কলার বাগানে দুই ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় গ্রেপ্তার ২

নরসিংদী প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৭ ডিসেম্বর ২০২২, ১৪: ১৬
আপডেট : ০৭ ডিসেম্বর ২০২২, ১৪: ৪৫

নরসিংদীর রায়পুরার শেরপুরে কলার বাগান থেকে মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আটকেরা পুলিশকে জানিয়েছেন, অনলাইন জুয়া খেলার টাকা লেনদেনে বিরোধ ও নারীঘটিত জেরে এই জোড়া খুনের ঘটনা ঘটেছে। 

আজ বুধবার দুপুরে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আল আমিন। 

এর আগে গতকাল মঙ্গলবার রায়পুরা থানার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন রায়পুরা থানার শেরপুর পশ্চিমপাড়ার মিল্লাত হোসেন বাইজিদ ওরফে কামরুল (১৮) ও শেরপুর কান্দাপাড়ার কাউসার (২৫)। 

নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানান, গতকাল মঙ্গলবার সকালে পরিবারের সদস্যরা কলার বাগান থেকে উদ্ধার হওয়া মরদেহের পরিচয় শনাক্ত করেন। পরে রাতেই নিহত আলী হোসেনের স্ত্রী রেনু বেগম বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে রায়পুরা থানায় মামলা করেন। 

দুই মরদেহ উদ্ধারের পর থেকেই ঘটনাটির ছায়া তদন্ত শুরু করে জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ও প্রযুক্তির সহায়তায় রায়পুরার বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে কামরুল ও কাউসারকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরা জোড়া খুনের ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। তাঁরাসহ মোট ছয়জন এই হত্যায় অংশগ্রহণ করেছেন বলে জানান। অনলাইনে জুয়া খেলার টাকা-পয়সা লেনদেন এবং নারীঘটিত প্রণয়সংক্রান্ত বিরোধের জেরে দুজনকে পরপর কুপিয়ে হত্যা করা হয়। 

নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আল আমিন বলেন, ‘গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের স্বীকারোক্তি ও দেখানো মতে হত্যায় ব্যবহৃত একটি ছুরি জব্দ করা হয়েছে। এ ছাড়া ঘটনাস্থলে পাওয়া প্রায় অর্ধেক সিগারেটের সঙ্গে আসামি কাউসারকে গ্রেপ্তারের সময় তাঁর কাছ থেকে পাওয়া সিগারেটের মিল পাওয়া গেছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’ 
 
উল্লেখ্য, গত সোমবার দুপুরে রায়পুরার আদিয়াবাদ ইউনিয়নের শেরপুর এলাকার কলার বাগান থেকে দুজনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। 

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, উপজেলার শেরপুর পূর্বপাড়া বিদিবাড়ী এলাকার কলাবাগানের পাশের জমিতে কাজ করতে গিয়ে অজ্ঞাত মরদেহ দুটি দেখতে পান স্থানীয় এক ব্যক্তি। বিষয়টি স্থানীয়রা জানতে পেরে পুলিশে খবর দেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ দুটি উদ্ধার করে। মরদেহ দুটির মুখমণ্ডল ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানোর কারণে ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় ছিল। তাই স্থানীয়রা চিনতে পারেননি। মৃত একজনের বাঁ হাত ভাঙা এবং নাক-মুখ থেঁতলানো হয়েছে। অপরজনের গলা কাটাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্র দিয়ে জখমের চিহ্ন পাওয়া গেছে। 

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত