নিজস্ব প্রতিবেদক
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধির কারণে সোমবার থেকে লকডাউন হতে পারে এমন ঘোষণা করছে সরকার। এই খবরে অনেকটা অসন্তুষ্ট নিম্নআয়ের শ্রমজীবী মানুষ। সরকারের সুস্পষ্ট ও সুনির্দিষ্ট কোন বার্তা না থাকায় একদিকে যেমন দুশ্চিন্তায় ভুগছেন অন্যদিকে ভয়ও কাজ করছে তাদের মাঝে।
নিম্নআয়ের শ্রমজীবীরা বলছেন, লকডাউনে কাজ বন্ধ থাকলে তাদের খাবারের ব্যবস্থা কিভাবে হবে? এক সপ্তাহ সংসার চলবে কিভাবে? আজ দুপুরে এমন খবরের পরপরই সাধারণ মানুষের মাঝে এসব প্রশ্ন উঠেছে।
রাজধানীর পাটুয়াটুলিতে অনেকদিন যাবত ডাব বিক্রি করে সংসার চালান হানিফ মোল্লা। পাঁচ সন্তান ও স্ত্রী নিয়ে তার সংসার। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি তিনিই। ডাব বিক্রি করে চলে তার পরিবার।
হানিফ বলেন, ‘লকডাউন দিলে কার লাভ হইব জানিনা। আমরা গরীব মানুষ কই যামু। পাঁচটা পোলা মাইয়ার মুখে কি খাওন দিমু। আগেরবারও সরকার পাঁচটা মাস ঘরে বসাইয়া রাখছে। এবার সাতদিনের জায়গায় আরও কত দিন হইব কে জানে। ভয় করতেছে অনেক। আমরা খামু কি সেটাতো সরকার কইয়া দেয় নাই’।
সদরঘাটের বাদামতলী এলাকায় ফুটপাতে ফল বিক্রেতা মতিন মিয়া বলেন, সরকার তো লকডাউন দিয়েই শেষ। আমরা বউ-বাচ্চা নিয়ে খামু কি? রমজান মাসে জিনিসপত্রের দাম বাড়ে। এতকিছু তো সরকার চিন্তা করে নাই।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে রং চা বিক্রেতা হাসান উদ্দিন বলেন, ‘এই দেশের সবকিছু হয় আগে পিছে চিন্তা না কইরা। কালকে মন চাইল আর কালকেই লকডাউন দিল। কিন্তু আমরা বউ পোলাপান নিয়ে কই যামু। কালকে থেকে তো রাস্তায় চা বেচতে পারুম না। চা বিক্রি কইরা সংসারটা চলে। আবার বাড়িত টাকা পাঠান লাগে। এত খরচ সামলামু কেমনে।
আমগো তো বাড়তি কোন টাকা নাই’।
হাসান উদ্দিনের চায়ের দোকানে চা পান করছিলেন ভ্যানচালক হিরু মিয়া। তিনি বলেন, আমরা গরীব মানুষ। করোনাভাইরাস বুঝি না, লকডাউন বুঝি না। আইজ ভ্যান চালাইলে আইজ পেটে খাওন যাইবো। বন্ধ থাকলে না খাইয়া মরুম। সরকার তো আমগোরে খাওয়া দেয় না।
লকডাউনের বিষয়ে আদালত পাড়ায় ভ্রাম্যমাণ পানি বিক্রেতা সালাউদ্দিন বলেন, সারাদিন পানি বিক্রি করি এইটা দিয়েই অসুস্থ বাপ মায়ের ওষুধ খরচ আর খাওয়া খরচ চলে। শুনলাম সরকার লকডাউন দিতেছে। তাইলে বাপ-মায়ের মুখে খাওয়া দিব কেমনে? আমগো গরীব মানুষের জন্য সরকার কী ব্যবস্থা করছে এগুলা তো বলে নাই।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধির কারণে সোমবার থেকে লকডাউন হতে পারে এমন ঘোষণা করছে সরকার। এই খবরে অনেকটা অসন্তুষ্ট নিম্নআয়ের শ্রমজীবী মানুষ। সরকারের সুস্পষ্ট ও সুনির্দিষ্ট কোন বার্তা না থাকায় একদিকে যেমন দুশ্চিন্তায় ভুগছেন অন্যদিকে ভয়ও কাজ করছে তাদের মাঝে।
নিম্নআয়ের শ্রমজীবীরা বলছেন, লকডাউনে কাজ বন্ধ থাকলে তাদের খাবারের ব্যবস্থা কিভাবে হবে? এক সপ্তাহ সংসার চলবে কিভাবে? আজ দুপুরে এমন খবরের পরপরই সাধারণ মানুষের মাঝে এসব প্রশ্ন উঠেছে।
রাজধানীর পাটুয়াটুলিতে অনেকদিন যাবত ডাব বিক্রি করে সংসার চালান হানিফ মোল্লা। পাঁচ সন্তান ও স্ত্রী নিয়ে তার সংসার। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি তিনিই। ডাব বিক্রি করে চলে তার পরিবার।
