আসলাম হোসেনের বাড়িতে আগুন দেওয়া হয়। তবে কারা আগুন দিয়েছে, এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা যায়নি।

বোচাগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের সাব-অফিসার শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘রাত সোয়া ৮টার দিকে সাবেক মেয়র আসলামের বাড়িতে আগুন লাগার খবর পেয়ে আমরা সেখানে পৌঁছাই। বর্তমানে আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা হয়েছে।’

এ ছাড়া খালিদ মাহমুদের বাড়ির আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে জানার জন্য বোচাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও কোনো সাড়া মেলেনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘কোম্পানির লোকেরাই আমার ভাইকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে’

আমি লজ্জিত, নিজেকে মাটিতে পুঁতে দিতে ইচ্ছে করছে—ফেসবুকে প্রেস সচিব

তাহলে কি বাংলাদেশ-ভারত ফাইনাল

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার সম্পাদকের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ফোনালাপ

গণমাধ্যমে হামলা ও ময়মনসিংহে নৃশংসতায় জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না, সরকারের বিবৃতি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ময়মনসিংহে যুবককে পিটিয়ে হত্যা: অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে মামলা

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২: ১৮
দিপু চন্দ্র দাস। ছবি: সংগৃহীত
দিপু চন্দ্র দাস। ছবি: সংগৃহীত

ময়মনসিংহের ভালুকায় দিপু চন্দ্র দাস (২৮) নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা ও মরদেহে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আজ শুক্রবার নিহত দিপুর ছোট ভাই অপু চন্দ্র দাস বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ভালুকা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহেদুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিক্ষুব্ধ জনতার হাতে নিহত হন দিপু চন্দ্র দাস। এ ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা হয়েছে।

এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার ডুবালিয়াপাড়া এলাকার পাইওনিয়ার নিট কম্পোজিট কারখানা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত দিপু চন্দ্র দাস জেলার তারাকান্দা উপজেলার মোকামিয়া কান্দা গ্রামের রবি চন্দ্র দাসের ছেলে। তিনি ওই কোম্পানির শ্রমিক ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘কোম্পানির লোকেরাই আমার ভাইকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে’

আমি লজ্জিত, নিজেকে মাটিতে পুঁতে দিতে ইচ্ছে করছে—ফেসবুকে প্রেস সচিব

তাহলে কি বাংলাদেশ-ভারত ফাইনাল

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার সম্পাদকের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ফোনালাপ

গণমাধ্যমে হামলা ও ময়মনসিংহে নৃশংসতায় জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না, সরকারের বিবৃতি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার পত্রিকা অফিসে হামলায় র‍্যাকের নিন্দা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার পত্রিকা অফিসে হামলায় র‍্যাকের নিন্দা

কতিপয় উচ্ছৃঙ্খল ব্যক্তি দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকা অফিসে যে হামলা চালিয়েছে, তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে রিপোর্টার্স অ্যাগেইনস্ট করাপশন (র‍্যাক)।

অন্যদিকে, দুই গণমাধ্যমে আটকে পড়া সাংবাদিকদের উদ্ধার করতে গিয়ে নাজেহাল ও হেনস্তার শিকার হয়েছেন ইংরেজি দৈনিক দ্য নিউ এজের সম্পাদক প্রবীণ সাংবাদিক নূরুল কবীর। এ ঘটনারও তীব্র নিন্দা ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে র‍্যাক। অবিলম্বে এসব ঘটনার সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও দ্রুত তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানিয়েছে র‍্যাক।

শুক্রবার এক বিবৃতিতে সভাপতি আলাউদ্দিন আরিফ ও সাধারণ সম্পাদক তাবারুল হক বলেন, সংবাদমাধ্যম রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের অন্যতম প্রধান ভিত্তি। গণমাধ্যমের কণ্ঠ রুদ্ধ করতে সহিংসতা, ভয়ভীতি প্রদর্শন, হামলা কিংবা হেনস্তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এ ধরনের কর্মকাণ্ড গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, মতপ্রকাশের সাংবিধানিক অধিকার এবং আইনের শাসনের সম্পূর্ণ পরিপন্থী।

১৮ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) রাত ১২টার দিকে উচ্ছৃঙ্খল কতিপয় ব্যক্তি প্রথমে দৈনিক প্রথম আলো, তারপর দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকা অফিসে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে। এ সময় পত্রিকা দুটির অনেক সাংবাদিক ভবনের ভেতরে আটকা পড়েছিলেন। খবর পেয়ে সেনা, পুলিশ ও বিজিবি সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে হামলাকারীদের সরিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে ভবনের ভেতরে আটকে পড়া সাংবাদিকদের উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

পত্রিকা দুটির শীর্ষ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রাতে আকস্মিক হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার পর কর্মীদের সবাইকে দ্রুত অফিস ত্যাগ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ফলে শুক্রবার ছাপা পত্রিকা বের করা সম্ভব হয়নি।

র‍্যাক নেতারা বলেন, মনে হচ্ছে একটি গোষ্ঠী অত্যন্ত সচেতনভাবে প্রতিপক্ষ বানাতে গণমাধ্যমকে টার্গেট করে হামলা চালিয়েছে। এটা খুবই দুঃখজনক ও মর্মান্তিক। স্বাধীন সাংবাদিকতায় বিশ্বাসী বর্তমান সরকারের সময় এমন ঘটনা ন্যক্কারজনক। ডিআরইউ মনে করে, ওসমান হাদি একজন দেশপ্রেমিক জুলাই যোদ্ধা ছিলেন। শহীদ ওসমান হাদিসহ ছাত্র-জনতার ত্যাগের কারণে তৎকালীন ফ্যাসিস্ট সরকার দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছে।

হাদির মৃত্যুকে পুঁজি করে যারা গণমাধ্যমের ওপর হামলা করেছে, তারা হাদির অনুসারী নয়, এটা স্পষ্ট। কতিপয় মহল হাদির মৃত্যুকে ব্যবহার করে নিজেদের কদর্য চেহারা প্রকাশ করেছে। অবিলম্বে এসব ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে দৃস্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান নেতারা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘কোম্পানির লোকেরাই আমার ভাইকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে’

আমি লজ্জিত, নিজেকে মাটিতে পুঁতে দিতে ইচ্ছে করছে—ফেসবুকে প্রেস সচিব

তাহলে কি বাংলাদেশ-ভারত ফাইনাল

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার সম্পাদকের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ফোনালাপ

গণমাধ্যমে হামলা ও ময়মনসিংহে নৃশংসতায় জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না, সরকারের বিবৃতি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত