নিজস্ব প্রতিবেদক
করোনার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় চলাচলের ওপর সাত দিনের নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সরকার। আজ সোমবার থেকে এই নিষেধাজ্ঞা শুরু হয়েছে। জরুরি সেবা, চিকিৎসা, পচনশীল দ্রব্য ও গণমাধ্যম ছাড়া সব ধরনের গণপরিবহন বন্ধ। কলকারখানা ও কাঁচাবাজার ছাড়া বন্ধ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।
এ পরিস্থিতিতে বিপাকে পড়েছেন ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীরা। বিশেষ করে আসন্ন ইদুল ফিতরকে লক্ষ্য করে যারা ব্যবসার প্রস্তুতি নিয়েছিলেন তারা বড় ক্ষতির আশঙ্কা করছেন।
সাত দিনের নিষেধাজ্ঞার প্রথম দিন আজ সোমবার রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করছেন রাজধানীর বেশ কয়েকটি এলাকার ব্যবসায়ীরা।
গাউছিয়াতে বিক্ষোভ করছেন দোকান মালিকেরা। সকাল থেকে প্রায় এক হাজার দোকান মালিক-কর্মচারী রাস্তায় জড়ো হয়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। তারা নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছেন।
দোকান মালিকরা বলছেন, এখানে ১১টি মার্কেট আছে। রয়েছে ১০ হাজারের বেশি দোকান। হাজার হাজার মানুষের কর্মসংস্থান এখানে। গার্মেন্টস, বই মেলাসহ অনেক কিছু খোলা রেখে শুধু মার্কেট বন্ধ কেন–এ প্রশ্ন তাদের।
নূর মেনশন দোকান মালিক সমিতির কার্যকরী সদস্য নজরুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, আমাদের এখানে হাজার হাজার দোকান আছে। সামনে রোজা, এখন ব্যবসার সময়। গত বছর এই সময় মার্কেট বন্ধ করে রাখায় আমাদের হাজার হাজার কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে। এবারও যদি এমন হয় তা হলে আমরা পথে বসে যাব।
নজরুল ইসলাম আরও বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে আমরা মার্কেট খুলতে চাই। আর যদি সরকার তা না দেয় তাহলে আমাদের ভর্তুকি দিতে হবে। তা না হলে আমরা আগামীকাল থেকে মার্কেট খুলে দেব।
বিক্ষোভ করছেন পুরনো ঢাকার চকবাজার, বেগমবাজার , মৌলভীবাজার, বাবুবাজার , ইসলামপুর মিটফোর্ড, সদরঘাট এই এলাকার দোকান মালিকরা। তারাও স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকানপাট খোলা রাখতে চান।
দোকান মালিক–কর্মচারীরা বলছেন, সামনে রমজান, এর মধ্যে যদি দোকানপাট বন্ধ থাকে তাহলে আমরা চলব কীভাবে, বাড়ি ভাড়া দেব কোথা থেকে? আমরা সরকারের কাছে দাবি জানাই, স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকানপাট খুলে দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হোক।
নিষেধাজ্ঞার মধ্যে ব্যবসায়ীদের এই বিক্ষোভ সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে পুলিশ। তারা দোকান মালিক–কর্মচারীদের বুঝিয়ে শান্ত করার চেষ্টা করছেন। সরকার নির্দেশিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার অনুরোধ করছেন।
নিউ মার্কেট থানার সহকারি পুলিশ কমিশনার বলেন, আমরা মার্কেট মালিকদের সাথে কথা বলছি। তাদের বোঝানোর চেষ্টা করছি। সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা আমাদের দায়িত্ব পালন করছি।
ঢাকা মহানগর পুলিশের নিউ মার্কেট জোনের অতিরিক্ত উপকমিশনার ইহসানুল ফেরদৌস আজকের পত্রিকাকে বলেন, সরকার ঘোষিত সিদ্ধান্তের বিপক্ষে গিয়ে দোকান মালিক সমিতি দোকান যেন না খুলতে পারে। সেজন্য অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য মোতায়েন আছে। আমরা তাদের বোঝানোর চেষ্টা করছি। তারা যেন ঘরে ফিরে যান। এখানে যেহেতু রুটিরুজি ও মানবিকতার বিষয় আছে, আমরাও চাই না অ্যাকশনে যেতে। তবে বিক্ষোভকারীরা যেন কোনো প্রকার ভাংচুর না চালাতে পারে সে বিষয়ে আমরা সর্তক আছি।
আরও পড়ুন:
করোনার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় চলাচলের ওপর সাত দিনের নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সরকার। আজ সোমবার থেকে এই নিষেধাজ্ঞা শুরু হয়েছে। জরুরি সেবা, চিকিৎসা, পচনশীল দ্রব্য ও গণমাধ্যম ছাড়া সব ধরনের গণপরিবহন বন্ধ। কলকারখানা ও কাঁচাবাজার ছাড়া বন্ধ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।
এ পরিস্থিতিতে বিপাকে পড়েছেন ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীরা। বিশেষ করে আসন্ন ইদুল ফিতরকে লক্ষ্য করে যারা ব্যবসার প্রস্তুতি নিয়েছিলেন তারা বড় ক্ষতির আশঙ্কা করছেন।
সাত দিনের নিষেধাজ্ঞার প্রথম দিন আজ সোমবার রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করছেন রাজধানীর বেশ কয়েকটি এলাকার ব্যবসায়ীরা।
গাউছিয়াতে বিক্ষোভ করছেন দোকান মালিকেরা। সকাল থেকে প্রায় এক হাজার দোকান মালিক-কর্মচারী রাস্তায় জড়ো হয়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। তারা নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছেন।
দোকান মালিকরা বলছেন, এখানে ১১টি মার্কেট আছে। রয়েছে ১০ হাজারের বেশি দোকান। হাজার হাজার মানুষের কর্মসংস্থান এখানে। গার্মেন্টস, বই মেলাসহ অনেক কিছু খোলা রেখে শুধু মার্কেট বন্ধ কেন–এ প্রশ্ন তাদের।
নূর মেনশন দোকান মালিক সমিতির কার্যকরী সদস্য নজরুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, আমাদের এখানে হাজার হাজার দোকান আছে। সামনে রোজা, এখন ব্যবসার সময়। গত বছর এই সময় মার্কেট বন্ধ করে রাখায় আমাদের হাজার হাজার কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে। এবারও যদি এমন হয় তা হলে আমরা পথে বসে যাব।
নজরুল ইসলাম আরও বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে আমরা মার্কেট খুলতে চাই। আর যদি সরকার তা না দেয় তাহলে আমাদের ভর্তুকি দিতে হবে। তা না হলে আমরা আগামীকাল থেকে মার্কেট খুলে দেব।
বিক্ষোভ করছেন পুরনো ঢাকার চকবাজার, বেগমবাজার , মৌলভীবাজার, বাবুবাজার , ইসলামপুর মিটফোর্ড, সদরঘাট এই এলাকার দোকান মালিকরা। তারাও স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকানপাট খোলা রাখতে চান।
দোকান মালিক–কর্মচারীরা বলছেন, সামনে রমজান, এর মধ্যে যদি দোকানপাট বন্ধ থাকে তাহলে আমরা চলব কীভাবে, বাড়ি ভাড়া দেব কোথা থেকে? আমরা সরকারের কাছে দাবি জানাই, স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকানপাট খুলে দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হোক।
নিষেধাজ্ঞার মধ্যে ব্যবসায়ীদের এই বিক্ষোভ সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে পুলিশ। তারা দোকান মালিক–কর্মচারীদের বুঝিয়ে শান্ত করার চেষ্টা করছেন। সরকার নির্দেশিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার অনুরোধ করছেন।
নিউ মার্কেট থানার সহকারি পুলিশ কমিশনার বলেন, আমরা মার্কেট মালিকদের সাথে কথা বলছি। তাদের বোঝানোর চেষ্টা করছি। সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা আমাদের দায়িত্ব পালন করছি।
ঢাকা মহানগর পুলিশের নিউ মার্কেট জোনের অতিরিক্ত উপকমিশনার ইহসানুল ফেরদৌস আজকের পত্রিকাকে বলেন, সরকার ঘোষিত সিদ্ধান্তের বিপক্ষে গিয়ে দোকান মালিক সমিতি দোকান যেন না খুলতে পারে। সেজন্য অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য মোতায়েন আছে। আমরা তাদের বোঝানোর চেষ্টা করছি। তারা যেন ঘরে ফিরে যান। এখানে যেহেতু রুটিরুজি ও মানবিকতার বিষয় আছে, আমরাও চাই না অ্যাকশনে যেতে। তবে বিক্ষোভকারীরা যেন কোনো প্রকার ভাংচুর না চালাতে পারে সে বিষয়ে আমরা সর্তক আছি।
আরও পড়ুন:
গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার এক ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সচিব ও গ্রাম পুলিশের সদস্যকে মারধর করা হয়েছে। স্থানীয় এক বিএনপি নেতার স্ত্রীর জন্ম নিবন্ধনে দেরি হওয়ায় দলীয় নেতা-কর্মীরা তাঁদের ওপর চড়াও হন বলে অভিযোগ উঠেছে।
৪ ঘণ্টা আগেপ্রতিবছরই আইনি সহায়তাপ্রত্যাশী নারীর সংখ্যা বাড়ছে। তবে এখনো অনেক নারী সহিংসতার শিকার হলেও মামলা করছেন না। সার্বিক পরিস্থিতির বিচারে সহিংসতার শিকার নারীদের বিচার পাওয়ার ক্ষেত্রে পুলিশ ও বিচারকসহ সবার সক্রিয় ভূমিকা প্রয়োজন। বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) রাজধানীতে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন (এমজেএফ) আয়োজিত এক আ
৫ ঘণ্টা আগেঢাকার শাহবাগ থানা কিছুটা সরিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান এলাকাতেই রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। থানা সরিয়ে এর প্রবেশ মুখ উত্তর দিকে করা হবে। প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে আজ বৃহস্পতিবার তার কার্যালয়ে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে স্বাধীনতা স্তম্ভ নির্মাণ প্রকল্পের আ
৬ ঘণ্টা আগেইসকন নিষিদ্ধের দাবি এবং চট্টগ্রামে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফের হত্যার প্রতিবাদে শুক্রবার জুমার নামাজের পর বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে বিক্ষোভ সমাবেশ ডেকেছে হেফাজতে ইসলাম ঢাকা মহানগর।
৬ ঘণ্টা আগে