হানিফ বলেন, ‘লকডাউন দিলে কার লাভ হইব জানিনা। আমরা গরীব মানুষ কই যামু। পাঁচটা পোলা মাইয়ার মুখে কি খাওন দিমু। আগেরবারও সরকার পাঁচটা মাস ঘরে বসাইয়া রাখছে। এবার সাতদিনের জায়গায় আরও কত দিন হইব কে জানে। ভয় করতেছে অনেক। আমরা খামু কি সেটাতো সরকার কইয়া দেয় নাই’।
সদরঘাটের বাদামতলী এলাকায় ফুটপাতে ফল বিক্রেতা মতিন মিয়া বলেন, সরকার তো লকডাউন দিয়েই শেষ। আমরা বউ-বাচ্চা নিয়ে খামু কি? রমজান মাসে জিনিসপত্রের দাম বাড়ে। এতকিছু তো সরকার চিন্তা করে নাই।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে রং চা বিক্রেতা হাসান উদ্দিন বলেন, ‘এই দেশের সবকিছু হয় আগে পিছে চিন্তা না কইরা। কালকে মন চাইল আর কালকেই লকডাউন দিল। কিন্তু আমরা বউ পোলাপান নিয়ে কই যামু। কালকে থেকে তো রাস্তায় চা বেচতে পারুম না। চা বিক্রি কইরা সংসারটা চলে। আবার বাড়িত টাকা পাঠান লাগে। এত খরচ সামলামু কেমনে।
আমগো তো বাড়তি কোন টাকা নাই’।
হাসান উদ্দিনের চায়ের দোকানে চা পান করছিলেন ভ্যানচালক হিরু মিয়া। তিনি বলেন, আমরা গরীব মানুষ। করোনাভাইরাস বুঝি না, লকডাউন বুঝি না। আইজ ভ্যান চালাইলে আইজ পেটে খাওন যাইবো। বন্ধ থাকলে না খাইয়া মরুম। সরকার তো আমগোরে খাওয়া দেয় না।
লকডাউনের বিষয়ে আদালত পাড়ায় ভ্রাম্যমাণ পানি বিক্রেতা সালাউদ্দিন বলেন, সারাদিন পানি বিক্রি করি এইটা দিয়েই অসুস্থ বাপ মায়ের ওষুধ খরচ আর খাওয়া খরচ চলে। শুনলাম সরকার লকডাউন দিতেছে। তাইলে বাপ-মায়ের মুখে খাওয়া দিব কেমনে? আমগো গরীব মানুষের জন্য সরকার কী ব্যবস্থা করছে এগুলা তো বলে নাই।
গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার এক ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সচিব ও গ্রাম পুলিশের সদস্যকে মারধর করা হয়েছে। স্থানীয় এক বিএনপি নেতার স্ত্রীর জন্ম নিবন্ধনে দেরি হওয়ায় দলীয় নেতা-কর্মীরা তাঁদের ওপর চড়াও হন বলে অভিযোগ উঠেছে।
৭ ঘণ্টা আগেপ্রতিবছরই আইনি সহায়তাপ্রত্যাশী নারীর সংখ্যা বাড়ছে। তবে এখনো অনেক নারী সহিংসতার শিকার হলেও মামলা করছেন না। সার্বিক পরিস্থিতির বিচারে সহিংসতার শিকার নারীদের বিচার পাওয়ার ক্ষেত্রে পুলিশ ও বিচারকসহ সবার সক্রিয় ভূমিকা প্রয়োজন। বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) রাজধানীতে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন (এমজেএফ) আয়োজিত এক আ
৮ ঘণ্টা আগেঢাকার শাহবাগ থানা কিছুটা সরিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান এলাকাতেই রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। থানা সরিয়ে এর প্রবেশ মুখ উত্তর দিকে করা হবে। প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে আজ বৃহস্পতিবার তার কার্যালয়ে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে স্বাধীনতা স্তম্ভ নির্মাণ প্রকল্পের আ
৯ ঘণ্টা আগেইসকন নিষিদ্ধের দাবি এবং চট্টগ্রামে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফের হত্যার প্রতিবাদে শুক্রবার জুমার নামাজের পর বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে বিক্ষোভ সমাবেশ ডেকেছে হেফাজতে ইসলাম ঢাকা মহানগর।
৯ ঘণ্টা আগে