ঘরে দুই স্ত্রী, ৩২ লাখ টাকা চুরি করে সীমান্তে গ্রেপ্তার প্রেমিকাসহ দোকান কর্মচারী

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশ : ০২ এপ্রিল ২০২৪, ২২: ১২
আপডেট : ০২ এপ্রিল ২০২৪, ২২: ৩০

রাজধানীর ইসলামপুরে ‘নাশওয়ান ফ্যাশন’ লেডিস কাপড়ের দোকানে চাকরি করতেন সাঈদ আহমেদ। ঘরে দুই স্ত্রী থাকার পরেও মোসা. রিতা নামের এক নারীর সঙ্গে ছিল তাঁর পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক। একপর্যায়ে দোকান থেকে ৩৩ লাখ টাকা চুরি করে পরকীয়া প্রেমিকাকে নিয়ে ভারতে যাওয়ার চেষ্টা করেন তিনি।

তবে তাঁদের সেই যাত্রা সফল হয়নি। রিতা ও সাঈদকে ফরিদপুর থেকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। দুই দিন জিজ্ঞাসাবাদের পর আজ মঙ্গলবার তাঁদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এসব তথ্য জানান ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ লালবাগ বিভাগের উপকমিশনার মশিউর রহমান।

তিনি জানান, গাইবান্ধা সদরের বাসিন্দা সাঈদ আহমেদ আগে হিন্দু ধর্মাবলম্বী ছিলেন। ধর্মান্তরিত হওয়ার পর তাঁর নাম প্রদীপ কুমার বিশ্বাস থেকে সাঈদ আহমেদ হয়। ২০২২ সাল থেকে ইসলামপুরে ‘নাশওয়ান ফ্যাশনে’ চাকরি করতেন সাঈদ আহমেদ। তিনি এর আগে রংপুরের বিভিন্ন কাপড়ের দোকানে চাকরি করেছেন। তাঁর ঘরে দুই স্ত্রী রয়েছে। প্রথম স্ত্রী বাইতুন্নেছা লতা ও দ্বিতীয় স্ত্রী বিউটি আক্তার। এরপরও তিনি মোসা. রিতার সঙ্গে পরকীয়া প্রেমের সম্পর্কে জড়ান।

মশিউর রহমান বলেন, গত ২৪ মার্চ সাঈদ আরেক কর্মচারীকে সঙ্গে নিয়ে ৩৩ লাখ টাকা জমা দিতে ব্যাংকে যান। কিন্তু কর্মচারীকে দোকানে ফেরত পাঠিয়ে একাই ব্যাংকে প্রবেশ করেন। ব্যাংকের মধ্যে কিছু সময় ঘোরাঘুরি করে সেখান থেকে চলে যান প্রেমিকা রিতার কাছে গাজীপুরে। তাঁকে নিয়ে সেখান থেকে যান নরসিংদী। এরপর বগুড়ায়। সেখান থেকে যান পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায়। তারপর সেখান থেকে যান প্রেমিকার বাড়ি ফরিদপুরের সদরপুরে। সেখান থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় ট্রাঙ্ক ও মাটিতে গর্ত করে লুকিয়ে রাখা ৩১ লক্ষ ৮৭ হাজার ৫০০ টাকা উদ্ধার করা হয়।

তিনি আরও বলেন, গ্রেপ্তার সাঈদ প্রেমিকা রিতাকে বিয়ে করতেই টাকাগুলো চুরি করেন। গ্রেপ্তার এড়াতে ভয়ে পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা দিয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন তাঁরা। কিন্তু ব্যর্থ হয়ে যশোরের বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারতে প্রবেশের পরিকল্পনা করেন। কিন্তু তার আগেই ফরিদপুরে গ্রেপ্তার হন তাঁরা।

সাঈদের পরকীয়া প্রেমিকা মোসা. রিতার গ্রামের বাড়ি ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলায়। বিবাহিতা হলেও রিতা বর্তমানে সাঈদের সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের জেরে তাঁর সঙ্গে বসবাস করে আসছিল। তিনি নরসিংদীর পাঁচদোনা এলাকায় একটি গার্মেন্টসে চাকরি করেন। সাঈদ ও রিতা পরিকল্পনা করে এই চুরি করেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত