নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ঢাকায় মেট্রোরেল এখনো চালু হয়নি। কাজ শেষ হয়নি বিআরটি প্রকল্পের। এর মধ্যেই শুরু হয়েছে পাতালরেল নির্মাণের তোড়জোড়। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঢাকায় পাতালরেল করার মতো জায়গা নেই। এখন এই প্রকল্প নিলে ২০৫০ সাল পর্যন্ত যানজট পোহাতে হবে নগরবাসীকে।
রাজধানীর যানজট নিরসনের লক্ষ্যে যে কৌশলগত পরিবহন পরিকল্পনা (এসটিপি) নেওয়া হয়েছিল, তাতে ফুটপাত, গণপরিবহনব্যবস্থা, ঢাকার আশপাশের রেলপথ ও নদীগুলোকে কাজে লাগানোর কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু সেগুলো বাস্তবায়ন না করে একের পর এক মেগা প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে ঢাকায়। এরই অংশ হিসেবে পাতালরেল নিয়ে শুরু হয়েছে তোড়জোড়। কিন্তু এখনই এ প্রকল্প নিলে ঋণের বোঝা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এটি গলার কাঁটায় পরিণত হওয়ার আশঙ্কা করছেন পরিবহন বিশেষজ্ঞরা।
টেকসই পরিবহন পরিকল্পনার সঙ্গে ঢাকায় পাতালরেল কতটুকু প্রাসঙ্গিক, এই ধরনের অবকাঠামোর উপযোগিতাই-বা কেমন—এসব বিশ্লেষণের জন্য আজ শুক্রবার রাজধানীতে নগর সংলাপের আয়োজন করে ইনস্টিটিউট ফর প্ল্যানিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (আইপিডি)। সংলাপে অংশ নিয়ে বিশেষজ্ঞরা এই মুহূর্তে পাতালরেলের মতো প্রকল্প গ্রহণ না করার পরামর্শ দেন সরকারকে।
আলোচনার শুরুতেই আইপিডির নির্বাহী পরিচালক পরিকল্পনাবিদ আদিল মাহমুদ খান বলেন, ‘পাতালরেল নির্মাণে চলতি অর্থবছরের মোট বাজেটের অর্ধেকের বেশি ব্যয় হবে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নগর-পরিকল্পনা বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, পাতালরেল উচ্চ আয়ের দেশগুলোর সীমিতসংখ্যক কিছু শহরে নির্মিত হলেও তা অতি ব্যয়বহুল প্রকল্প। এ কারণে অতি ধনী দেশগুলোও এখন নতুন করে পাতালরেল নির্মাণের মতো উচ্চাভিলাষী প্রকল্প নিচ্ছে না। বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় যেখানে প্রায় ২ হাজার ডলার, সেখানে পাতালরেল নির্মাণের মতো অর্থনৈতিক শক্তি আমাদের নেই বললেই চলে।’
ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের (ডিটিসিএ) সাবেক নির্বাহী পরিচালক ও পরিবহন বিশেষজ্ঞ ড. এস এম সালেহউদ্দিন বলেন, ‘এই শহরে যে অবস্থা, তাতে সাধারণ মানুষ বিরক্ত। আপনি পাতালরেল করলেন কি-না, তাতে মানুষের কিছু আসে যায় না। মানুষ চায় শান্তিতে, সহজে এবং অল্প সময়ের মধ্যে গন্তব্যে যেতে। সুতরাং এখনই এই প্রকল্প না নেওয়াই ভালো। এই প্রকল্প নিলে ২০৫০ সাল পর্যন্ত যানজট পোহাতে হবে। এতে যে পরিমাণ টাকা খরচ হবে তা দিয়ে ১ হাজার নতুন বাস কিনে বাস রুট রেশনালাইজেশন প্রোগ্রামকে আরও গতিশীল করা যেতে পারে। এতে পরিবহনব্যবস্থা উন্নত হবে। আর যেসব প্রকল্প ঢাকায় চলছে, সেগুলো শেষ করে তারপরেই নতুন প্রকল্পের দিকে যাওয়া উচিত।’
অনুষ্ঠানে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের অধ্যাপক পরিকল্পনাবিদ অধ্যাপক ড. আকতার মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে পাতালরেলের মতো প্রকল্প ব্যয়সাশ্রয়ী হবে না। এই প্রকল্পে গলার কাঁটা তৈরি হবে। এতে ঋণের বোঝা বাড়বে। এভাবে মেগা প্রকল্প না নিয়ে পরিকল্পনামাফিক উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। ঢাকা শহরের জন্য এখনই পাতালরেলের দরকার নেই বলেও মনে করেন তিনি।
আইডিপির পরিচালক ও রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনার (ড্যাপ) প্রকল্প পরিচালক পরিকল্পনাবিদ মো. আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে যানজট অনেক বেড়েছে। সে ক্ষেত্রে অনেকে যানজটের সমাধানের পথ হিসেবে মনে করছেন পাতাল রেলকে। ঢাকা শহরে মানুষের যে গড় আয় তার কত শতাংশ দৈনন্দিন যাতায়াতের জন্য দিতে পারব। সেটা ভাবতে হবে। পাতার রেলে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় যেতে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা লাগবে। সুতরাং প্রতিদিন যাওয়া আসাতে অন্তত ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা খরচ হতে পারে। সে ক্ষেত্রে ৩০ দিনের মধ্যে কেউ যদি ২৫ দিনই কর্মস্থলে যাওয়া আসা করে তাতে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা খরচ হবে। তাই খরচের বিষয়ে বিবেচনা করে পাতাল রেল আপাতত না করাই ভালো।
বাংলাদেশে ইউএনডিপির প্রতিনিধি মো. মারুফ হোসেন বলেন, ঢাকা শহরের অভিভাবকের ঝামেলা আছে। কোনো কিছুতে সমন্বয় নেই। যে যার মতো করে প্রকল্প নিচ্ছে, এতে জটিলতা তৈরি হচ্ছে। সিটি করপোরেশন, সড়ক ও সেতু বিভাগ কেউ কারও সঙ্গে সমন্বয় করে না। যে যার মতো করে প্রকল্প নিচ্ছে, ফলে অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়।
কৌশলগত পরিবহন পরিকল্পনায় মেট্রোরেল ও বিআরটি অন্তর্ভুক্ত থাকলেও পাতালরেল অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি বলেও জানান আলোচকেরা। তাঁরা বলেন, ঢাকার পাতালরেল নির্মাণে সরকারের সমীক্ষা প্রকল্প প্রধানত কারিগরি সমীক্ষা। এই ধরনের মেগা প্রকল্পের কোনো দিকনির্দেশনা বর্তমান কৌশলগত পরিবহন পরিকল্পনা, ঢাকা শহরের মহাপরিকল্পনা ও বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনায় নেই। বিচ্ছিন্নভাবে ও পর্যাপ্ত পরিকল্পনাগত বিশ্লেষণ না করেই মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের ধারা চলে আসছে। তবে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এসটিপি সংশোধন করে পাতালরেলকে এসটিপিতে সংযুক্ত করা হবে।
প্রসঙ্গত, ২০০৫ সালের কৌশলগত পরিকল্পনা এবং বিভিন্ন গবেষণা ও সমীক্ষায় ঢাকার জনসংখ্যার ঘনত্ব, যাত্রীদের যানবাহন ব্যবহারের প্রবণতা ও যানজট বিবেচনায় নিয়ে বাস রুট ফ্র্যাঞ্চাইজি বা বিশেষ পদ্ধতিতে বাস পরিচালনার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। এটা করা গেলে এক বাসের সঙ্গে অন্য বাসের প্রতিযোগিতা থাকত না। কিন্তু ১৭ বছরেও বাসের ফ্র্যাঞ্চাইজি ব্যবস্থা চালু হয়েছে শুধু একটি রুটে। ওই পরিকল্পনায় ঢাকার আশপাশের নদী ও রেলপথগুলোকে কাজে লাগানোর কথা বলা হলেও সে অনুযায়ী কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
এ পরিকল্পনায় ২০২৫ সালের মধ্যে মেট্রোরেলের পাঁচটি লাইন, দুটি বাস র্যাপিড ট্রানজিট রুট (বিআরটি), তিনটি রিং রোড, আটটি রেডিয়াল রোড, ছয়টি এক্সপ্রেসওয়ে, ২১টি পরিবহন হাব, ঢাকার চারপাশে বৃত্তাকার নৌপথের আধুনিকায়ন, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা ও নিরাপত্তা, বাস রুট ফ্র্যাঞ্চাইজি এবং পথচারী অগ্রাধিকার কৌশল ঠিক করার কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু উড়ালসড়ক ও মেট্রোরেল ছাড়া আর কোনো কিছুই এগোয়নি। এ দুটো নিয়ে কাজ শুরু হলেও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সংশ্লিষ্ট প্রকল্পগুলো শেষ হয়নি। ফলে বেড়েছে ব্যয় এবং মানুষের দুর্ভোগ। আইপিডি আয়োজিত শুক্রবার আলোচনা সভায় এ প্রসঙ্গগুলোই ঘুরেফিরে এসেছ।

ঢাকায় মেট্রোরেল এখনো চালু হয়নি। কাজ শেষ হয়নি বিআরটি প্রকল্পের। এর মধ্যেই শুরু হয়েছে পাতালরেল নির্মাণের তোড়জোড়। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঢাকায় পাতালরেল করার মতো জায়গা নেই। এখন এই প্রকল্প নিলে ২০৫০ সাল পর্যন্ত যানজট পোহাতে হবে নগরবাসীকে।
রাজধানীর যানজট নিরসনের লক্ষ্যে যে কৌশলগত পরিবহন পরিকল্পনা (এসটিপি) নেওয়া হয়েছিল, তাতে ফুটপাত, গণপরিবহনব্যবস্থা, ঢাকার আশপাশের রেলপথ ও নদীগুলোকে কাজে লাগানোর কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু সেগুলো বাস্তবায়ন না করে একের পর এক মেগা প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে ঢাকায়। এরই অংশ হিসেবে পাতালরেল নিয়ে শুরু হয়েছে তোড়জোড়। কিন্তু এখনই এ প্রকল্প নিলে ঋণের বোঝা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এটি গলার কাঁটায় পরিণত হওয়ার আশঙ্কা করছেন পরিবহন বিশেষজ্ঞরা।
টেকসই পরিবহন পরিকল্পনার সঙ্গে ঢাকায় পাতালরেল কতটুকু প্রাসঙ্গিক, এই ধরনের অবকাঠামোর উপযোগিতাই-বা কেমন—এসব বিশ্লেষণের জন্য আজ শুক্রবার রাজধানীতে নগর সংলাপের আয়োজন করে ইনস্টিটিউট ফর প্ল্যানিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (আইপিডি)। সংলাপে অংশ নিয়ে বিশেষজ্ঞরা এই মুহূর্তে পাতালরেলের মতো প্রকল্প গ্রহণ না করার পরামর্শ দেন সরকারকে।
আলোচনার শুরুতেই আইপিডির নির্বাহী পরিচালক পরিকল্পনাবিদ আদিল মাহমুদ খান বলেন, ‘পাতালরেল নির্মাণে চলতি অর্থবছরের মোট বাজেটের অর্ধেকের বেশি ব্যয় হবে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নগর-পরিকল্পনা বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, পাতালরেল উচ্চ আয়ের দেশগুলোর সীমিতসংখ্যক কিছু শহরে নির্মিত হলেও তা অতি ব্যয়বহুল প্রকল্প। এ কারণে অতি ধনী দেশগুলোও এখন নতুন করে পাতালরেল নির্মাণের মতো উচ্চাভিলাষী প্রকল্প নিচ্ছে না। বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় যেখানে প্রায় ২ হাজার ডলার, সেখানে পাতালরেল নির্মাণের মতো অর্থনৈতিক শক্তি আমাদের নেই বললেই চলে।’
ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের (ডিটিসিএ) সাবেক নির্বাহী পরিচালক ও পরিবহন বিশেষজ্ঞ ড. এস এম সালেহউদ্দিন বলেন, ‘এই শহরে যে অবস্থা, তাতে সাধারণ মানুষ বিরক্ত। আপনি পাতালরেল করলেন কি-না, তাতে মানুষের কিছু আসে যায় না। মানুষ চায় শান্তিতে, সহজে এবং অল্প সময়ের মধ্যে গন্তব্যে যেতে। সুতরাং এখনই এই প্রকল্প না নেওয়াই ভালো। এই প্রকল্প নিলে ২০৫০ সাল পর্যন্ত যানজট পোহাতে হবে। এতে যে পরিমাণ টাকা খরচ হবে তা দিয়ে ১ হাজার নতুন বাস কিনে বাস রুট রেশনালাইজেশন প্রোগ্রামকে আরও গতিশীল করা যেতে পারে। এতে পরিবহনব্যবস্থা উন্নত হবে। আর যেসব প্রকল্প ঢাকায় চলছে, সেগুলো শেষ করে তারপরেই নতুন প্রকল্পের দিকে যাওয়া উচিত।’
অনুষ্ঠানে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের অধ্যাপক পরিকল্পনাবিদ অধ্যাপক ড. আকতার মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে পাতালরেলের মতো প্রকল্প ব্যয়সাশ্রয়ী হবে না। এই প্রকল্পে গলার কাঁটা তৈরি হবে। এতে ঋণের বোঝা বাড়বে। এভাবে মেগা প্রকল্প না নিয়ে পরিকল্পনামাফিক উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। ঢাকা শহরের জন্য এখনই পাতালরেলের দরকার নেই বলেও মনে করেন তিনি।
আইডিপির পরিচালক ও রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনার (ড্যাপ) প্রকল্প পরিচালক পরিকল্পনাবিদ মো. আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে যানজট অনেক বেড়েছে। সে ক্ষেত্রে অনেকে যানজটের সমাধানের পথ হিসেবে মনে করছেন পাতাল রেলকে। ঢাকা শহরে মানুষের যে গড় আয় তার কত শতাংশ দৈনন্দিন যাতায়াতের জন্য দিতে পারব। সেটা ভাবতে হবে। পাতার রেলে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় যেতে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা লাগবে। সুতরাং প্রতিদিন যাওয়া আসাতে অন্তত ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা খরচ হতে পারে। সে ক্ষেত্রে ৩০ দিনের মধ্যে কেউ যদি ২৫ দিনই কর্মস্থলে যাওয়া আসা করে তাতে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা খরচ হবে। তাই খরচের বিষয়ে বিবেচনা করে পাতাল রেল আপাতত না করাই ভালো।
বাংলাদেশে ইউএনডিপির প্রতিনিধি মো. মারুফ হোসেন বলেন, ঢাকা শহরের অভিভাবকের ঝামেলা আছে। কোনো কিছুতে সমন্বয় নেই। যে যার মতো করে প্রকল্প নিচ্ছে, এতে জটিলতা তৈরি হচ্ছে। সিটি করপোরেশন, সড়ক ও সেতু বিভাগ কেউ কারও সঙ্গে সমন্বয় করে না। যে যার মতো করে প্রকল্প নিচ্ছে, ফলে অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়।
কৌশলগত পরিবহন পরিকল্পনায় মেট্রোরেল ও বিআরটি অন্তর্ভুক্ত থাকলেও পাতালরেল অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি বলেও জানান আলোচকেরা। তাঁরা বলেন, ঢাকার পাতালরেল নির্মাণে সরকারের সমীক্ষা প্রকল্প প্রধানত কারিগরি সমীক্ষা। এই ধরনের মেগা প্রকল্পের কোনো দিকনির্দেশনা বর্তমান কৌশলগত পরিবহন পরিকল্পনা, ঢাকা শহরের মহাপরিকল্পনা ও বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনায় নেই। বিচ্ছিন্নভাবে ও পর্যাপ্ত পরিকল্পনাগত বিশ্লেষণ না করেই মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের ধারা চলে আসছে। তবে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এসটিপি সংশোধন করে পাতালরেলকে এসটিপিতে সংযুক্ত করা হবে।
প্রসঙ্গত, ২০০৫ সালের কৌশলগত পরিকল্পনা এবং বিভিন্ন গবেষণা ও সমীক্ষায় ঢাকার জনসংখ্যার ঘনত্ব, যাত্রীদের যানবাহন ব্যবহারের প্রবণতা ও যানজট বিবেচনায় নিয়ে বাস রুট ফ্র্যাঞ্চাইজি বা বিশেষ পদ্ধতিতে বাস পরিচালনার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। এটা করা গেলে এক বাসের সঙ্গে অন্য বাসের প্রতিযোগিতা থাকত না। কিন্তু ১৭ বছরেও বাসের ফ্র্যাঞ্চাইজি ব্যবস্থা চালু হয়েছে শুধু একটি রুটে। ওই পরিকল্পনায় ঢাকার আশপাশের নদী ও রেলপথগুলোকে কাজে লাগানোর কথা বলা হলেও সে অনুযায়ী কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
এ পরিকল্পনায় ২০২৫ সালের মধ্যে মেট্রোরেলের পাঁচটি লাইন, দুটি বাস র্যাপিড ট্রানজিট রুট (বিআরটি), তিনটি রিং রোড, আটটি রেডিয়াল রোড, ছয়টি এক্সপ্রেসওয়ে, ২১টি পরিবহন হাব, ঢাকার চারপাশে বৃত্তাকার নৌপথের আধুনিকায়ন, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা ও নিরাপত্তা, বাস রুট ফ্র্যাঞ্চাইজি এবং পথচারী অগ্রাধিকার কৌশল ঠিক করার কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু উড়ালসড়ক ও মেট্রোরেল ছাড়া আর কোনো কিছুই এগোয়নি। এ দুটো নিয়ে কাজ শুরু হলেও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সংশ্লিষ্ট প্রকল্পগুলো শেষ হয়নি। ফলে বেড়েছে ব্যয় এবং মানুষের দুর্ভোগ। আইপিডি আয়োজিত শুক্রবার আলোচনা সভায় এ প্রসঙ্গগুলোই ঘুরেফিরে এসেছ।

মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে মাটি কাটা নিয়ে বিরোধের জেরে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে পুলিশের এসআইসহ অন্তত ছয়জন টেঁটাবিদ্ধ হয়েছেন। এ সময় অন্তত চারটি বাড়িতে ভাঙচুর ও আগুন দেওয়া হয়।
১১ মিনিট আগে
চৌগাছায় নিখোঁজের ২২ দিন পর আক্তারুজ্জামান (৪৬) নামের এক পুলিশ সদস্যের অর্ধগলিত লাশ পঞ্চগড় থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার পঞ্চগড় সদরের ৬ নম্বর সাতমোড়া ইউনিয়নের নয়মাইল এলাকার একটি আখখেত থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। আজ শুক্রবার নিহত আক্তারুজ্জামানের পরিবারের সদস্যদের বিষয়টি জানানো হয়।
২৮ মিনিট আগে
লালমনিরহাটের পাটগ্রাম সীমান্তে ভারত থেকে বাঘ আসার খবরে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সীমান্ত এলাকার লোকজনকে সতর্ক থাকতে বলেছে বিজিবি
১ ঘণ্টা আগে
রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির মরদেহ জাতীয় হৃদ্রোগ ইনস্টিটিউটে নেওয়া হয়েছে। সেখানে হিমঘরে মরদেহটি রাখা হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেমুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি

মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে মাটি কাটা নিয়ে বিরোধের জেরে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে পুলিশের এসআইসহ অন্তত ছয়জন টেঁটাবিদ্ধ হয়েছেন। এ সময় অন্তত চারটি বাড়িতে ভাঙচুর ও আগুন দেওয়া হয়। আজ শুক্রবার সকালে উপজেলার লতব্দী ইউনিয়নের কংশপুরা গ্রামে মো. জহির ও খলিলুর রহমানের লোকজনের মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
টেঁটাবিদ্ধ সিরাজদিখান থানার এসআই হাফিজুর রহমানকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। বাকি আহতরা বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, মাটি কাটা নিয়ে কংশপুরা গ্রামের খলিলুর রহমান ও পূর্ব রামকৃষ্ণদি গ্রামের মো. জহিরের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কংশপুরা গ্রামে দুই পক্ষের লোকজন টেঁটাসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায়। এ সময় উভয় পক্ষের কয়েকটি বাড়িঘরে ভাঙচুর ও আগুন দেওয়া হয়। সংঘর্ষ থামাতে সিরাজদিখান থানা-পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গেলে এসআই হাফিজুর হাতে টেঁটাবিদ্ধ হন। পরে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করে পরিস্থিতি শান্ত করা হয়।
সিরাজদিখান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক জাহানারা আক্তার বলেন, পুলিশের এসআইয়ের ডান হাতে টেঁটাবিদ্ধ হয়েছেন। তাঁকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হলে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢামেকে পাঠানো হয়েছে।
জানতে চাইলে খলিলুর রহমান বলেন, ‘জহিরের অবৈধ মাটি কাটা বন্ধ করে দেওয়ায় লোকজন নিয়ে আমার বাড়িঘরে হামলা চালিয়েছে। ঘরবাড়ি ভাঙচুর ও স্বর্ণালংকার লুটপাট করা হয়েছে। আমার কয়েকজন লোক টেঁটাবিদ্ধ হয়েছেন।’
এদিকে মো. জহির বলেন, ‘খলিলের সঙ্গে আমার বিরোধ অনেক আগের। আজকের ঘটনায় আমি জড়িত নই।’
লতব্দী ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান মো. শামসুদ্দীন খান খোকন বলেন, ড্রেজার মেশিন দিয়ে মাটি কাটা ও ভরাটকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে বেশ কিছুদিন ধরে বিরোধ চলছিল। আজকের ঘটনায় কয়েকজন টেঁটাবিদ্ধ হয়েছেন।
সিরাজদিখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হান্নান বলেন, ঘটনার পর এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আহতদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ছয়জনকে আটক করা হয়েছে। ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করে মামলা দায়ের করা হবে।

মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে মাটি কাটা নিয়ে বিরোধের জেরে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে পুলিশের এসআইসহ অন্তত ছয়জন টেঁটাবিদ্ধ হয়েছেন। এ সময় অন্তত চারটি বাড়িতে ভাঙচুর ও আগুন দেওয়া হয়। আজ শুক্রবার সকালে উপজেলার লতব্দী ইউনিয়নের কংশপুরা গ্রামে মো. জহির ও খলিলুর রহমানের লোকজনের মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
টেঁটাবিদ্ধ সিরাজদিখান থানার এসআই হাফিজুর রহমানকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। বাকি আহতরা বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, মাটি কাটা নিয়ে কংশপুরা গ্রামের খলিলুর রহমান ও পূর্ব রামকৃষ্ণদি গ্রামের মো. জহিরের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কংশপুরা গ্রামে দুই পক্ষের লোকজন টেঁটাসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায়। এ সময় উভয় পক্ষের কয়েকটি বাড়িঘরে ভাঙচুর ও আগুন দেওয়া হয়। সংঘর্ষ থামাতে সিরাজদিখান থানা-পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গেলে এসআই হাফিজুর হাতে টেঁটাবিদ্ধ হন। পরে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করে পরিস্থিতি শান্ত করা হয়।
সিরাজদিখান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক জাহানারা আক্তার বলেন, পুলিশের এসআইয়ের ডান হাতে টেঁটাবিদ্ধ হয়েছেন। তাঁকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হলে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢামেকে পাঠানো হয়েছে।
জানতে চাইলে খলিলুর রহমান বলেন, ‘জহিরের অবৈধ মাটি কাটা বন্ধ করে দেওয়ায় লোকজন নিয়ে আমার বাড়িঘরে হামলা চালিয়েছে। ঘরবাড়ি ভাঙচুর ও স্বর্ণালংকার লুটপাট করা হয়েছে। আমার কয়েকজন লোক টেঁটাবিদ্ধ হয়েছেন।’
এদিকে মো. জহির বলেন, ‘খলিলের সঙ্গে আমার বিরোধ অনেক আগের। আজকের ঘটনায় আমি জড়িত নই।’
লতব্দী ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান মো. শামসুদ্দীন খান খোকন বলেন, ড্রেজার মেশিন দিয়ে মাটি কাটা ও ভরাটকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে বেশ কিছুদিন ধরে বিরোধ চলছিল। আজকের ঘটনায় কয়েকজন টেঁটাবিদ্ধ হয়েছেন।
সিরাজদিখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হান্নান বলেন, ঘটনার পর এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আহতদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ছয়জনকে আটক করা হয়েছে। ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করে মামলা দায়ের করা হবে।

ঢাকায় মেট্রোরেল এখনো চালু হয়নি। কাজ শেষ হয়নি বিআরটি প্রকল্পের। এর মধ্যেই শুরু হয়েছে পাতালরেল নির্মাণের তোড়জোড়। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঢাকায় পাতালরেল করার মতো জায়গা নেই। এখন এই প্রকল্প নিলে ২০৫০ সাল পর্যন্ত যানজট পোহাতে হবে নগরবাসীকে।
২২ এপ্রিল ২০২২
চৌগাছায় নিখোঁজের ২২ দিন পর আক্তারুজ্জামান (৪৬) নামের এক পুলিশ সদস্যের অর্ধগলিত লাশ পঞ্চগড় থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার পঞ্চগড় সদরের ৬ নম্বর সাতমোড়া ইউনিয়নের নয়মাইল এলাকার একটি আখখেত থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। আজ শুক্রবার নিহত আক্তারুজ্জামানের পরিবারের সদস্যদের বিষয়টি জানানো হয়।
২৮ মিনিট আগে
লালমনিরহাটের পাটগ্রাম সীমান্তে ভারত থেকে বাঘ আসার খবরে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সীমান্ত এলাকার লোকজনকে সতর্ক থাকতে বলেছে বিজিবি
১ ঘণ্টা আগে
রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির মরদেহ জাতীয় হৃদ্রোগ ইনস্টিটিউটে নেওয়া হয়েছে। সেখানে হিমঘরে মরদেহটি রাখা হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেচৌগাছা (যশোর) প্রতিনিধি

যশোরের চৌগাছায় নিখোঁজের ২২ দিন পর আক্তারুজ্জামান (৪৬) নামের এক পুলিশ সদস্যের অর্ধগলিত লাশ পঞ্চগড় থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার পঞ্চগড় সদরের ৬ নম্বর সাতমোড়া ইউনিয়নের নয়মাইল এলাকার একটি আখখেত থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। আজ শুক্রবার নিহত আক্তারুজ্জামানের পরিবারের সদস্যদের বিষয়টি জানানো হয়।
চৌগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল করিম নিখোঁজ পুলিশ সদস্যের লাশ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (শুক্রবার রাত ৬টা ১৫ মিনিট) পরিবারের সদস্যদের পঞ্চগড়ের উদ্দেশে রওনা দেওয়ার কথা জানান নিহত আক্তারুজ্জামানের স্ত্রীর ভাই মামুনুর রশীদ মামুন। মোবাইল ফোনে তিনি জানান, পরনের প্যান্ট, শার্ট ও জুতা দেখে তাঁরা প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হয়েছেন লাশটি তাঁর বোনের স্বামীর।
জানতে চাইলে পঞ্চগড় সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) বেলাল হোসেন জানান, লাশটি উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য থানায় রাখা হয়েছে। পরিবারের সদস্যরা যোগাযোগ করেছেন। তাঁরা থানায় পৌঁছালে সেটি ময়নাতদন্তে পাঠানো হবে। এরপর লাশ পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
আক্তারুজ্জামান চৌগাছা উপজেলার সিংহঝুলি ইউনিয়নের জামলতা গ্রামের মৃত আনিচুর বিশ্বাসের ছেলে। তিনি খুলনা রেঞ্জের বাগেরহাট জেলার রামপাল থানায় কর্মরত ছিলেন।
জানা গেছে, লাশটির দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ার পর গতকাল স্থানীয় বাসিন্দারা থানায় খবর দেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আইনগত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে। তবে লাশটির কোনো তথ্য না থাকায় জানার জন্য চেষ্টা করেন মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা। ক্লুলেস লাশটির পরিচয় শনাক্তে একমাত্র সূত্র হয় উদ্ধার করা লাশের আন্ডারওয়্যার।
যা ছিল পুলিশের লোগো-সংবলিত। পরে সেটি একজন পুলিশ কর্মকর্তার দৃষ্টিগোচর হলে তাঁর পরনের প্যান্ট, শার্ট ও জুতার ছবি নিহত আক্তারুজ্জামানের স্ত্রীকে নিয়ে দেখালে তিনি তাঁর স্বামীর পোশাক বলে শনাক্ত করেন।
এর আগে গত ৩০ নভেম্বর নিহত পুলিশ সদস্যের স্ত্রী শাহিনা আক্তার শিমা চৌগাছা থানায় নিখোঁজের বিষয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
