সৈয়দ ঋয়াদ, ঢাকা
রাজধানী ঢাকায় ঠিক কী পরিমাণ ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলে, তার সুনির্দিষ্ট পরিসংখ্যান নেই। তবে ধারণা করা হচ্ছে, এখন ঢাকায় ১৮ লাখের বেশি রিকশা রয়েছে। এর মধ্যে ৬ লাখের বেশি ব্যাটারিচালিত। এসব রিকশা চলাচলে কিংবা ব্যাটারি রিচার্জে ঠিক করা নেই কোনো নীতিমালা। অটোরিকশার ব্যাটারি রিচার্জ করতে গিয়ে দেশের বিদ্যুৎ খাতের ক্ষতির বিষয় তুলে ধরে গণমাধ্যমে বিভিন্ন সময় প্রতিবেদন প্রকাশিত হলেও প্রতিকার মেলেনি। খোদ বিদ্যুৎ বিভাগেও অস্বস্তি রয়েছে ব্যাটারিচালিত রিকশা নিয়ে। এদিকে, অবৈধ এই যানের ব্যাটারি চার্জে রাষ্ট্রের ক্ষতি হচ্ছে হাজার কোটি টাকা।
ব্যাটারিচালিত রিকশায় বিদ্যুতের ব্যবহারকে রাষ্ট্রের বড় ক্ষতি হিসেবে দেখছেন ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (ডিপিডিসি) ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ নোমান। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এমন অনেক অভিযোগ আমরা সম্প্রতি পেয়েছি। এর মধ্যে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী, শনির আখড়া, নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জসহ বেশ কিছু এলাকার নাম এসেছে। আমরা এসব জায়গায় কাজ শুরু করেছি।’ কী পরিমাণ আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে—এমন প্রশ্নে আব্দুল্লাহ নোমান বলেন, ‘আর্থিক ক্ষতি তো হচ্ছেই। তবে কী পরিমাণ ক্ষতি, পরিসংখ্যানটা আমি এই মুহূর্তে বলতে পারছি না।’
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সম্প্রতি রাজধানীতে হঠাৎই দৌরাত্ম্য বেড়ে গেছে অটোরিকশার। সরেজমিনে রাজধানীর মুগদা, মান্ডাসহ বেশ কয়েকটি এলাকার গ্যারেজেও দেখা গেছে সেই চিত্র। মান্ডার কালামের গ্যারেজে রিকশাচালকদের হুড়োহুড়ি। ব্যাটারিচালিত রিকশাগুলোই নিচ্ছেন সবাই। গ্যারেজের মালিক কালাম সেসবই সামলাচ্ছেন। প্যাডেলের রিকশাগুলো বেশির ভাগই গ্যারেজবন্দী। জমা কত, কে কোনটা নিচ্ছেন—সবই নোট রাখছেন। কেউ গ্যারেজে রিকশা জমা দিচ্ছেন, কেউ নতুন করে নাম লিখে নিচ্ছেন। গাড়ি জমা দিতে কখনো চালকদের অভিযোগ, কখনো গ্যারেজের মালিকের। এতে বোঝা গেল বেশ ঝক্কির কাজ।
কাজের ফাঁকে কথা হলো গ্যারেজের মালিক কালামের সঙ্গে। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এই ডাইবারদের (অটোরিকশাচালক) জ্বালা আর ভাল্লাগে না! গাড়ি নেওয়ার সময় কত পীড়াপীড়ি, জমা দেওয়ার সময় আইসা নকশা (অজুহাত) করে। মাস শেষে লাভ খুঁইজা পাই না।’
কীভাবে ব্যাটারিচালিত রিকশা ভাড়া দেন জানতে চাইলে কালাম বলেন, ‘কেউ নিজের গাড়ি আমার গ্যারেজে রাখলে, তাঁদের কাছ থেকে ব্যাটারির গাড়ি (ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা) রাখা, চার্জসহ দিনে ৭০ টাকা নিই। গাড়ি একটু বড় হইলে ১০০ টাকা। প্যাডেলের রিকশা মাসে ৩০ টাকা ভাড়া।’
বাণিজ্যিক ভিত্তিতে নেওয়া বিদ্যুতের সংযোগ ব্যবহার করে রিকশায় রিচার্জের বিনিময়ে যে ভাড়া আদায় করা হয়, তাতে লাভ হয় কি না—এমন প্রশ্নে কালাম বলেন, ‘আগে অনেক লাভ হইত, এখন খুব একটা হয় না, টুকটাক হয়। বিদ্যুতের বিল খালি বাড়ে, খুব একটা পোষায় না। বাণিজ্যিক সংযোগ না নিলে বিদ্যুতের লোকেরা মামলা করে।’
মান্ডা ব্রিজের গোড়ায় সবচেয়ে বড় গ্যারেজ হাসমত শেখের। সবাই হাসু নামেই তাঁকে চেনেন। ২০০-২৫০টি রিকশার ধারণক্ষমতার গ্যারেজটিতে একই সঙ্গে মেরামত, ব্যাটারি রিচার্জ, গাড়ি রাখার ব্যবস্থা আছে। হাসমত জানান, বৈধ উপায়ে বিদ্যুতের সংযোগ ব্যবহার করেই গ্যারেজ পরিচালনা করেন।
হাসমত বলেন, ‘৫০ বছর ধইরা গ্যারেজ চালাই, আমাদের কাছে কোনো ঝামেলা নাই। সবকিছু নিয়মমতো করি। কেউ কেউ লাইনের বিদ্যুৎ চুরি করে ব্যবহার করে। এসব খুবই খারাপ। ব্যবসা তো এক দিনের না। একটা মামলা দিলে দুর্নাম। নিজের ক্ষতি, দেশের ক্ষতি।’
মুগদা এলাকার একজন গ্যারেজের মালিক নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, কিছু গ্যারেজের বাণিজ্যিক সংযোগ থাকলেও বিদ্যুতের মিটার টেম্পারিং করে বা মিটারের বাইরে অবৈধ সংযোগ ব্যবহার করে ব্যাটারিচালিত রিকশার রিচার্জ করেন। বিদ্যুৎ বিভাগের লোকজন টাকা দিয়ে ম্যানেজ করে ফেলেন গ্যারেজের মালিকেরা।
রাজধানী ঢাকায় ঠিক কী পরিমাণ ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলে, তার সুনির্দিষ্ট পরিসংখ্যান নেই। তবে ধারণা করা হচ্ছে, এখন ঢাকায় ১৮ লাখের বেশি রিকশা রয়েছে। এর মধ্যে ৬ লাখের বেশি ব্যাটারিচালিত। এসব রিকশা চলাচলে কিংবা ব্যাটারি রিচার্জে ঠিক করা নেই কোনো নীতিমালা। অটোরিকশার ব্যাটারি রিচার্জ করতে গিয়ে দেশের বিদ্যুৎ খাতের ক্ষতির বিষয় তুলে ধরে গণমাধ্যমে বিভিন্ন সময় প্রতিবেদন প্রকাশিত হলেও প্রতিকার মেলেনি। খোদ বিদ্যুৎ বিভাগেও অস্বস্তি রয়েছে ব্যাটারিচালিত রিকশা নিয়ে। এদিকে, অবৈধ এই যানের ব্যাটারি চার্জে রাষ্ট্রের ক্ষতি হচ্ছে হাজার কোটি টাকা।
ব্যাটারিচালিত রিকশায় বিদ্যুতের ব্যবহারকে রাষ্ট্রের বড় ক্ষতি হিসেবে দেখছেন ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (ডিপিডিসি) ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ নোমান। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এমন অনেক অভিযোগ আমরা সম্প্রতি পেয়েছি। এর মধ্যে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী, শনির আখড়া, নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জসহ বেশ কিছু এলাকার নাম এসেছে। আমরা এসব জায়গায় কাজ শুরু করেছি।’ কী পরিমাণ আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে—এমন প্রশ্নে আব্দুল্লাহ নোমান বলেন, ‘আর্থিক ক্ষতি তো হচ্ছেই। তবে কী পরিমাণ ক্ষতি, পরিসংখ্যানটা আমি এই মুহূর্তে বলতে পারছি না।’
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সম্প্রতি রাজধানীতে হঠাৎই দৌরাত্ম্য বেড়ে গেছে অটোরিকশার। সরেজমিনে রাজধানীর মুগদা, মান্ডাসহ বেশ কয়েকটি এলাকার গ্যারেজেও দেখা গেছে সেই চিত্র। মান্ডার কালামের গ্যারেজে রিকশাচালকদের হুড়োহুড়ি। ব্যাটারিচালিত রিকশাগুলোই নিচ্ছেন সবাই। গ্যারেজের মালিক কালাম সেসবই সামলাচ্ছেন। প্যাডেলের রিকশাগুলো বেশির ভাগই গ্যারেজবন্দী। জমা কত, কে কোনটা নিচ্ছেন—সবই নোট রাখছেন। কেউ গ্যারেজে রিকশা জমা দিচ্ছেন, কেউ নতুন করে নাম লিখে নিচ্ছেন। গাড়ি জমা দিতে কখনো চালকদের অভিযোগ, কখনো গ্যারেজের মালিকের। এতে বোঝা গেল বেশ ঝক্কির কাজ।
কাজের ফাঁকে কথা হলো গ্যারেজের মালিক কালামের সঙ্গে। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এই ডাইবারদের (অটোরিকশাচালক) জ্বালা আর ভাল্লাগে না! গাড়ি নেওয়ার সময় কত পীড়াপীড়ি, জমা দেওয়ার সময় আইসা নকশা (অজুহাত) করে। মাস শেষে লাভ খুঁইজা পাই না।’
কীভাবে ব্যাটারিচালিত রিকশা ভাড়া দেন জানতে চাইলে কালাম বলেন, ‘কেউ নিজের গাড়ি আমার গ্যারেজে রাখলে, তাঁদের কাছ থেকে ব্যাটারির গাড়ি (ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা) রাখা, চার্জসহ দিনে ৭০ টাকা নিই। গাড়ি একটু বড় হইলে ১০০ টাকা। প্যাডেলের রিকশা মাসে ৩০ টাকা ভাড়া।’
বাণিজ্যিক ভিত্তিতে নেওয়া বিদ্যুতের সংযোগ ব্যবহার করে রিকশায় রিচার্জের বিনিময়ে যে ভাড়া আদায় করা হয়, তাতে লাভ হয় কি না—এমন প্রশ্নে কালাম বলেন, ‘আগে অনেক লাভ হইত, এখন খুব একটা হয় না, টুকটাক হয়। বিদ্যুতের বিল খালি বাড়ে, খুব একটা পোষায় না। বাণিজ্যিক সংযোগ না নিলে বিদ্যুতের লোকেরা মামলা করে।’
মান্ডা ব্রিজের গোড়ায় সবচেয়ে বড় গ্যারেজ হাসমত শেখের। সবাই হাসু নামেই তাঁকে চেনেন। ২০০-২৫০টি রিকশার ধারণক্ষমতার গ্যারেজটিতে একই সঙ্গে মেরামত, ব্যাটারি রিচার্জ, গাড়ি রাখার ব্যবস্থা আছে। হাসমত জানান, বৈধ উপায়ে বিদ্যুতের সংযোগ ব্যবহার করেই গ্যারেজ পরিচালনা করেন।
হাসমত বলেন, ‘৫০ বছর ধইরা গ্যারেজ চালাই, আমাদের কাছে কোনো ঝামেলা নাই। সবকিছু নিয়মমতো করি। কেউ কেউ লাইনের বিদ্যুৎ চুরি করে ব্যবহার করে। এসব খুবই খারাপ। ব্যবসা তো এক দিনের না। একটা মামলা দিলে দুর্নাম। নিজের ক্ষতি, দেশের ক্ষতি।’
মুগদা এলাকার একজন গ্যারেজের মালিক নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, কিছু গ্যারেজের বাণিজ্যিক সংযোগ থাকলেও বিদ্যুতের মিটার টেম্পারিং করে বা মিটারের বাইরে অবৈধ সংযোগ ব্যবহার করে ব্যাটারিচালিত রিকশার রিচার্জ করেন। বিদ্যুৎ বিভাগের লোকজন টাকা দিয়ে ম্যানেজ করে ফেলেন গ্যারেজের মালিকেরা।
অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে জনগণের যে প্রত্যাশা ছিল, সেটা ধাক্কা খেয়েছে। আমরা ভেবেছিলাম অন্তর্বর্তী সরকারের নেতৃত্বে একটি সর্বদলীয় সরকার হবে। যেখানে গণ-অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী দলের প্রতিনিধিরা থাকবেন। কিন্তু দুঃখজনক...
১ ঘণ্টা আগেসেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত একটি সংলাপে খুলনার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় সংস্কার সম্পন্ন করে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন আয়োজনের আহ্বান জানিয়েছেন। আজ শনিবার...
১ ঘণ্টা আগেভোজ্যতেলের মূল্যবৃদ্ধি, সরবরাহ সংকটের প্রেক্ষাপটে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে আজ শনিবার সিটি গ্রুপের ভোজ্যতেল পরিশোধন কারখানা ও বোতলজাতকরণ কার্যক্রম পরিদর্শন করেছেন জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। এ সময় তাঁরা সিটি গ্রুপের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
২ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রামে অবৈধ বসতি উচ্ছেদ করে প্রায় এক একর পাহাড়ি জায়গা উদ্ধার করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। আজ শনিবার নগরীর আকবরশাহ উত্তর লেকসিটি, সুপারিবাগান ও ইসলামাবাদ হাউজিং সোসাইটি এলাকা থেকে এসব বসতি উচ্ছেদ করা হয়।
২ ঘণ্টা আগে