নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
রাজধানীর মিরপুর সরকারি বাঙলা কলেজে এক শিক্ষার্থীকে শিবিরকর্মী আখ্যা দিয়ে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। নির্যাতনের ফলে ওই ছাত্রের পায়ের নিচের হাড় ভেঙে গেছে। ভুক্তভোগী ছাত্রের নাম হেদায়েতুল্লাহ আল হাদী। তিনি ইংরেজি চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী। মঙ্গলবার দুপুরে কলেজটির ইংরেজি বিভাগের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী ছাত্র হেদায়েতুল্লাহ আল হাদী বলেন, ‘শিবির সন্দেহে বাঙলা কলেজ ছাত্রলীগের কর্মীরা আমাকে মেরেছে। পাশবিক নির্যাতন করেছে। আমি আমার জীবনের নিরাপত্তা চাই। সুস্থভাবে বাঁচতে চাই। কে আমায় দেবে এ নিশ্চয়তা? আমি কোনো দলের সদস্য নই, মাত্র একজন সাধারণ শিক্ষার্থী। ছাত্রলীগ কর্মীরা আমাকে মারল, পা ভেঙে ফেলল নিষ্ঠুরভাবে মেরে। এ কেমন ছাত্র সংগঠন! আর বারবার তাদেরকে প্রশ্ন করছি কেন আপনারা আমাকে মারছেন।’
ভুক্তভোগী এই শিক্ষার্থী আরও বলেন, ‘প্রথম বর্ষের ছেলেদের কয়েকজন সিনিয়র আমাকে মেরেছে। তারা আমাকে ইংরেজি বিভাগের সামনে থেকে ডেকে নিয়ে যায়। কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই অতর্কিত আক্রমণ করে। এই হামলায় ১৪-১৫ জন অংশ নেয়। তাদের মধ্যে অন্যতম সজীব ফরাজি। এ সময় লাকী নামে এক শিক্ষিকা এগিয়ে আসেন। তিনি বাধা দিলেও তারা কোনো কথা শোনেনি। এরপর ধাওয়া দিয়ে ভবনের বাইরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে আরেক দফা পেটানো হয় এতে পায়ের নিচের হাড় ভেঙে যায়। আহত হাদীকে বাঁচাতে এগিয়ে আসা এক সহপাঠীকে নির্যাতন করেন ছাত্রলীগের কর্মীরা।’
এ ঘটনার পর হাদীর বন্ধুরা তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেন। সেখানে তাঁর পায়ের ভাঙা অংশজুড়ে ব্যান্ডেজ করা হয়। এখন তিনি চিকিৎসাধীন।
এ বিষয়ে বাঙলা কলেজের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষিকা লাকী আকতারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। কিন্তু ওই সময় তাঁর কোনো কিছু করার ছিল না বলে জানান। তিনি বলেন, ‘তারা কেন তাকে মারছিল সেটা বুঝতে পারিনি। তবে সেই ছেলে অনিরাপদ ফিল করলে বিভাগে এসে জানাতে পারে। আর এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষ কি ব্যবস্থা নেবে জানি না। এটা তাদের বিষয়।’
মারধরে নেতৃত্বদানকারী বাঙলা কলেজের পদার্থ বিভাগের ছাত্র সজিব ফরাজি এ ঘটনায় তাঁর সম্পৃক্ততার কথা পুরোপুরি অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, ‘আমি ওই সময় ছিলাম না। বিষয়টি ফেসবুকে জেনেছি। আমার প্রতিপক্ষরা আমাকে ফাঁসাতে এমন কথা বলেছে।’
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বাঙলা কলেজের ছাত্রলীগের পদহীন এই নেতা কলেজটির আবাসিক হলে থাকেন। তার গ্রামের বাড়ি চাঁদপুর জেলায়। এর আগেও একাধিক ছেলেকে শিবির ও ছাত্রদল আখ্যা দিয়ে মারধর করেছে।
শিক্ষকদের সামনে শিক্ষার্থীকে নির্যাতনের বিষয়ে জানতে কলেজটির অধ্যক্ষ প্রফেসর জাহাঙ্গীর হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
রাজধানীর মিরপুর সরকারি বাঙলা কলেজে এক শিক্ষার্থীকে শিবিরকর্মী আখ্যা দিয়ে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। নির্যাতনের ফলে ওই ছাত্রের পায়ের নিচের হাড় ভেঙে গেছে। ভুক্তভোগী ছাত্রের নাম হেদায়েতুল্লাহ আল হাদী। তিনি ইংরেজি চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী। মঙ্গলবার দুপুরে কলেজটির ইংরেজি বিভাগের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী ছাত্র হেদায়েতুল্লাহ আল হাদী বলেন, ‘শিবির সন্দেহে বাঙলা কলেজ ছাত্রলীগের কর্মীরা আমাকে মেরেছে। পাশবিক নির্যাতন করেছে। আমি আমার জীবনের নিরাপত্তা চাই। সুস্থভাবে বাঁচতে চাই। কে আমায় দেবে এ নিশ্চয়তা? আমি কোনো দলের সদস্য নই, মাত্র একজন সাধারণ শিক্ষার্থী। ছাত্রলীগ কর্মীরা আমাকে মারল, পা ভেঙে ফেলল নিষ্ঠুরভাবে মেরে। এ কেমন ছাত্র সংগঠন! আর বারবার তাদেরকে প্রশ্ন করছি কেন আপনারা আমাকে মারছেন।’
ভুক্তভোগী এই শিক্ষার্থী আরও বলেন, ‘প্রথম বর্ষের ছেলেদের কয়েকজন সিনিয়র আমাকে মেরেছে। তারা আমাকে ইংরেজি বিভাগের সামনে থেকে ডেকে নিয়ে যায়। কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই অতর্কিত আক্রমণ করে। এই হামলায় ১৪-১৫ জন অংশ নেয়। তাদের মধ্যে অন্যতম সজীব ফরাজি। এ সময় লাকী নামে এক শিক্ষিকা এগিয়ে আসেন। তিনি বাধা দিলেও তারা কোনো কথা শোনেনি। এরপর ধাওয়া দিয়ে ভবনের বাইরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে আরেক দফা পেটানো হয় এতে পায়ের নিচের হাড় ভেঙে যায়। আহত হাদীকে বাঁচাতে এগিয়ে আসা এক সহপাঠীকে নির্যাতন করেন ছাত্রলীগের কর্মীরা।’
এ ঘটনার পর হাদীর বন্ধুরা তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেন। সেখানে তাঁর পায়ের ভাঙা অংশজুড়ে ব্যান্ডেজ করা হয়। এখন তিনি চিকিৎসাধীন।
এ বিষয়ে বাঙলা কলেজের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষিকা লাকী আকতারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। কিন্তু ওই সময় তাঁর কোনো কিছু করার ছিল না বলে জানান। তিনি বলেন, ‘তারা কেন তাকে মারছিল সেটা বুঝতে পারিনি। তবে সেই ছেলে অনিরাপদ ফিল করলে বিভাগে এসে জানাতে পারে। আর এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষ কি ব্যবস্থা নেবে জানি না। এটা তাদের বিষয়।’
মারধরে নেতৃত্বদানকারী বাঙলা কলেজের পদার্থ বিভাগের ছাত্র সজিব ফরাজি এ ঘটনায় তাঁর সম্পৃক্ততার কথা পুরোপুরি অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, ‘আমি ওই সময় ছিলাম না। বিষয়টি ফেসবুকে জেনেছি। আমার প্রতিপক্ষরা আমাকে ফাঁসাতে এমন কথা বলেছে।’
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বাঙলা কলেজের ছাত্রলীগের পদহীন এই নেতা কলেজটির আবাসিক হলে থাকেন। তার গ্রামের বাড়ি চাঁদপুর জেলায়। এর আগেও একাধিক ছেলেকে শিবির ও ছাত্রদল আখ্যা দিয়ে মারধর করেছে।
শিক্ষকদের সামনে শিক্ষার্থীকে নির্যাতনের বিষয়ে জানতে কলেজটির অধ্যক্ষ প্রফেসর জাহাঙ্গীর হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
প্রথমবারের মতো আজ মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হবে কুমিল্লা মহানগর বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলন। বিএনপির ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতাদের ভোটে মহানগর বিএনপির নেতা নির্বাচিত হওয়ার কথা থাকলেও তা হচ্ছে না। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন কমিটির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক।
৩ ঘণ্টা আগেবইমেলার বাংলা একাডেমি অংশে কাব্যিক অডিওবুকের স্টল। নামেই বোঝা যায়, এখানে কাগজের কোনো সম্পর্ক নেই। স্টলে নেই কোনো বইয়ের তাক। সঙ্গে একটি মোবাইল থাকলেই হলো।
৪ ঘণ্টা আগেহবিগঞ্জ জেলা প্রশাসকের (ডিসি) নির্দেশ অমান্য করে প্রতি সপ্তাহেই বসছে নবীগঞ্জের অবৈধ জনতার বাজার পশুর হাট। গত শনিবারও উপজেলার গজনাইপুরে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক ঘেঁষে বসেছে এই হাট। ডিসির নির্দেশ অমান্য করে এর আগেও তিনবার এ হাট বসানো হয়।
৪ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের হত্যাকাণ্ডে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি বুয়েটের মেকানিক্যাল ডিপার্টমেন্টের শিক্ষার্থী মুনতাসির আল জেমি কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের কনডেম সেল থেকে পলায়নের ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন বুয়েটের শিক্ষার্থীরা।
৪ ঘণ্টা আগে