রাজধানীর হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সৌদি অ্যারাবিয়ান এয়ারলাইনসের একটি বোয়িং ৭৭৭-৩০০ উড়োজাহাজ দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে। এ ঘটনায় উড়োজাহাজটি ক্ষতিগ্রস্ত হলেও কোনো যাত্রীর ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। গত বুধবার (২৮ জুন) উড়োজাহাজটি দুর্ঘটনায় পতিত হয়। এখন উড়োজাহাজটি শাহজালাল বিমানবন্দরে মেরামত করা হচ্ছে। 

দুর্ঘটনার তদন্ত কমিটি গঠন করেছে অ্যাকসিডেন্ট ইনভেস্টিগেশন কমিটি অব বাংলাদেশ (এএআইসি-বিডি)। তদন্ত দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন এএআইসি-বিডির প্রধান ক্যাপ্টেন সালাহউদ্দিন এম রহমতুল্লাহ এবং এএআইসি-বিডির সদস্য (পরিচালন) মো. হারুনুর রশিদ।

ক্যাপ্টেন সালাহউদ্দিন এম রহমতুল্লাহ আজ শনিবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ওই দিন আবহাওয়া খারাপ ছিল। বৃষ্টির কারণে রানওয়ে ভেজা ছিল। পাইলটের অসতর্কতা ছিল, নাকি আবহাওয়াজনিত কারণে দুর্ঘটনা হয়েছে—সেটি তদন্ত করে আমরা বের করার চেষ্টা করছি।’

জানা গেছে, সৌদি অ্যারাবিয়ান এয়ারলাইনসের সেই ফ্লাইটে দুজন পাইলট ছিলেন। এ ছাড়া একজন পুরুষ ও ১২ জন নারী কেবিন ক্রু ছিলেন। ফ্লাইটটিতে যাত্রী ছিলেন ৩৮৩ জন, যার মধ্যে নারী ৬১ জন, পুরুষ ২৮৯ জন এবং শিশু ৩৩টি। 

বিমানবন্দর সূত্রে জানা গেছে, সৌদি আরবের রিয়াদ থেকে ফ্লাইটটি (এসভি ৮০৬) ঢাকায় আসে গত ২৮ জুন। পাইলট উড়োজাহাজটি ঢাকা বিমানবন্দরের রানওয়ে-১৪-এ অবতরণের জন্য অ্যাপ্রোচ করেছিলেন। তখন বৃষ্টি হচ্ছিল এবং রানওয়ে ছিল ভেজা। উড়োজাহাজটি রানওয়ের বাঁ দিকে অবতরণ করার সঙ্গে সঙ্গে ছিটকে ঘাসের ভেতরে চলে যায়। সেখানে কংক্রিটের সারফেস ছিল। উড়োজাহাজটির প্রধান ল্যান্ডিং গিয়ারের বাঁ পাশের ছয়টি টায়ার ফেটে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। চাকাগুলো মাটি ও কাদায় পূর্ণ হয়ে যায়। রানওয়ে স্পর্শ করার পর থেকে উড়োজাহাজটি রানওয়ের বাইরে প্রায় দেড় হাজার ফুট দূরে মাটি ও ঘাসের দিকে এগিয়ে যায়। পরে মাটি থেকে ল্যান্ডিং গিয়ারের বাঁ পাশ আবারও রানওয়েতে উঠে আসে। রানওয়ের শেষ প্রান্ত ঘুরে উড়োজাহাজটি ৫ নম্বর বোর্ডিং ব্রিজে যাত্রী নামায়। 

এ বিষয়ে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘এ দুর্ঘটনায় কোনো যাত্রীর ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। ক্ষতিগ্রস্ত উড়োজাহাজটি সৌদি এয়ারলাইন মেরামত করছে। দুর্ঘটনা অনুসন্ধানে তদন্ত কমিটি কাজ করছে।’