শিবচর (মাদারীপুর) প্রতিনিধি
দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার সঙ্গে রাজধানী ঢাকার যোগাযোগের অন্যতম নৌপথ বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌরুট। স্বাভাবিক সময়ে প্রতিদিন হাজার হাজার যাত্রী এই রুট ব্যবহার করে থাকেন। ঈদের ছুটিতে এই সংখ্যা বাড়ে কয়েক গুন। ঈদের ছুটিতে লক্ষাধিক যাত্রী এই রুট ব্যবহার করে বাড়ি ফিরবেন। ভোর থেকে রাত পর্যন্ত লঞ্চ-স্পিডবোট ও ফেরিঘাটে যাত্রীদের ঢল নামবে।
ফেরিঘাট সূত্রে জানা গেছে, বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌরুটে ঈদে যাত্রী চাপ মোকাবিলায় ৮৭টি লঞ্চ ও শতাধিক স্পিডবোট থাকছে। লঞ্চগুলোর মধ্যে বড় লঞ্চের সংখ্যাই বেশি। যা দুই শতাধিক যাত্রী ধারণক্ষমতা সম্পন্ন। বর্তমানে বাংলাবাজার-শিমুলিয়া রুটে পাঁচটি ফেরি চলছে। অন্যদিকে শরিয়তপুরের মাঝিকান্দি-শিমুলিয়া রুটে চলছে দুইটি ফেরি। মোট সাতটি ফেরি চলছে দুই রুটে। তবে ঈদের আগে আরও তিনটি ফেরি যুক্ত হবে নৌরুটে। ঈদের সময় মোট ১০টি ফেরি নৌরুটে যানবাহন পারাপার করবে। তবে ২৪ ঘণ্টা ফেরি সার্ভিস থাকবে কিনা সে বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
বিআইডব্লিউটিসি’র বাংলাবাজার ফেরিঘাটের ব্যবস্থাপক মো. সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘ঈদের সময় মোট ১০টি ফেরি চলবে। ২৪ ঘণ্টা চালু রাখার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করা হচ্ছে।’
বিআইডব্লিউটিএ’র বাংলাবাজার লঞ্চ ঘাট সূত্র জানিয়েছে, ঈদের আগেই সবগুলো লঞ্চের রুট পারমিট, সার্ভেসনদসহ টুকটাক মেরামত সম্পন্ন করে নিয়েছে মালিক কর্তৃপক্ষ। ঈদ যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
বিআইডব্লিউটিএ’র বাংলাবাজার লঞ্চঘাটের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর আক্তার হোসেন বলেন, ‘ঈদের চাপ মোকাবিলায় আমাদের প্রস্তুতি রয়েছে। ৮৭টি লঞ্চ চলবে নৌরুটে। যেহেতু ঝড়ের মৌসুম, সে ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করেই লঞ্চ চলাচল করবে। ধারণক্ষমতার বাইরে কোনো যাত্রী বহন করা হবে না।’
এদিকে নৌরুটে পারাপার হওয়া যাত্রীরা বলেছেন, ‘কোনো কোনো লঞ্চে জীবন রক্ষাকারী বয়া বেশি থাকলেও অধিকাংশ লঞ্চে তা পর্যাপ্ত নেই। তাছাড়া লাইফ জ্যাকেটও দেখা যায় না অনেক লঞ্চে। লঞ্চের ভেতরে-ওপরে ও নিচে পর্যাপ্ত বয়া এবং লাইফ জ্যাকেট রাখা উচিত। এছাড়া প্রতিটি লঞ্চে ধারণ ক্ষমতার বেশি যাত্রী পারাপার করে থাকে। এসব সার্বিক বিষয়ে কর্তৃপক্ষের তদারকি করা উচিত।’
ঢাকা থেকে আসা যাত্রী মো. হাসান বলেন, ‘ঝড়ের মৌসুম এখন। হঠাৎ করেই কালবৈশাখী শুরু হয়। এ সময় ঈদ যাত্রায় লঞ্চ স্পিডবোটের দিকে প্রশাসনের কঠোর নজরদারি দরকার। নৌযানে পর্যাপ্ত লাইফ জ্যাকেট, বয়া রাখা এবং অতিরিক্ত যাত্রী যাতে বহন না করতে পারে সেদিকে বিশেষ নজরদারির জন্য প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।’
আরেক যাত্রী মো. ইমরান বলেন, ‘ঈদ এলেই স্পিডবোটের ভাড়া বেড়ে যায়। দেড় শ টাকার ভাড়া ২০০-৩০০ টাকা হয়। অযৌক্তিকভাবে ভাড়া যাতে না বাড়ে সেদিকে নজরদারি প্রয়োজন।’
মো. আব্বাস আলী বলেন, ‘গত বছর ফেরিতে প্রচণ্ড গরমে কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে। অসুস্থ হয়ে পড়েছিল শতাধিক মানুষ। এই দুর্ভোগ আমরা চাই না। নৌরুটে যেন শৃঙ্খলার সঙ্গে যাত্রী পারাপার করা হয়। ফেরির সংখ্যা বৃদ্ধি এবং ২৪ ঘণ্টা চলাচলের দাবি জানাচ্ছি। ঘরমুখো মানুষের সঙ্গে প্রহসন করা চলবে না।’
মাদারীপুর পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল বলেন, ‘ঈদুল ফিতরের আগের ৭ দিন ও পরের ৭ দিন ঘাট এলাকায় আমাদের অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন থাকবে। এরই মধ্যে আমরা লঞ্চ মালিক সমিতি, স্পিডবোট মালিক সমিতি, বাস মালিক সমিতির সঙ্গে কথা বলেছি। যাত্রীরা যাতে হয়রানির শিকার না হয় সেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার সঙ্গে রাজধানী ঢাকার যোগাযোগের অন্যতম নৌপথ বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌরুট। স্বাভাবিক সময়ে প্রতিদিন হাজার হাজার যাত্রী এই রুট ব্যবহার করে থাকেন। ঈদের ছুটিতে এই সংখ্যা বাড়ে কয়েক গুন। ঈদের ছুটিতে লক্ষাধিক যাত্রী এই রুট ব্যবহার করে বাড়ি ফিরবেন। ভোর থেকে রাত পর্যন্ত লঞ্চ-স্পিডবোট ও ফেরিঘাটে যাত্রীদের ঢল নামবে।
ফেরিঘাট সূত্রে জানা গেছে, বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌরুটে ঈদে যাত্রী চাপ মোকাবিলায় ৮৭টি লঞ্চ ও শতাধিক স্পিডবোট থাকছে। লঞ্চগুলোর মধ্যে বড় লঞ্চের সংখ্যাই বেশি। যা দুই শতাধিক যাত্রী ধারণক্ষমতা সম্পন্ন। বর্তমানে বাংলাবাজার-শিমুলিয়া রুটে পাঁচটি ফেরি চলছে। অন্যদিকে শরিয়তপুরের মাঝিকান্দি-শিমুলিয়া রুটে চলছে দুইটি ফেরি। মোট সাতটি ফেরি চলছে দুই রুটে। তবে ঈদের আগে আরও তিনটি ফেরি যুক্ত হবে নৌরুটে। ঈদের সময় মোট ১০টি ফেরি নৌরুটে যানবাহন পারাপার করবে। তবে ২৪ ঘণ্টা ফেরি সার্ভিস থাকবে কিনা সে বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
বিআইডব্লিউটিসি’র বাংলাবাজার ফেরিঘাটের ব্যবস্থাপক মো. সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘ঈদের সময় মোট ১০টি ফেরি চলবে। ২৪ ঘণ্টা চালু রাখার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করা হচ্ছে।’
বিআইডব্লিউটিএ’র বাংলাবাজার লঞ্চ ঘাট সূত্র জানিয়েছে, ঈদের আগেই সবগুলো লঞ্চের রুট পারমিট, সার্ভেসনদসহ টুকটাক মেরামত সম্পন্ন করে নিয়েছে মালিক কর্তৃপক্ষ। ঈদ যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
বিআইডব্লিউটিএ’র বাংলাবাজার লঞ্চঘাটের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর আক্তার হোসেন বলেন, ‘ঈদের চাপ মোকাবিলায় আমাদের প্রস্তুতি রয়েছে। ৮৭টি লঞ্চ চলবে নৌরুটে। যেহেতু ঝড়ের মৌসুম, সে ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করেই লঞ্চ চলাচল করবে। ধারণক্ষমতার বাইরে কোনো যাত্রী বহন করা হবে না।’
এদিকে নৌরুটে পারাপার হওয়া যাত্রীরা বলেছেন, ‘কোনো কোনো লঞ্চে জীবন রক্ষাকারী বয়া বেশি থাকলেও অধিকাংশ লঞ্চে তা পর্যাপ্ত নেই। তাছাড়া লাইফ জ্যাকেটও দেখা যায় না অনেক লঞ্চে। লঞ্চের ভেতরে-ওপরে ও নিচে পর্যাপ্ত বয়া এবং লাইফ জ্যাকেট রাখা উচিত। এছাড়া প্রতিটি লঞ্চে ধারণ ক্ষমতার বেশি যাত্রী পারাপার করে থাকে। এসব সার্বিক বিষয়ে কর্তৃপক্ষের তদারকি করা উচিত।’
