সাভারে দাফনের ২২ দিন পর মরদেহ তুলে ময়নাতদন্ত

সাভার (ঢাকা) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৮ অক্টোবর ২০২৩, ১৫: ১৫
আপডেট : ০৮ অক্টোবর ২০২৩, ২০: ৫৩

দাফনের ২২ দিন পর আদালতের নির্দেশে কবর থেকে সাভারের এক ব্যবসায়ীর মরদেহ উত্তোলন করা হয়েছে। পরে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকার সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।  

আজ রবিবার বেলা ১১টার দিকে সাভার উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এস এম রাসেল ইসলাম নূরের উপস্থিততে সাভার পৌর এলাকার ঘাসমহলের আল বেদা বাইতুন নূর জামে মসজিদ কবরস্থান থেকে মরদেহটি উত্তোলন করা হয়।  

মৃত ব্যক্তির নাম মো. জামাল। তিনি সাভারের দক্ষিণ রাজাশন এলাকার মৃত ফরিদ গোলদারের ছেলে। জামাল পেশায় তেল-মোবিল ও খামার ব্যবসায়ী ছিলেন।  

নিহতের ছোট ভাই ও মামলার বাদী ইমরান হোসেন গোলদার জানান, গত ১৬ সেপ্টেম্বর রাতে তাঁদের প্রতিবেশী ও তিতাস গ্যাসের ঠিকাদার ফোরকান হাকিমের বাসায় তাঁর ভাইকে ফোনে ডেকে নেওয়া হয়। গভীর রাতে তাঁর মোবাইল ফোনে কল দিয়ে জানানো হয়, তাঁর ভাই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে তিনি দেখতে পান, তাঁর ভাই জামাল অচেতন অবস্থায় পড়ে আছেন। জামালের মাথায় ও পায়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। 

এরই মধ্যে ওই বাড়ির সদস্যরা তাঁকে জানান, জামাল হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। পরে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে তিনি আগেই মারা গেছেন বলে জানান চিকিৎসকেরা। পরে জামালকে নিয়ে এসে দাফন করা হয়। 

ইমরান হোসেন আরও বলেন, ‘ঘটনার প্রায় তিন মাস আগে ফোরকান হাকিমকে আমার ভাই ২ লাখ টাকা দেয় বৈধ গ্যাস সংযোগ নেওয়ার জন্য। কিন্তু ফোরকান হাকিম অবৈধ গ্যাস সংযোগ দেয় আমার ভাইয়ের বাসায়। পরে গ্যাসের বিলের কাগজ দিতে না পারায় আমার ভাইয়ের সঙ্গে ফোরকানের দ্বন্দ্ব শুরু হয়। এ নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই ঝগড়া বিবাদ চলে আসলেও মারা যাওয়ার কিছুদিন আগ থেকে তাদের দুজনের মধ্যে মিল হয়ে যায়।’ 

ঘটনার দিন ফোরকান হাকিম, তাঁর দুই ভাই লোকমান হাকিম, গোফরান হাকিম ও খালাতো ভাই কাঞ্চন শীয়ালি ওরফে দ্বীন মোহাম্মদ উপস্থিত ছিলেন। লাশ দাফনের পর থেকে তাঁরা পলাতক এবং তাঁদের বাড়ি তালাবদ্ধ থাকায় সন্দেহ সৃষ্টি হলে গত ১৮ সেপ্টেম্বর আদালতে গিয়ে একটি মামলা করে জামালের পরিবার। 

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও সাভার মডেল থানার পরিদর্শক (ইন্টেলিজেন্স) আব্দুল্লাহ বিশ্বাস বলেন, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মহোদয়ের উপস্থিতিতে মরদেহটি উত্তোলন করা হয়। ভুক্তভোগী পরিবার আদালতে মামলা দায়েরের আবেদন করেছেন। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত ময়নাতদন্তের নির্দেশনা দিয়েছেন। ময়নাতদন্ত করে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকার সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

আব্দুল্লাহ বিশ্বাস আরও বলেন, ‘গত বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) আদালতের নির্দেশনার কাগজ পাই আমরা। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে সে হিসেবে মামলা রুজু করা হবে।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত