গোলাম ওয়াদুদ, ঢাকা

‘শুধুমাত্র দু-বেলা ভাতের বিনিময়ে পড়াতে চাই’—এমন লেখা সংবলিত একটি পোস্টার দুই দিন হলো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ঘুরছিল। বলা যায় পোস্টারটি ফেসবুকে একপ্রকার ভাইরাল হয়ে গেছে।
টিউশনির জন্য এমন একটি পোস্টার লাগিয়েছেন বগুড়া সরকারি আজিজুল হক কলেজের শিক্ষার্থী মো. আলমগীর কবির। তিনি রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শেষ করেছেন। এখন লড়াই করে যাচ্ছেন চাকরির জন্য। জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে কৃষক পরিবারে তাঁর জন্ম। পাঁচ ভাইবোনের মধ্যে সবার ছোট তিনি।
আলমগীর কবির তাঁর পোস্টারে লিখেছেন, ‘শুধুমাত্র দু-বেলা ভাতের বিনিময়ে পড়াতে চাই।’ সকাল ও দুপুরের খাবারের বিনিময়ে তিনি পড়াবেন। এ ছাড়া তিনি লিখেছেন, প্রথম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত গণিত ব্যতীত সবকিছুই পড়াবেন। সেই পোস্টারে নিজের পেশা হিসেবে লিখেছেন ‘বেকার’। এতে তাঁর নাম ও মোবাইল নম্বর দেওয়া আছে।
আলমগীর কবিরের সঙ্গে কথা হয় আজকের পত্রিকার। নিজের পোস্টারটি সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘প্রয়োজনের তাগিদে এই পোস্টার লাগিয়েছি। আমার বন্ধুদের অনেক দিন হলো টিউশনির কথা বলছি, কিন্তু তারা দিতে পারছে না। এর মধ্যে আমি একটা টিউশনি পাই। সেখানে দেড় হাজার টাকা বেতন দেয়। কিন্তু এই টাকা দিয়ে হয় না। আমার পরিবারের অবস্থাও ভালো না।’
কবির বলেন, ‘আমি চাচ্ছিলাম নিজে কিছু একটা করি। আমার এই টাকা দিয়ে হচ্ছে না। আমাকে মাঝেমধ্যেই ঢাকায় যেতে হয়, পরীক্ষা দিতে। আমার কিছু জমানো টাকা ছিল, যা দিয়ে বেশ কয়েকবার ঢাকায় গিয়ে পরীক্ষা দিয়েছি। এখন ধার-দেনা করে চলছি। অনেক ঋণের মধ্যে আছি আমি। গত মাসে একাধিকবার (বিভিন্ন চাকরি পরীক্ষার) ভাইভা দিতে ঢাকায় যেতে হয়েছে। অনেক টাকা খরচ হয়েছে।’
দুই বেলা ভাতের বিনিময়ে যিনি পড়াতে চান, সেই আলমগীর থাকেন কোথায়? মেসে? না, একটি বাসায়। আগে মেসে থাকতেন। কিন্তু চলতে কষ্ট হচ্ছিল। মেসে থাকা-খাওয়ার জন্য তো অনেক টাকা দরকার। তিনি তখন চাকরির কোচিং করতেন। তাঁর সঙ্গে একটি মেয়ে পড়তেন। তাঁদের বাসা তাঁর মেসের পাশেই ছিল। ওই মেয়ের পরিবার সেখানে বেশি থাকে না। এখানে সব ভাড়া দিয়ে তাঁরা ঢাকায় থাকেন। কবির সেই মেয়েকে তাঁদের বাসায় থাকার ব্যবস্থা করতে অনুরোধ করেন। মেয়েটি তাঁর বাবার সঙ্গে কথা বলতে বলেন কবিরকে। তাঁর বাবার সঙ্গে কথা বললে তিনি কবিরকে থাকার জায়গা দেন। সেখানেই এখন থাকেন তিনি। তাই মাথার ওপর একটা ছাদ থাকলেও তিন বেলা খাবারের সংস্থান নেই তাঁর। এ জন্যই তাঁর এই বিজ্ঞাপন।
একটা চাকরির জন্য বন্ধুদের কাছ থেকে ধার করে টাকা জোগাড় করে আলমগীর কবির ছুটে বেড়ান এদিক-ওদিক। সরকারি চাকরির বয়স চলে গেছে করোনার শুরুর বছরই। ২০২০ সালের আগ পর্যন্ত সরকারি চাকরির জন্য অনেক চেষ্টা করেছেন, যেমনটা করেন বাংলাদেশের আর দশটা শিক্ষিত তরুণ। কিন্তু সেই তরুণদের মধ্যে সফল গুটিকয়েকের একজন হতে পারেননি আলমগীর কবির, যেমন অধিকাংশই পারেন না। সোনার হরিণ সরকারি চাকরি তো আর সবার ভাগ্যে জোটে না। কেন জোটে না। শুধুই কি যোগ্যতার অভাব? আলমগীর কিছুটা বলেন, অনেকটাই বলেন না। শুধু ইঙ্গিতে বোঝান নিয়োগে আর্থিক লেনদেন, পরিচয়, লবিং ইত্যাদি নানা বিষয়ের কথা। কিন্তু বলেন না। শুধু বলেন, সরকারি চাকরি হলো না। বেসরকারি চাকরিই ভরসা এখন। কিন্তু সেখানেও।
আলমগীর ডাক পান বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে। তারা ভাইভা নিতে ডাকে। আর ধারদেনা করে রাজধানীর উদ্দেশে ছোটেন আলমগীর। কিন্তু বরাবরের মতোই তাঁকে ফিরতে হয় শূন্য হাতেই; কোনো নিয়োগপত্র ছাড়াই। এই দুঃসময় পাড়ি দিতে অন্য সব মধ্যবিত্ত, নিম্নমধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত পরিবারের তরুণদের মতো তাঁরও ভরসা টিউশনি। ঘরে ঘরে গিয়ে স্কুল বা কলেজের শিক্ষার্থী পড়িয়ে এ দেশের কত তরুণ যে নিজেকে বিরুদ্ধ স্রোতে টিকিয়ে রাখেন, তা বলবার নয়। আলমগীরও সেভাবেই চেষ্টা করছেন। কিন্তু পেরে উঠছেন না। একটি টিউশনি থেকে পাওয়া টাকায় নিজে চলা কঠিন হয়ে পড়েছে। না খেয়েও থাকতে হচ্ছে কখনো কখনো। আর এমন বাস্তবতা থেকেই এ ধরনের পোস্টারের চিন্তা মাথায় আসে।
আলমগীর কবির বলেন, ‘আমি যেখানে টিউশনি করাই, সেখানে রাতে নাশতা দিত। আমি তাদের বলেছিলাম, রাতে নাশতা না দিয়ে একটু ভাত দিতে; তাহলে আমার রাতে খাবারের চিন্তাটা থাকবে না। তো রাতের খাবারের ব্যবস্থা তো হলোই। এখন চিন্তা ছিল সকাল ও দুপুরের খাবারের। যেহেতু টিউশনি পাচ্ছি না। আর দেড় হাজার টাকায় নিজের হাত খরচ ও সকাল-দুপুরের খাবার জোগাড় সম্ভব না। আমি অনেক দিন না খেয়েও থেকেছি। রাতে গিয়ে ছাত্রের বাসায় খেয়েছি।’
কথাগুলো হয়তো খুব সহজে পড়ে যাওয়া গেল, কিন্তু এই কথা আলমগীরের পক্ষে বলাটা সহজ ছিল না। আর এর যে উৎস সেই অভাব ও ক্ষুধার অভিজ্ঞতা তো একেবারেই সহজ নয়। এই কঠিন বাস্তবতার কথা বলতে গলা ধরে আসছিল আলমগীর কবিরের। তিনি বলেন, ‘উপায় না পেয়ে আমি দুই বেলা খাবারের বিনিময়ে টিউশনি করার সিদ্ধান্ত নিই। এর পর এই পোস্টার লাগাই। আমি পোস্টার বেশি লাগাইনি। যেখানে থাকি, সেই গলিতে ৮-১০টা পোস্টার লাগিয়েছি, যাতে বাসার পাশে এক-দুইটা বাচ্চাকে পড়াতে পারি। আমার দুবেলা খাবারও হবে, আর যে টাকা পাব তাতে কোনোমতে হাতখরচ হবে।’
বেকারত্ব নিয়ে খুব একটা বাজে পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন আলমগীর কবির। নিজের হতাশার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমি বেশ কয়েক দিন হলো খুব ডিপ্রেসড। অনেক দিন হলো নিজের চলার জন্য টিউশনি খুঁজছি; পাচ্ছি না। বন্ধুরা নানা কথা বলে। কেউ তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে, গার্মেন্টসে কাজ করতে বলে। এসব কিছু থেকেই আমি এই পোস্টারটি করি।’
আগেই বলা হয়েছে আলমগীর কবির সরকারি চাকরির জন্য পড়ালেখা করেছেন। ২০২০ সালে তাঁর সরকারি চাকরির বয়স শেষ হয়ে যায়। এরপরই তিনি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন। সঙ্গে যোগ হলো করোনা এবং সেই সূত্রে বাবার অসুস্থতা। বললেন, ‘করোনা এসে আমার জীবন আরও কষ্টের করে তুলেছে। বাবা অসুস্থ হয়ে পড়েছিল করোনার প্রথম দিকে। তাঁর তো সামর্থ্য নেই। যা ছিল, তা দিয়ে নিজের চিকিৎসা করিয়েছেন। এখন কোনোমতে বেঁচে আছেন। পাঁচ ভাইবোনের মধ্যে আমিই ছোট।’
এমন পরিস্থিতিতে বন্ধুবান্ধবের কথায় হোক বা নিজের ইচ্ছাতেই হোক অনেকটা নিরুপায় হয়েই গার্মেন্টস কারখানায় যোগ দেন আলমগীর কবির। অবশ্য সেটা সরকারি চাকরির বয়স শেষ হওয়ার পরের ঘটনা। কিন্তু সে চাকরির অভিজ্ঞতা তাঁর ভালো হয়নি। তিনি বলেন, ‘কিছুদিন একটি গার্মেন্টসে কাজ করেছি। কিন্তু খুব ছোট পোস্টে। আমি স্নাতকোত্তর পাস করা একজন ছেলে। কিন্তু আমার সঙ্গে যে ভাষায় তারা কথা বলত, তা মানতে পারিনি। পরে সেটা ছেড়ে দিছি।’
এখন কী করছেন তাহলে? শুধু টিউশনি? না আলমগীর কবির এখন টিউশনি করছেন ঠিক, সঙ্গে বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকরির আবেদন করছেন। কবির বলেন, ‘বেসরকারিতে আবেদন করলে তারা ভাইভাতে ডাকে। টাকা খরচ করে ঢাকায় গিয়ে ভাইভা দিই। তারা বলে, অভিজ্ঞতা নেই এটা-সেটা। চাকরি না দিলে অভিজ্ঞতা কোথায় পাব। আমি গ্রামের ছেলে; তারপর আবার জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়া। সব মিলিয়ে নানা বিড়ম্বনা।’
আলমগীর কবির বলেন, ‘আমার পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। আর পারছি না। বেকারত্ব যে কত কষ্টের, তা বলে বোঝাতে পারব না। এই বয়সে বাবার কাছ থেকে টাকা চাইতেও লজ্জা করে। আর পরিবারের যে অবস্থা, আমাকে কিছু দিতেও পারবে না তারা।’ নিজের উদাহরণ টেনেই তিনি বলেন, ‘একজন কবির সারা দেশের বেকারদের প্রতিচ্ছবি। আমাকে তো বাঁচতে হবে।’
পোস্টারের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে অনেকেই তাঁকে ফোন দিয়েছেন, সহায়তা করতে চেয়েছেন। এই ছবির নিচে করা মন্তব্যে একেকজন একেক কথা বলেছেন। কেউ কেউ তাঁকে ফোন দিয়ে সহায়তা করতে চেয়েছেন। কিন্তু আলমগীর কবির কারও করুণা চান না। বললেন, ‘আমাকে অনেকে ফোন দিয়ে বলেন, “বিকাশ নম্বর দেন; টাকা পাঠাই কিছু। ” কিন্তু আমি তো দান পাওয়ার জন্য এই পোস্টার দিইনি। সিমপ্যাথি চাই না। আমাকে কাজ দিন। আমাকে আপাতত একটি টিউশনি দিন। আমাকে ভালোভাবে বাঁচার ব্যবস্থা করে দেন। দান চাই না।’

‘শুধুমাত্র দু-বেলা ভাতের বিনিময়ে পড়াতে চাই’—এমন লেখা সংবলিত একটি পোস্টার দুই দিন হলো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ঘুরছিল। বলা যায় পোস্টারটি ফেসবুকে একপ্রকার ভাইরাল হয়ে গেছে।
টিউশনির জন্য এমন একটি পোস্টার লাগিয়েছেন বগুড়া সরকারি আজিজুল হক কলেজের শিক্ষার্থী মো. আলমগীর কবির। তিনি রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শেষ করেছেন। এখন লড়াই করে যাচ্ছেন চাকরির জন্য। জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে কৃষক পরিবারে তাঁর জন্ম। পাঁচ ভাইবোনের মধ্যে সবার ছোট তিনি।
আলমগীর কবির তাঁর পোস্টারে লিখেছেন, ‘শুধুমাত্র দু-বেলা ভাতের বিনিময়ে পড়াতে চাই।’ সকাল ও দুপুরের খাবারের বিনিময়ে তিনি পড়াবেন। এ ছাড়া তিনি লিখেছেন, প্রথম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত গণিত ব্যতীত সবকিছুই পড়াবেন। সেই পোস্টারে নিজের পেশা হিসেবে লিখেছেন ‘বেকার’। এতে তাঁর নাম ও মোবাইল নম্বর দেওয়া আছে।
আলমগীর কবিরের সঙ্গে কথা হয় আজকের পত্রিকার। নিজের পোস্টারটি সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘প্রয়োজনের তাগিদে এই পোস্টার লাগিয়েছি। আমার বন্ধুদের অনেক দিন হলো টিউশনির কথা বলছি, কিন্তু তারা দিতে পারছে না। এর মধ্যে আমি একটা টিউশনি পাই। সেখানে দেড় হাজার টাকা বেতন দেয়। কিন্তু এই টাকা দিয়ে হয় না। আমার পরিবারের অবস্থাও ভালো না।’
কবির বলেন, ‘আমি চাচ্ছিলাম নিজে কিছু একটা করি। আমার এই টাকা দিয়ে হচ্ছে না। আমাকে মাঝেমধ্যেই ঢাকায় যেতে হয়, পরীক্ষা দিতে। আমার কিছু জমানো টাকা ছিল, যা দিয়ে বেশ কয়েকবার ঢাকায় গিয়ে পরীক্ষা দিয়েছি। এখন ধার-দেনা করে চলছি। অনেক ঋণের মধ্যে আছি আমি। গত মাসে একাধিকবার (বিভিন্ন চাকরি পরীক্ষার) ভাইভা দিতে ঢাকায় যেতে হয়েছে। অনেক টাকা খরচ হয়েছে।’
দুই বেলা ভাতের বিনিময়ে যিনি পড়াতে চান, সেই আলমগীর থাকেন কোথায়? মেসে? না, একটি বাসায়। আগে মেসে থাকতেন। কিন্তু চলতে কষ্ট হচ্ছিল। মেসে থাকা-খাওয়ার জন্য তো অনেক টাকা দরকার। তিনি তখন চাকরির কোচিং করতেন। তাঁর সঙ্গে একটি মেয়ে পড়তেন। তাঁদের বাসা তাঁর মেসের পাশেই ছিল। ওই মেয়ের পরিবার সেখানে বেশি থাকে না। এখানে সব ভাড়া দিয়ে তাঁরা ঢাকায় থাকেন। কবির সেই মেয়েকে তাঁদের বাসায় থাকার ব্যবস্থা করতে অনুরোধ করেন। মেয়েটি তাঁর বাবার সঙ্গে কথা বলতে বলেন কবিরকে। তাঁর বাবার সঙ্গে কথা বললে তিনি কবিরকে থাকার জায়গা দেন। সেখানেই এখন থাকেন তিনি। তাই মাথার ওপর একটা ছাদ থাকলেও তিন বেলা খাবারের সংস্থান নেই তাঁর। এ জন্যই তাঁর এই বিজ্ঞাপন।
একটা চাকরির জন্য বন্ধুদের কাছ থেকে ধার করে টাকা জোগাড় করে আলমগীর কবির ছুটে বেড়ান এদিক-ওদিক। সরকারি চাকরির বয়স চলে গেছে করোনার শুরুর বছরই। ২০২০ সালের আগ পর্যন্ত সরকারি চাকরির জন্য অনেক চেষ্টা করেছেন, যেমনটা করেন বাংলাদেশের আর দশটা শিক্ষিত তরুণ। কিন্তু সেই তরুণদের মধ্যে সফল গুটিকয়েকের একজন হতে পারেননি আলমগীর কবির, যেমন অধিকাংশই পারেন না। সোনার হরিণ সরকারি চাকরি তো আর সবার ভাগ্যে জোটে না। কেন জোটে না। শুধুই কি যোগ্যতার অভাব? আলমগীর কিছুটা বলেন, অনেকটাই বলেন না। শুধু ইঙ্গিতে বোঝান নিয়োগে আর্থিক লেনদেন, পরিচয়, লবিং ইত্যাদি নানা বিষয়ের কথা। কিন্তু বলেন না। শুধু বলেন, সরকারি চাকরি হলো না। বেসরকারি চাকরিই ভরসা এখন। কিন্তু সেখানেও।
আলমগীর ডাক পান বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে। তারা ভাইভা নিতে ডাকে। আর ধারদেনা করে রাজধানীর উদ্দেশে ছোটেন আলমগীর। কিন্তু বরাবরের মতোই তাঁকে ফিরতে হয় শূন্য হাতেই; কোনো নিয়োগপত্র ছাড়াই। এই দুঃসময় পাড়ি দিতে অন্য সব মধ্যবিত্ত, নিম্নমধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত পরিবারের তরুণদের মতো তাঁরও ভরসা টিউশনি। ঘরে ঘরে গিয়ে স্কুল বা কলেজের শিক্ষার্থী পড়িয়ে এ দেশের কত তরুণ যে নিজেকে বিরুদ্ধ স্রোতে টিকিয়ে রাখেন, তা বলবার নয়। আলমগীরও সেভাবেই চেষ্টা করছেন। কিন্তু পেরে উঠছেন না। একটি টিউশনি থেকে পাওয়া টাকায় নিজে চলা কঠিন হয়ে পড়েছে। না খেয়েও থাকতে হচ্ছে কখনো কখনো। আর এমন বাস্তবতা থেকেই এ ধরনের পোস্টারের চিন্তা মাথায় আসে।
আলমগীর কবির বলেন, ‘আমি যেখানে টিউশনি করাই, সেখানে রাতে নাশতা দিত। আমি তাদের বলেছিলাম, রাতে নাশতা না দিয়ে একটু ভাত দিতে; তাহলে আমার রাতে খাবারের চিন্তাটা থাকবে না। তো রাতের খাবারের ব্যবস্থা তো হলোই। এখন চিন্তা ছিল সকাল ও দুপুরের খাবারের। যেহেতু টিউশনি পাচ্ছি না। আর দেড় হাজার টাকায় নিজের হাত খরচ ও সকাল-দুপুরের খাবার জোগাড় সম্ভব না। আমি অনেক দিন না খেয়েও থেকেছি। রাতে গিয়ে ছাত্রের বাসায় খেয়েছি।’
কথাগুলো হয়তো খুব সহজে পড়ে যাওয়া গেল, কিন্তু এই কথা আলমগীরের পক্ষে বলাটা সহজ ছিল না। আর এর যে উৎস সেই অভাব ও ক্ষুধার অভিজ্ঞতা তো একেবারেই সহজ নয়। এই কঠিন বাস্তবতার কথা বলতে গলা ধরে আসছিল আলমগীর কবিরের। তিনি বলেন, ‘উপায় না পেয়ে আমি দুই বেলা খাবারের বিনিময়ে টিউশনি করার সিদ্ধান্ত নিই। এর পর এই পোস্টার লাগাই। আমি পোস্টার বেশি লাগাইনি। যেখানে থাকি, সেই গলিতে ৮-১০টা পোস্টার লাগিয়েছি, যাতে বাসার পাশে এক-দুইটা বাচ্চাকে পড়াতে পারি। আমার দুবেলা খাবারও হবে, আর যে টাকা পাব তাতে কোনোমতে হাতখরচ হবে।’
বেকারত্ব নিয়ে খুব একটা বাজে পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন আলমগীর কবির। নিজের হতাশার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমি বেশ কয়েক দিন হলো খুব ডিপ্রেসড। অনেক দিন হলো নিজের চলার জন্য টিউশনি খুঁজছি; পাচ্ছি না। বন্ধুরা নানা কথা বলে। কেউ তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে, গার্মেন্টসে কাজ করতে বলে। এসব কিছু থেকেই আমি এই পোস্টারটি করি।’
আগেই বলা হয়েছে আলমগীর কবির সরকারি চাকরির জন্য পড়ালেখা করেছেন। ২০২০ সালে তাঁর সরকারি চাকরির বয়স শেষ হয়ে যায়। এরপরই তিনি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন। সঙ্গে যোগ হলো করোনা এবং সেই সূত্রে বাবার অসুস্থতা। বললেন, ‘করোনা এসে আমার জীবন আরও কষ্টের করে তুলেছে। বাবা অসুস্থ হয়ে পড়েছিল করোনার প্রথম দিকে। তাঁর তো সামর্থ্য নেই। যা ছিল, তা দিয়ে নিজের চিকিৎসা করিয়েছেন। এখন কোনোমতে বেঁচে আছেন। পাঁচ ভাইবোনের মধ্যে আমিই ছোট।’
এমন পরিস্থিতিতে বন্ধুবান্ধবের কথায় হোক বা নিজের ইচ্ছাতেই হোক অনেকটা নিরুপায় হয়েই গার্মেন্টস কারখানায় যোগ দেন আলমগীর কবির। অবশ্য সেটা সরকারি চাকরির বয়স শেষ হওয়ার পরের ঘটনা। কিন্তু সে চাকরির অভিজ্ঞতা তাঁর ভালো হয়নি। তিনি বলেন, ‘কিছুদিন একটি গার্মেন্টসে কাজ করেছি। কিন্তু খুব ছোট পোস্টে। আমি স্নাতকোত্তর পাস করা একজন ছেলে। কিন্তু আমার সঙ্গে যে ভাষায় তারা কথা বলত, তা মানতে পারিনি। পরে সেটা ছেড়ে দিছি।’
এখন কী করছেন তাহলে? শুধু টিউশনি? না আলমগীর কবির এখন টিউশনি করছেন ঠিক, সঙ্গে বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকরির আবেদন করছেন। কবির বলেন, ‘বেসরকারিতে আবেদন করলে তারা ভাইভাতে ডাকে। টাকা খরচ করে ঢাকায় গিয়ে ভাইভা দিই। তারা বলে, অভিজ্ঞতা নেই এটা-সেটা। চাকরি না দিলে অভিজ্ঞতা কোথায় পাব। আমি গ্রামের ছেলে; তারপর আবার জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়া। সব মিলিয়ে নানা বিড়ম্বনা।’
আলমগীর কবির বলেন, ‘আমার পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। আর পারছি না। বেকারত্ব যে কত কষ্টের, তা বলে বোঝাতে পারব না। এই বয়সে বাবার কাছ থেকে টাকা চাইতেও লজ্জা করে। আর পরিবারের যে অবস্থা, আমাকে কিছু দিতেও পারবে না তারা।’ নিজের উদাহরণ টেনেই তিনি বলেন, ‘একজন কবির সারা দেশের বেকারদের প্রতিচ্ছবি। আমাকে তো বাঁচতে হবে।’
পোস্টারের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে অনেকেই তাঁকে ফোন দিয়েছেন, সহায়তা করতে চেয়েছেন। এই ছবির নিচে করা মন্তব্যে একেকজন একেক কথা বলেছেন। কেউ কেউ তাঁকে ফোন দিয়ে সহায়তা করতে চেয়েছেন। কিন্তু আলমগীর কবির কারও করুণা চান না। বললেন, ‘আমাকে অনেকে ফোন দিয়ে বলেন, “বিকাশ নম্বর দেন; টাকা পাঠাই কিছু। ” কিন্তু আমি তো দান পাওয়ার জন্য এই পোস্টার দিইনি। সিমপ্যাথি চাই না। আমাকে কাজ দিন। আমাকে আপাতত একটি টিউশনি দিন। আমাকে ভালোভাবে বাঁচার ব্যবস্থা করে দেন। দান চাই না।’

ইনকিলাব মঞ্চের প্রতিষ্ঠাতা ও মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে হত্যার প্রতিবাদে এবং খুনিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে তাঁর নিজ জেলা ঝালকাঠিতে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে ছাত্র-জনতা। সাত ঘণ্টা পর পুলিশের অনুরোধে আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে অবরোধ প্রত্যাহার করা হলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
২ ঘণ্টা আগে
সাবেক নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও সেতাবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আসলাম হোসেনের বাড়িতে আগুন দিয়েছেন একদল লোক। আজ শুক্রবার রাতে দুজনের বাড়িতে আগুন লাগার সংবাদ পেয়ে বোচাগঞ্জ থানা-পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা সেখানে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
৩ ঘণ্টা আগে
ভালুকায় দিপু চন্দ্র দাস (২৮) নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা ও মরদেহে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আজ শুক্রবার নিহত দিপুর ছোট ভাই অপু চন্দ্র দাস বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন।
৩ ঘণ্টা আগে
কতিপয় উচ্ছৃঙ্খল ব্যক্তি দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকা অফিসে যে হামলা চালিয়েছে, তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে রিপোর্টার্স অ্যাগেইনস্ট করাপশন (র্যাক)।
৪ ঘণ্টা আগেঝালকাঠি প্রতিনিধি

ইনকিলাব মঞ্চের প্রতিষ্ঠাতা ও মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে হত্যার প্রতিবাদে এবং খুনিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে তাঁর নিজ জেলা ঝালকাঠিতে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে ছাত্র-জনতা। সাত ঘণ্টা পর পুলিশের অনুরোধে আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে অবরোধ প্রত্যাহার করা হলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
আজ জুমার নামাজ শেষে বেলা আড়াইটার দিকে বরিশাল–খুলনা আঞ্চলিক মহাসড়কের ঝালকাঠি কলেজ মোড় এলাকায় অবরোধ শুরু করেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ। অবরোধ চলাকালে মহাসড়কের উভয় পাশে বিপুলসংখ্যক যানবাহন আটকে পড়ে। ফলে যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। তবে রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস, জরুরি ওষুধ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় কাঁচামাল বহনকারী যান চলাচলের সুযোগ দেওয়া হয়।
অবরোধ কর্মসূচিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, এনসিপি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, গণঅধিকার পরিষদের নেতা-কর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন। এ সময় মহাসড়কে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করা হয়।
বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য দেন এনসিপির ঝালকাঠি জেলা আহ্বায়ক মাইনুল ইসলাম মান্না, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঝালকাঠি জেলা আহ্বায়ক আল তৌফিক লিখন, যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াসিন ফেরদৌস ইফতি, সদস্যসচিব রাইয়ান বিন কামাল, গণঅধিকার পরিষদ ঝালকাঠি জেলা যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঝালকাঠি-২ আসনের মনোনীত প্রার্থী মাহমুদুল ইসলাম সাগরসহ অন্য নেতারা।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঝালকাঠি জেলা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াসিন ফেরদৌস ইফতি বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের একজন গুরুত্বপূর্ণ সহযোদ্ধাকে দুর্বৃত্তরা গুলি করে হত্যা করেছে। তিনি সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন। হামলাকারীদের ইন্টারপোলের মাধ্যমে দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। তা না হলে আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
ঝালকাঠি সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) বেলায়েত হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, বেলা আড়াইটায় অবরোধ শুরু হওয়ায় বরিশাল–খুলনা আঞ্চলিক মহাসড়কে ব্যাপক যানজট সৃষ্টি হয়। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনা করে পরিস্থিতি শান্ত করা হলে তাঁরা রাত সাড়ে ৯টার দিকে অবরোধ প্রত্যাহারে সম্মত হন। পরে সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

ইনকিলাব মঞ্চের প্রতিষ্ঠাতা ও মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে হত্যার প্রতিবাদে এবং খুনিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে তাঁর নিজ জেলা ঝালকাঠিতে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে ছাত্র-জনতা। সাত ঘণ্টা পর পুলিশের অনুরোধে আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে অবরোধ প্রত্যাহার করা হলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
আজ জুমার নামাজ শেষে বেলা আড়াইটার দিকে বরিশাল–খুলনা আঞ্চলিক মহাসড়কের ঝালকাঠি কলেজ মোড় এলাকায় অবরোধ শুরু করেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ। অবরোধ চলাকালে মহাসড়কের উভয় পাশে বিপুলসংখ্যক যানবাহন আটকে পড়ে। ফলে যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। তবে রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস, জরুরি ওষুধ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় কাঁচামাল বহনকারী যান চলাচলের সুযোগ দেওয়া হয়।
অবরোধ কর্মসূচিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, এনসিপি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, গণঅধিকার পরিষদের নেতা-কর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন। এ সময় মহাসড়কে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করা হয়।
বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য দেন এনসিপির ঝালকাঠি জেলা আহ্বায়ক মাইনুল ইসলাম মান্না, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঝালকাঠি জেলা আহ্বায়ক আল তৌফিক লিখন, যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াসিন ফেরদৌস ইফতি, সদস্যসচিব রাইয়ান বিন কামাল, গণঅধিকার পরিষদ ঝালকাঠি জেলা যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঝালকাঠি-২ আসনের মনোনীত প্রার্থী মাহমুদুল ইসলাম সাগরসহ অন্য নেতারা।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঝালকাঠি জেলা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াসিন ফেরদৌস ইফতি বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের একজন গুরুত্বপূর্ণ সহযোদ্ধাকে দুর্বৃত্তরা গুলি করে হত্যা করেছে। তিনি সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন। হামলাকারীদের ইন্টারপোলের মাধ্যমে দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। তা না হলে আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
ঝালকাঠি সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) বেলায়েত হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, বেলা আড়াইটায় অবরোধ শুরু হওয়ায় বরিশাল–খুলনা আঞ্চলিক মহাসড়কে ব্যাপক যানজট সৃষ্টি হয়। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনা করে পরিস্থিতি শান্ত করা হলে তাঁরা রাত সাড়ে ৯টার দিকে অবরোধ প্রত্যাহারে সম্মত হন। পরে সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

‘শুধুমাত্র দু-বেলা ভাতের বিনিময়ে পড়াতে চাই’—এমন লেখা সংবলিত একটি পোস্টার দুদিন হলো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ঘুরছিল। বলা যায় পোস্টারটি ফেসবুকে এক প্রকার ভাইরাল হয়ে গেছে।
২৬ জানুয়ারি ২০২২
সাবেক নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও সেতাবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আসলাম হোসেনের বাড়িতে আগুন দিয়েছেন একদল লোক। আজ শুক্রবার রাতে দুজনের বাড়িতে আগুন লাগার সংবাদ পেয়ে বোচাগঞ্জ থানা-পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা সেখানে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
৩ ঘণ্টা আগে
ভালুকায় দিপু চন্দ্র দাস (২৮) নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা ও মরদেহে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আজ শুক্রবার নিহত দিপুর ছোট ভাই অপু চন্দ্র দাস বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন।
৩ ঘণ্টা আগে
কতিপয় উচ্ছৃঙ্খল ব্যক্তি দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকা অফিসে যে হামলা চালিয়েছে, তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে রিপোর্টার্স অ্যাগেইনস্ট করাপশন (র্যাক)।
৪ ঘণ্টা আগেদিনাজপুর প্রতিনিধি

সাবেক নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও সেতাবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আসলাম হোসেনের বোচাগঞ্জের বাড়িতে আগুন দিয়েছে একদল লোক। আজ শুক্রবার রাতে দুজনের বাড়িতে আগুন লাগার সংবাদ পেয়ে বোচাগঞ্জ থানা-পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা সেখানে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
স্থানীয় জনতা ও বোচাগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও সেতাবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আসলাম হোসেনের বাড়িতে আগুন দেওয়া হয়। তবে কারা আগুন দিয়েছে, এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা যায়নি।
বোচাগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের সাব-অফিসার শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘রাত সোয়া ৮টার দিকে সাবেক মেয়র আসলামের বাড়িতে আগুন লাগার খবর পেয়ে আমরা সেখানে পৌঁছাই। বর্তমানে আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা হয়েছে।’
এ ছাড়া খালিদ মাহমুদের বাড়ির আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে জানার জন্য বোচাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও কোনো সাড়া মেলেনি।

সাবেক নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও সেতাবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আসলাম হোসেনের বোচাগঞ্জের বাড়িতে আগুন দিয়েছে একদল লোক। আজ শুক্রবার রাতে দুজনের বাড়িতে আগুন লাগার সংবাদ পেয়ে বোচাগঞ্জ থানা-পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা সেখানে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
স্থানীয় জনতা ও বোচাগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও সেতাবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আসলাম হোসেনের বাড়িতে আগুন দেওয়া হয়। তবে কারা আগুন দিয়েছে, এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা যায়নি।
বোচাগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের সাব-অফিসার শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘রাত সোয়া ৮টার দিকে সাবেক মেয়র আসলামের বাড়িতে আগুন লাগার খবর পেয়ে আমরা সেখানে পৌঁছাই। বর্তমানে আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা হয়েছে।’
এ ছাড়া খালিদ মাহমুদের বাড়ির আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে জানার জন্য বোচাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও কোনো সাড়া মেলেনি।

‘শুধুমাত্র দু-বেলা ভাতের বিনিময়ে পড়াতে চাই’—এমন লেখা সংবলিত একটি পোস্টার দুদিন হলো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ঘুরছিল। বলা যায় পোস্টারটি ফেসবুকে এক প্রকার ভাইরাল হয়ে গেছে।
২৬ জানুয়ারি ২০২২
ইনকিলাব মঞ্চের প্রতিষ্ঠাতা ও মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে হত্যার প্রতিবাদে এবং খুনিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে তাঁর নিজ জেলা ঝালকাঠিতে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে ছাত্র-জনতা। সাত ঘণ্টা পর পুলিশের অনুরোধে আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে অবরোধ প্রত্যাহার করা হলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
২ ঘণ্টা আগে
ভালুকায় দিপু চন্দ্র দাস (২৮) নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা ও মরদেহে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আজ শুক্রবার নিহত দিপুর ছোট ভাই অপু চন্দ্র দাস বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন।
৩ ঘণ্টা আগে
কতিপয় উচ্ছৃঙ্খল ব্যক্তি দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকা অফিসে যে হামলা চালিয়েছে, তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে রিপোর্টার্স অ্যাগেইনস্ট করাপশন (র্যাক)।
৪ ঘণ্টা আগেময়মনসিংহ প্রতিনিধি

ময়মনসিংহের ভালুকায় দিপু চন্দ্র দাস (২৮) নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা ও মরদেহে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আজ শুক্রবার নিহত দিপুর ছোট ভাই অপু চন্দ্র দাস বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ভালুকা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহেদুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিক্ষুব্ধ জনতার হাতে নিহত হন দিপু চন্দ্র দাস। এ ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা হয়েছে।
এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার ডুবালিয়াপাড়া এলাকার পাইওনিয়ার নিট কম্পোজিট কারখানা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত দিপু চন্দ্র দাস জেলার তারাকান্দা উপজেলার মোকামিয়া কান্দা গ্রামের রবি চন্দ্র দাসের ছেলে। তিনি ওই কোম্পানির শ্রমিক ছিলেন।

ময়মনসিংহের ভালুকায় দিপু চন্দ্র দাস (২৮) নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা ও মরদেহে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আজ শুক্রবার নিহত দিপুর ছোট ভাই অপু চন্দ্র দাস বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ভালুকা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহেদুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিক্ষুব্ধ জনতার হাতে নিহত হন দিপু চন্দ্র দাস। এ ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা হয়েছে।
এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার ডুবালিয়াপাড়া এলাকার পাইওনিয়ার নিট কম্পোজিট কারখানা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত দিপু চন্দ্র দাস জেলার তারাকান্দা উপজেলার মোকামিয়া কান্দা গ্রামের রবি চন্দ্র দাসের ছেলে। তিনি ওই কোম্পানির শ্রমিক ছিলেন।

‘শুধুমাত্র দু-বেলা ভাতের বিনিময়ে পড়াতে চাই’—এমন লেখা সংবলিত একটি পোস্টার দুদিন হলো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ঘুরছিল। বলা যায় পোস্টারটি ফেসবুকে এক প্রকার ভাইরাল হয়ে গেছে।
২৬ জানুয়ারি ২০২২
ইনকিলাব মঞ্চের প্রতিষ্ঠাতা ও মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে হত্যার প্রতিবাদে এবং খুনিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে তাঁর নিজ জেলা ঝালকাঠিতে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে ছাত্র-জনতা। সাত ঘণ্টা পর পুলিশের অনুরোধে আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে অবরোধ প্রত্যাহার করা হলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
২ ঘণ্টা আগে
সাবেক নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও সেতাবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আসলাম হোসেনের বাড়িতে আগুন দিয়েছেন একদল লোক। আজ শুক্রবার রাতে দুজনের বাড়িতে আগুন লাগার সংবাদ পেয়ে বোচাগঞ্জ থানা-পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা সেখানে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
৩ ঘণ্টা আগে
কতিপয় উচ্ছৃঙ্খল ব্যক্তি দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকা অফিসে যে হামলা চালিয়েছে, তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে রিপোর্টার্স অ্যাগেইনস্ট করাপশন (র্যাক)।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

কতিপয় উচ্ছৃঙ্খল ব্যক্তি দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকা অফিসে যে হামলা চালিয়েছে, তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে রিপোর্টার্স অ্যাগেইনস্ট করাপশন (র্যাক)।
অন্যদিকে, দুই গণমাধ্যমে আটকে পড়া সাংবাদিকদের উদ্ধার করতে গিয়ে নাজেহাল ও হেনস্তার শিকার হয়েছেন ইংরেজি দৈনিক দ্য নিউ এজের সম্পাদক প্রবীণ সাংবাদিক নূরুল কবীর। এ ঘটনারও তীব্র নিন্দা ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে র্যাক। অবিলম্বে এসব ঘটনার সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও দ্রুত তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানিয়েছে র্যাক।
শুক্রবার এক বিবৃতিতে সভাপতি আলাউদ্দিন আরিফ ও সাধারণ সম্পাদক তাবারুল হক বলেন, সংবাদমাধ্যম রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের অন্যতম প্রধান ভিত্তি। গণমাধ্যমের কণ্ঠ রুদ্ধ করতে সহিংসতা, ভয়ভীতি প্রদর্শন, হামলা কিংবা হেনস্তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এ ধরনের কর্মকাণ্ড গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, মতপ্রকাশের সাংবিধানিক অধিকার এবং আইনের শাসনের সম্পূর্ণ পরিপন্থী।
১৮ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) রাত ১২টার দিকে উচ্ছৃঙ্খল কতিপয় ব্যক্তি প্রথমে দৈনিক প্রথম আলো, তারপর দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকা অফিসে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে। এ সময় পত্রিকা দুটির অনেক সাংবাদিক ভবনের ভেতরে আটকা পড়েছিলেন। খবর পেয়ে সেনা, পুলিশ ও বিজিবি সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে হামলাকারীদের সরিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে ভবনের ভেতরে আটকে পড়া সাংবাদিকদের উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।
পত্রিকা দুটির শীর্ষ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রাতে আকস্মিক হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার পর কর্মীদের সবাইকে দ্রুত অফিস ত্যাগ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ফলে শুক্রবার ছাপা পত্রিকা বের করা সম্ভব হয়নি।
র্যাক নেতারা বলেন, মনে হচ্ছে একটি গোষ্ঠী অত্যন্ত সচেতনভাবে প্রতিপক্ষ বানাতে গণমাধ্যমকে টার্গেট করে হামলা চালিয়েছে। এটা খুবই দুঃখজনক ও মর্মান্তিক। স্বাধীন সাংবাদিকতায় বিশ্বাসী বর্তমান সরকারের সময় এমন ঘটনা ন্যক্কারজনক। ডিআরইউ মনে করে, ওসমান হাদি একজন দেশপ্রেমিক জুলাই যোদ্ধা ছিলেন। শহীদ ওসমান হাদিসহ ছাত্র-জনতার ত্যাগের কারণে তৎকালীন ফ্যাসিস্ট সরকার দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছে।
হাদির মৃত্যুকে পুঁজি করে যারা গণমাধ্যমের ওপর হামলা করেছে, তারা হাদির অনুসারী নয়, এটা স্পষ্ট। কতিপয় মহল হাদির মৃত্যুকে ব্যবহার করে নিজেদের কদর্য চেহারা প্রকাশ করেছে। অবিলম্বে এসব ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে দৃস্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান নেতারা।

কতিপয় উচ্ছৃঙ্খল ব্যক্তি দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকা অফিসে যে হামলা চালিয়েছে, তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে রিপোর্টার্স অ্যাগেইনস্ট করাপশন (র্যাক)।
অন্যদিকে, দুই গণমাধ্যমে আটকে পড়া সাংবাদিকদের উদ্ধার করতে গিয়ে নাজেহাল ও হেনস্তার শিকার হয়েছেন ইংরেজি দৈনিক দ্য নিউ এজের সম্পাদক প্রবীণ সাংবাদিক নূরুল কবীর। এ ঘটনারও তীব্র নিন্দা ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে র্যাক। অবিলম্বে এসব ঘটনার সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও দ্রুত তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানিয়েছে র্যাক।
শুক্রবার এক বিবৃতিতে সভাপতি আলাউদ্দিন আরিফ ও সাধারণ সম্পাদক তাবারুল হক বলেন, সংবাদমাধ্যম রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের অন্যতম প্রধান ভিত্তি। গণমাধ্যমের কণ্ঠ রুদ্ধ করতে সহিংসতা, ভয়ভীতি প্রদর্শন, হামলা কিংবা হেনস্তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এ ধরনের কর্মকাণ্ড গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, মতপ্রকাশের সাংবিধানিক অধিকার এবং আইনের শাসনের সম্পূর্ণ পরিপন্থী।
১৮ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) রাত ১২টার দিকে উচ্ছৃঙ্খল কতিপয় ব্যক্তি প্রথমে দৈনিক প্রথম আলো, তারপর দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকা অফিসে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে। এ সময় পত্রিকা দুটির অনেক সাংবাদিক ভবনের ভেতরে আটকা পড়েছিলেন। খবর পেয়ে সেনা, পুলিশ ও বিজিবি সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে হামলাকারীদের সরিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে ভবনের ভেতরে আটকে পড়া সাংবাদিকদের উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।
পত্রিকা দুটির শীর্ষ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রাতে আকস্মিক হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার পর কর্মীদের সবাইকে দ্রুত অফিস ত্যাগ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ফলে শুক্রবার ছাপা পত্রিকা বের করা সম্ভব হয়নি।
র্যাক নেতারা বলেন, মনে হচ্ছে একটি গোষ্ঠী অত্যন্ত সচেতনভাবে প্রতিপক্ষ বানাতে গণমাধ্যমকে টার্গেট করে হামলা চালিয়েছে। এটা খুবই দুঃখজনক ও মর্মান্তিক। স্বাধীন সাংবাদিকতায় বিশ্বাসী বর্তমান সরকারের সময় এমন ঘটনা ন্যক্কারজনক। ডিআরইউ মনে করে, ওসমান হাদি একজন দেশপ্রেমিক জুলাই যোদ্ধা ছিলেন। শহীদ ওসমান হাদিসহ ছাত্র-জনতার ত্যাগের কারণে তৎকালীন ফ্যাসিস্ট সরকার দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছে।
হাদির মৃত্যুকে পুঁজি করে যারা গণমাধ্যমের ওপর হামলা করেছে, তারা হাদির অনুসারী নয়, এটা স্পষ্ট। কতিপয় মহল হাদির মৃত্যুকে ব্যবহার করে নিজেদের কদর্য চেহারা প্রকাশ করেছে। অবিলম্বে এসব ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে দৃস্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান নেতারা।

‘শুধুমাত্র দু-বেলা ভাতের বিনিময়ে পড়াতে চাই’—এমন লেখা সংবলিত একটি পোস্টার দুদিন হলো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ঘুরছিল। বলা যায় পোস্টারটি ফেসবুকে এক প্রকার ভাইরাল হয়ে গেছে।
২৬ জানুয়ারি ২০২২
ইনকিলাব মঞ্চের প্রতিষ্ঠাতা ও মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে হত্যার প্রতিবাদে এবং খুনিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে তাঁর নিজ জেলা ঝালকাঠিতে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে ছাত্র-জনতা। সাত ঘণ্টা পর পুলিশের অনুরোধে আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে অবরোধ প্রত্যাহার করা হলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
২ ঘণ্টা আগে
সাবেক নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও সেতাবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আসলাম হোসেনের বাড়িতে আগুন দিয়েছেন একদল লোক। আজ শুক্রবার রাতে দুজনের বাড়িতে আগুন লাগার সংবাদ পেয়ে বোচাগঞ্জ থানা-পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা সেখানে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
৩ ঘণ্টা আগে
ভালুকায় দিপু চন্দ্র দাস (২৮) নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা ও মরদেহে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আজ শুক্রবার নিহত দিপুর ছোট ভাই অপু চন্দ্র দাস বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন।
৩ ঘণ্টা আগে