জিডি ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, স্ত্রী-সন্তানসহ চৌগাছা শহরের ইছাপুর গ্রামের বিল্লাল হোসেনের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন আক্তারুজ্জামান। গত ২৬ নভেম্বর পাঁচ দিনের ছুটি নিয়ে তিনি বাড়িতে আসেন। পরদিন ২৭ নভেম্বর সকালে মহেশপুর যাওয়ার কথা বলে বাসা থেকে বের হয়ে যান।
এর পর থেকে তাঁর আর খোঁজ মেলেনি।
জিডিতে শাহিনা আক্তার শিমা বলেন, ‘তিন দিন ধরে কোথাও স্বামীর সন্ধান না পেয়ে থানায় অভিযোগ করেছি।’ তিনি জানান, আক্তারুজ্জামান তাঁর ব্যবহৃত দুটি ফোন বাসায় রেখে গিয়েছেন। ফলে কোনোভাবেই তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছিল না।

যশোরের চৌগাছায় নিখোঁজের ২২ দিন পর আক্তারুজ্জামান (৪৬) নামের এক পুলিশ সদস্যের অর্ধগলিত লাশ পঞ্চগড় থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার পঞ্চগড় সদরের ৬ নম্বর সাতমোড়া ইউনিয়নের নয়মাইল এলাকার একটি আখখেত থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। আজ শুক্রবার নিহত আক্তারুজ্জামানের পরিবারের সদস্যদের বিষয়টি জানানো হয়।
চৌগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল করিম নিখোঁজ পুলিশ সদস্যের লাশ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (শুক্রবার রাত ৬টা ১৫ মিনিট) পরিবারের সদস্যদের পঞ্চগড়ের উদ্দেশে রওনা দেওয়ার কথা জানান নিহত আক্তারুজ্জামানের স্ত্রীর ভাই মামুনুর রশীদ মামুন। মোবাইল ফোনে তিনি জানান, পরনের প্যান্ট, শার্ট ও জুতা দেখে তাঁরা প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হয়েছেন লাশটি তাঁর বোনের স্বামীর।
জানতে চাইলে পঞ্চগড় সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) বেলাল হোসেন জানান, লাশটি উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য থানায় রাখা হয়েছে। পরিবারের সদস্যরা যোগাযোগ করেছেন। তাঁরা থানায় পৌঁছালে সেটি ময়নাতদন্তে পাঠানো হবে। এরপর লাশ পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
আক্তারুজ্জামান চৌগাছা উপজেলার সিংহঝুলি ইউনিয়নের জামলতা গ্রামের মৃত আনিচুর বিশ্বাসের ছেলে। তিনি খুলনা রেঞ্জের বাগেরহাট জেলার রামপাল থানায় কর্মরত ছিলেন।
জানা গেছে, লাশটির দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ার পর গতকাল স্থানীয় বাসিন্দারা থানায় খবর দেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আইনগত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে। তবে লাশটির কোনো তথ্য না থাকায় জানার জন্য চেষ্টা করেন মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা। ক্লুলেস লাশটির পরিচয় শনাক্তে একমাত্র সূত্র হয় উদ্ধার করা লাশের আন্ডারওয়্যার।
যা ছিল পুলিশের লোগো-সংবলিত। পরে সেটি একজন পুলিশ কর্মকর্তার দৃষ্টিগোচর হলে তাঁর পরনের প্যান্ট, শার্ট ও জুতার ছবি নিহত আক্তারুজ্জামানের স্ত্রীকে নিয়ে দেখালে তিনি তাঁর স্বামীর পোশাক বলে শনাক্ত করেন।
এর আগে গত ৩০ নভেম্বর নিহত পুলিশ সদস্যের স্ত্রী শাহিনা আক্তার শিমা চৌগাছা থানায় নিখোঁজের বিষয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
জিডি ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, স্ত্রী-সন্তানসহ চৌগাছা শহরের ইছাপুর গ্রামের বিল্লাল হোসেনের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন আক্তারুজ্জামান। গত ২৬ নভেম্বর পাঁচ দিনের ছুটি নিয়ে তিনি বাড়িতে আসেন। পরদিন ২৭ নভেম্বর সকালে মহেশপুর যাওয়ার কথা বলে বাসা থেকে বের হয়ে যান।
এর পর থেকে তাঁর আর খোঁজ মেলেনি।
জিডিতে শাহিনা আক্তার শিমা বলেন, ‘তিন দিন ধরে কোথাও স্বামীর সন্ধান না পেয়ে থানায় অভিযোগ করেছি।’ তিনি জানান, আক্তারুজ্জামান তাঁর ব্যবহৃত দুটি ফোন বাসায় রেখে গিয়েছেন। ফলে কোনোভাবেই তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছিল না।

ঢাকায় মেট্রোরেল এখনো চালু হয়নি। কাজ শেষ হয়নি বিআরটি প্রকল্পের। এর মধ্যেই শুরু হয়েছে পাতালরেল নির্মাণের তোড়জোড়। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঢাকায় পাতালরেল করার মতো জায়গা নেই। এখন এই প্রকল্প নিলে ২০৫০ সাল পর্যন্ত যানজট পোহাতে হবে নগরবাসীকে।
২২ এপ্রিল ২০২২
মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে মাটি কাটা নিয়ে বিরোধের জেরে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে পুলিশের এসআইসহ অন্তত ছয়জন টেঁটাবিদ্ধ হয়েছেন। এ সময় অন্তত চারটি বাড়িতে ভাঙচুর ও আগুন দেওয়া হয়।
১১ মিনিট আগে
লালমনিরহাটের পাটগ্রাম সীমান্তে ভারত থেকে বাঘ আসার খবরে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সীমান্ত এলাকার লোকজনকে সতর্ক থাকতে বলেছে বিজিবি
১ ঘণ্টা আগে
রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির মরদেহ জাতীয় হৃদ্রোগ ইনস্টিটিউটে নেওয়া হয়েছে। সেখানে হিমঘরে মরদেহটি রাখা হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেপাটগ্রাম (লালমনিরহাট) প্রতিনিধি

লালমনিরহাটের পাটগ্রাম সীমান্তে ভারত থেকে বাঘ আসার খবরে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সীমান্ত এলাকার লোকজনকে সতর্ক থাকতে বলেছে বিজিবি।
বিজিবি ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের প্রধান পিলার ৮৬৮ নম্বরের ৩ নম্বর উপপিলারের একপাশে ভারতীয় কোচবিহার রাজ্যের মাথাভাঙ্গা থানার বালারহাট এলাকা এবং অন্যপাশে বাংলাদেশের লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার জগৎবেড় ও জোংড়া ইউনিয়ন সীমান্তের মোহাম্মদপুর ককোয়াবাড়ী এলাকা। কাঁটাতারবিহীন ওই সীমান্ত এলাকার ভারতের প্রায় ৪০০ গজ অভ্যন্তরে বালারহাট এলাকায় পার্শ্ববর্তী বন থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে একটি বাঘ লোকালয়ে চলে আসে। এ সময় ভারতের স্থানীয় এলাকার বাসিন্দারা বাঘটিকে ধাওয়া দিলে বাঘটি পালিয়ে যায়। সীমান্তে বাঘ আসায় এই শোরগোলের খবর ভারতের ১৫৬ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের শ্রীমুখ ক্যাম্পের বিএসএফের টহল দলের মাধ্যমে বাংলাদেশের ৬১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের (তিস্তা-২) নাজিরগোমানী ক্যাম্পের টহল দল জানতে পারে। এ ঘটনায় রাতে হ্যান্ড মাইকের মাধ্যমে সীমান্তবাসীদের সতর্ক থাকতে বলে বিজিবি।
এক সপ্তাহ আগেও ভারতের ওই গ্রামে দুটি বাঘ এসেছিল। স্থানীয় বন বিভাগের লোকজনের সহায়তায় একটি বাঘ আটক করা হয় এবং অপর বাঘটিকে পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে বলে জানা গেছে।
ককোয়াবাড়ী এলাকার আবেদা বেগম (৫৫) বলেন, ‘বিজিবি মাইকে বলেছে এটা শুনেছি। বাঘ দেখিনি, তবে এতে ভয় লাগে।’
একই এলাকার ওয়াদুদ হোসেন বলেন, ‘রাতের বেলা ভারতে চিল্লাচিল্লিতে আমরা খবর পাই বাঘ নাকি বের হয়েছে, পিটাপিটি (ধাওয়া) করেছে। ওই সময় শুনি বাঘ বাংলাদেশেও ঢুকতে পাড়ে। এতে এলাকাবাসী ভয় পেয়ে সতর্ক হয়।’
এ ব্যাপারে নাজিরগোমানী বিজিবি ক্যাম্পের কমান্ডারের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তিনি কোনো কথা বলতে রাজি হননি। ব্যাটালিয়নের অধিনায়কের (সিও) মোবাইল নম্বরে কল দিলে কোনো সাড়া মেলেনি। তবে বিজিবির দায়িত্বশীল একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বলেন, ‘বাঘ তো বাংলাদেশে আসেনি। কেউ দেখেওনি। সীমান্তে এ ব্যাপারে জনসাধারণকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। ঘটনাটি তিলকে তাল বানানো হয়েছে।’

লালমনিরহাটের পাটগ্রাম সীমান্তে ভারত থেকে বাঘ আসার খবরে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সীমান্ত এলাকার লোকজনকে সতর্ক থাকতে বলেছে বিজিবি।
বিজিবি ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের প্রধান পিলার ৮৬৮ নম্বরের ৩ নম্বর উপপিলারের একপাশে ভারতীয় কোচবিহার রাজ্যের মাথাভাঙ্গা থানার বালারহাট এলাকা এবং অন্যপাশে বাংলাদেশের লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার জগৎবেড় ও জোংড়া ইউনিয়ন সীমান্তের মোহাম্মদপুর ককোয়াবাড়ী এলাকা। কাঁটাতারবিহীন ওই সীমান্ত এলাকার ভারতের প্রায় ৪০০ গজ অভ্যন্তরে বালারহাট এলাকায় পার্শ্ববর্তী বন থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে একটি বাঘ লোকালয়ে চলে আসে। এ সময় ভারতের স্থানীয় এলাকার বাসিন্দারা বাঘটিকে ধাওয়া দিলে বাঘটি পালিয়ে যায়। সীমান্তে বাঘ আসায় এই শোরগোলের খবর ভারতের ১৫৬ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের শ্রীমুখ ক্যাম্পের বিএসএফের টহল দলের মাধ্যমে বাংলাদেশের ৬১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের (তিস্তা-২) নাজিরগোমানী ক্যাম্পের টহল দল জানতে পারে। এ ঘটনায় রাতে হ্যান্ড মাইকের মাধ্যমে সীমান্তবাসীদের সতর্ক থাকতে বলে বিজিবি।
এক সপ্তাহ আগেও ভারতের ওই গ্রামে দুটি বাঘ এসেছিল। স্থানীয় বন বিভাগের লোকজনের সহায়তায় একটি বাঘ আটক করা হয় এবং অপর বাঘটিকে পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে বলে জানা গেছে।
ককোয়াবাড়ী এলাকার আবেদা বেগম (৫৫) বলেন, ‘বিজিবি মাইকে বলেছে এটা শুনেছি। বাঘ দেখিনি, তবে এতে ভয় লাগে।’
একই এলাকার ওয়াদুদ হোসেন বলেন, ‘রাতের বেলা ভারতে চিল্লাচিল্লিতে আমরা খবর পাই বাঘ নাকি বের হয়েছে, পিটাপিটি (ধাওয়া) করেছে। ওই সময় শুনি বাঘ বাংলাদেশেও ঢুকতে পাড়ে। এতে এলাকাবাসী ভয় পেয়ে সতর্ক হয়।’
এ ব্যাপারে নাজিরগোমানী বিজিবি ক্যাম্পের কমান্ডারের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তিনি কোনো কথা বলতে রাজি হননি। ব্যাটালিয়নের অধিনায়কের (সিও) মোবাইল নম্বরে কল দিলে কোনো সাড়া মেলেনি। তবে বিজিবির দায়িত্বশীল একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বলেন, ‘বাঘ তো বাংলাদেশে আসেনি। কেউ দেখেওনি। সীমান্তে এ ব্যাপারে জনসাধারণকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। ঘটনাটি তিলকে তাল বানানো হয়েছে।’

