নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ঈদের আগে শেষ কর্মদিবস ছিল আজ। সরকার ঘোষিত রমজান মাসের অফিস সময় অনুযায়ী বিকেল সাড়ে ৩ টা-তেই বেজে গেছে ছুটির ঘণ্টা। ফলে দুপুরের পর থেকেই বাস ও লঞ্চ টার্মিনাল এবং রেল স্টেশনগুলোতে ঘরমুখো মানুষের অত্যধিক চাপ তৈরি হবে বলে ধারণা ছিল। সন্ধ্যা নাগাদ এ চাপ ভয়াবহ রূপ নেবে—এমনটাই আশঙ্কা ছিল। কিন্তু ভিন্ন চিত্র চোখে পড়ল রাজধানীর মহাখালী বাস টার্মিনালে। আর দশটা সাধারণ দিনের মতোই সেখানে যাত্রীদের উপস্থিতি দেখা গেল।
ঘরমুখো মানুষের উপচে পড়া ভিড় তো দূরের কথা বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মহাখালী বাস টার্মিনালকে দেখা গেল অনেকটাই ফাঁকা। একাধিক বাস কাউন্টারের বুকিং মাস্টার ও ব্যবস্থাপকও জানালেন, যাত্রী কম।
তবে কি এবার গ্রামের বাড়ি কম যাচ্ছেন মানুষ? না বিষয়টা সম্ভবত এমন নয়। বিকেলে অফিস শেষ করে এই তীব্র গরমে তাড়াহুড়ো করে হয়তো অনেকেই রওনা হতে চাননি। পরিবহন সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বৃহস্পতিবার রাত এবং আগামীকাল সকাল থেকে হয়তো যাত্রীর চাপ বাড়বে।
বাস টার্মিনালে ভিড় কম বলে স্বস্তির কথা জানালেন মো. গোলাম সানোয়ার (৪৫)। এক বন্ধুসহ তিনি যাচ্ছেন ময়মনসিংহ। আনুমানিক ৪০ মিনিট দাঁড়িয়ে থেকে টিকিট পেয়েছেন। বললেন, ‘এনা পরিবহনের টিকিট কেটেছি। দাম স্বাভাবিকই আছে। অন্য সময়ের তুলনায় অনেক অল্প পরিশ্রমেই যাইতে পারব মনে হচ্ছে।’
কথা হলো মো. আরাফাত মিনার (৩৬) সঙ্গে। বাবাসহ নওগাঁ যাচ্ছেন ঈদের ছুটিতে। স্বাভাবিক সময়ের মতোই এনা পরিবহনের টিকিট কেটেছেন তিনি। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘আমরা তো আগে যেই টাকায় টিকিট কাটতাম, সেই দামেই কিনসি। টিকিট পাইতেও তেমন ঝামেলা হয় নাই। অন্যবার যেমন ডাবল দাম দেওয়া লাগত, এইবার এখনো দাম বাড়ে নাই।’
মহাখালী বাস টার্মিনালে যতটা ভিড় দেখা গেল, তা মূলত এনা পরিবহনসহ গুটিকয় বাস কাউন্টার ঘিরেই। বাকি অংশটায় সন্ধ্যা পর্যন্ত তেমন ভিড় দেখা গেল না। এ নিয়ে কিছুটা হতাশাও প্রকাশ করতে দেখা গেল পরিবহন সংশ্লিষ্টদের।
ঢাকা-সিরাজগঞ্জ যাত্রী পরিবহন করে এস আর পরিবহন। এই পরিবহনের সহকারী বুকিং মাস্টার হিসেবে দায়িত্বে আছেন মো. খোকন মিয়া। কিছুটা আক্ষেপ করেই আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘দেখতেসেন তো ভাই, যাত্রী একেবারেই নাই। গতকাল পাঁচজন যাত্রী নিয়া সিরাজগঞ্জ থেকে আসছে একটা বাস। ২৫ জন যাত্রী হইলে মোটামুটি খরচ উইঠা আসে। যাত্রী পাইতেসি ১৫-২০ জন করে প্রত্যেক ট্রিপে। অন্য সময় এইখানে পা ফেলার জায়গা থাকে না; আর আজকে আমরা যাত্রী পাইতাসি না।’
