নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বেইলি রোডে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতের অগ্নিকাণ্ডে নিহত ৪৬ জনের একজন সাংবাদিক অভিশ্রুতি শাস্ত্রী। সহকর্মীরা জানিয়েছেন, তিনি সম্প্রতি স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার কথা জানিয়েছিলেন। নতুন চাকরিতে যোগ দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু রেস্টুরেন্টে খেতে গিয়ে আগুনে দগ্ধ হলেন তিনি!
এদিকে অভিশ্রুতির পরিচয় নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। সহকর্মীদের জানা নামের সঙ্গে তাঁর পরিচয়পত্রে থাকা নাম-পরিচয়ের মিল নেই। এরই মধ্যে একাধিক ব্যক্তি তাঁর অভিভাবক দাবি করেছেন। এই জটিলতার কারণে লাশ এখনো হস্তান্তর হয়নি।
অভিশ্রুতির মরদেহ শনাক্ত করেন তাঁর সাবেক সহকর্মী সাংবাদিক গোলাম রাব্বানী। তিনি বলেন, ‘অভিশ্রুতি শাস্ত্রীর মরদেহ শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটের মর্গে রয়েছে। আমরা সকালে জেনেছি অভিশ্রুতিকে পাওয়া যাচ্ছে না। পরে বার্ন ইনস্টিটিউটের মর্গে তাঁকে খুঁজে পাই।’
পরিবার ও সহকর্মীদের সূত্রে জানা যায়, অভিশ্রুতি রাজধানীর মৌচাক এলাকায় বসবাস করতেন। শেষ কর্মস্থল দ্য রিপোর্ট ডট লাইভে থাকাকালীন নির্বাচন কমিশন বিটের দায়িত্বে ছিলেন। গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার বনগ্রামে। সরকারি ইডেন মহিলা কলেজের দর্শন বিষয়ের শিক্ষার্থী ছিলেন অভিশ্রুতি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এই নারী সংবাদকর্মী অভিশ্রুতি শাস্ত্রী হিসেবে নিজেকে পরিচয় দিলেও তাঁর জাতীয় পরিচয়পত্র ও ইডেন কলেজের পরিচয়পত্রে নাম উল্লেখ রয়েছে বৃষ্টি খাতুন। বাবার নাম সবুজ শেখ ও মায়ের নাম বিউটি বেগম। এ নিয়ে জটিলতা শুরু হওয়ায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত (আজ শুক্রবার রাত ৮টা) তাঁর লাশ হস্তান্তর প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়নি।
অভিশ্রুতির বাবার সঙ্গে কথা বলতে ফোন কল দেওয়া হলে রিসিভ করেন তাঁর চাচাতো ভাই পরিচয় দেওয়া বাপ্পী নামের একজন। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বৃষ্টি আমাদের পরিবারেরই। আমার আপন চাচাতো বোন। আমরা লাশ নিতে আসলে মিডিয়ার মানুষজন প্রশ্ন তুলছে, সে ফেসবুকে আর সব জায়গায় নিজেকে হিন্দু হিসেবে পরিচয় দিয়েছে। তাহলে আমরা কেন লাশ নিতে আসছি? এসবের জন্য এখনো লাশ নিতে পারছি না।’ এভাবে ভিন্ন পরিচয় বহন করার কোনো কারণও তিনি বলতে পারছেন না।
অভিশ্রুতির মৃত্যুর খবরে লাশ হস্তান্তরে বাধা দিয়েছেন রমনা কালীমন্দিরের সভাপতি উৎপল সাহা। তিনি বলেন, ‘অভিশ্রুতির সঙ্গে আমার আট মাসের পরিচয়। এখানে সাংবাদিকতা করতেন। হিন্দুধর্মাবলম্বীদের বিভিন্ন অনুষ্ঠানের খবর সংগ্রহও করতেন। তিনি আমাদের এই মন্দিরে পূজা দিতেন। মোটামুটি হিন্দুদের যেসব রিচ্যুয়াল আছে, সবই পালন করতেন।’
উৎপল সাহার বক্তব্য অনুযায়ী, অভিশ্রুতি তাঁকে জানিয়েছেন, তাঁর মূল বাড়ি ভারতের বেনারস। এক ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্ম এবং তাঁর মা-বাবা একটি মন্দিরের সেবক হিসেবে কাজ করতেন। ঘটনাক্রমে কুষ্টিয়ায় এই পরিবারের সঙ্গে বেড়ে ওঠা তাঁর। মুসলিম পরিবারে বেড়ে উঠলেও তিনি হিন্দুধর্মে বিশ্বাস করেন।
তবে যথাযথ প্রমাণ দিতে পারলে কুষ্টিয়ার যাঁরা অভিভাবক হিসেবে দাবি করছেন, তাঁদের কাছে লাশ হস্তান্তরে তাঁর আপত্তি থাকবে না।
অভিশ্রুতির সঙ্গে প্রায়ই যোগাযোগ হতো আজকের পত্রিকার মাল্টিমিডিয়া বিভাগের প্রতিবেদক তুহিন কান্তি দাসের। তিনি বলেন, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার কয়েক দিন আগেই অভিশ্রুতির সঙ্গে কথা হয়। তিনি বেশ হাস্যোজ্জ্বল থাকলেও ভেতরে একধরনের কষ্ট নিয়ে বেড়াতেন। বইমেলায় সবশেষ দেখা হয়েছিল। পরিবারের বিষয়ে জানতে চাইলে এড়িয়ে যেতেন। তবে মৃত্যুর কয়েক দিন আগে জানতে পারেন তাঁর স্তন ক্যানসার হয়েছে!
বেইলি রোডে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতের অগ্নিকাণ্ডে নিহত ৪৬ জনের একজন সাংবাদিক অভিশ্রুতি শাস্ত্রী। সহকর্মীরা জানিয়েছেন, তিনি সম্প্রতি স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার কথা জানিয়েছিলেন। নতুন চাকরিতে যোগ দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু রেস্টুরেন্টে খেতে গিয়ে আগুনে দগ্ধ হলেন তিনি!
এদিকে অভিশ্রুতির পরিচয় নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। সহকর্মীদের জানা নামের সঙ্গে তাঁর পরিচয়পত্রে থাকা নাম-পরিচয়ের মিল নেই। এরই মধ্যে একাধিক ব্যক্তি তাঁর অভিভাবক দাবি করেছেন। এই জটিলতার কারণে লাশ এখনো হস্তান্তর হয়নি।
অভিশ্রুতির মরদেহ শনাক্ত করেন তাঁর সাবেক সহকর্মী সাংবাদিক গোলাম রাব্বানী। তিনি বলেন, ‘অভিশ্রুতি শাস্ত্রীর মরদেহ শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটের মর্গে রয়েছে। আমরা সকালে জেনেছি অভিশ্রুতিকে পাওয়া যাচ্ছে না। পরে বার্ন ইনস্টিটিউটের মর্গে তাঁকে খুঁজে পাই।’
পরিবার ও সহকর্মীদের সূত্রে জানা যায়, অভিশ্রুতি রাজধানীর মৌচাক এলাকায় বসবাস করতেন। শেষ কর্মস্থল দ্য রিপোর্ট ডট লাইভে থাকাকালীন নির্বাচন কমিশন বিটের দায়িত্বে ছিলেন। গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার বনগ্রামে। সরকারি ইডেন মহিলা কলেজের দর্শন বিষয়ের শিক্ষার্থী ছিলেন অভিশ্রুতি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এই নারী সংবাদকর্মী অভিশ্রুতি শাস্ত্রী হিসেবে নিজেকে পরিচয় দিলেও তাঁর জাতীয় পরিচয়পত্র ও ইডেন কলেজের পরিচয়পত্রে নাম উল্লেখ রয়েছে বৃষ্টি খাতুন। বাবার নাম সবুজ শেখ ও মায়ের নাম বিউটি বেগম। এ নিয়ে জটিলতা শুরু হওয়ায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত (আজ শুক্রবার রাত ৮টা) তাঁর লাশ হস্তান্তর প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়নি।
অভিশ্রুতির বাবার সঙ্গে কথা বলতে ফোন কল দেওয়া হলে রিসিভ করেন তাঁর চাচাতো ভাই পরিচয় দেওয়া বাপ্পী নামের একজন। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বৃষ্টি আমাদের পরিবারেরই। আমার আপন চাচাতো বোন। আমরা লাশ নিতে আসলে মিডিয়ার মানুষজন প্রশ্ন তুলছে, সে ফেসবুকে আর সব জায়গায় নিজেকে হিন্দু হিসেবে পরিচয় দিয়েছে। তাহলে আমরা কেন লাশ নিতে আসছি? এসবের জন্য এখনো লাশ নিতে পারছি না।’ এভাবে ভিন্ন পরিচয় বহন করার কোনো কারণও তিনি বলতে পারছেন না।
অভিশ্রুতির মৃত্যুর খবরে লাশ হস্তান্তরে বাধা দিয়েছেন রমনা কালীমন্দিরের সভাপতি উৎপল সাহা। তিনি বলেন, ‘অভিশ্রুতির সঙ্গে আমার আট মাসের পরিচয়। এখানে সাংবাদিকতা করতেন। হিন্দুধর্মাবলম্বীদের বিভিন্ন অনুষ্ঠানের খবর সংগ্রহও করতেন। তিনি আমাদের এই মন্দিরে পূজা দিতেন। মোটামুটি হিন্দুদের যেসব রিচ্যুয়াল আছে, সবই পালন করতেন।’
উৎপল সাহার বক্তব্য অনুযায়ী, অভিশ্রুতি তাঁকে জানিয়েছেন, তাঁর মূল বাড়ি ভারতের বেনারস। এক ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্ম এবং তাঁর মা-বাবা একটি মন্দিরের সেবক হিসেবে কাজ করতেন। ঘটনাক্রমে কুষ্টিয়ায় এই পরিবারের সঙ্গে বেড়ে ওঠা তাঁর। মুসলিম পরিবারে বেড়ে উঠলেও তিনি হিন্দুধর্মে বিশ্বাস করেন।
তবে যথাযথ প্রমাণ দিতে পারলে কুষ্টিয়ার যাঁরা অভিভাবক হিসেবে দাবি করছেন, তাঁদের কাছে লাশ হস্তান্তরে তাঁর আপত্তি থাকবে না।
অভিশ্রুতির সঙ্গে প্রায়ই যোগাযোগ হতো আজকের পত্রিকার মাল্টিমিডিয়া বিভাগের প্রতিবেদক তুহিন কান্তি দাসের। তিনি বলেন, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার কয়েক দিন আগেই অভিশ্রুতির সঙ্গে কথা হয়। তিনি বেশ হাস্যোজ্জ্বল থাকলেও ভেতরে একধরনের কষ্ট নিয়ে বেড়াতেন। বইমেলায় সবশেষ দেখা হয়েছিল। পরিবারের বিষয়ে জানতে চাইলে এড়িয়ে যেতেন। তবে মৃত্যুর কয়েক দিন আগে জানতে পারেন তাঁর স্তন ক্যানসার হয়েছে!
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ছাত্রদের তুলে নিয়ে মারধরের ঘটনায় করা মামলায় কুড়িগ্রামের উলিপুরে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের চার নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করে।
১৯ মিনিট আগেপদ্মা সেতু নির্মাণে আওয়ামী লীগের কৃতিত্ব নেই উল্লেখ করে এই নেতা বলেন, ‘বলতে পারেন আওয়ামী লীগ পদ্মা সেতু করেছে। আমি যদি কষ্ট করে উপার্জন করে একটা তিনতলা বিল্ডিং করি, মানুষ আমাকে সাধুবাদ জানাবে, মোবারকবাদ জানাবে। আর যদি মানুষের থেকে লোন নিয়ে তিনতলা বিল্ডিং করি, মানুষ আমাকে বেহায়া বলবে। হাসিনা যখন ২০০৯
৪৩ মিনিট আগেসিলেট বিভাগ, মৌলভীবাজার জেলা, কমলগঞ্জ, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, জেলার খবর
১ ঘণ্টা আগেলালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় জমি দখল নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়েছে। আজ শুক্রবার দুপুরে উপজেলার টংভাঙ্গা ইউনিয়নের গেন্দুকুড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ও বিজিবি ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এতে ইউপি সদস্যসহ অন্তত ১১ জন আহত হন।
১ ঘণ্টা আগে