নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
রাজনীতিমুক্ত ও অপশক্তিমুক্ত নিরাপদ ক্যাম্পাসের নিশ্চয়তা পেলে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা ক্লাস-পরীক্ষায় ফিরে যাবেন বলে জানিয়েছেন বুয়েটের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
আজ রোববার বিকেলে বুয়েটের প্রশাসনিক ভবনের সামনে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
সংবাদ সম্মেলনে তাঁরা বলেন, ‘ক্যাম্পাসে আমাদের রাজনীতিমুক্ত থাকা, অপশক্তির কবল থেকে মুক্ত থাকা এবং নিরাপত্তার নিশ্চয়তা পাওয়া গেলে আমরা সকল ব্যাচের শিক্ষার্থীরা অনতিবিলম্বে একাডেমিক কার্যক্রমে ফিরব। ইতিমধ্যে আমরা আমাদের পরীক্ষাগুলো রিশিডিউল করার আবেদন জানিয়েছি।’
আজকের অবস্থান এবং পরীক্ষা বর্জন প্রসঙ্গে তাঁরা বলেন, ‘নিরাপত্তাজনিত তীব্র শঙ্কার কারণে কেউ কোনোরূপ সমাগম করেনি। ক্যাম্পাসের আশপাশের সকল এলাকায় গতকাল রাত থেকে ক্রমাগত সাইকিং, শিক্ষার্থীদের ফোন কলে হুমকি-ধমকি প্রদান, সোশ্যাল মিডিয়ায় নানা রকম গুজব, বুয়েট শিক্ষার্থীদের মিথ্যা ট্যাগ দেওয়া, শিক্ষার্থীদের ছবি, নাম, পরিচয়সহ পোস্ট করে তাদের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা গুরুতরভাবে বিঘ্নিত হয়—এমন সকল অপপ্রচার চালানো হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে বুয়েট ক্যাম্পাস এবং আশপাশের এলাকা বুয়েটের শিক্ষার্থীদের জন্য অনিরাপদ হয়ে পড়েছে।’
তাঁরা আরও বলেন, বুয়েট ক্যাম্পাসের বাইরেও শিক্ষার্থীরা তাঁদের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত। নিরাপত্তাজনিত এসব কারণে বুয়েট শিক্ষার্থীদের আজ ক্যাম্পাসে অবস্থান না নেওয়া মানে এই নয় যে বুয়েট শিক্ষার্থীরা তাদের ছাত্ররাজনীতিবিহীন ক্যাম্পাসের দাবি থেকে সরে এসেছেন। এ দাবি বুয়েটের সব ব্যাচের সব শিক্ষার্থীর বলে জানান তাঁরা।
তাঁরা বলেন, বুয়েটের ২০ ব্যাচের টার্ম ফাইনাল পরীক্ষা ছিল, ওই পরীক্ষায় দুই-তিনজন বাদে সব শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করা থেকে বিরত ছিলেন। ২০ ব্যাচের ১ হাজার ২১৫ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ১ হাজার ২১১ জনই পরীক্ষায় অংশ নেননি। এ থেকেই শিক্ষার্থীদের সম্মিলিত নৈতিক অবস্থান ক্যাম্পাসে পুনরায় ছাত্ররাজনীতি প্রতিষ্ঠার বিরুদ্ধে কতটুকু সুদৃঢ় তা সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত হয়।
ছাত্ররাজনীতি ছাড়াই বুয়েট শিক্ষার্থীদের মধ্যে নেতৃত্বগুণের বিকাশ ঘটছে জানিয়ে তাঁরা বলেন, বুয়েটের শিক্ষার্থীরা বরাবরই একটি নিরাপদ এবং মুক্ত ক্যাম্পাস চেয়ে এসেছে। যেখানে ক্ষমতাচর্চার লোভ-লালসার শিকলে আবারও জিম্মি হয়ে যাবে না সবার নিরাপত্তা, শিক্ষাঙ্গনের উপযুক্ত পরিবেশ।
সুপ্ত নেতৃত্ব এবং নৈতিকতা বিকাশের সব উপাদান ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতির উপস্থিতি ব্যতীতও গত কয়েক বছরে উপস্থিত ছিল এবং এতে সুস্থ নেতৃত্বের চর্চায় শিক্ষার্থীরা তাঁদের উপযুক্ত পরিবেশ পেয়েছে। প্রতিটি ডিপার্টমেন্টের বাৎসরিক ফেস্টিভ্যাল আয়োজন, প্রতিটি ডিপার্টমেন্টের নিজস্ব সহশিক্ষা কার্যক্রম এবং একাডেমিক অর্গানাইজেশন, সামাজিক উন্নয়নমূলক কাজ, বিভিন্ন ক্লাবের কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে আনন্দের সঙ্গে সম্পন্ন হচ্ছে।
হিযবুত তাহরীরসহ উগ্রবাদী সংগঠনের ক্রিয়াকলাপ প্রসঙ্গে শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘বর্তমানে হিযবুত তাহরীর নিয়ে কথা উঠেছে। এটি কোনো রাজনৈতিক দল না, বরং নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন। এদের কর্মকাণ্ড আমরা ক্যাম্পাসে দেখতে পাই বহিরাগতদের (সিসি ফুটেজ অনুযায়ী) লাগানো বিভিন্ন পোস্টার, মেইল বা প্রচারপত্র ইত্যাদির ভিত্তিতে। তাদের পরিচয় সম্পর্কে আমরা স্পষ্ট না। আমরা হিজবুত তাহরীরের নিঃসন্দেহে সম্পূর্ণ বিপক্ষে এবং এ জাতীয় অপশক্তির উত্থান যেন বুয়েটে না হয় এ জন্য আমরা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।’
রাজনীতিমুক্ত ও অপশক্তিমুক্ত নিরাপদ ক্যাম্পাসের নিশ্চয়তা পেলে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা ক্লাস-পরীক্ষায় ফিরে যাবেন বলে জানিয়েছেন বুয়েটের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
আজ রোববার বিকেলে বুয়েটের প্রশাসনিক ভবনের সামনে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
সংবাদ সম্মেলনে তাঁরা বলেন, ‘ক্যাম্পাসে আমাদের রাজনীতিমুক্ত থাকা, অপশক্তির কবল থেকে মুক্ত থাকা এবং নিরাপত্তার নিশ্চয়তা পাওয়া গেলে আমরা সকল ব্যাচের শিক্ষার্থীরা অনতিবিলম্বে একাডেমিক কার্যক্রমে ফিরব। ইতিমধ্যে আমরা আমাদের পরীক্ষাগুলো রিশিডিউল করার আবেদন জানিয়েছি।’
আজকের অবস্থান এবং পরীক্ষা বর্জন প্রসঙ্গে তাঁরা বলেন, ‘নিরাপত্তাজনিত তীব্র শঙ্কার কারণে কেউ কোনোরূপ সমাগম করেনি। ক্যাম্পাসের আশপাশের সকল এলাকায় গতকাল রাত থেকে ক্রমাগত সাইকিং, শিক্ষার্থীদের ফোন কলে হুমকি-ধমকি প্রদান, সোশ্যাল মিডিয়ায় নানা রকম গুজব, বুয়েট শিক্ষার্থীদের মিথ্যা ট্যাগ দেওয়া, শিক্ষার্থীদের ছবি, নাম, পরিচয়সহ পোস্ট করে তাদের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা গুরুতরভাবে বিঘ্নিত হয়—এমন সকল অপপ্রচার চালানো হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে বুয়েট ক্যাম্পাস এবং আশপাশের এলাকা বুয়েটের শিক্ষার্থীদের জন্য অনিরাপদ হয়ে পড়েছে।’
তাঁরা আরও বলেন, বুয়েট ক্যাম্পাসের বাইরেও শিক্ষার্থীরা তাঁদের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত। নিরাপত্তাজনিত এসব কারণে বুয়েট শিক্ষার্থীদের আজ ক্যাম্পাসে অবস্থান না নেওয়া মানে এই নয় যে বুয়েট শিক্ষার্থীরা তাদের ছাত্ররাজনীতিবিহীন ক্যাম্পাসের দাবি থেকে সরে এসেছেন। এ দাবি বুয়েটের সব ব্যাচের সব শিক্ষার্থীর বলে জানান তাঁরা।
তাঁরা বলেন, বুয়েটের ২০ ব্যাচের টার্ম ফাইনাল পরীক্ষা ছিল, ওই পরীক্ষায় দুই-তিনজন বাদে সব শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করা থেকে বিরত ছিলেন। ২০ ব্যাচের ১ হাজার ২১৫ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ১ হাজার ২১১ জনই পরীক্ষায় অংশ নেননি। এ থেকেই শিক্ষার্থীদের সম্মিলিত নৈতিক অবস্থান ক্যাম্পাসে পুনরায় ছাত্ররাজনীতি প্রতিষ্ঠার বিরুদ্ধে কতটুকু সুদৃঢ় তা সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত হয়।
ছাত্ররাজনীতি ছাড়াই বুয়েট শিক্ষার্থীদের মধ্যে নেতৃত্বগুণের বিকাশ ঘটছে জানিয়ে তাঁরা বলেন, বুয়েটের শিক্ষার্থীরা বরাবরই একটি নিরাপদ এবং মুক্ত ক্যাম্পাস চেয়ে এসেছে। যেখানে ক্ষমতাচর্চার লোভ-লালসার শিকলে আবারও জিম্মি হয়ে যাবে না সবার নিরাপত্তা, শিক্ষাঙ্গনের উপযুক্ত পরিবেশ।
সুপ্ত নেতৃত্ব এবং নৈতিকতা বিকাশের সব উপাদান ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতির উপস্থিতি ব্যতীতও গত কয়েক বছরে উপস্থিত ছিল এবং এতে সুস্থ নেতৃত্বের চর্চায় শিক্ষার্থীরা তাঁদের উপযুক্ত পরিবেশ পেয়েছে। প্রতিটি ডিপার্টমেন্টের বাৎসরিক ফেস্টিভ্যাল আয়োজন, প্রতিটি ডিপার্টমেন্টের নিজস্ব সহশিক্ষা কার্যক্রম এবং একাডেমিক অর্গানাইজেশন, সামাজিক উন্নয়নমূলক কাজ, বিভিন্ন ক্লাবের কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে আনন্দের সঙ্গে সম্পন্ন হচ্ছে।
হিযবুত তাহরীরসহ উগ্রবাদী সংগঠনের ক্রিয়াকলাপ প্রসঙ্গে শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘বর্তমানে হিযবুত তাহরীর নিয়ে কথা উঠেছে। এটি কোনো রাজনৈতিক দল না, বরং নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন। এদের কর্মকাণ্ড আমরা ক্যাম্পাসে দেখতে পাই বহিরাগতদের (সিসি ফুটেজ অনুযায়ী) লাগানো বিভিন্ন পোস্টার, মেইল বা প্রচারপত্র ইত্যাদির ভিত্তিতে। তাদের পরিচয় সম্পর্কে আমরা স্পষ্ট না। আমরা হিজবুত তাহরীরের নিঃসন্দেহে সম্পূর্ণ বিপক্ষে এবং এ জাতীয় অপশক্তির উত্থান যেন বুয়েটে না হয় এ জন্য আমরা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।’
রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানা এলাকার বিটাক মোড়ে বাংলাদেশ টেক্সটাইল ইউনিভার্সিটির (বুটেক্স) শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত অর্ধশত শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। আহতদের শমরিতা ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। আহতদের মধ্যে কয়েকজ
৪ ঘণ্টা আগেরাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানা এলাকার বিটাক মোড়ে বাংলাদেশ টেক্সটাইল ইউনিভার্সিটির (বুটেক্স) শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ হয়েছে। রোববার (২৪ নভেম্বর) রাত ১০টা থেকে এ সংঘর্ষ শুরু হয়। পরে পুলিশ গিয়ে দুই পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। রাত ১২টায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ঘট
৬ ঘণ্টা আগেব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে ভারতে যাওয়ার সময় স্বেচ্ছাসেবক লীগের এক নেতাকে আটক করেছে বিজিবি। আজ রোববার বিকেলে আখাউড়া স্থলবন্দর বিজিবি চেকপোস্ট থেকে তাঁকে আটক করে বিজিবি আইসিপি ক্যাম্পের টহলরত জওয়ানরা।
৬ ঘণ্টা আগেপুরান ঢাকায় সেন্ট গ্রেগরি স্কুল অ্যান্ড কলেজে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেছেন সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থীরা। আজ রোববার রাজধানীর ৩৫ এর অধিক কলেজের শিক্ষার্থীরা সোহরাওয়ার্দী কলেজে ভাঙচুর ও লুটপাট করার পর ক্ষুব্ধ হয়ে শিক্ষার্থীরা ৫টার দিকে এ হামলা চালায়।
৭ ঘণ্টা আগে