একই রকম কথা বললেন অনন্যা পরিবহনের বুকিং মাস্টার আফসার উদ্দীন। তিনি বলেন, ‘দশ মিনিট পরপর গাড়ি ছাড়ি। চল্লিশ মিনিট ধরে গাড়ি দাঁড়ানো আছে যাত্রীর অভাবে। মাত্র তিনটা টিকিট বিক্রি হইছে। নাই ভাই, যাত্রী নাই। দেখতেসেন না কাউন্টার একবারে খালি।’
তুলনামূলক বেশি ভিড় থাকা এনা পরিবহনের ব্যবস্থাপক সায়েম উদ্দিনও বললেন এবারের চিত্র অন্যবারের তুলনায় আলাদা। তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত তেমন চাপ নেই যাত্রীর। গাড়ি কিছু জ্যামে আটকাইয়া আছে আমাদের। আমাদের অগ্রিম টিকিট বিক্রি আছে, এইটা নিয়া চিন্তা নাই। কিন্তু অন্যান্য ঈদের আগে এইখানে যে ভিড়টা থাকে, এখনো এই টার্মিনালে তেমন যাত্রী দেখা যাচ্ছে না। এইবার সে তুলনায় খুবই বাজে অবস্থা। লোকাল পরিবহনের অবস্থা আরও খারাপ।’
মহাখালী বাস টার্মিনালে ঈদে বাড়িফেরা যাত্রীদের যাতায়াত সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হচ্ছে কি-না তা তদারকির জন্য বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) তত্ত্বাবধানে ভ্রাম্যমাণ পরিদর্শন বুথ পরিচালনা করা হচ্ছে। সেখানে রয়েছেন বিআরটিএর মোটরযান পরিদর্শক মো. আবুল কালাম আজাদ। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, পরিবেশ মোটামুটি ভালো, যাত্রীর চাপ কম। যাত্রীরা হয়তো আজ ইফতার এবং আনুষঙ্গিক কাজ সেরে, আগামীকাল সকালে ঈদের ছুটিতে বাড়ি যাবেন। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী ভাড়া নেওয়া হচ্ছে। বিআরটিএ চেয়ারম্যান নিজে আকস্মিক সরেজমিনে পরিদর্শনে এসে যাত্রী, পরিবহন মালিক সমিতি ও বিভিন্ন কাউন্টারে দায়িত্বরতদের সঙ্গে কথা বলেছেন।’
ঈদের আগে শেষ কর্মদিবস ছিল আজ। সরকার ঘোষিত রমজান মাসের অফিস সময় অনুযায়ী বিকেল সাড়ে ৩ টা-তেই বেজে গেছে ছুটির ঘণ্টা। ফলে দুপুরের পর থেকেই বাস ও লঞ্চ টার্মিনাল এবং রেল স্টেশনগুলোতে ঘরমুখো মানুষের অত্যধিক চাপ তৈরি হবে বলে ধারণা ছিল। সন্ধ্যা নাগাদ এ চাপ ভয়াবহ রূপ নেবে—এমনটাই আশঙ্কা ছিল। কিন্তু ভিন্ন চিত্র চোখে পড়ল রাজধানীর মহাখালী বাস টার্মিনালে। আর দশটা সাধারণ দিনের মতোই সেখানে যাত্রীদের উপস্থিতি দেখা গেল।
ঘরমুখো মানুষের উপচে পড়া ভিড় তো দূরের কথা বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মহাখালী বাস টার্মিনালকে দেখা গেল অনেকটাই ফাঁকা। একাধিক বাস কাউন্টারের বুকিং মাস্টার ও ব্যবস্থাপকও জানালেন, যাত্রী কম।
তবে কি এবার গ্রামের বাড়ি কম যাচ্ছেন মানুষ? না বিষয়টা সম্ভবত এমন নয়। বিকেলে অফিস শেষ করে এই তীব্র গরমে তাড়াহুড়ো করে হয়তো অনেকেই রওনা হতে চাননি। পরিবহন সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বৃহস্পতিবার রাত এবং আগামীকাল সকাল থেকে হয়তো যাত্রীর চাপ বাড়বে।
বাস টার্মিনালে ভিড় কম বলে স্বস্তির কথা জানালেন মো. গোলাম সানোয়ার (৪৫)। এক বন্ধুসহ তিনি যাচ্ছেন ময়মনসিংহ। আনুমানিক ৪০ মিনিট দাঁড়িয়ে থেকে টিকিট পেয়েছেন। বললেন, ‘এনা পরিবহনের টিকিট কেটেছি। দাম স্বাভাবিকই আছে। অন্য সময়ের তুলনায় অনেক অল্প পরিশ্রমেই যাইতে পারব মনে হচ্ছে।’
কথা হলো মো. আরাফাত মিনার (৩৬) সঙ্গে। বাবাসহ নওগাঁ যাচ্ছেন ঈদের ছুটিতে। স্বাভাবিক সময়ের মতোই এনা পরিবহনের টিকিট কেটেছেন তিনি। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘আমরা তো আগে যেই টাকায় টিকিট কাটতাম, সেই দামেই কিনসি। টিকিট পাইতেও তেমন ঝামেলা হয় নাই। অন্যবার যেমন ডাবল দাম দেওয়া লাগত, এইবার এখনো দাম বাড়ে নাই।’
মহাখালী বাস টার্মিনালে যতটা ভিড় দেখা গেল, তা মূলত এনা পরিবহনসহ গুটিকয় বাস কাউন্টার ঘিরেই। বাকি অংশটায় সন্ধ্যা পর্যন্ত তেমন ভিড় দেখা গেল না। এ নিয়ে কিছুটা হতাশাও প্রকাশ করতে দেখা গেল পরিবহন সংশ্লিষ্টদের।
ঢাকা-সিরাজগঞ্জ যাত্রী পরিবহন করে এস আর পরিবহন। এই পরিবহনের সহকারী বুকিং মাস্টার হিসেবে দায়িত্বে আছেন মো. খোকন মিয়া। কিছুটা আক্ষেপ করেই আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘দেখতেসেন তো ভাই, যাত্রী একেবারেই নাই। গতকাল পাঁচজন যাত্রী নিয়া সিরাজগঞ্জ থেকে আসছে একটা বাস। ২৫ জন যাত্রী হইলে মোটামুটি খরচ উইঠা আসে। যাত্রী পাইতেসি ১৫-২০ জন করে প্রত্যেক ট্রিপে। অন্য সময় এইখানে পা ফেলার জায়গা থাকে না; আর আজকে আমরা যাত্রী পাইতাসি না।’
একই রকম কথা বললেন অনন্যা পরিবহনের বুকিং মাস্টার আফসার উদ্দীন। তিনি বলেন, ‘দশ মিনিট পরপর গাড়ি ছাড়ি। চল্লিশ মিনিট ধরে গাড়ি দাঁড়ানো আছে যাত্রীর অভাবে। মাত্র তিনটা টিকিট বিক্রি হইছে। নাই ভাই, যাত্রী নাই। দেখতেসেন না কাউন্টার একবারে খালি।’
তুলনামূলক বেশি ভিড় থাকা এনা পরিবহনের ব্যবস্থাপক সায়েম উদ্দিনও বললেন এবারের চিত্র অন্যবারের তুলনায় আলাদা। তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত তেমন চাপ নেই যাত্রীর। গাড়ি কিছু জ্যামে আটকাইয়া আছে আমাদের। আমাদের অগ্রিম টিকিট বিক্রি আছে, এইটা নিয়া চিন্তা নাই। কিন্তু অন্যান্য ঈদের আগে এইখানে যে ভিড়টা থাকে, এখনো এই টার্মিনালে তেমন যাত্রী দেখা যাচ্ছে না। এইবার সে তুলনায় খুবই বাজে অবস্থা। লোকাল পরিবহনের অবস্থা আরও খারাপ।’
মহাখালী বাস টার্মিনালে ঈদে বাড়িফেরা যাত্রীদের যাতায়াত সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হচ্ছে কি-না তা তদারকির জন্য বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) তত্ত্বাবধানে ভ্রাম্যমাণ পরিদর্শন বুথ পরিচালনা করা হচ্ছে। সেখানে রয়েছেন বিআরটিএর মোটরযান পরিদর্শক মো. আবুল কালাম আজাদ। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, পরিবেশ মোটামুটি ভালো, যাত্রীর চাপ কম। যাত্রীরা হয়তো আজ ইফতার এবং আনুষঙ্গিক কাজ সেরে, আগামীকাল সকালে ঈদের ছুটিতে বাড়ি যাবেন। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী ভাড়া নেওয়া হচ্ছে। বিআরটিএ চেয়ারম্যান নিজে আকস্মিক সরেজমিনে পরিদর্শনে এসে যাত্রী, পরিবহন মালিক সমিতি ও বিভিন্ন কাউন্টারে দায়িত্বরতদের সঙ্গে কথা বলেছেন।’
রাত ১০টার দিকে নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের প্রথম বর্ষের এক ছাত্রীর সঙ্গে কপালে টিপ পরে, ঘোমটা দিয়ে হলে প্রবেশ করে ওই যুবক। এ সময় পোশাক ও হাঁটা দেখে আশপাশের শিক্ষার্থীদের সন্দেহ হয়। পরে তাঁরা হল সুপারকে সিসিটিভি ফুটেজ চেক করতে বলেন। সিসিটিভি ফুটেজ চেক করে হল সুপারসহ ওই নারী শিক্ষার্থীর কক্ষে যান...
৬ মিনিট আগেবরগুনার তালতলীর জেলেরা নিষিদ্ধ বেহুন্দি জাল দিয়ে বঙ্গোপসাগর উপকূলে দেদার নিধন করছেন মাছের পোনাসহ ছোট চিংড়ি। এতে ধ্বংস হচ্ছে সমুদ্রের জীববৈচিত্র্য। এ ক্ষেত্রে দাদন ব্যবসায়ীরা মদদ দিচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তাঁরা প্রশাসনকে হাত করতে জেলেদের কাছ থেকে চাঁদা তোলেন। তবে সরকারি কর্মকর্তারা এ অভিযোগ...
১৬ মিনিট আগেডেমরায় ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ-ডেমরা (ডিএনডি) খালের ওপর নির্মিত হাজীনগর সেতু প্রয়োজনের তুলনায় কম প্রশস্ত হওয়ায় পারাপারে দুর্ভোগে পড়েছে এলাকার বহু মানুষ। স্টাফ কোয়ার্টার-হাজীনগর এলাকার এই গার্ডার সেতু প্রায় দেড় দশক আগে নির্মিত।
৮ ঘণ্টা আগেসাতক্ষীরার আশাশুনিতে নদী খননের কারণে ৫ কিলোমিটারের মধ্যে তিনটি স্থাপনা (সেতু ও কালভার্ট) ধসে পড়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন আশাশুনিসহ আশপাশের কয়েক লাখ মানুষ। ধসে পড়া সেতুর ওর নির্মিত সাঁকো দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছেন মানুষ। দীর্ঘদিন এই অবস্থা চললেও কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা।
৮ ঘণ্টা আগে