সেতু ভবনে হামলা: বিজেপির আন্দালিব রহমান পার্থ কারাগারে

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০২ আগস্ট ২০২৪, ১৯: ২৩
Thumbnail image

রাজধানীর বনানীতে সেতু ভবনে হামলা, আগুন দেওয়া, ভাঙচুর, লুটপাট, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মারধর ও হত্যাচেষ্টার ঘটনায় করা মামলায় বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। 

আজ শুক্রবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রশিদুল আলম তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

দ্বিতীয় দফা তিন দিনের রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করে ডিবি পুলিশ। তদন্ত কর্মকর্তা তাঁকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। অন্যদিকে তাঁর পক্ষে জামিনের আবেদন করেন আইনজীবী। আদালত জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

গত ৩০ জুলাই পার্থকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। এর আগে পার্থকে এই মামলায় পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয় গত ২৫ জুলাই। 

ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বনানী থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা এসআই শাহ আলম পার্থকে কারাগারে পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, গত ১৮ জুলাই প্রতিদিনের মতো সেতু ভবনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা যথারীতি অফিসে কাজ করছিলেন। চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী অজ্ঞাতনামা ২৫০–৩০০ জন আসামি কোটা সংস্কার আন্দোলনের নামে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ও নাশকতা করার লক্ষ্যে সংঘবদ্ধ হয়ে দেশীয় অস্ত্র, লাঠিসোঁটা, ইটপাটকেল নিয়ে সেতু সামনে এসে সরকারবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে।

সেতু ভবনের সিনিয়র সচিবসহ কর্মকর্তাদের পদ পদবি উল্লেখ করে খোঁজাখুঁজি করে হুমকি প্রদর্শন ও ত্রাস সৃষ্টির মাধ্যমে অন্তর্ঘাতমূলক ভীতি সৃষ্টি করে সেতু ভবন লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে। একপর্যায়ে আসামিরা সেতু ভবনের অফিসের মূল ফটক ভেঙে অনধিকার প্রবেশ করে সেতু ভবনের নিচতলায় ভবনের সামনে রক্ষিত জিপ, কার, বাস, মিনিবাস, মাইক্রোবাস, পিকআপ, মোটরসাইকেল, নিরাপত্তা ভবন, সিসি ক্যামেরা, পার্কিং শেড, ক্যানটিন, গাড়িচালকদের কক্ষ, আনসার শেড, মুজিব কনার, জেনারেটরস কক্ষসহ মূল ভবন ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগ ঘটায়। এ ঘটনায় সেতু ভবনের কেয়ারটেকার রবিউল ইসলাম বাদী হয়ে বনানী থানায়  মামলা করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত