সিরাজদিখান (মুন্সিগঞ্জ) প্রতিনিধি
মুন্সিগঞ্জ-১ (সিরাজদিখান-শ্রীনগর) আসনের স্বতন্ত্র ট্রাক প্রতীকের প্রার্থী গোলাম সারোয়ার কবির ও নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মহিউদ্দিন আহমেদের দাপটে জামানত খোয়ালেন বর্তমান সংসদ সদস্য ও বিকল্প ধারা বাংলাদেশের যুগ্ম-মহাসচিব কুলা প্রতীকের প্রার্থী মাহি বি. চৌধুরী এবং সোনালী আঁশ প্রতীকে তৃণমূল বিএনপির চেয়ারপারসন অন্তরা সেলিমা হুদা। ১৭০টি কেন্দ্রে মাহি ১৭ হাজার ৯৩৩ ভোট ও অন্তরা ৬ হাজার ৩৩৭ ভোট পেয়েছেন।
এ আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ৫ লাখ ৮ হাজার ৯৮৬। ভোট পড়েছে ১ লাখ ৯২ হাজার ৫৬৭। ভোটাধিকার প্রয়োগ করা হার ৩৭ দশমিক ৮৩ শতাংশ এবং মাহী বি. চৌধুরীর কুলা প্রতীকে ভোটাধিকার প্রয়োগ করা হার ৯ দশমিক ৫২ শতাংশ। নির্বাচনের বিধি অনুযায়ী, নির্ধারিত ভোট না পাওয়ায় মাহির জামানত বাজেয়াপ্ত হচ্ছে।
গত রোববার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত টানা ভোটগ্রহণের পর রাতে দুই সহকারী রিটার্নিং অফিসার (সিরাজদিখান ও শ্রীনগর ইউএনও) কার্যালয় থেকে ঘোষিত ফলাফলে নৌকা প্রতীকে মহিউদ্দিন আহমেদ ৯৫ হাজার ৮৬০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছে। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম সারোয়ার কবির ট্রাক প্রতীকে পেয়েছেন ৬১ হাজার ৫৪০ ভোট। নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মহিউদ্দিন আহমেদ ৩৪ হাজার ৩২০ ভোট বেশি পেয়ে এমপি নির্বাচিত হন।
এ ছাড়া লাঙ্গল প্রতীকে অ্যাডভোকেট শেখ মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম পেয়েছেন ৪৭০ ভোট, সোনালী আঁশ প্রতীকে তৃণমূল বিএনপির চেয়ারপারসন অন্তরা সেলিমা হুদা ৬ হাজার ৩৩৭ ভোট, বট গাছ প্রতীকে আতাউল্লাহ ২ হাজার ৬৩৫ ভোট, আম প্রতীকে দুয়েল আক্তার ২৯৯ ভোট, ডাব প্রতীকে নুরজাহান বেগম রিতা ৮৭ ভোট, একতারা প্রতীকে লতিফ সরকার ৩ হাজার ২০২ ভোট। এই আসনটিতে ৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন।
জানা যায়, সাবেক রাষ্ট্রপতির আসন হিসেবেই পরিচিত মুন্সিগঞ্জ-১। এ ছাড়া এ আসন এক সময় ছিল বিএনপির শক্ত ঘাঁটি। দলটির এক কালের শীর্ষ নেতা সাবেক রাষ্ট্রপতি এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী বা বি চৌধুরী ও জাতীয় পার্টির সাবেক উপপ্রধানমন্ত্রী শাহ মোয়াজ্জেমের কারণে আসনটি জেলার ‘ভিআইপি’ আসন হিসেবে আলোচিত। অনেকে মনে করেন, এ আসনে দলের ভাঙনের পর থেকেই রাজনীতিতে পিছিয়ে পড়তে থাকে বিএনপি। এ ছাড়া তারা দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও অংশগ্রহণ করেনি।
এ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগের মিত্র বিকল্পধারার যুগ্ম মহাসচিব মাহি বদরুদ্দোজা চৌধুরী। আসনটি এর আগের দুই মেয়াদে আওয়ামী লীগের দখলেই ছিল। ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে ‘প্ল্যান বি’ নিয়ে রাজনীতির মাঠে হাজির হন মাহি। মাহির দল বিকল্পধারা প্রথমে বিএনপির সঙ্গে যুক্তফ্রন্টে গেলেও পরে যোগ দেয় আওয়ামী লীগের জোটে। বিএনপির প্রার্থী শাহ মোয়াজ্জেম হোসেনের বিপরীতে ৬৫ দশমিক ৯ শতাংশ ভোট পেয়ে বিকল্প ধারা থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন মাহি বি চৌধুরী।
২০০২ সালে মাহির বাবা বদরুদ্দোজা চৌধুরী রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হলে আসনটি ছেড়ে দেন। এরপর উপনির্বাচনে প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন মাহি। কিন্তু বিএনপি বদরুদ্দোজা চৌধুরীকে রাষ্ট্রপতি পদ থেকে পদত্যাগের বাধ্য করলে মাহিও সংসদ সদস্য পদ ছেড়ে দেন। দুজনে মিলে গঠন করেন বিকল্প ধারা।
২০০৪ সালে আসনটিতে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সেই নির্বাচনে ক্ষমতাসীন বিএনপির প্রার্থী মমিন আলীকে হারিয়ে বিজয়ী হন মাহি বদরুদ্দোজা চৌধুরী। এর আগে ১৯৯১,১৯৯৬ ফেব্রুয়ারি (ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচন), ১৯৯৬ জুন (সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচন) ২০০১ ও ২০০২ সালে অনুষ্ঠিত হওয়া উপনির্বাচনে আসনটি বিএনপির দখলে ছিল।
এই আসনটিতে ২০০৮ সালে মোট ভোটের ৫০ শতাংশ ভোট পেয়ে বিএনপির প্রার্থী শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন ও বিকল্প ধারার প্রেসিডেন্ট সাবেক রাষ্ট্রপতি একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরীকে হারিয়ে আওয়ামী লীগ থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন শ্রীনগর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি সুকুমার রঞ্জন ঘোষ। ২০১৪ সালের নির্বাচনে বিএনপি ভোট বর্জন করলে জাতীয় পার্টির প্রার্থী নুর মোহাম্মদকে হারিয়ে ৯৬ শতাংশ ভোট পেয়ে আওয়ামী লীগ থেকে পুনরায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন সুকুমার রঞ্জন ঘোষ।
মুন্সিগঞ্জ-১ (সিরাজদিখান-শ্রীনগর) আসনের স্বতন্ত্র ট্রাক প্রতীকের প্রার্থী গোলাম সারোয়ার কবির ও নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মহিউদ্দিন আহমেদের দাপটে জামানত খোয়ালেন বর্তমান সংসদ সদস্য ও বিকল্প ধারা বাংলাদেশের যুগ্ম-মহাসচিব কুলা প্রতীকের প্রার্থী মাহি বি. চৌধুরী এবং সোনালী আঁশ প্রতীকে তৃণমূল বিএনপির চেয়ারপারসন অন্তরা সেলিমা হুদা। ১৭০টি কেন্দ্রে মাহি ১৭ হাজার ৯৩৩ ভোট ও অন্তরা ৬ হাজার ৩৩৭ ভোট পেয়েছেন।
এ আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ৫ লাখ ৮ হাজার ৯৮৬। ভোট পড়েছে ১ লাখ ৯২ হাজার ৫৬৭। ভোটাধিকার প্রয়োগ করা হার ৩৭ দশমিক ৮৩ শতাংশ এবং মাহী বি. চৌধুরীর কুলা প্রতীকে ভোটাধিকার প্রয়োগ করা হার ৯ দশমিক ৫২ শতাংশ। নির্বাচনের বিধি অনুযায়ী, নির্ধারিত ভোট না পাওয়ায় মাহির জামানত বাজেয়াপ্ত হচ্ছে।
গত রোববার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত টানা ভোটগ্রহণের পর রাতে দুই সহকারী রিটার্নিং অফিসার (সিরাজদিখান ও শ্রীনগর ইউএনও) কার্যালয় থেকে ঘোষিত ফলাফলে নৌকা প্রতীকে মহিউদ্দিন আহমেদ ৯৫ হাজার ৮৬০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছে। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম সারোয়ার কবির ট্রাক প্রতীকে পেয়েছেন ৬১ হাজার ৫৪০ ভোট। নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মহিউদ্দিন আহমেদ ৩৪ হাজার ৩২০ ভোট বেশি পেয়ে এমপি নির্বাচিত হন।
এ ছাড়া লাঙ্গল প্রতীকে অ্যাডভোকেট শেখ মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম পেয়েছেন ৪৭০ ভোট, সোনালী আঁশ প্রতীকে তৃণমূল বিএনপির চেয়ারপারসন অন্তরা সেলিমা হুদা ৬ হাজার ৩৩৭ ভোট, বট গাছ প্রতীকে আতাউল্লাহ ২ হাজার ৬৩৫ ভোট, আম প্রতীকে দুয়েল আক্তার ২৯৯ ভোট, ডাব প্রতীকে নুরজাহান বেগম রিতা ৮৭ ভোট, একতারা প্রতীকে লতিফ সরকার ৩ হাজার ২০২ ভোট। এই আসনটিতে ৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন।
জানা যায়, সাবেক রাষ্ট্রপতির আসন হিসেবেই পরিচিত মুন্সিগঞ্জ-১। এ ছাড়া এ আসন এক সময় ছিল বিএনপির শক্ত ঘাঁটি। দলটির এক কালের শীর্ষ নেতা সাবেক রাষ্ট্রপতি এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী বা বি চৌধুরী ও জাতীয় পার্টির সাবেক উপপ্রধানমন্ত্রী শাহ মোয়াজ্জেমের কারণে আসনটি জেলার ‘ভিআইপি’ আসন হিসেবে আলোচিত। অনেকে মনে করেন, এ আসনে দলের ভাঙনের পর থেকেই রাজনীতিতে পিছিয়ে পড়তে থাকে বিএনপি। এ ছাড়া তারা দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও অংশগ্রহণ করেনি।
এ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগের মিত্র বিকল্পধারার যুগ্ম মহাসচিব মাহি বদরুদ্দোজা চৌধুরী। আসনটি এর আগের দুই মেয়াদে আওয়ামী লীগের দখলেই ছিল। ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে ‘প্ল্যান বি’ নিয়ে রাজনীতির মাঠে হাজির হন মাহি। মাহির দল বিকল্পধারা প্রথমে বিএনপির সঙ্গে যুক্তফ্রন্টে গেলেও পরে যোগ দেয় আওয়ামী লীগের জোটে। বিএনপির প্রার্থী শাহ মোয়াজ্জেম হোসেনের বিপরীতে ৬৫ দশমিক ৯ শতাংশ ভোট পেয়ে বিকল্প ধারা থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন মাহি বি চৌধুরী।
২০০২ সালে মাহির বাবা বদরুদ্দোজা চৌধুরী রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হলে আসনটি ছেড়ে দেন। এরপর উপনির্বাচনে প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন মাহি। কিন্তু বিএনপি বদরুদ্দোজা চৌধুরীকে রাষ্ট্রপতি পদ থেকে পদত্যাগের বাধ্য করলে মাহিও সংসদ সদস্য পদ ছেড়ে দেন। দুজনে মিলে গঠন করেন বিকল্প ধারা।
২০০৪ সালে আসনটিতে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সেই নির্বাচনে ক্ষমতাসীন বিএনপির প্রার্থী মমিন আলীকে হারিয়ে বিজয়ী হন মাহি বদরুদ্দোজা চৌধুরী। এর আগে ১৯৯১,১৯৯৬ ফেব্রুয়ারি (ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচন), ১৯৯৬ জুন (সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচন) ২০০১ ও ২০০২ সালে অনুষ্ঠিত হওয়া উপনির্বাচনে আসনটি বিএনপির দখলে ছিল।
এই আসনটিতে ২০০৮ সালে মোট ভোটের ৫০ শতাংশ ভোট পেয়ে বিএনপির প্রার্থী শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন ও বিকল্প ধারার প্রেসিডেন্ট সাবেক রাষ্ট্রপতি একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরীকে হারিয়ে আওয়ামী লীগ থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন শ্রীনগর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি সুকুমার রঞ্জন ঘোষ। ২০১৪ সালের নির্বাচনে বিএনপি ভোট বর্জন করলে জাতীয় পার্টির প্রার্থী নুর মোহাম্মদকে হারিয়ে ৯৬ শতাংশ ভোট পেয়ে আওয়ামী লীগ থেকে পুনরায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন সুকুমার রঞ্জন ঘোষ।
লক্ষ্মীপুরে একটি তাফসিরুল কোরআন মাহফিল ও ইসলামি সংগীত সন্ধ্যা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আজ শুক্রবার লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার মোহাম্মদিয়া জামে মসজিদ মাঠে এই আয়োজন করা হয়েছিল। মাহফিলে জামায়াত নেতাকে প্রধান অতিথি করায় বিএনপি সেটি বন্ধ করে দেয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
২৯ মিনিট আগেবগুড়া সদরের নুনগোলা ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সভাপতি আবু ছালেককে হত্যায় মামলায় গ্রেপ্তার করেছে ডিবি পুলিশ। আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় বগুড়া সদরের ঘোড়াধাপ বন্দর এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
৪৩ মিনিট আগেবিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, রাষ্ট্র ও সংবিধান সংস্কারের বিষয়ে ছাত্ররা কথা বলছেন, তবে এটি একটি কমিটির মাধ্যমে সম্ভব নয়। এর জন্য সাংবিধানিক বা সংসদের প্রতিনিধি প্রয়োজন। পাশাপাশি, সবার আগে প্রয়োজন সুষ্ঠু নির্বাচন।
১ ঘণ্টা আগেনেত্রকোনার কেন্দুয়ায় দুই সাংবাদিককে জিম্মি করে বেধড়ক মারধরের পর মুক্তিপণ আদায় করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকা থেকে বাড়ি ফেরার পথে গাজীপুরে এই ঘটনা ঘটে। পরে সেখানে সড়কের পাশে তাঁদের ফেলে রেখে যায়।
১ ঘণ্টা আগে