বিবাহিত ৪৫ শতাংশ নারী অপুষ্টিতে ভুগছেন

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১৬ আগস্ট ২০২২, ১৬: ১৩
Thumbnail image

গত দশ বছরে নারীদের পুষ্টিহীনতার হার কিছুটা কমলেও এখনো তা মারাত্মক পর্যায়ে রয়েছে। বিশেষ করে বিবাহিত নারীদের অবস্থা রয়েছে শোচনীয় পর্যায়ে। বর্তমানে দেশের এক কোটি ৭০ লাখ বিবাহিত নারী অপুষ্টিতে ভুগছেন, যা মোট বিবাহিত নারীর ৪৪ দশমিক ৭৩ শতাংশ। এদের বড় একটি অংশের উচ্চতার তুলনায় ওজন বেশি। অন্য অংশের উচ্চতার তুলনায় ওজন কম। এসব নারী প্রতি বছর ১৪ লাখ শিশুর জন্ম দিচ্ছেন। অর্থাৎ অপুষ্টির ঝুঁকি নিয়ে জন্ম হচ্ছে এসব শিশুর। 

আজ মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশে (আইসিডিডিআরবি) অনুষ্ঠিত ‘বাংলাদেশি নারীদের অপুষ্টির দ্বৈতবোঝা’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। অনুষ্ঠানটির আয়োজন করেছে আইসিডিডিআরবি, যুক্তরাষ্ট্রের দাতা সংস্থা ইউএসএআইডি এবং ডেটা ফর ইমপ্যাক্ট। গবেষণা উপস্থাপন করেন ডাটা ফর ইম্প্যাক্টের নলেজ ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড কমিউনিকেশনস স্পেশালিষ্ট খান সুশমিতা হোসাইন ও আইসিডিডিআরবির সহকারী বিজ্ঞানী মহিউদ্দিন। 

গবেষকেরা জানান, ১৫ থেকে ৪৯ বছর বয়সী নারীদের পুষ্টি পরিস্থিতি নিয়ে ২০১৭ সালে এই গবেষণা চালানো হয়েছে। 

 আইসিডিডিআরবিতে সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হয়েছেআইসিডিডিআরবির সহকারী বিজ্ঞানী মহিউদ্দিন বলেন, দেশে বর্তমানে বিবাহিত নারী ৩ কোটি ৮০ লাখ। এর মধ্যে পুষ্টিহীনতায় ৫০ লাখ নারীর ওজন প্রয়োজনের তুলনায় কম। অন্যদিকে একই কারণে এক কোটি ২০ লাখ নারীর ওজন প্রয়োজনের তুলনায় বেশি। 

 ২০০৭ থেকে ২০১৭ সালের জনমিতি, স্বাস্থ্য ও পুষ্টির তথ্য বিশ্লেষণ করে গবেষকেরা বলছেন, আগের তুলনায় বিবাহিত নারীদের ওজন স্বল্পতাজনিত অপুষ্টি অনেকটা কমেছে। ২০০৭ সালে শহর ও গ্রামাঞ্চলে উচ্চতার চেয়ে কম ওজনের নারী ছিল ২৬ শতাংশ। এক দশক পর ২০১৭ সালে এসে তা ১১ শতাংশে নেমেছে। অন্যদিকে ২০০৭ সালে উচ্চতার তুলনায় স্থুল নারীর সংখ্যা ১৭ শতাংশ থাকলেও সেটি বেড়ে ৩৫ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। অর্থাৎ গত দশ বছরে পুষ্টি পরিস্থিতির কিছুটা হলেও অবনতি ঘটেছে। 

এ সময় বক্তারা বলেন, স্বাস্থ্য ও পুষ্টিবিষয়ক নীতিতে, পরিকল্পনায় বা প্রকল্পে কম ওজন বিষয়ক অপুষ্টিতে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এ জন্য সরকারের ২২টি মন্ত্রণালয় কাজ করছে। তবে কাজ কতটা প্রভাব ফেলছে তা চিত্রই বলে দিচ্ছে। তাঁরা আরও বলেন, দেশে নারীদের স্থূলতার সমস্যা দিন দিন প্রকট হচ্ছে। এ জন্য বিবাহের আগেই স্কুলে পড়া অবস্থায় পুষ্টির দিকে নজর দেওয়ার সময় এসেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত