আরিফুল ইসলাম রিগান, কুড়িগ্রাম
কুড়িগ্রামে ছাত্রলীগ কর্মী বাবলু হত্যা মামলায় জেলা সদরের বেলগাছা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান লিটন মিয়াসহ ছয় আসামির বিরুদ্ধে আদালতের পরোয়ানা সাত মাস ধরে থানায় পড়ে আছে। গত বছরের ১০ আগস্ট আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হলেও কেউ গ্রেপ্তার হননি। প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন তাঁরা।
পুলিশ বলছে, উচ্চ আদালত থেকে দফায় দফায় জামিনে থাকায় আসামিদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। বর্তমানে তাঁদের জামিনের মেয়াদ শেষ হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে পুলিশ।
গত বছর ২৮ জুন কুড়িগ্রাম সদরের বেলগাছা ইউনিয়নের নীলকন্ঠ গ্রামে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান লিটন মিয়ার নেতৃত্বে ছাত্রলীগ কর্মী শামীম আশরাফ বাবলুর (২৩) বাড়িতে হামলা চালান দুর্বৃত্তরা। হামলায় গুরুতর আহত বাবলু চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই বাদী হয়ে লিটনসহ ১৭ জনের নামে সদর থানায় মামলা করেন।
আদালত থেকে জানা গেছে, ছাত্রলীগ কর্মী বাবলু হত্যার পর বেলগাছা ইউপির চেয়ারম্যান লিটনসহ ছয় আসামি হাইকোর্ট থেকে চার সপ্তাহের জামিন নেন। মেয়াদ শেষে তাঁদের আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেওয়া থাকলেও তাঁরা তা করেননি। ফলে গত বছরের আগস্ট মাসে তাঁদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। ১১ আগস্ট পরোয়ানা সদর থানায় পৌঁছালেও আসামিদের গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ। পরোয়ানা থাকাকালীন একই বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর আগের জামিনের তথ্য গোপন করে আবারও হাইকোর্ট থেকে ছয় সপ্তাহের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন নেন আসামি লিটন। সেই জামিনেরও মেয়াদ শেষ হয়েছে গত বছরের অক্টোবরে। এসব তথ্য নথিভুক্ত করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা বহাল রাখেন নিম্ন আদালত। কিন্তু পাঁচ মাস পেরিয়ে গেলেও পরোয়ানা তামিল করেনি থানা-পুলিশ। অথচ পুলিশের চোখে ‘পলাতক’ এসব আসামি প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।
সদর থানা-পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান, আসামি লিটন উচ্চ আদালত থেকে তিন দফা জামিন নিয়েছেন। সর্বশেষ জামিনের মেয়াদ শেষ হলেও তিনি একবারও নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করেননি। অথচ প্রতিটি আদেশে মেয়াদ শেষে নিম্ন আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া ছিল।
আসামি গ্রেপ্তার না হওয়ায় হতাশা জানিয়েছেন নিহত বাবলুর বাবা শহিদুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘ছেলে হারিয়েছি। বিচার পাওয়া তো দূরের কথা মূল আসামিদের পুলিশ গ্রেপ্তার করে নাই। তাঁরা প্রকাশ্যে আমার সামনে ঘুরে বেড়ায়। মামলা ফয়সালা করতে চাপ দেয়। আমি কার কাছে বিচার দিব?’
ছাত্রলীগ কর্মী হত্যাকাণ্ডের আসামিরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও তাঁদের গ্রেপ্তার না করায় ক্ষোভ জানিয়েছে জেলা ছাত্রলীগ। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে সরকারদলীয় ছাত্র সংগঠনটি।
জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘চেয়ারম্যান লিটনসহ বাবলু হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারে আমি নিজেও পুলিশের সঙ্গে কথা বলেছি। আসামি গ্রেপ্তারে পুলিশের হেঁয়ালি আছে।’
আইনজীবীরা বলছেন, একই মামলায় উচ্চ আদালতের একাধিক বেঞ্চ থেকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন নেওয়ার সুযোগ নেই। আসামিরা তথ্য গোপন করে একাধিকবার জামিন নিয়েছেন, যা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। উচ্চ আদালতের সঙ্গে এমন প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ডের জন্য আসামিদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান আইনজীবীরা।
পাবলিক প্রসিকিউটর এস এম আব্রাহাম লিংকন বলেন, ‘উচ্চ আদালত থেকে একাধিকবার জামিন নেওয়ার সুযোগ নেই। তথ্য গোপন রেখে জামিন নেওয়া আরেক ধরনের অপরাধ। আসামিদের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট হয়ে থাকলে পুলিশের উচিত দ্রুত গ্রেপ্তার করা।’
কুড়িগ্রাম সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খান মো. শাহরিয়ার বলেন, ‘আসামিরা উচ্চ আদালত থেকে জামিন নেওয়ায় গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। তাঁরা এখন পলাতক রয়েছেন। তবে তাঁদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’
কুড়িগ্রামে ছাত্রলীগ কর্মী বাবলু হত্যা মামলায় জেলা সদরের বেলগাছা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান লিটন মিয়াসহ ছয় আসামির বিরুদ্ধে আদালতের পরোয়ানা সাত মাস ধরে থানায় পড়ে আছে। গত বছরের ১০ আগস্ট আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হলেও কেউ গ্রেপ্তার হননি। প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন তাঁরা।
পুলিশ বলছে, উচ্চ আদালত থেকে দফায় দফায় জামিনে থাকায় আসামিদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। বর্তমানে তাঁদের জামিনের মেয়াদ শেষ হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে পুলিশ।
গত বছর ২৮ জুন কুড়িগ্রাম সদরের বেলগাছা ইউনিয়নের নীলকন্ঠ গ্রামে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান লিটন মিয়ার নেতৃত্বে ছাত্রলীগ কর্মী শামীম আশরাফ বাবলুর (২৩) বাড়িতে হামলা চালান দুর্বৃত্তরা। হামলায় গুরুতর আহত বাবলু চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই বাদী হয়ে লিটনসহ ১৭ জনের নামে সদর থানায় মামলা করেন।
আদালত থেকে জানা গেছে, ছাত্রলীগ কর্মী বাবলু হত্যার পর বেলগাছা ইউপির চেয়ারম্যান লিটনসহ ছয় আসামি হাইকোর্ট থেকে চার সপ্তাহের জামিন নেন। মেয়াদ শেষে তাঁদের আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেওয়া থাকলেও তাঁরা তা করেননি। ফলে গত বছরের আগস্ট মাসে তাঁদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। ১১ আগস্ট পরোয়ানা সদর থানায় পৌঁছালেও আসামিদের গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ। পরোয়ানা থাকাকালীন একই বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর আগের জামিনের তথ্য গোপন করে আবারও হাইকোর্ট থেকে ছয় সপ্তাহের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন নেন আসামি লিটন। সেই জামিনেরও মেয়াদ শেষ হয়েছে গত বছরের অক্টোবরে। এসব তথ্য নথিভুক্ত করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা বহাল রাখেন নিম্ন আদালত। কিন্তু পাঁচ মাস পেরিয়ে গেলেও পরোয়ানা তামিল করেনি থানা-পুলিশ। অথচ পুলিশের চোখে ‘পলাতক’ এসব আসামি প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।
সদর থানা-পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান, আসামি লিটন উচ্চ আদালত থেকে তিন দফা জামিন নিয়েছেন। সর্বশেষ জামিনের মেয়াদ শেষ হলেও তিনি একবারও নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করেননি। অথচ প্রতিটি আদেশে মেয়াদ শেষে নিম্ন আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া ছিল।
আসামি গ্রেপ্তার না হওয়ায় হতাশা জানিয়েছেন নিহত বাবলুর বাবা শহিদুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘ছেলে হারিয়েছি। বিচার পাওয়া তো দূরের কথা মূল আসামিদের পুলিশ গ্রেপ্তার করে নাই। তাঁরা প্রকাশ্যে আমার সামনে ঘুরে বেড়ায়। মামলা ফয়সালা করতে চাপ দেয়। আমি কার কাছে বিচার দিব?’
ছাত্রলীগ কর্মী হত্যাকাণ্ডের আসামিরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও তাঁদের গ্রেপ্তার না করায় ক্ষোভ জানিয়েছে জেলা ছাত্রলীগ। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে সরকারদলীয় ছাত্র সংগঠনটি।
জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘চেয়ারম্যান লিটনসহ বাবলু হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারে আমি নিজেও পুলিশের সঙ্গে কথা বলেছি। আসামি গ্রেপ্তারে পুলিশের হেঁয়ালি আছে।’
আইনজীবীরা বলছেন, একই মামলায় উচ্চ আদালতের একাধিক বেঞ্চ থেকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন নেওয়ার সুযোগ নেই। আসামিরা তথ্য গোপন করে একাধিকবার জামিন নিয়েছেন, যা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। উচ্চ আদালতের সঙ্গে এমন প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ডের জন্য আসামিদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান আইনজীবীরা।
পাবলিক প্রসিকিউটর এস এম আব্রাহাম লিংকন বলেন, ‘উচ্চ আদালত থেকে একাধিকবার জামিন নেওয়ার সুযোগ নেই। তথ্য গোপন রেখে জামিন নেওয়া আরেক ধরনের অপরাধ। আসামিদের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট হয়ে থাকলে পুলিশের উচিত দ্রুত গ্রেপ্তার করা।’
কুড়িগ্রাম সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খান মো. শাহরিয়ার বলেন, ‘আসামিরা উচ্চ আদালত থেকে জামিন নেওয়ায় গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। তাঁরা এখন পলাতক রয়েছেন। তবে তাঁদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’
অন্তর্বর্তী সরকারের বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ এম হাসান আরিফ বলেছেন, ‘আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারত ভিসার ব্যাপারে কিছুটা কড়াকড়ি করেছে। তারা আমাদের ভিসা দেবে কি না, এটা তাদের বিষয়।’
৬ ঘণ্টা আগেনাটোরের বড়াইগ্রামে আওয়ামী লীগের এক সমর্থককে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছে বিএনপি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। মারধরের ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ আহত ওই যুবককেই আটক করে। পরে তিনি জামিনে ছাড়া পান
৬ ঘণ্টা আগেঅন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেছেন, ‘আপনারা ভালো কাজ করলে আমাদের সমর্থন পাবেন। জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিলে এক সেকেন্ডও সময় নেব না আপনাদের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে। দায়সারা কথা বলে ছাত্র-জনতার সঙ্গে প্রহসন করবেন না।
৭ ঘণ্টা আগেলক্ষ্মীপুরে একটি তাফসিরুল কোরআন মাহফিল ও ইসলামি সংগীত সন্ধ্যা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আজ শুক্রবার লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার মোহাম্মদিয়া জামে মসজিদ মাঠে এই আয়োজন করা হয়েছিল। মাহফিলে জামায়াত নেতাকে প্রধান অতিথি করায় বিএনপি সেটি বন্ধ করে দেয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
৮ ঘণ্টা আগে