রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় এসি বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪

ঢামেক প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৬ জুন ২০২৪, ১১: ৩১
আপডেট : ১৬ জুন ২০২৪, ১১: ৪৬

রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার বাসায় এসি বিস্ফোরণের ঘটনায় বাবা, সন্তান ও বোনের পর মারা গেছেন দগ্ধ রকসি আক্তার (২০)। এ নিয়ে এ দুর্ঘটনায় পরিবারের চারজনেরই মৃত্যু হলো। আজ রোববার ভোর ৫টার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান রকসি। 

রকসির মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বার্ন ইনস্টিটিউটের প্লাস্টিক সার্জন ডা. আহমেদুর রহমান সবুজ। তিনি জানান, রকসির শরীরের ৫৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ ভোরে তিনি মারা যান। 

এর আগে, গত ১২ জুন ভোরে ৭০ শতাংশ দগ্ধ নিয়ে রকসির ছেলে আয়ান (৩) ও ১৩ জুন বিকেলে শরীরে ৫৫ শতাংশ দগ্ধ নিয়ে মারা যান রকসির বোন ফুতু আক্তার (১৮)। আর গতকাল শনিবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে রকসির বাবা আব্দুল মান্নান (৬০) মারা যান। তার শরীরের ৫০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। 

গত সোমবার (১০ জুন) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার এভারকেয়ার হসপিটালের পাশের একটি ভবনের নিচতলায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। 

রকসি আক্তারের দেবর আহমেদ মোস্তফা জানান, তাঁদের বাড়ি কক্সবাজার জেলার মহেশখালী থানার মাইজপাড়া গ্রামে। আয়ানের বাবা সিরাজুল মোস্তফা দুবাইপ্রবাসী। আয়ানের মা রকসির ব্রেইন টিউমার হয়েছিল। এভারকেয়ার হাসপাতালে তাঁর অস্ত্রোপচার হয়েছিল। এ জন্য চলতি মাসের ১ তারিখে তাঁরা সপরিবারে গ্রাম থেকে ঢাকায় আসেন। হাসপাতালটির পাশের ওই ভবনের নিচতলায় একটি বাসায় ভাড়ায় ওঠেন। সেখান থেকে মূলত নিয়মিত এভারকেয়ার হাসপাতালে যাতায়াত করতেন। 

আহমেদ মোস্তফা আরও জানান, ঘটনার দিন সন্ধ্যায় বাসার এসি বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে রুমের মধ্যে থাকা শিশুসহ পরিবারটির চারজন দগ্ধ হন। খবর পেয়ে তাদের উদ্ধার করে প্রথমে এভারকেয়ার হাসপাতাল নেওয়া হয়। সেখান থেকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে নেওয়া হয়।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত