নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
রাজধানীর গুলিস্তান, লালবাগ, হাতিরঝিল, মতিঝিলসহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে মোবাইল ফোন চুরি-ছিনতাই চক্রের মূল হোতাসহ ৩১ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন র্যাব-৩-এর অধিনায়ক (সিও) লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ।
র্যাব বলছে, গতকাল সোমবার সন্ধ্যার পর থেকে র্যাব-৩-এর ৭টি দল রাজধানীর লালবাগ, সিদ্ধিরগঞ্জ, পল্টন, গুলিস্তান, বায়তুল মোকাররম, মতিঝিল, খিলগাঁও, হাতিরঝিল, ওয়ারিসহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে চক্রের ৩১ সদস্যকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৩০টি ট্যাব, ৭১৭টি স্মার্ট মোবাইল ফোন, ৭৯৩টি বাটন মোবাইল ফোন, ২৮টি ল্যাপটপ ও নগদ ৫৫ হাজার ৬৪৭ টাকা জব্দ করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন—মো. আল মামুন (২৮), মো. রাকিব (২৭), মো. জাহাঙ্গীর (৬৬), মো. ইকবাল (৫০), মো. মোখলেছুর রহমান (৩৮), মো. বিল্লাল মিয়া (৪০), মো. বিল্লাল (২৭), মো. রাকিব (২৩), মো. মাইনু (২১), মো. জনি (২০), মো. স্বপন (৫০), মো. সালাউদ্দিন আহম্মেদ (৩৫), মো. মোশারফ (৪৫), মেহেদী হাসান রাজু (২৪), মো. জুয়েল (৪০), মো. জুম্মুন (২৮), মো. রকিবুল ইসলাম (৩১), মো. নজরুল (৩০), মো. পারভেজ (৩৮), মো. ইউসুফ বেপারী (৪২), মো. ইউসুফ দেওয়ান (৩৫), মো. রুবেল মোল্লা (৩১), মো. রুবেল দেওয়ান (৩০), মো. জাফর (৪৮), মো. নাছির উদ্দিন ওরফে পিন্টু (৩১), মো. আনছার ঢালী ওরফে ডালিম হোসেন (৫২), মো. হালিম সরদার (৫২), মো. শাহীন শেখ (৩১), মোহাম্মদ আলী (৫৫), মো. সবুজ (২৮) ও মো. আবুল হোসেন (৬১)।
র্যাব জানায়, এই ছিনতাই চক্র পথচারীদের কাছ থেকে মোবাইল ছিনতাই করে নিয়ে যেত। এরপর সেগুলো রাজধানীর ফুটপাতের ভাসমান মার্কেটে বিক্রি করে দিত। ভাসমান মার্কেটে বিক্রির আগে মোবাইলগুলোর আইএমইআই নম্বর পরিবর্তন করে ফেলা হতো। যাতে করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী চুরি-ছিনতাই হওয়া মোবাইলগুলোর খোঁজ না পায়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে আইএমইআই নম্বর পরিবর্তন করা মোবাইলগুলোর মূল ক্রেতা অপরাধীরা। অপরাধীরা এসব মোবাইল কিনে বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত হচ্ছে।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, আসন্ন ঈদকে কেন্দ্র করে কয়েক দিন ধরে মোবাইল ছিনতাই, চোরাই মুঠোফোন কেনাবেচায় জড়িত সিন্ডিকেট, দেশে অবৈধভাবে আসা বিভিন্ন ব্র্যান্ডের নামীদামি মোবাইল ফোনের জমজমাট বাণিজ্য, চোরাইকৃত মোবাইল ফোনের আইএমইআই পরিবর্তন করে নানা মাধ্যমে বিক্রির বিষয়টি দেশের শীর্ষস্থানীয় পত্র-পত্রিকায় অন্যতম আলোচনার বিষয় ছিল। ফলশ্রুতিতে র্যাব-৩ এ ব্যাপারে বিভিন্ন পর্যায়ে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করতে থাকে। অভিযানে জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই) বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়ে এই অপারেশনে র্যাবকে সহযোগিতা করেছে।
তিনি আরও বলেন, ছিনতাইকারীদের প্রধান টার্গেট থাকে পথচারীদের মোবাইল। এসব মোবাইল অল্প দামে চোরাই মোবাইল কারবারিদের কাছে বিক্রি করা হয়। এ ছাড়া এসব মোবাইলের আইএমইআই পরিবর্তন করে অল্প আয়ের গ্রাহকদের কাছে বিক্রি করা হয়। আইএমইআই পরিবর্তন করার কারণে এসব মোবাইল পরবর্তী সময়ে উদ্ধার করা সম্ভব হয় না। বাংলাদেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী ডাকাতিকৃত, ছিনতাইকৃত ও চোরাইমাল বিক্রি ও কাছে রাখা আমলযোগ্য অপরাধ। দীর্ঘদিন ধরে তারা নির্বিঘ্নে-নির্ভয়ে চোরাই মোবাইল বিক্রি ও আইএমইআই পরিবর্তনের অবৈধ ব্যবসা করছিল।
এক প্রশ্নের জবাবে র্যাব-৩-এর অধিনায়ক বলেন, ‘আমরা ৩১ জনকে গ্রেপ্তার করেই বলছি না যে আমরা রাজধানীর সব মোবাইল ছিনতাই চক্রকে গ্রেপ্তার করেছি। শুধু র্যাব-৩ এলাকাভুক্ত ২০টির বেশি মোবাইল ছিনতাইকারী চক্র রয়েছে। আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।’
পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে কীভাবে মোবাইল এনে বিক্রি করত এই চক্র—এমন প্রশ্নে তিনই বলেন, পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে একজন আসার সময় ভ্যাট-ট্যাক্স না দেওয়ার জন্য তিন থেকে চারটি মোবাইল আনা হয়। মোবাইলগুলো আনা হতো প্যাকেট ছাড়াই। এতে করে ভ্যাট-ট্যাক্স না পরিশোধ করা লাগে না। এরপর মোবাইলগুলো বেশি দামে এই চক্রের কাছে বিক্রি করা হতো।
রাজধানীর গুলিস্তান, লালবাগ, হাতিরঝিল, মতিঝিলসহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে মোবাইল ফোন চুরি-ছিনতাই চক্রের মূল হোতাসহ ৩১ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন র্যাব-৩-এর অধিনায়ক (সিও) লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ।
র্যাব বলছে, গতকাল সোমবার সন্ধ্যার পর থেকে র্যাব-৩-এর ৭টি দল রাজধানীর লালবাগ, সিদ্ধিরগঞ্জ, পল্টন, গুলিস্তান, বায়তুল মোকাররম, মতিঝিল, খিলগাঁও, হাতিরঝিল, ওয়ারিসহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে চক্রের ৩১ সদস্যকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৩০টি ট্যাব, ৭১৭টি স্মার্ট মোবাইল ফোন, ৭৯৩টি বাটন মোবাইল ফোন, ২৮টি ল্যাপটপ ও নগদ ৫৫ হাজার ৬৪৭ টাকা জব্দ করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন—মো. আল মামুন (২৮), মো. রাকিব (২৭), মো. জাহাঙ্গীর (৬৬), মো. ইকবাল (৫০), মো. মোখলেছুর রহমান (৩৮), মো. বিল্লাল মিয়া (৪০), মো. বিল্লাল (২৭), মো. রাকিব (২৩), মো. মাইনু (২১), মো. জনি (২০), মো. স্বপন (৫০), মো. সালাউদ্দিন আহম্মেদ (৩৫), মো. মোশারফ (৪৫), মেহেদী হাসান রাজু (২৪), মো. জুয়েল (৪০), মো. জুম্মুন (২৮), মো. রকিবুল ইসলাম (৩১), মো. নজরুল (৩০), মো. পারভেজ (৩৮), মো. ইউসুফ বেপারী (৪২), মো. ইউসুফ দেওয়ান (৩৫), মো. রুবেল মোল্লা (৩১), মো. রুবেল দেওয়ান (৩০), মো. জাফর (৪৮), মো. নাছির উদ্দিন ওরফে পিন্টু (৩১), মো. আনছার ঢালী ওরফে ডালিম হোসেন (৫২), মো. হালিম সরদার (৫২), মো. শাহীন শেখ (৩১), মোহাম্মদ আলী (৫৫), মো. সবুজ (২৮) ও মো. আবুল হোসেন (৬১)।
র্যাব জানায়, এই ছিনতাই চক্র পথচারীদের কাছ থেকে মোবাইল ছিনতাই করে নিয়ে যেত। এরপর সেগুলো রাজধানীর ফুটপাতের ভাসমান মার্কেটে বিক্রি করে দিত। ভাসমান মার্কেটে বিক্রির আগে মোবাইলগুলোর আইএমইআই নম্বর পরিবর্তন করে ফেলা হতো। যাতে করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী চুরি-ছিনতাই হওয়া মোবাইলগুলোর খোঁজ না পায়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে আইএমইআই নম্বর পরিবর্তন করা মোবাইলগুলোর মূল ক্রেতা অপরাধীরা। অপরাধীরা এসব মোবাইল কিনে বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত হচ্ছে।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, আসন্ন ঈদকে কেন্দ্র করে কয়েক দিন ধরে মোবাইল ছিনতাই, চোরাই মুঠোফোন কেনাবেচায় জড়িত সিন্ডিকেট, দেশে অবৈধভাবে আসা বিভিন্ন ব্র্যান্ডের নামীদামি মোবাইল ফোনের জমজমাট বাণিজ্য, চোরাইকৃত মোবাইল ফোনের আইএমইআই পরিবর্তন করে নানা মাধ্যমে বিক্রির বিষয়টি দেশের শীর্ষস্থানীয় পত্র-পত্রিকায় অন্যতম আলোচনার বিষয় ছিল। ফলশ্রুতিতে র্যাব-৩ এ ব্যাপারে বিভিন্ন পর্যায়ে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করতে থাকে। অভিযানে জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই) বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়ে এই অপারেশনে র্যাবকে সহযোগিতা করেছে।
তিনি আরও বলেন, ছিনতাইকারীদের প্রধান টার্গেট থাকে পথচারীদের মোবাইল। এসব মোবাইল অল্প দামে চোরাই মোবাইল কারবারিদের কাছে বিক্রি করা হয়। এ ছাড়া এসব মোবাইলের আইএমইআই পরিবর্তন করে অল্প আয়ের গ্রাহকদের কাছে বিক্রি করা হয়। আইএমইআই পরিবর্তন করার কারণে এসব মোবাইল পরবর্তী সময়ে উদ্ধার করা সম্ভব হয় না। বাংলাদেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী ডাকাতিকৃত, ছিনতাইকৃত ও চোরাইমাল বিক্রি ও কাছে রাখা আমলযোগ্য অপরাধ। দীর্ঘদিন ধরে তারা নির্বিঘ্নে-নির্ভয়ে চোরাই মোবাইল বিক্রি ও আইএমইআই পরিবর্তনের অবৈধ ব্যবসা করছিল।
এক প্রশ্নের জবাবে র্যাব-৩-এর অধিনায়ক বলেন, ‘আমরা ৩১ জনকে গ্রেপ্তার করেই বলছি না যে আমরা রাজধানীর সব মোবাইল ছিনতাই চক্রকে গ্রেপ্তার করেছি। শুধু র্যাব-৩ এলাকাভুক্ত ২০টির বেশি মোবাইল ছিনতাইকারী চক্র রয়েছে। আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।’
পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে কীভাবে মোবাইল এনে বিক্রি করত এই চক্র—এমন প্রশ্নে তিনই বলেন, পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে একজন আসার সময় ভ্যাট-ট্যাক্স না দেওয়ার জন্য তিন থেকে চারটি মোবাইল আনা হয়। মোবাইলগুলো আনা হতো প্যাকেট ছাড়াই। এতে করে ভ্যাট-ট্যাক্স না পরিশোধ করা লাগে না। এরপর মোবাইলগুলো বেশি দামে এই চক্রের কাছে বিক্রি করা হতো।
ববি, ট্রেজারার, সেনা কর্মকর্তা, বরিশাল, জেলার খবর
৪ মিনিট আগেঝালকাঠির নলছিটিতে বাস-মিনিবাস মালিক সমিতি কর্তৃক ঝালকাঠি-বরিশাল মহাসড়কে চেকপোস্টের নামে যাত্রী-চালকদের হয়রানির প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর প্রতিবাদে বেলা ৩টা থেকে ঝালকাঠি বাস মালিক সমিতি ১৮টি রুটে বাস চলাচল বন্ধ ঘোষণা করে।
৭ মিনিট আগেযশোরের শার্শা উপজেলায় সমাবেশকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ হয়েছে। এ ঘটনায় অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।
১ ঘণ্টা আগেমানবাধিকার নিয়ে সেমিনার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। আজ মঙ্গলবার র্যাব সদর দপ্তরের এলিট হলে এ সেমিনারের আয়োজন করা হয়
১ ঘণ্টা আগে