ঢাকা থেকে আসা যাত্রী মো. হাসান বলেন, ‘ঝড়ের মৌসুম এখন। হঠাৎ করেই কালবৈশাখী শুরু হয়। এ সময় ঈদ যাত্রায় লঞ্চ স্পিডবোটের দিকে প্রশাসনের কঠোর নজরদারি দরকার। নৌযানে পর্যাপ্ত লাইফ জ্যাকেট, বয়া রাখা এবং অতিরিক্ত যাত্রী যাতে বহন না করতে পারে সেদিকে বিশেষ নজরদারির জন্য প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।’
আরেক যাত্রী মো. ইমরান বলেন, ‘ঈদ এলেই স্পিডবোটের ভাড়া বেড়ে যায়। দেড় শ টাকার ভাড়া ২০০-৩০০ টাকা হয়। অযৌক্তিকভাবে ভাড়া যাতে না বাড়ে সেদিকে নজরদারি প্রয়োজন।’
মো. আব্বাস আলী বলেন, ‘গত বছর ফেরিতে প্রচণ্ড গরমে কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে। অসুস্থ হয়ে পড়েছিল শতাধিক মানুষ। এই দুর্ভোগ আমরা চাই না। নৌরুটে যেন শৃঙ্খলার সঙ্গে যাত্রী পারাপার করা হয়। ফেরির সংখ্যা বৃদ্ধি এবং ২৪ ঘণ্টা চলাচলের দাবি জানাচ্ছি। ঘরমুখো মানুষের সঙ্গে প্রহসন করা চলবে না।’
মাদারীপুর পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল বলেন, ‘ঈদুল ফিতরের আগের ৭ দিন ও পরের ৭ দিন ঘাট এলাকায় আমাদের অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন থাকবে। এরই মধ্যে আমরা লঞ্চ মালিক সমিতি, স্পিডবোট মালিক সমিতি, বাস মালিক সমিতির সঙ্গে কথা বলেছি। যাত্রীরা যাতে হয়রানির শিকার না হয় সেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
তেভাগা আন্দোলনের নেতা হাজী মোহাম্মদ দানেশের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানান হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় হাবিপ্রবির ভাইস চ্যান্সেলর (ভিসি) প্রফেসর মো. এনামউল্যা। আজ বৃহস্পতিবার সকালে দিনাজপুর গোর-এ-শহীদ বড় ময়দানে হাবিপ্রবির শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের নিয়ে তিনি সমাধিসৌধ পরিদর্শন, কবর জিয়ারত
১ ঘণ্টা আগেখাগড়াছড়ির পানছড়ির লতিবান ইউনিয়নে গুলি করে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) তিন কর্মীকে হত্যার প্রতিবাদে আজ বৃহস্পতিবার জেলায় সকাল-সন্ধ্যা সড়ক অবরোধ চলছে। সকাল ৬টা থেকে অবরোধ থেকে শুরু হয়। চলবে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত।
১ ঘণ্টা আগেরাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর ঢাকা সিটি করপোরেশনের কিছু এলাকায় বর্জ্য সংগ্রহ কাজের হাতবদল হচ্ছে। এবার রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর এলাকায় ময়লা-বাণিজ্য নিয়ে দ্বন্দ্বে জড়িয়েছেন বিএনপির ওয়ার্ড ও থানা পর্যায়ের নেতারা।
১ ঘণ্টা আগেরাজধানীর মিরপুর-১৪ নম্বরে ডায়না গার্মেন্টসের শ্রমিকেরা বিভিন্ন দাবিতে রাস্তায় নেমে এসেছিলেন। তারা মিরপুর ১৪ নম্বরের কচুক্ষেত সড়ক বিক্ষোভ করে রাস্তা অবরোধের চেষ্টা করে। একপর্যায়ে তারা পুলিশ ও সেনাবাহিনীর গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়।
২ ঘণ্টা আগে