শুটার মুসা ছয় দিনের রিমান্ডে

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশ : ১০ জুন ২০২২, ২০: ১৫

মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম টিপু ও কলেজ ছাত্রী সামিয়া আফরিন প্রীতি হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার শুটার সুমন শিকদার মুসাকে ছয় দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। আজ শুক্রবার ঢাকার মহানগর হাকিম ফারাহ দিবা ছন্দা এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন। 

বিকেলের দিকে তাঁকে আদালতে হাজির করা হয়। একই সঙ্গে ১৫ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করে মামলার তদন্ত সংস্থা ডিবি পুলিশ। শুনানি শেষে আদালত ৬ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। 

মুসা টিপু হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী। মুসা ঘটনার আগেই গত ১২ মার্চ দেশ ছেড়ে সংযুক্ত আরব আমিরাত চলে যান। তার সন্ধান পেতে ৬ এপ্রিল পুলিশ সদর দপ্তরের এনসিবি শাখায় যোগাযোগ করা হয়। 

পুলিশ সদর দপ্তর ৮ এপ্রিল মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে ইন্টারপোলের মাধ্যমে যোগাযোগ শুরু করে। এর মধ্যে ৮ মে জানা যায়, মুসা দুবাই থেকে ওমানে প্রবেশ করেছেন। ইন্টারপোলের ওমান পুলিশ এনসিবির সহযোগিতায় গত ১২ মে মুসাকে গ্রেপ্তার করা হয়। বাংলাদেশ পুলিশের একটি টিম ওমানে গিয়ে বৃহস্পতিবার (৯ জুন) মুসাকে দেশে ফিরিয়ে আনে। 

টিপু-প্রীতি হত্যাকাণ্ডের পর শুটার মাসুম মোহাম্মদ ওরফে আকাশের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে মূল পরিকল্পনাকারী ও সমন্বয়কারী হিসেবে মুসার নাম আসে। 

রিমান্ড আবেদনে তদন্ত কর্মকর্তা উল্লেখ করেন, মুসা এই ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী। ঘটনার আগেই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য অন্যদের দায়িত্ব দিয়ে তিনি বিদেশে পালিয়ে যান। ইন্টারপোলের পুলিশের সহযোগিতায় তাঁকে বাংলাদেশ নিয়ে আসা হয়। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদে তিনি স্বীকার করেন, এই হত্যাকাণ্ডে তিনি জড়িত। এই ঘটনার পেছনে আরও যারা জড়িত আছেন তা জানার জন্য তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন। 

গত ২৪ মার্চ রাত ৯টা ৫০ মিনিটের দিকে জাহিদুল ইসলাম টিপু মাইক্রোবাসে করে শাহজাহানপুর আমতলা হয়ে বাসায় ফিরছিলেন। শাহজাহানপুর ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালের সামনে পৌঁছালে হেলমেট পরা দুর্বৃত্তরা তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি করে। এতে জাহিদুল ও তাঁর গাড়িচালক মুন্না গুলিবিদ্ধ হন। এ সময় জাহিদুলের গাড়ির পাশে রিকশায় থাকা বদরুন্নেসা কলেজের ছাত্রী প্রীতিও গুলিবিদ্ধ হন। তাঁদের রক্তাক্ত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জাহিদুল ও প্রীতিকে মৃত ঘোষণা করেন। 

এ ঘটনায় পরের দিন ২৫ মার্চ দুপুরে নিহত জাহিদুল ইসলাম টিপুর স্ত্রী ফারজানা ইসলাম ডলি বাদী হয়ে শাহজাহানপুর থানায় অজ্ঞাতদের আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। 

উল্লেখ্য গত ৫ মার্চ এই মামলায় গ্রেপ্তারকৃত আসামি মাসুম মোহাম্মদ ওরফে শুটার মাসুম ওরফে আকাশ ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়ে হত্যার দায় স্বীকার করেন। মাসুম এখন কারাগারে আছেন। এ ছাড়া এর আগে আরও পাঁচ আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারাও কারাগারে আছেন।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত