নিজস্ব প্রতিবেদক
ঢাকা: প্রথম আলোর সিনিয়র রিপোর্টার রোজিনা ইসলামকে নিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে সরকারের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ বাড়ছে। এরই মধ্যে জাতিসংঘসহ পশ্চিমা বেশ কিছু দেশসহ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থার মোট ১৬টি চিঠি পেয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানায়, এখন পর্যন্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে ১৬টি দেশ ও সংস্থা থেকে রোজিনা ইস্যুতে চিঠি এসেছে। চিঠিগুলোতে বেশ উদ্বেগ জানানো হয়েছে। ভিডিওতে দেখা রোজিনা ইসলামের সঙ্গে সরকারি কর্মকর্তার আচরণ ও পুরো ঘটনা তাদের উদ্বেগের কারণ হয়েছে। সেই সঙ্গে বাংলাদেশে স্বাধীন সাংবাদিকতা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে কয়েকটি চিঠিতে।
চিঠি আসার বিষয়টি নিশ্চিত করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা নাম না প্রকাশ করার শর্তে বলেন, চিঠিগুলো প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবনে দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠক শেষে রোজিনা ইসলাম নিয়ে প্রশ্ন করলে ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেন, এটি খুবই দুঃখজনক। শেখ হাসিনা সরকার সংবাদপত্রবান্ধব সরকার। আমরা কখনই কোন কিছুতে নিষেধ করিনি। আমাদের কিছু লুকানোর নেই। যে ঘটনাটি ঘটেছে তা খুবই দুঃখজনক। সেটি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ঠিক করা উচিত। এটা সরকারের জন্য দুঃখজনক ঘটনা।
মন্ত্রী বলেন, গুটি কয়েক লোকের কারণে এ বদনামটি হচ্ছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে আমাদের এটি সামাল দিতে হয়। অনেকে আমাদের এ নিয়ে প্রশ্ন করে। আমরা এ ধরনের ঘটনা চাই না। যেহেতু এটি বিচারাধীন রয়েছে, এ নিয়ে বিস্তারিত কিছু বলতে পারবো না। আর এটি আমার বিষয়ও না। এর পুনরাবৃত্তি যাতে না হয়, সেটি আশা করবো।
সাংবাদিকদের ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেন, রোজিনার ন্যায় বিচার হবে। সংবাদের কারণেই আমরা বালিশের কাহিনী শুনেছি। সংবাদপত্রের কারণেই আমরা লাখ টাকার সুপারি গাছের কথা শুনেছি। আপনাদের কারণে সাহেদদের কথা জেনেছি। আর এগুলোতে সরকার ব্যবস্থা নিয়েছে। আপনারা সরকারকে যথেষ্ট সাহায্য করেন।
খুবই গুরুত্বপূর্ণ নথি পররাষ্ট্রের বদলে স্বাস্থ্যে থাকার সুযোগ আছে কি না? এ প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, সুযোগ রয়েছে। সব মন্ত্রণালয়েই এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ গোপনীয় নথি থাকতে পারে।
রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে দেখা করা নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেন, বাংলাদেশ ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে সম্পর্ক আরো কিভাবে বাড়ানো যায় তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। দেশটির কাছ থেকে অনেক কিছু শেখার রয়েছে। কোরিয়া প্রকল্প বাস্তবায়নে দক্ষ। আর এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের প্রকল্প বাস্তবায়নে অনেক দেরি হয়। কোরিয়াতে আইন রয়েছে, প্রকল্প সময়মতো বাস্তবায়ন হলে প্রকল্প পরিচালককে পুরস্কৃত করা হয়। আর যদি সময়মতো বাস্তবায়ন না হয়, আর তার স্বপক্ষে যুক্তিসংগত কারণ না থাকলে জেলে দেওয়া সহ অন্যান্য শাস্তির বিধান রয়েছে দেশটিতে। এ আইন করার পর থেকে কোরিয়াতে প্রকল্প দেরি হয় না।
রাষ্ট্রদূতের কাছে আইটি খাতে বাংলাদেশে কোরিয়ার বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। শ্রমিক ইস্যুতে তিনি বলেন, আমাদের অনেক বাংলাদেশি কোরিয়াতে কাজের জন্য যায়। বর্তমানে তাঁরা ফ্লাইট বন্ধ রেখেছে। এ মুহূর্তে ১৪৩ জন কোরিয়া যাওয়া অপেক্ষায় রয়েছে। আর বাংলাদেশ থেকে সর্বমোট ১ হাজার ১১৪ জন কোরিয়া যাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে। আমরা কোভিড এর সময়ে পাঠাচ্ছিলাম। কিন্তু পরপর দুই/তিনটি ফ্লাইটে আমাদের বাংলাদেশিরা করোনার নেগেটিভ সার্টিফিকেট নিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু সেখানে গিয়ে পজিটিভ পাওয়া গেল। একটা ফ্লাইটে ৩৩ জনকে করোনা পজিটিভ পাওয়া গেল। সে সময়ে ভয় পেয়ে কোরিয়া ফ্লাইট বন্ধ করে দিয়েছে। ফলে তাদের অনুরোধ করা হয়েছে বিশেষ ফ্লাইটের ব্যবস্থাসহ বাংলাদেশ থেকে আরো মানুষ নিতে। বিষয়টি কোরিয়া বিবেচনা করবে বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রদূত।
ঢাকা: প্রথম আলোর সিনিয়র রিপোর্টার রোজিনা ইসলামকে নিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে সরকারের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ বাড়ছে। এরই মধ্যে জাতিসংঘসহ পশ্চিমা বেশ কিছু দেশসহ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থার মোট ১৬টি চিঠি পেয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানায়, এখন পর্যন্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে ১৬টি দেশ ও সংস্থা থেকে রোজিনা ইস্যুতে চিঠি এসেছে। চিঠিগুলোতে বেশ উদ্বেগ জানানো হয়েছে। ভিডিওতে দেখা রোজিনা ইসলামের সঙ্গে সরকারি কর্মকর্তার আচরণ ও পুরো ঘটনা তাদের উদ্বেগের কারণ হয়েছে। সেই সঙ্গে বাংলাদেশে স্বাধীন সাংবাদিকতা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে কয়েকটি চিঠিতে।
চিঠি আসার বিষয়টি নিশ্চিত করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা নাম না প্রকাশ করার শর্তে বলেন, চিঠিগুলো প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবনে দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠক শেষে রোজিনা ইসলাম নিয়ে প্রশ্ন করলে ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেন, এটি খুবই দুঃখজনক। শেখ হাসিনা সরকার সংবাদপত্রবান্ধব সরকার। আমরা কখনই কোন কিছুতে নিষেধ করিনি। আমাদের কিছু লুকানোর নেই। যে ঘটনাটি ঘটেছে তা খুবই দুঃখজনক। সেটি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ঠিক করা উচিত। এটা সরকারের জন্য দুঃখজনক ঘটনা।
মন্ত্রী বলেন, গুটি কয়েক লোকের কারণে এ বদনামটি হচ্ছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে আমাদের এটি সামাল দিতে হয়। অনেকে আমাদের এ নিয়ে প্রশ্ন করে। আমরা এ ধরনের ঘটনা চাই না। যেহেতু এটি বিচারাধীন রয়েছে, এ নিয়ে বিস্তারিত কিছু বলতে পারবো না। আর এটি আমার বিষয়ও না। এর পুনরাবৃত্তি যাতে না হয়, সেটি আশা করবো।
সাংবাদিকদের ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেন, রোজিনার ন্যায় বিচার হবে। সংবাদের কারণেই আমরা বালিশের কাহিনী শুনেছি। সংবাদপত্রের কারণেই আমরা লাখ টাকার সুপারি গাছের কথা শুনেছি। আপনাদের কারণে সাহেদদের কথা জেনেছি। আর এগুলোতে সরকার ব্যবস্থা নিয়েছে। আপনারা সরকারকে যথেষ্ট সাহায্য করেন।
খুবই গুরুত্বপূর্ণ নথি পররাষ্ট্রের বদলে স্বাস্থ্যে থাকার সুযোগ আছে কি না? এ প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, সুযোগ রয়েছে। সব মন্ত্রণালয়েই এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ গোপনীয় নথি থাকতে পারে।
রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে দেখা করা নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেন, বাংলাদেশ ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে সম্পর্ক আরো কিভাবে বাড়ানো যায় তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। দেশটির কাছ থেকে অনেক কিছু শেখার রয়েছে। কোরিয়া প্রকল্প বাস্তবায়নে দক্ষ। আর এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের প্রকল্প বাস্তবায়নে অনেক দেরি হয়। কোরিয়াতে আইন রয়েছে, প্রকল্প সময়মতো বাস্তবায়ন হলে প্রকল্প পরিচালককে পুরস্কৃত করা হয়। আর যদি সময়মতো বাস্তবায়ন না হয়, আর তার স্বপক্ষে যুক্তিসংগত কারণ না থাকলে জেলে দেওয়া সহ অন্যান্য শাস্তির বিধান রয়েছে দেশটিতে। এ আইন করার পর থেকে কোরিয়াতে প্রকল্প দেরি হয় না।
রাষ্ট্রদূতের কাছে আইটি খাতে বাংলাদেশে কোরিয়ার বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। শ্রমিক ইস্যুতে তিনি বলেন, আমাদের অনেক বাংলাদেশি কোরিয়াতে কাজের জন্য যায়। বর্তমানে তাঁরা ফ্লাইট বন্ধ রেখেছে। এ মুহূর্তে ১৪৩ জন কোরিয়া যাওয়া অপেক্ষায় রয়েছে। আর বাংলাদেশ থেকে সর্বমোট ১ হাজার ১১৪ জন কোরিয়া যাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে। আমরা কোভিড এর সময়ে পাঠাচ্ছিলাম। কিন্তু পরপর দুই/তিনটি ফ্লাইটে আমাদের বাংলাদেশিরা করোনার নেগেটিভ সার্টিফিকেট নিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু সেখানে গিয়ে পজিটিভ পাওয়া গেল। একটা ফ্লাইটে ৩৩ জনকে করোনা পজিটিভ পাওয়া গেল। সে সময়ে ভয় পেয়ে কোরিয়া ফ্লাইট বন্ধ করে দিয়েছে। ফলে তাদের অনুরোধ করা হয়েছে বিশেষ ফ্লাইটের ব্যবস্থাসহ বাংলাদেশ থেকে আরো মানুষ নিতে। বিষয়টি কোরিয়া বিবেচনা করবে বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রদূত।
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা। ঠান্ডা, শ্বাসকষ্ট, নিউমোনিয়া, ডায়রিয়াসহ শীতজনিত নানান রোগে আক্রান্ত হচ্ছে সব বয়সী মানুষ। তবে আক্রান্ত রোগীদের তালিকায় শিশুদের সংখ্যাই বেশি।
১ ঘণ্টা আগে‘বাজারে যে ব্যবস্থা আছে, তাতে ইলিশসহ অন্যান্য মাছের দাম কমানো কঠিন। তবে আমরা প্রমাণ রাখতে চাই- মাছ ধরার উৎস থেকে সরাসরি বিক্রয়ের জায়গায় আনতে পারি, তাহলে এটার দাম কমানো সম্ভব। আমরা বাজারের মধ্যস্বত্বভোগী কমানোর প্রক্রিয়া শুরু করতে চাই...
১ ঘণ্টা আগেজাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) পরীক্ষা দিতে আসা ছাত্রলীগের এক কর্মীকে পুলিশে দিয়েছেন ছাত্রদলের নেতা–কর্মীরা। আজ রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগে পরীক্ষা দিতে এলে তাঁকে আটক করা হয়। পরে আশুলিয়া থানা–পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।
১ ঘণ্টা আগেনারায়ণগঞ্জ থেকে গাজীপুরগামী পাওয়ার প্ল্যান্টের জ্বালানি তেল বহনকারী জাহাজ থেকে ৩৬০ মেট্রিক টন ফার্নেস ওয়েল ডাকাতির ঘটনায় জড়িত ডাকাত দলের ৮ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ সময় তেল লুটে ব্যবহৃত এমভি ভূঁইয়া নামে একটি বাল্কহেড, তেল আনলোড করার শ্যালো মেশিনের দুটি পাইপ ও ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত দেশীয় অস্ত্র
২ ঘণ্টা আগে