Ajker Patrika

শেষ মুহূর্তে গাজীপুরের দুই মহাসড়কে বাড়তি চাপ, যানবাহন সংকটে ভোগান্তি

গাজীপুর প্রতিনিধি
শেষ মুহূর্তে গাজীপুরের দুই মহাসড়কে বাড়তি চাপ, যানবাহন সংকটে ভোগান্তি

ঈদের বাকি আর মাত্র একদিন। রাত পোহালে ঈদ উল আজহা। তাই প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদ করতে শেষ সময় নাড়ির টানে ঘরমুখো মানুষের ভিড় বেড়েছে গাজীপুরের দুই মহাসড়কের বিভিন্ন স্টেশনগুলোতে। গাজীপুরের ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের চন্দ্রা ও ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের চান্দনা চৌরাস্তায় যাত্রী ও যানবাহনের চাপ সবচেয়ে বেশি। 

গেল তিন দিনে গাজীপুরের অধিকাংশ পোশাক কারখানায় ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। তবে, শনিবার বেশির ভাগ প্রায় ৬০ ভাগ পোশাক কারখানায় ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। এ কারণে শনিবার বিকেলে দুই মহাসড়কে যাত্রীর চাপ অনেক বেড়েছে। কিন্তু যাত্রীর তুলনায় যানবাহন খুবই অপ্রতুল। ফলে এ সুযোগে অনেক যানবাহনে বাড়তি ভাড়া আদায়ের অভিযোগ যাত্রীদের। 

তবে, মহাসড়কের নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা রক্ষায় গাজীপুর মহানগর পুলিশ, জেলা পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশ ও শিল্প পুলিশ ব্যাপক তৎপর রয়েছে। যাত্রীদের ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে কাজ করছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের কর্তারা। 

পুলিশ ও যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উত্তরবঙ্গগামী প্রায় সব যানবাহন যাত্রীভর্তি করে ঢাকা থেকে যাত্রা করে। এ কারণে যানবাহন থাকলেও কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা ত্রিমোড় বাসস্ট্যান্ড যাত্রীরা বাসে ওঠার সুযোগ পান না। ফলে যাত্রীরা সড়কে অপেক্ষা করতে করতে তাঁরা সড়কের মাঝখানে চলে আসে। এতে যানবাহনের চলাচলের জায়গা কমে যায়, আবার অনেকে দাঁড়িয়ে যাত্রী নেওয়ার জন্য গতি কম করে। এসব কারণে চন্দ্রা ত্রিমোড় এলাকায় যানবাহনের ধীর গতি রয়েছে। এখানে টঙ্গী থেকে আশুলিয়া হয়ে উত্তরবঙ্গগামী গাড়ি, সাভারের দিক থেকে আসা গাড়ি ও গাজীপুর থেকে আসা গাড়ি একসঙ্গে চন্দ্রা মোড় অতিক্রম করায় সড়কে গাড়ির গতি কমে যায়। এতে চাপ বেড়ে যায়। 

শনিবার সরেজমিনে দেখা যায়, সকাল থেকে দুই মহাসড়কের বাস স্টেশনগুলোতে যানবাহন ও যাত্রীদের পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলেও বিকেলে যাত্রীর চাপ অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পায়। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের টঙ্গী থেকে চান্দনা চৌরাস্তা এবং ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের ভোগড়া থেকে চন্দ্রা পর্যন্ত গাজীপুরের মহাসড়কগুলোতে যাত্রীর প্রচণ্ড ভিড় তৈরি হয়। কিন্তু যাত্রীর তুলনায় যানবাহন কম। স্টেশনগুলোতে অপেক্ষমাণ যাত্রীর প্রচণ্ড ভিড় ও গাড়ির জটলা রয়েছে। এ কারণে স্টেশন এলাকাগুলোতে গাড়ি ধীর গতিতে চলছে। যাত্রীর বাড়তি ভাড়ার চাপ এবং যানবাহন স্বল্পতার কারণে অনেক গাড়িতে বেশি ভাড়া হাঁকা হচ্ছে। ঘরমুখো মানুষ দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করে গাড়ি না পেয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পিকআপ ভ্যান, খোলা ছাদের ট্রাক এবং টেম্পোসহ অন্যান্য বিকল্প যানবাহনে যাত্রা করেছেন। 

অপরদিকে, জয়দেবপুর রেলওয়ে স্টেশনেও যাত্রীদের প্রচণ্ড ভিড় লক্ষ করা গেছে। বিভিন্ন গন্তব্যের ট্রেন ঢাকা থেকে ছেড়ে আসার সময়েই আসন পূর্ণ করে আসে। ফলে জয়দেবপুর স্টেশন থেকে ট্রেনের কোনো যাত্রীই আসন পান না। ট্রেনের ভেতরে জায়গা না পেয়ে শত শত যাত্রী দায়িত্বরত রেল পুলিশ ও আসনার সদস্যদের লাঠির আঘাত সহ্য করে ও বাধা উপেক্ষা করে ট্রেনের ছাদে চড়ে ঝুঁকিপূর্ণ যাত্রা করেছেন। ট্রেনের ছাদেও একটু জায়গা খালি নেই। 

চন্দ্রায় বাসের জন্য প্রায় ২ ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকে সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ার বাসিন্দা ইকবাল হোসেন বলেন, ‘গত শুক্রবার কারখানা ছুটি হওয়ার পর প্রস্তুতি নিয়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছি। কিন্তু গাড়ি পাচ্ছি না। তাই বাধ্য হয়ে বিকল্প যানবাহনে বাড়ি যাব।’ 

অপর যাত্রী নওগার সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘সড়কে প্রচুর গাড়ি আছে, কিন্তু গাড়িতে সিট নাই। গাড়ির চেয়ে মানুষের সংখ্যা বেশি। এ কারণে যাত্রীর চাপ বাড়ছে।’ 

অপরদিকে, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কেও একই অবস্থা। গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় যানবাহনের স্বল্পতার কারণে যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করেও কাঙ্ক্ষিত গন্তব্যের গাড়ি পাওয়া যাচ্ছে না। আবার পেলেও ভাড়া নিচ্ছে বেশি। 

ময়মনসিংহের মেয়ে পোশাক কর্মী নাজমা বলেন, ‘বাড়িতে গেলে বাসে আগে দেড় শ টেহা লাগত, এহন ৩০০-৪০০ টেহা কইরা একেক জনা।’ নেত্রকোনার জসিম বলেন, ‘৩-৪ ঘণ্টা ধরে দাঁড়াইয়া আছি। গাড়ি পাই না। গাড়িতে ভাড়া বেশি চায়। সড়কে অনেক যাত্রী, আর জ্যাম।’ 

শেরপুরের যাত্রী জাহাঙ্গীর বলেন, ‘অনেকক্ষণ ধইরা দাঁড়াইয়া আছি। শেরপুরের কোনো গাড়ি পাই না। যাও দুই একটা গাড়ি আহে, ভাড়া অনেক বেশি। আগে তো আমরা যাইতাম তিনশ টেহা কইরা, এহন চাইতাছে ৬০০ টেহা কইরা। একেবারে ডাবল।’ 

ময়মনসিংহগামী একটি বাসের চালক দাবি করেন, ‘আমরা ভাড়া বেশি নেই না। আগে ঢাকা থেকে ময়মনসিংহের ভাড়া নিতাম ৩২০ টাকা। আর চৌরাস্তা থেকে ২০০ টাকা। এনতে ২০০ টাকা নেই, আবার আসতে হইব খালি। যাত্রীদের জিজ্ঞেস করেন, আমরা ভাড়া বেশি নেই না।’ 

অপর এক চালক বলেন, ‘আজকে বিভিন্ন এলাকায় গার্মেন্টস ছুটি দিছে। তাই বিভিন্ন স্থানে পোশাক শ্রমিকেরা সড়কে নেমেছে। এ কারণে যাত্রীর তুলনায় গাড়ি কম। অনেক জায়গায় যাত্রীরা সড়কে দাঁড়ানোর কারণে গাড়ি চলে আস্তে আস্তে। এ কারণে সড়কে গাড়ির গতি কম।’ 

গাজীপুর শিল্প পুলিশ-২ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইমরান আহম্মেদ বলেন, ‘গত কয়েক দিন ধরেই বিভিন্ন কারখানা ছুটি শুরু হয়েছে। শনিবার গাজীপুরের প্রায় ৬০ ভাগ কারখানা ছুটি হয়েছে। এ কারণে সড়কে বিকেলের দিকে একটু বেশি চাপ তৈরি হয়েছে। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে চাপ কমে যাবে। তিনি আরও বলেন, আমরা চেষ্টা করেছি, কোনো কারখানায় যে বেতন নিয়ে ঝামেলা না হয়। এ বছর বেতন নিয়ে কিছু সমস্যা থাকলেও এগুলো সমাধান করা হয়েছে। আশা করা যায়, সকলের ঈদ সুন্দর হবে।’ 

ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের চান্দনা চৌরাস্তায় যাত্রী ও যানবাহনের চাপ। ছবি: আজকের পত্রিকা গাজীপুর জেলা পুলিশ সুপার কাজী শফিকুল আলম বলেন, ‘শনিবার অনেকগুলো কারখানা একযোগে ছুটি হওয়ায় বিকেলে সড়কে যাত্রীর চাপ বেড়েছে। অনেক স্থানে যাত্রীর তুলনায় যানবাহন কম ছিল। এ কারণে যাত্রীদের কোথাও কোথাও দীর্ঘ সময় গাড়ির জন্য অপেক্ষা করতে হয়েছে। এসব কারণে কোথাও সাময়িক গাড়ির গতি কম থাকলেও যান চলাচলে কোথাও যানজট হয়নি। সবকিছু ঠিক থাকলে মানুষ এবার স্বস্তিতে বাড়ি ফিরতে পারবে।’ 

গাজীপুর মহানগর পুলিশ কমিশনার মো. মাহবুব আলম বলেন, ‘গাজীপুরের শিল্পকারখানাগুলো ছুটি হওয়ায় মহাসড়কে চাপ বেড়েছে। তবে কোথাও কোনো যানজট নেই। সড়কের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে পুলিশ মোতায়েন আছে। যে কোনো পরিস্থিতি যাতে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রাখা যায়, তার জন্যও ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘কোম্পানির লোকেরাই আমার ভাইকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে’

আমি লজ্জিত, নিজেকে মাটিতে পুঁতে দিতে ইচ্ছে করছে—ফেসবুকে প্রেস সচিব

তাহলে কি বাংলাদেশ-ভারত ফাইনাল

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার সম্পাদকের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ফোনালাপ

গণমাধ্যমে হামলা ও ময়মনসিংহে নৃশংসতায় জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না, সরকারের বিবৃতি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

৭ ঘণ্টা পর ঝালকাঠির অবরোধ প্রত্যাহার, যান চলাচল স্বাভাবিক

ঝালকাঠি প্রতিনিধি  
বরিশাল–খুলনা আঞ্চলিক মহাসড়কের ঝালকাঠি অংশে অবরোধ সাত ঘণ্টা পর প্রত্যাহার করে নিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
বরিশাল–খুলনা আঞ্চলিক মহাসড়কের ঝালকাঠি অংশে অবরোধ সাত ঘণ্টা পর প্রত্যাহার করে নিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

ইনকিলাব মঞ্চের প্রতিষ্ঠাতা ও মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে হত্যার প্রতিবাদে এবং খুনিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে তাঁর নিজ জেলা ঝালকাঠিতে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে ছাত্র-জনতা। সাত ঘণ্টা পর পুলিশের অনুরোধে আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে অবরোধ প্রত্যাহার করা হলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

আজ জুমার নামাজ শেষে বেলা আড়াইটার দিকে বরিশাল–খুলনা আঞ্চলিক মহাসড়কের ঝালকাঠি কলেজ মোড় এলাকায় অবরোধ শুরু করেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ। অবরোধ চলাকালে মহাসড়কের উভয় পাশে বিপুলসংখ্যক যানবাহন আটকে পড়ে। ফলে যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। তবে রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস, জরুরি ওষুধ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় কাঁচামাল বহনকারী যান চলাচলের সুযোগ দেওয়া হয়।

অবরোধ কর্মসূচিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, এনসিপি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, গণঅধিকার পরিষদের নেতা-কর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন। এ সময় মহাসড়কে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করা হয়।

বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য দেন এনসিপির ঝালকাঠি জেলা আহ্বায়ক মাইনুল ইসলাম মান্না, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঝালকাঠি জেলা আহ্বায়ক আল তৌফিক লিখন, যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াসিন ফেরদৌস ইফতি, সদস্যসচিব রাইয়ান বিন কামাল, গণঅধিকার পরিষদ ঝালকাঠি জেলা যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঝালকাঠি-২ আসনের মনোনীত প্রার্থী মাহমুদুল ইসলাম সাগরসহ অন্য নেতারা।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঝালকাঠি জেলা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াসিন ফেরদৌস ইফতি বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের একজন গুরুত্বপূর্ণ সহযোদ্ধাকে দুর্বৃত্তরা গুলি করে হত্যা করেছে। তিনি সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন। হামলাকারীদের ইন্টারপোলের মাধ্যমে দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। তা না হলে আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

ঝালকাঠি সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) বেলায়েত হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, বেলা আড়াইটায় অবরোধ শুরু হওয়ায় বরিশাল–খুলনা আঞ্চলিক মহাসড়কে ব্যাপক যানজট সৃষ্টি হয়। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনা করে পরিস্থিতি শান্ত করা হলে তাঁরা রাত সাড়ে ৯টার দিকে অবরোধ প্রত্যাহারে সম্মত হন। পরে সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘কোম্পানির লোকেরাই আমার ভাইকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে’

আমি লজ্জিত, নিজেকে মাটিতে পুঁতে দিতে ইচ্ছে করছে—ফেসবুকে প্রেস সচিব

তাহলে কি বাংলাদেশ-ভারত ফাইনাল

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার সম্পাদকের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ফোনালাপ

গণমাধ্যমে হামলা ও ময়মনসিংহে নৃশংসতায় জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না, সরকারের বিবৃতি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সাবেক নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ ও সাবেক মেয়রের বাড়িতে আগুন

দিনাজপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২: ৪৪
সাবেক প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও সেতাবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আসলাম হোসেনের বোচাগঞ্জের বাড়িতে আগুন দিয়েছেন একদল লোক। ছবি: আজকের পত্রিকা
সাবেক প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও সেতাবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আসলাম হোসেনের বোচাগঞ্জের বাড়িতে আগুন দিয়েছেন একদল লোক। ছবি: আজকের পত্রিকা

সাবেক নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও সেতাবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আসলাম হোসেনের বোচাগঞ্জের বাড়িতে আগুন দিয়েছে একদল লোক। আজ শুক্রবার রাতে দুজনের বাড়িতে আগুন লাগার সংবাদ পেয়ে বোচাগঞ্জ থানা-পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা সেখানে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

স্থানীয় জনতা ও বোচাগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও সেতাবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আসলাম হোসেনের বাড়িতে আগুন দেওয়া হয়। তবে কারা আগুন দিয়েছে, এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা যায়নি।

বোচাগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের সাব-অফিসার শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘রাত সোয়া ৮টার দিকে সাবেক মেয়র আসলামের বাড়িতে আগুন লাগার খবর পেয়ে আমরা সেখানে পৌঁছাই। বর্তমানে আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা হয়েছে।’

এ ছাড়া খালিদ মাহমুদের বাড়ির আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে জানার জন্য বোচাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও কোনো সাড়া মেলেনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘কোম্পানির লোকেরাই আমার ভাইকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে’

আমি লজ্জিত, নিজেকে মাটিতে পুঁতে দিতে ইচ্ছে করছে—ফেসবুকে প্রেস সচিব

তাহলে কি বাংলাদেশ-ভারত ফাইনাল

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার সম্পাদকের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ফোনালাপ

গণমাধ্যমে হামলা ও ময়মনসিংহে নৃশংসতায় জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না, সরকারের বিবৃতি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ময়মনসিংহে যুবককে পিটিয়ে হত্যা: অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে মামলা

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২: ১৮
দিপু চন্দ্র দাস। ছবি: সংগৃহীত
দিপু চন্দ্র দাস। ছবি: সংগৃহীত

ময়মনসিংহের ভালুকায় দিপু চন্দ্র দাস (২৮) নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা ও মরদেহে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আজ শুক্রবার নিহত দিপুর ছোট ভাই অপু চন্দ্র দাস বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ভালুকা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহেদুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিক্ষুব্ধ জনতার হাতে নিহত হন দিপু চন্দ্র দাস। এ ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা হয়েছে।

এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার ডুবালিয়াপাড়া এলাকার পাইওনিয়ার নিট কম্পোজিট কারখানা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত দিপু চন্দ্র দাস জেলার তারাকান্দা উপজেলার মোকামিয়া কান্দা গ্রামের রবি চন্দ্র দাসের ছেলে। তিনি ওই কোম্পানির শ্রমিক ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘কোম্পানির লোকেরাই আমার ভাইকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে’

আমি লজ্জিত, নিজেকে মাটিতে পুঁতে দিতে ইচ্ছে করছে—ফেসবুকে প্রেস সচিব

তাহলে কি বাংলাদেশ-ভারত ফাইনাল

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার সম্পাদকের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ফোনালাপ

গণমাধ্যমে হামলা ও ময়মনসিংহে নৃশংসতায় জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না, সরকারের বিবৃতি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার পত্রিকা অফিসে হামলায় র‍্যাকের নিন্দা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার পত্রিকা অফিসে হামলায় র‍্যাকের নিন্দা

কতিপয় উচ্ছৃঙ্খল ব্যক্তি দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকা অফিসে যে হামলা চালিয়েছে, তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে রিপোর্টার্স অ্যাগেইনস্ট করাপশন (র‍্যাক)।

অন্যদিকে, দুই গণমাধ্যমে আটকে পড়া সাংবাদিকদের উদ্ধার করতে গিয়ে নাজেহাল ও হেনস্তার শিকার হয়েছেন ইংরেজি দৈনিক দ্য নিউ এজের সম্পাদক প্রবীণ সাংবাদিক নূরুল কবীর। এ ঘটনারও তীব্র নিন্দা ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে র‍্যাক। অবিলম্বে এসব ঘটনার সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও দ্রুত তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানিয়েছে র‍্যাক।

শুক্রবার এক বিবৃতিতে সভাপতি আলাউদ্দিন আরিফ ও সাধারণ সম্পাদক তাবারুল হক বলেন, সংবাদমাধ্যম রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের অন্যতম প্রধান ভিত্তি। গণমাধ্যমের কণ্ঠ রুদ্ধ করতে সহিংসতা, ভয়ভীতি প্রদর্শন, হামলা কিংবা হেনস্তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এ ধরনের কর্মকাণ্ড গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, মতপ্রকাশের সাংবিধানিক অধিকার এবং আইনের শাসনের সম্পূর্ণ পরিপন্থী।

১৮ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) রাত ১২টার দিকে উচ্ছৃঙ্খল কতিপয় ব্যক্তি প্রথমে দৈনিক প্রথম আলো, তারপর দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকা অফিসে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে। এ সময় পত্রিকা দুটির অনেক সাংবাদিক ভবনের ভেতরে আটকা পড়েছিলেন। খবর পেয়ে সেনা, পুলিশ ও বিজিবি সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে হামলাকারীদের সরিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে ভবনের ভেতরে আটকে পড়া সাংবাদিকদের উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

পত্রিকা দুটির শীর্ষ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রাতে আকস্মিক হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার পর কর্মীদের সবাইকে দ্রুত অফিস ত্যাগ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ফলে শুক্রবার ছাপা পত্রিকা বের করা সম্ভব হয়নি।

র‍্যাক নেতারা বলেন, মনে হচ্ছে একটি গোষ্ঠী অত্যন্ত সচেতনভাবে প্রতিপক্ষ বানাতে গণমাধ্যমকে টার্গেট করে হামলা চালিয়েছে। এটা খুবই দুঃখজনক ও মর্মান্তিক। স্বাধীন সাংবাদিকতায় বিশ্বাসী বর্তমান সরকারের সময় এমন ঘটনা ন্যক্কারজনক। ডিআরইউ মনে করে, ওসমান হাদি একজন দেশপ্রেমিক জুলাই যোদ্ধা ছিলেন। শহীদ ওসমান হাদিসহ ছাত্র-জনতার ত্যাগের কারণে তৎকালীন ফ্যাসিস্ট সরকার দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছে।

হাদির মৃত্যুকে পুঁজি করে যারা গণমাধ্যমের ওপর হামলা করেছে, তারা হাদির অনুসারী নয়, এটা স্পষ্ট। কতিপয় মহল হাদির মৃত্যুকে ব্যবহার করে নিজেদের কদর্য চেহারা প্রকাশ করেছে। অবিলম্বে এসব ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে দৃস্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান নেতারা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘কোম্পানির লোকেরাই আমার ভাইকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে’

আমি লজ্জিত, নিজেকে মাটিতে পুঁতে দিতে ইচ্ছে করছে—ফেসবুকে প্রেস সচিব

তাহলে কি বাংলাদেশ-ভারত ফাইনাল

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার সম্পাদকের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ফোনালাপ

গণমাধ্যমে হামলা ও ময়মনসিংহে নৃশংসতায় জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না, সরকারের বিবৃতি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত