নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
এক বছর, দুই বছর নয়; প্রায় সোয়া ১২ বছরেও সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্ত শেষ করতে পারেনি র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। এ পর্যন্ত ছয়বার তদন্ত কর্মকর্তা বদল হয়েছে। কিন্তু আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে পারেনি। গতকাল সোমবার ১১১তম বারের মতো পেছানো হয়েছে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ।
এ অবস্থায় মামলার তদন্তভার র্যাবের হাতে রাখার যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অপরাধ বিশ্লেষকদের কেউ কেউ। তাঁরা বলছেন, শিগগির এই হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন না হলে তদন্তকারী সংস্থার প্রতি মানুষের অনাস্থা তৈরি হবে।
অবশ্য র্যাবের তদন্তসংশ্লিষ্ট সূত্র বলেছে, তদন্ত চলছে। শিগগির রহস্য উন্মোচন হবে। ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারের ভাড়া বাসায় সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি নৃশংসভাবে খুন হন। সাগর মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক ছিলেন। রুনি ছিলেন এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক। বাসায় তাঁদের সঙ্গে ছিল একমাত্র সন্তান পাঁচ বছর বয়সী মাহির সরওয়ার মেঘ। তাকে উদ্ধৃত করে পুলিশ তখন জানিয়েছিল, খুনি ছিল দুজন।
এ ঘটনায় রুনির ভাই নওশের আলম বাদী হয়ে শেরেবাংলা নগর থানায় হত্যা মামলা করেন। প্রথমে মামলার তদন্ত করে ওই থানার পুলিশ। চার দিন পর তদন্তভার যায় ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) কাছে। ৬২ দিনের মাথায় ২০১২ সালের ১৮ এপ্রিল হাইকোর্টে ব্যর্থতা স্বীকার করে ডিবি। এরপর হাইকোর্ট র্যাবকে মামলাটি তদন্তের নির্দেশ দেন। র্যাব তদন্তভার পাওয়ার পর ডিএনএ নমুনাসহ অন্যান্য বায়োমেট্রিক পরীক্ষার জন্য ঘটনাস্থল থেকে বঁটি, পরনের কাপড়সহ বেশ কিছু জিনিস যুক্তরাষ্ট্রের ল্যাবেও পাঠায়।
তদন্তসংশ্লিষ্ট একটি সূত্র বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের ডিএনএ ল্যাবের ফলাফল জানা গেছে। তবে অজ্ঞাতপরিচয় দুজনের ডিএনএ থেকে ছবি তৈরির সন্তোষজনক ফল আসেনি।
র্যাব তদন্তভার পাওয়ার পর তদন্ত কর্মকর্তা পরিবর্তন হয়েছে ছয়বার। বর্তমানে তদন্ত করছেন র্যাব সদর দপ্তরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন ভূঁইয়া। গতকাল ধার্য দিনে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল না করার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, নির্ধারিত তারিখ ছিল। কিন্তু তদন্ত প্রতিবেদন না দেওয়া পর্যন্ত আদালতের নিয়ম অনুযায়ী এক মাস সময় দিয়ে নতুন তারিখ দিতে থাকবেন বিচারক। কবে নাগাদ তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়া হবে–এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তদন্ত চলমান আছে।
গতকাল তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল না করায় আগামী ১৫ অক্টোবর নতুন তারিখ ধার্য করেন ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহবুবুল হক। সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের পর তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে খুনিদের গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু সোয়া ১২ বছরেও রহস্য উদ্ঘাটন হয়নি। বিভিন্ন সময়ে এ মামলায় মোট আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁদের দুজন জামিনে এবং ছয়জন কারাগারে আছেন।
এই মামলার তদন্তে দীর্ঘসূত্রতা নিহত সাংবাদিক দম্পতির পরিবার এবং পেশাজীবীদের মধ্যে হতাশার সৃষ্টি করেছে। দ্রুত ন্যায়বিচারের দাবিও উঠেছে সাংবাদিক সমাজসহ বিভিন্ন মহল থেকে। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল এই হত্যার বিচারের আশ্বাস দিয়ে বলেছেন, এই বিচার করা না হলে তাঁরা জাতির কাছে দায়ী থাকবেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক এবং সমাজ ও অপরাধ বিশ্লেষক ড. তৌহিদুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, তদন্তের নামে সময়ক্ষেপণের অর্থ হলো পেছনের রহস্য উদ্ঘাটন করতে না চাওয়া। কারণ হয়তো কোনো না কোনোভাবে এই হত্যার পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি জড়িত রয়েছেন। তাই তদন্তকারী সংস্থাও পরিবর্তন করা হয়নি। এখন সময় এসেছে রহস্য উন্মোচন করে দোষীদের আইনের আওতায় আনা। তা না হলে মামলার তদন্তকারী সংস্থার প্রতি মানুষের যে আস্থাহীনতা তৈরি হবে, তার কোনো জবাব থাকবে না।
এক বছর, দুই বছর নয়; প্রায় সোয়া ১২ বছরেও সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্ত শেষ করতে পারেনি র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। এ পর্যন্ত ছয়বার তদন্ত কর্মকর্তা বদল হয়েছে। কিন্তু আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে পারেনি। গতকাল সোমবার ১১১তম বারের মতো পেছানো হয়েছে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ।
এ অবস্থায় মামলার তদন্তভার র্যাবের হাতে রাখার যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অপরাধ বিশ্লেষকদের কেউ কেউ। তাঁরা বলছেন, শিগগির এই হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন না হলে তদন্তকারী সংস্থার প্রতি মানুষের অনাস্থা তৈরি হবে।
অবশ্য র্যাবের তদন্তসংশ্লিষ্ট সূত্র বলেছে, তদন্ত চলছে। শিগগির রহস্য উন্মোচন হবে। ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারের ভাড়া বাসায় সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি নৃশংসভাবে খুন হন। সাগর মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক ছিলেন। রুনি ছিলেন এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক। বাসায় তাঁদের সঙ্গে ছিল একমাত্র সন্তান পাঁচ বছর বয়সী মাহির সরওয়ার মেঘ। তাকে উদ্ধৃত করে পুলিশ তখন জানিয়েছিল, খুনি ছিল দুজন।
এ ঘটনায় রুনির ভাই নওশের আলম বাদী হয়ে শেরেবাংলা নগর থানায় হত্যা মামলা করেন। প্রথমে মামলার তদন্ত করে ওই থানার পুলিশ। চার দিন পর তদন্তভার যায় ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) কাছে। ৬২ দিনের মাথায় ২০১২ সালের ১৮ এপ্রিল হাইকোর্টে ব্যর্থতা স্বীকার করে ডিবি। এরপর হাইকোর্ট র্যাবকে মামলাটি তদন্তের নির্দেশ দেন। র্যাব তদন্তভার পাওয়ার পর ডিএনএ নমুনাসহ অন্যান্য বায়োমেট্রিক পরীক্ষার জন্য ঘটনাস্থল থেকে বঁটি, পরনের কাপড়সহ বেশ কিছু জিনিস যুক্তরাষ্ট্রের ল্যাবেও পাঠায়।
তদন্তসংশ্লিষ্ট একটি সূত্র বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের ডিএনএ ল্যাবের ফলাফল জানা গেছে। তবে অজ্ঞাতপরিচয় দুজনের ডিএনএ থেকে ছবি তৈরির সন্তোষজনক ফল আসেনি।
র্যাব তদন্তভার পাওয়ার পর তদন্ত কর্মকর্তা পরিবর্তন হয়েছে ছয়বার। বর্তমানে তদন্ত করছেন র্যাব সদর দপ্তরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন ভূঁইয়া। গতকাল ধার্য দিনে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল না করার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, নির্ধারিত তারিখ ছিল। কিন্তু তদন্ত প্রতিবেদন না দেওয়া পর্যন্ত আদালতের নিয়ম অনুযায়ী এক মাস সময় দিয়ে নতুন তারিখ দিতে থাকবেন বিচারক। কবে নাগাদ তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়া হবে–এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তদন্ত চলমান আছে।
গতকাল তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল না করায় আগামী ১৫ অক্টোবর নতুন তারিখ ধার্য করেন ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহবুবুল হক। সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের পর তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে খুনিদের গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু সোয়া ১২ বছরেও রহস্য উদ্ঘাটন হয়নি। বিভিন্ন সময়ে এ মামলায় মোট আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁদের দুজন জামিনে এবং ছয়জন কারাগারে আছেন।
এই মামলার তদন্তে দীর্ঘসূত্রতা নিহত সাংবাদিক দম্পতির পরিবার এবং পেশাজীবীদের মধ্যে হতাশার সৃষ্টি করেছে। দ্রুত ন্যায়বিচারের দাবিও উঠেছে সাংবাদিক সমাজসহ বিভিন্ন মহল থেকে। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল এই হত্যার বিচারের আশ্বাস দিয়ে বলেছেন, এই বিচার করা না হলে তাঁরা জাতির কাছে দায়ী থাকবেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক এবং সমাজ ও অপরাধ বিশ্লেষক ড. তৌহিদুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, তদন্তের নামে সময়ক্ষেপণের অর্থ হলো পেছনের রহস্য উদ্ঘাটন করতে না চাওয়া। কারণ হয়তো কোনো না কোনোভাবে এই হত্যার পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি জড়িত রয়েছেন। তাই তদন্তকারী সংস্থাও পরিবর্তন করা হয়নি। এখন সময় এসেছে রহস্য উন্মোচন করে দোষীদের আইনের আওতায় আনা। তা না হলে মামলার তদন্তকারী সংস্থার প্রতি মানুষের যে আস্থাহীনতা তৈরি হবে, তার কোনো জবাব থাকবে না।
সাতক্ষীরায় বিভিন্ন সময় হারানো ৯২টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করে মালিকদের কাছে ফেরত দিয়েছে থানা–পুলিশ। এ ছাড়া ভুলে অন্যের বিকাশ নম্বরে চলে যাওয়া ৭১ হাজার ৫০০ টাকা আদায় করে দেওয়া হয়েছে।
১ মিনিট আগেসুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে বিএনপির কার্যালয় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের মামলায় সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান জামিন পেয়েছেন।
১১ মিনিট আগেশাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) শিক্ষার্থীরা গুচ্ছ প্রক্রিয়া থেকে বেরিয়ে নিজস্ব পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম জানিয়ে শিক্ষার্থীরা বলেন, এ দাবি মানা না হলে কঠোর অবস্থানে যাবেন তারা।
১১ মিনিট আগেআত্মসমর্পণকৃত বনদস্যুরা সুন্দরবনে তৎপর হওয়ার প্রতিবাদে সাতক্ষীরার শ্যামনগরে মানববন্ধন হয়েছে। পশ্চিম সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জের মৎস্যজীবীদের উদ্যোগে আজ সোমবার বেলা ১১টার দিকে শ্যামনগর প্রেস ক্লাবে এই কর্মসূচি পালিত হয়। সুন্দরবনে যাতায়াতকারী জেলে ও তাদের পরিবারের সদস্যসহ বিএনপি ও জামায়াত ইসলাম দলীয়
২৪ মিনিট আগে