ঢাকায় মেট্রোরেল এখনো চালু হয়নি। কাজ শেষ হয়নি বিআরটি প্রকল্পের। এর মধ্যেই শুরু হয়েছে পাতালরেল নির্মাণের তোড়জোড়। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঢাকায় পাতালরেল করার মতো জায়গা নেই। এখন এই প্রকল্প নিলে ২০৫০ সাল পর্যন্ত যানজট পোহাতে হবে নগরবাসীকে।
২২ এপ্রিল ২০২২
মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে মাটি কাটা নিয়ে বিরোধের জেরে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে পুলিশের এসআইসহ অন্তত ছয়জন টেঁটাবিদ্ধ হয়েছেন। এ সময় অন্তত চারটি বাড়িতে ভাঙচুর ও আগুন দেওয়া হয়।
১১ মিনিট আগে
চৌগাছায় নিখোঁজের ২২ দিন পর আক্তারুজ্জামান (৪৬) নামের এক পুলিশ সদস্যের অর্ধগলিত লাশ পঞ্চগড় থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার পঞ্চগড় সদরের ৬ নম্বর সাতমোড়া ইউনিয়নের নয়মাইল এলাকার একটি আখখেত থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। আজ শুক্রবার নিহত আক্তারুজ্জামানের পরিবারের সদস্যদের বিষয়টি জানানো হয়।
২৮ মিনিট আগে
রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির মরদেহ জাতীয় হৃদ্রোগ ইনস্টিটিউটে নেওয়া হয়েছে। সেখানে হিমঘরে মরদেহটি রাখা হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির মরদেহ জাতীয় হৃদ্রোগ ইনস্টিটিউটে নেওয়া হয়েছে। সেখানে হিমঘরে মরদেহটি রাখা হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।
এর আগে আজ শুক্রবার বিকেল ৫টা ৪৮ মিনিটের দিকে হাদির মরদেহ বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফ্লাইট বিজি-৫৮৫ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
এ সময় হাদির মরদেহ নিতে বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের শিল্প, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেনসহ অন্যরা।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল ঘোষণার পরদিন ১২ ডিসেম্বর ঢাকার পুরানা পল্টনের বক্স-কালভার্ট রোডে শরিফ ওসমান হাদিকে গুলি করা হয়। প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পরে এভারকেয়ার হাসপাতালে তাঁকে চিকিৎসা দেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে ১৫ ডিসেম্বর এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তাঁকে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে তাঁর মৃত্যু হয়।

রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির মরদেহ জাতীয় হৃদ্রোগ ইনস্টিটিউটে নেওয়া হয়েছে। সেখানে হিমঘরে মরদেহটি রাখা হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।
এর আগে আজ শুক্রবার বিকেল ৫টা ৪৮ মিনিটের দিকে হাদির মরদেহ বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফ্লাইট বিজি-৫৮৫ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
এ সময় হাদির মরদেহ নিতে বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের শিল্প, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেনসহ অন্যরা।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল ঘোষণার পরদিন ১২ ডিসেম্বর ঢাকার পুরানা পল্টনের বক্স-কালভার্ট রোডে শরিফ ওসমান হাদিকে গুলি করা হয়। প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পরে এভারকেয়ার হাসপাতালে তাঁকে চিকিৎসা দেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে ১৫ ডিসেম্বর এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তাঁকে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে তাঁর মৃত্যু হয়।

ঢাকায় মেট্রোরেল এখনো চালু হয়নি। কাজ শেষ হয়নি বিআরটি প্রকল্পের। এর মধ্যেই শুরু হয়েছে পাতালরেল নির্মাণের তোড়জোড়। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঢাকায় পাতালরেল করার মতো জায়গা নেই। এখন এই প্রকল্প নিলে ২০৫০ সাল পর্যন্ত যানজট পোহাতে হবে নগরবাসীকে।
২২ এপ্রিল ২০২২
মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে মাটি কাটা নিয়ে বিরোধের জেরে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে পুলিশের এসআইসহ অন্তত ছয়জন টেঁটাবিদ্ধ হয়েছেন। এ সময় অন্তত চারটি বাড়িতে ভাঙচুর ও আগুন দেওয়া হয়।
১১ মিনিট আগে
চৌগাছায় নিখোঁজের ২২ দিন পর আক্তারুজ্জামান (৪৬) নামের এক পুলিশ সদস্যের অর্ধগলিত লাশ পঞ্চগড় থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার পঞ্চগড় সদরের ৬ নম্বর সাতমোড়া ইউনিয়নের নয়মাইল এলাকার একটি আখখেত থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। আজ শুক্রবার নিহত আক্তারুজ্জামানের পরিবারের সদস্যদের বিষয়টি জানানো হয়।
২৮ মিনিট আগে
লালমনিরহাটের পাটগ্রাম সীমান্তে ভারত থেকে বাঘ আসার খবরে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সীমান্ত এলাকার লোকজনকে সতর্ক থাকতে বলেছে বিজিবি
১ ঘণ্টা আগে