Ajker Patrika

বিএনপির নেতারা সন্ধ্যায় ভার্চুয়ালি মিটিং করে ট্রেনে আগুনের সিদ্ধান্ত নেন: ডিবি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০৬ জানুয়ারি ২০২৪, ১৫: ৩৯
বিএনপির নেতারা সন্ধ্যায় ভার্চুয়ালি মিটিং করে ট্রেনে আগুনের সিদ্ধান্ত নেন: ডিবি

গতকাল শুক্রবার রাত ৯টা ৫ মিনিটে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনের চারটি বগি পোড়ানো হয়। ট্রেন পোড়ানোর সিদ্ধান্ত ওই দিন সন্ধ্যার সময়ই এক ভার্চুয়াল মিটিংয়ে নেন বিএনপির নেতারা। ১৭ মিনিটের ওই ভার্চুয়াল মিটিংয়ে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক খন্দকার এনামুল হক এনাম। 

আজ শনিবার সকালে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। 

এ ঘটনায় এ পর্যন্ত আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন যাত্রাবাড়ী থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম আহ্বায়ক নবী উল্লাহ নবী, যুবদল নেতা কাজী মনসুর আলম, মো. ইকবাল হোসেন স্বপন, মো. রাসেল, দেলোয়ার হাকিম বিপ্লব, মো. সালাউদ্দিন, মো. কবির ও মো. হাসান আহমেদ। 

ডিবির জিজ্ঞাসাবাদে কাজী মনসুরের দেওয়া জবানবন্দির ভিডিও ডিএমপি মিডিয়া সেন্টার থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো হয়েছে। গ্রেপ্তারের পর ডিবির জিজ্ঞাসাবাদে ট্রেনে আগুন দেওয়ার পরিকল্পনার বিষয়ে জানিয়েছেন তিনি। 

জিজ্ঞাসাবাদে কাজী মনসুর ডিবিকে জানান, তাঁরা গতকাল একটি ভার্চুয়াল মিটিং করেন। মিটিংয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক খন্দকার এনামুল হক এনাম, যুবদল নেতা রবিউল ইসলাম নয়নসহ আরও অনেকে ছিলেন। প্রায় ১৭ মিনিট ধরে মিটিং চলে। ভার্চুয়ালি এই মিটিংয়ে দুটি সিদ্ধান্ত হয়েছে। প্রথম সিদ্ধান্ত ভোটকেন্দ্রে ককটেল বিস্ফোরণ করার জন্য, যাতে ভোটাররা ভয়ে সেখানে না আসে। আর দ্বিতীয় সিদ্ধান্ত হয় ট্রেনে আগুন দেওয়ার। এ সময় মিটিংয়ে যুবদল নেতা রবিউল ইসলাম নয়ন জিজ্ঞাসা করেন ট্রেনে আগুন দিতে কে পারবে? তখন মিটিংয়ে উপস্থিত একজন রাজি হন ট্রেনে আগুন দেওয়ার বিষয়ে। 

বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুনের ঘটনায় বিএনপি নেতা নবী উল্লাহ নবীসহ আটজনকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি। ছবি: সংগৃহীতমনসুর পুলিশের কাছে দেওয়া জবানবন্দিতে আরও বলেন, মিটিংয়ে রবিউল ইসলাম বলেন—কিশোরগঞ্জ থেকে আসা কোনো ট্রেন ঢাকায় ঢোকার পর কিংবা নারায়ণগঞ্জ রুটের ট্রেনে আগুন দেওয়ার জন্য। তখন রবিউল ইসলাম মিটিংয়ে একজনকে দায়িত্ব দেন ট্রেনে আগুন দেওয়ার জন্য। 

ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুনের পরিকল্পনা হিসেবে বিএনপির হাইপ্রোফাইল নেতারা ভিডিও কনফারেন্স করেন। কনফারেন্সে প্রথমে আসেন মহানগর দক্ষিণ যুবদলের আহ্বায়ক খন্দকার এনাম। এরপর আসেন সদস্যসচিব রবিউল ইসলাম নয়ন, যুগ্ম আহ্বায়ক এম এ গাফফার, ইকবাল হোসেন বাবলু, একজন দপ্তর সম্পাদক ও কাজী মনসুর। 

তাঁরা ভিডিও কনফারেন্সে এসে বৃহত্তর ময়মনসিংহ থেকে ঢাকাগামী ট্রেনে বিশেষ করে নরসিংদীর কাছে সুবিধাজনক স্থানে অগ্নিসংযোগ করার কথা বলেন। আরেকটি স্থানও তাঁরা নির্ধারণ করেন। কমলাপুর থেকে নারায়ণগঞ্জ লাইনের আপ-ডাউনে সুবিধাজনক স্থানে যাত্রীবাহী ট্রেনে আগুন লাগিয়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে মিডিয়ার দৃষ্টি আকর্ষণ করার পরিকল্পনা করেন।

আরও পড়ৃন:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বনশ্রীতে স্বর্ণ ডাকাতির মামলায় গ্রেপ্তার আমিনুল ছাত্রলীগের, সুমন শ্রমিক দলের নেতা

সামরিক বাহিনীর ৮ সংস্থা ও স্থাপনার নাম পরিবর্তন

ককটেল ফুটতেই সেলুনে লুকায় পুলিশ, রণক্ষেত্র হয় এলাকা

মসজিদে লুকিয়েও রক্ষা পেলেন না স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা ও তাঁর ভাই, ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দিল প্রতিপক্ষ

বাংলাদেশ-পাকিস্তান সম্পর্ক নিয়ে আবারও যা বললেন ভারতের সেনাপ্রধান

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত