সাখাওয়াত ফাহাদ, ঢাকা
সারা দেশে চলছে বিএনপি, জামায়াতসহ বিভিন্ন দলের ডাকা সকাল-সন্ধ্যা হরতাল। এই হরতালকে কেন্দ্র করে রাজধানীর বিভিন্ন স্পটে অবস্থান নিয়েছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। দুই পক্ষের মুখোমুখি অবস্থানে জনমনে বিরাজ করছে সংঘাতের আশঙ্কা। এরই মধ্যে রাজধানী গুলিস্তান, তাঁতীবাজার ও মোহাম্মদপুরে তিনটি বাসে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। তবে রাজধানীতে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে গণপরিবহনের সংখ্যাও বাড়তে দেখা গেছে। এসব গণপরিবহনের চালক-সহযোগীদের অনেকেরই অভিযোগ, মালিকেরা জোর করে বাস চালাতে বাধ্য করছেন।
আজ রোববার দুপুর ১১টার দিকে রাজধানীর গুলিস্তান, পল্টন এলাকায় প্রায় সব ধরনের বাসই চলতে দেখা গেছে। তবে বেশির ভাগ বাসই যাত্রীশূন্য। গণপরিবহনের পাশাপাশি রাস্তায় সিএনজি, মোটরসাইকেল ও রিকশাও দেখা গেছে যথেষ্ট পরিমাণে।
বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর পৃথক হরতাল ঘোষণার পর গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েত উল্লাহ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে রোববার সারা দেশে বাস চালানোর ঘোষণা দেন। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সমাবেশের নামে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের ডাকা সকাল-সন্ধ্যা হরতালের মধ্যেও ঢাকা শহর ও শহরতলি এবং আন্তজেলা রুটে বাস-মিনিবাস চলাচল অব্যাহত থাকবে। সংগঠনের নেতারা সব রুটে গাড়ি চলাচল স্বাভাবিক রাখার জন্য সমিতিভুক্ত মালিকদের অনুরোধ জানান।
তবে মালিকপক্ষ বাস চালানোর ঘোষণা দিলেও স্বতঃস্ফূর্তভাবে বিষয়টি নিতে পারছেন না বাসচালকেরা। আজ রোববার দুপুরের দিকে গুলিস্তান মোড়ে ভিক্টর ক্ল্যাসিকের চালক মিলন হোসেন অভিযোগ করে বলেন, ‘গাড়ি লইয়া বাইর হমু না, কী করমু কন? আমগো তো কাজ কইরা খাইতে হইব। মহাজন যদি বাইর কইরা দেয়, আমরা বাইর হমু না? মহাজন বলছে গাড়ি লইয়া বাইর হইতে।’
মিলন আরও বলেন, ‘মনে ভয় আছে, কিন্তু পেটে তো ভাই ক্ষিধা। মহাজন জোর না করলে গাড়ি লইয়া বাইর হইতাম না। আজকে কষ্ট কইরা হইলেও বইয়া থাকতাম। মহাজনের ১০টা গাড়ির সবগুলাই বাইর হইছে।’
তানজিল পরিবহনের চালক আলী আজগর আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা শিফট বাই শিফট গাড়ি চালাই। আমি গতকাল চালাইতে পারি নাই। কিন্তু আজকে তো আমগো চালাইতেই হইব। না চালাইলে তো আমগোই সমস্যা হইব। আমরা এক দিন বেতন পাই, এক দিন পাই না।’
আলী আজগর আরও বলেন, ‘ঢাকা শহরে থাকা, চলা সব মিলায়া যত কিছুই কন, আমগোও তো জানের মায়া আছে। কোন জাগা দিয়া কখন কী হয়, না হয়, তা তো আমরাও কইতে পারি না। আমগো তো অভাব, এক দিন না চালাইলে তিন দিন বইয়া থাকতে হইব। তাই বাধ্য হইয়া বাইর হইছি।’
গাজীপুর পরিবহনের চালক আবদুল করিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গতকাল আমাদের কোম্পানির চার-পাঁচটা গাড়ি ভাঙছে। আজকে ক্লিয়ার পাইলাম তাই বাস নিয়া বাইর হইছি। এখন আগুন দিলে তো আর কিছু করার নাই। খাওয়া, চলার দিক দিয়া সমস্যা, এই কারণেই গাড়ি বাইর করা লাগে।’
সারা দেশে চলছে বিএনপি, জামায়াতসহ বিভিন্ন দলের ডাকা সকাল-সন্ধ্যা হরতাল। এই হরতালকে কেন্দ্র করে রাজধানীর বিভিন্ন স্পটে অবস্থান নিয়েছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। দুই পক্ষের মুখোমুখি অবস্থানে জনমনে বিরাজ করছে সংঘাতের আশঙ্কা। এরই মধ্যে রাজধানী গুলিস্তান, তাঁতীবাজার ও মোহাম্মদপুরে তিনটি বাসে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। তবে রাজধানীতে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে গণপরিবহনের সংখ্যাও বাড়তে দেখা গেছে। এসব গণপরিবহনের চালক-সহযোগীদের অনেকেরই অভিযোগ, মালিকেরা জোর করে বাস চালাতে বাধ্য করছেন।
আজ রোববার দুপুর ১১টার দিকে রাজধানীর গুলিস্তান, পল্টন এলাকায় প্রায় সব ধরনের বাসই চলতে দেখা গেছে। তবে বেশির ভাগ বাসই যাত্রীশূন্য। গণপরিবহনের পাশাপাশি রাস্তায় সিএনজি, মোটরসাইকেল ও রিকশাও দেখা গেছে যথেষ্ট পরিমাণে।
বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর পৃথক হরতাল ঘোষণার পর গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েত উল্লাহ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে রোববার সারা দেশে বাস চালানোর ঘোষণা দেন। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সমাবেশের নামে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের ডাকা সকাল-সন্ধ্যা হরতালের মধ্যেও ঢাকা শহর ও শহরতলি এবং আন্তজেলা রুটে বাস-মিনিবাস চলাচল অব্যাহত থাকবে। সংগঠনের নেতারা সব রুটে গাড়ি চলাচল স্বাভাবিক রাখার জন্য সমিতিভুক্ত মালিকদের অনুরোধ জানান।
তবে মালিকপক্ষ বাস চালানোর ঘোষণা দিলেও স্বতঃস্ফূর্তভাবে বিষয়টি নিতে পারছেন না বাসচালকেরা। আজ রোববার দুপুরের দিকে গুলিস্তান মোড়ে ভিক্টর ক্ল্যাসিকের চালক মিলন হোসেন অভিযোগ করে বলেন, ‘গাড়ি লইয়া বাইর হমু না, কী করমু কন? আমগো তো কাজ কইরা খাইতে হইব। মহাজন যদি বাইর কইরা দেয়, আমরা বাইর হমু না? মহাজন বলছে গাড়ি লইয়া বাইর হইতে।’
মিলন আরও বলেন, ‘মনে ভয় আছে, কিন্তু পেটে তো ভাই ক্ষিধা। মহাজন জোর না করলে গাড়ি লইয়া বাইর হইতাম না। আজকে কষ্ট কইরা হইলেও বইয়া থাকতাম। মহাজনের ১০টা গাড়ির সবগুলাই বাইর হইছে।’
তানজিল পরিবহনের চালক আলী আজগর আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা শিফট বাই শিফট গাড়ি চালাই। আমি গতকাল চালাইতে পারি নাই। কিন্তু আজকে তো আমগো চালাইতেই হইব। না চালাইলে তো আমগোই সমস্যা হইব। আমরা এক দিন বেতন পাই, এক দিন পাই না।’
আলী আজগর আরও বলেন, ‘ঢাকা শহরে থাকা, চলা সব মিলায়া যত কিছুই কন, আমগোও তো জানের মায়া আছে। কোন জাগা দিয়া কখন কী হয়, না হয়, তা তো আমরাও কইতে পারি না। আমগো তো অভাব, এক দিন না চালাইলে তিন দিন বইয়া থাকতে হইব। তাই বাধ্য হইয়া বাইর হইছি।’
গাজীপুর পরিবহনের চালক আবদুল করিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গতকাল আমাদের কোম্পানির চার-পাঁচটা গাড়ি ভাঙছে। আজকে ক্লিয়ার পাইলাম তাই বাস নিয়া বাইর হইছি। এখন আগুন দিলে তো আর কিছু করার নাই। খাওয়া, চলার দিক দিয়া সমস্যা, এই কারণেই গাড়ি বাইর করা লাগে।’
দেশীয় পেঁয়াজ, রসুন, আলু ও লবণের ভরা মৌসুম এখন। চলতি মৌসুমে এসব পণ্য উৎপাদন পর্যাপ্ত হওয়ায় এই সময়ে কৃষকের মুখে হাসি ফোটার কথা। কিন্তু লাভ তো দূরে থাক, পণ্যের উৎপাদন খরচও তুলতে না পেরে হতাশ কৃষকেরা।
৩১ মিনিট আগেদুই দিনের মধ্যে ভোজ্যতেলের সংকট কেটে যাবে—এমন প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। উপদেষ্টার দেওয়া দুই দিন কেটে গেছে, কিন্তু কাটেনি বোতলজাত সয়াবিন তেলের সংকট। গতকাল বুধবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ও সুপারশপগুলো ঘুরে অধিকাংশ জায়গায় বোতলজাত সয়াবিন তেল পাওয়া যায়নি।
১ ঘণ্টা আগেরাজশাহীতে রিকশাচালককে জুতাপেটা করে সাময়িক বরখাস্ত হওয়া পবা উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা জাহিদ হাসান রাসেলের কর্মকাণ্ডে অতিষ্ঠ ছিলেন বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তাঁর বিরুদ্ধে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে দুটি লিখিত অভিযোগও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এসব বিষয়ে কোনো তদন্ত হয়নি। ফলে বারবার পার পেয়ে গেছেন
২ ঘণ্টা আগেমাসালা দোসা, হায়দরাবাদি চিকেনসহ বিদেশি স্বাদের খাবার যেমন আছে, তেমনি রয়েছে দেশের প্রচলিত ইফতার—ছোলা, মুড়ি, বেগুনি। নানান স্বাদের বাহারি ইফতারসামগ্রী স্তরে স্তরে সাজানো। রকমারি এসব ইফতার নিয়ে ক্রেতার অপেক্ষায় বসে আছেন বিক্রয়কর্মীরা। তবে ক্রেতা তুলনামূলক কম।
২ ঘণ্টা আগে