সিরাজদিখান (মুন্সিগঞ্জ) প্রতিনিধি
মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে লোকসানের মুখে পড়েছেন ফুলকপি, বাঁধাকপি ও ব্রকলিচাষিরা। তাঁরা জানিয়েছেন, প্রতিটি কপির উৎপাদন খরচ ২৫ টাকা ছাড়ালেও এখন তা বিক্রি করতে হচ্ছে ৫-৭ টাকায়। এ অবস্থায় সরকারকে ভর্তুকি দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
গতকাল রোববার সকাল ৮টার দিকে উপজেলার রশুনিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ তাজপুর গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে, জমি থেকে ফুলকপি, বাঁধাকপি, ব্রকলি বাজারে বিক্রির জন্য প্রস্তুত করছেন কৃষক আরিফ মিল্কি।
আরিফ মিল্কি বলেন, ‘এ বছর আমি ৬৩ শতাংশ জমি সনজমা (ভাড়া) রেখে ফুলকপি, বাঁধাকপি ও ব্রকলি চাষ করেছি। প্রতিটি কপি চাষে খরচ পড়েছে ২৫ টাকা করে। তবে এখন বাজারদর অনুসারে ফুলকপি, বাঁধাকপি ও ব্রকলি বিক্রি করতে হচ্ছে ৫-৭ টাকা করে। প্রতিটিতে আমার ২০ টাকা লোকসান হচ্ছে।’
কৃষক আরিফ আরও বলেন, ‘এ বছর আমার ৬৩ শতাংশ জমিতে কপি চাষে খরচ হয়েছে প্রায় ২ লাখ টাকা এবং বিক্রি হয়েছে ৪০ হাজার টাকার মতো। এখনো অনেক কপি জমিতে আছে। চেষ্টা করছি সেগুলো দ্রুত বিক্রি করে লোকসান কমাতে। এখন পরিবার নিয়ে আমার চলাটাই দায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই সরকারের কাছে অনুরোধ জানাই, ভর্তুকি দিয়ে আমাদের সহযোগিতা করা হোক।’
দক্ষিণ তাজপুর গ্রামের কৃষক মো. ফুলচান খান বলেন, ‘আমি ২৮ শতাংশ জমিতে ফুলকপি চাষ করেছি। এতে আমার খরচ হয়েছে ৪২ হাজার, বিক্রি করেছি ২২ হাজার টাকা। এতে আমার লোকসান হয়েছে ২০ হাজার টাকা।’
এদিন দুপুরে সিরাজদিখান বাজারে সরেজমিনে দেখা যায়, খুচরা বাজারে প্রতিটি ফুলকপি ১০-১৫, বাঁধাকপি ১৫-২০ এবং ব্রকলি ১৫-২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
সিরাজদিখান বাজারের সবজি বিক্রেতা মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘এ বাজারে বিভিন্ন গ্রাম থেকে আসে ফুলকপি, ব্রকলি ও বাঁধাকপি। আমি এখন ফুলকপি, বাঁধাকপি ও ব্রকলি ১০ থেকে ১৫ টাকা দরে বিক্রি করছি। কৃষক থেকে ৫-১০ টাকা করে কিনেছি। আগের থেকে সব সবজির দাম কমেছে।’
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আবু সাঈদ শুভ্র বলেন, ‘চাহিদার চেয়ে জোগান বেশি হওয়ায় ফুলকপি, বাঁধাকপি ও ব্রকলির দাম পাচ্ছেন না কৃষক। আমরা সব সময় তাঁদের একই সঙ্গে ভিন্ন ভিন্ন ধরনের সবজি চাষের পরামর্শ দিয়ে আসছি। কিন্তু গতবার দাম বেশি পাওয়ায় সবাই একসঙ্গে কপি চাষ করেছেন। আগাম জাতের ফুলকপি চাষ হলে এ সমস্যা তৈরি হতো না।’
এ কর্মকর্তা আরও বলেন, চলতি মৌসুমে এ উপজেলায় ফুলকপি ৭৫ হেক্টরে, বাঁধাকপি ৬৫ হেক্টরে, ব্রকলি ৪ হেক্টর জমিতে চাষ করা হয়েছে।
মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে লোকসানের মুখে পড়েছেন ফুলকপি, বাঁধাকপি ও ব্রকলিচাষিরা। তাঁরা জানিয়েছেন, প্রতিটি কপির উৎপাদন খরচ ২৫ টাকা ছাড়ালেও এখন তা বিক্রি করতে হচ্ছে ৫-৭ টাকায়। এ অবস্থায় সরকারকে ভর্তুকি দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
গতকাল রোববার সকাল ৮টার দিকে উপজেলার রশুনিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ তাজপুর গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে, জমি থেকে ফুলকপি, বাঁধাকপি, ব্রকলি বাজারে বিক্রির জন্য প্রস্তুত করছেন কৃষক আরিফ মিল্কি।
আরিফ মিল্কি বলেন, ‘এ বছর আমি ৬৩ শতাংশ জমি সনজমা (ভাড়া) রেখে ফুলকপি, বাঁধাকপি ও ব্রকলি চাষ করেছি। প্রতিটি কপি চাষে খরচ পড়েছে ২৫ টাকা করে। তবে এখন বাজারদর অনুসারে ফুলকপি, বাঁধাকপি ও ব্রকলি বিক্রি করতে হচ্ছে ৫-৭ টাকা করে। প্রতিটিতে আমার ২০ টাকা লোকসান হচ্ছে।’
কৃষক আরিফ আরও বলেন, ‘এ বছর আমার ৬৩ শতাংশ জমিতে কপি চাষে খরচ হয়েছে প্রায় ২ লাখ টাকা এবং বিক্রি হয়েছে ৪০ হাজার টাকার মতো। এখনো অনেক কপি জমিতে আছে। চেষ্টা করছি সেগুলো দ্রুত বিক্রি করে লোকসান কমাতে। এখন পরিবার নিয়ে আমার চলাটাই দায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই সরকারের কাছে অনুরোধ জানাই, ভর্তুকি দিয়ে আমাদের সহযোগিতা করা হোক।’
দক্ষিণ তাজপুর গ্রামের কৃষক মো. ফুলচান খান বলেন, ‘আমি ২৮ শতাংশ জমিতে ফুলকপি চাষ করেছি। এতে আমার খরচ হয়েছে ৪২ হাজার, বিক্রি করেছি ২২ হাজার টাকা। এতে আমার লোকসান হয়েছে ২০ হাজার টাকা।’
এদিন দুপুরে সিরাজদিখান বাজারে সরেজমিনে দেখা যায়, খুচরা বাজারে প্রতিটি ফুলকপি ১০-১৫, বাঁধাকপি ১৫-২০ এবং ব্রকলি ১৫-২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
সিরাজদিখান বাজারের সবজি বিক্রেতা মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘এ বাজারে বিভিন্ন গ্রাম থেকে আসে ফুলকপি, ব্রকলি ও বাঁধাকপি। আমি এখন ফুলকপি, বাঁধাকপি ও ব্রকলি ১০ থেকে ১৫ টাকা দরে বিক্রি করছি। কৃষক থেকে ৫-১০ টাকা করে কিনেছি। আগের থেকে সব সবজির দাম কমেছে।’
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আবু সাঈদ শুভ্র বলেন, ‘চাহিদার চেয়ে জোগান বেশি হওয়ায় ফুলকপি, বাঁধাকপি ও ব্রকলির দাম পাচ্ছেন না কৃষক। আমরা সব সময় তাঁদের একই সঙ্গে ভিন্ন ভিন্ন ধরনের সবজি চাষের পরামর্শ দিয়ে আসছি। কিন্তু গতবার দাম বেশি পাওয়ায় সবাই একসঙ্গে কপি চাষ করেছেন। আগাম জাতের ফুলকপি চাষ হলে এ সমস্যা তৈরি হতো না।’
এ কর্মকর্তা আরও বলেন, চলতি মৌসুমে এ উপজেলায় ফুলকপি ৭৫ হেক্টরে, বাঁধাকপি ৬৫ হেক্টরে, ব্রকলি ৪ হেক্টর জমিতে চাষ করা হয়েছে।
কেউ দখল করেছেন নদীর পাড়, কেউবা নদীর সীমানায় নির্মাণ করেছেন দালান। এমনকি পুরোনো সেতুর পাশ দখলে নিয়েছেন প্রভাবশালীরা। স্থাপনা নির্মাণ করে ভাড়া দেওয়া হয়েছে খাবারের হোটেল, দোকানপাট হিসেবে। শুধু তা-ই নয়, নদীতে ফেলা হচ্ছে বাসাবাড়ির ময়লাও। এভাবেই দখল ও দূষণে মাগুরার নবগঙ্গা নদী এখন মরা খালে পরিণত হয়েছে।
৬ ঘণ্টা আগেদীর্ঘ এক যুগ পর বরিশাল নগরীতে পাইপলাইনের মাধ্যমে বালু সরবরাহের অনুমোদন দিতে যাচ্ছে বরিশাল সিটি করপোরেশন (বিসিসি)। তবে এ ক্ষেত্রে মানা হচ্ছে না সরকারি নির্দেশনা। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, দরপত্র প্রক্রিয়া ছাড়াই ২০ লাখ টাকা করে জামানত নিয়ে দেওয়া হচ্ছে বালু সরবরাহের ইজারা। ইতিমধ্যে ২২ জন ইজারাদার জা
৬ ঘণ্টা আগেবকেয়া বেতনের দাবিতে গাজীপুরের বোর্ড বাজার এলাকায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন একটি পোশাক কারখানার শ্রমিকেরা। আজ সোমবার রাত ৮টা থেকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে প্রথমে পুলিশ ও পরে সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে শ্রমিকদের মহাসড়ক থেকে সরে যাওয়ার অনুরোধ জানায়। পরে শ্রমিকেরা মহাসড়ক...
৯ ঘণ্টা আগেহযরত শাহজালাল (রহ.) শিরক উৎখাতে পুণ্যভূমি সিলেট এসেছিলেন। পবিত্র এ ভূমিতে কোনো ভাস্কর্য-ম্যুরাল মেনে নেওয়া হবে না। সিলেট জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে স্থাপিত শেখ মুজিবের ম্যুরাল অপসারণে বারবার জেলা প্রশাসকের কাছে দাবি জানানো হয়েছে। কিন্তু জনদাবি বারবার উপেক্ষা করা হচ্ছে। প্রশাসনের এই গড়িমসি সিলেট
৯ ঘণ্টা আগে