ডেমরায় মন্দির পাহারা, লুটপাট-ভাঙচুর ঠেকাতে রাতেও মাঠে এলাকাবাসী

শ্যামপুর-কদমতলী (ঢাকা) প্রতিনিধি
Thumbnail image

ডেমরায় মন্দির পাহারা, লুটপাট-ভাঙচুর ঠেকাতে রাতেও মাঠে সজাগ রয়েছে এলাকাবাসী। পালাক্রমে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মী এবং এলাকার সাধারণ মানুষ কাজ করছে। এদিকে রাজধানীর ডেমরায় এখনো ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে কাজ করে যাচ্ছে বিভিন্ন কলেজের শিক্ষার্থী। 

আজ শুক্রবার সকালে ডেমরা থানা-পুলিশ দায়িত্বে যোগদান করেছে বলে অভিনন্দন জানিয়েছেন এলাকাবাসী ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা। 

পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত থানা-পুলিশের পাশাপাশি রাতের বেলায় নানা অপরাধ প্রতিরোধে মাঠে থাকবেন বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা। 

ডেমরা থানা ইসলামী আন্দোলনের সহসভাপতি ও ডিএসসিসির ৬৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. ইবরাহীম খলিলের সার্বিক সহযোগিতায় বৃহস্পতিবার রাতেও মাঠে ছিলেন নেতা-কর্মীরা। শুক্রবার সকাল থেকে স্বেচ্ছাসেবীরা সড়কে আবারও ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে দায়িত্ব পালন শুরু করেন। ডেমরা থানা ইসলামী শ্রমিক আন্দোলনের সভাপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের তত্ত্বাবধানে ডেমরা-যাত্রাবাড়ী ও ডেমরা-রামপুরা সড়কসহ এখানকার গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় কাজ করছেন ইসলামী ছাত্র আন্দোলন ও ইসলামী আন্দোলনের স্বেচ্ছাসেবীরা। এদিকে ডেমরা থানা বিএনপি নেতা সেলিম রোজা, ওয়ার্ড বিএনপি নেতা মো. সকাল ও সাবেক মেম্বার মো. লিটনের ডাকে বিএনপি নেতারাও রাত জেগে সকলের সঙ্গে পাহারা দিয়েছেন এলাকায়। 

সরেজমিন বৃহস্পতিবার গভীর রাতে দেখা গেছে, ডেমরা থানা ইসলামী আন্দোলন, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন, তাদের সহযোগী বিভিন্ন সংগঠনসহ বিএনপি ও সমাজের সচেতন স্বেচ্ছাসেবীরা রাতেও এলাকা পাহারায় নেমেছেন। শেখ হাসিনার দেশ ছাড়ার খবর পাওয়ার পর থেকেই অসাধুরা লুটপাট, হামলা ও ভাঙচুর চালাতে থাকে বিভিন্ন জায়গায়। আর এসব অপরাধ প্রতিরোধে গত ৫ আগস্ট রাত থেকেই ডিএসসিসির ৬৪ থেকে ৭০ নং ওয়ার্ড এলাকায় ইসলামী আন্দোলন, বিএনপি ও অন্যান্য দলের নেতা-কর্মীরা মাঠে রয়েছেন। 

এ বিষয়ে ডিএসসিসির ৬৮ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাহমুদুল হাসান ও ৬৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইব্রাহীম খলিল বলেন, অরাজকতা শুরু হওয়ার পর থেকেই মসজিদে মাইকিং করে এলাকাবাসীদের সজাগ করা হয়েছে। থানা-পুলিশ যোগদান করায় তাঁদের অভিনন্দন জানিয়েছেন সর্বস্তরের জনগণ। ইতিমধ্যে মানুষের মাঝে স্বস্তি ফিরিয়ে আনতে ও সামাজিক শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষায় গত ৫ আগস্ট থেকেই জনপ্রতিনিধিরাসহ নেতা-কর্মীরা সারা রাত জেগে এলাকায় পাহারা বসিয়েছেন। মন্দিরে মন্দিরে পাহারা চলছে এখনো। এরই মধ্যে সহিংসতা প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় কমিটি করে দেওয়া হয়েছে। 

এলাকার সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়ে ডেমরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, শুক্রবার সকাল থেকে আমরা থানায় অবস্থান নিয়েছি। এখন এলাকাবাসীসহ সংশ্লিষ্ট সকলেই যদি কাজ করার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করে তাহলে এলাকায় শান্তি শৃঙ্খলা ও জননিরাপত্তা দ্রুত সময়ের মধ্যে ফিরে আসবে ইনশা আল্লাহ। বর্তমানে সমন্বয়ভিত্তিক কাজ করাই উত্তম পন্থা। 

এ বিষয়ে ডেমরা ট্রাফিক জোনের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর (টিআই) মৃদুল কুমার পাল বলেন, বর্তমানে আমরা ডিসি মহোদয়ের তত্ত্বাবধানে রয়েছি। পরিস্থিতি অনুযায়ী আমাদের নির্দেশনা দিলেই কাজ শুরু করব।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত