নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বাংলাদেশের সংবিধান নাগরিকদের বাক্স্বাধীনতা, চিন্তার স্বাধীনতা এবং সংবাদপত্রের স্বাধীনতা দিলেও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন তা ক্ষুণ্ন করেছে। এই আইনের সবটাই অপপ্রয়োগ হচ্ছে। সরকারের দৃশ্যমান উন্নয়ন হলেও গণতন্ত্র, আইনের শাসনের মতো অদৃশ্যমান উন্নয়ন হয়নি। সরকার ক্ষমতায় থাকার জন্য এ আইন করেছে। এই আইন সরকারের গদি রক্ষার আইন।
সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত এক ওয়েবিনারে আজ সোমবার বক্তারা এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ এবং প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্য করলে শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে। আর এটা যে বিরূপ মন্তব্য তা নির্ধারণ করার জন্য পুলিশকে একচেটিয়া ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। এই আইনে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি নিজে মামলা না করলেও অনেকে একাধিক মামলা করছে। আমাদের সংবিধানে বাক এবং সংবাদপত্রের যে স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে এই আইন তার সম্পূর্ণ বিপরীত। এটা সরকারের অগণতান্ত্রিকভাবে নেওয়া গদী রক্ষার আইন। যে দেশে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কথা বলা যায় না সেটা ফ্যাসিবাদের লক্ষণ। এই আইনে লেখক মোশতাককে ছয়বার জামিন দেওয়া হয়নি। তাঁকে পরে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে।
বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) চেয়ারম্যান ও সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন একটা সস্তা আইন। এটাকে বানানোই হয়েছে মানুষকে ভয় দেখানোর জন্য। জনগণের নিরাপত্তার জন্য আইন হয়, কিন্তু এই আইন করা হয়েছে সরকারকে ক্ষমতায় রাখার জন্য। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন দরকার, তবে তা শুধু সাইবার সিকিউরিটির জন্য। এই আইনের কারণে পত্রিকায় আর কার্টুন দেখা যাচ্ছে না। আইন হবে জনগণকে রক্ষার জন্য, যা সরকারের জন্য ব্যবহার করা হবে না। তাই এই আইন সরিয়ে ফেলা উচিত।
জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, এই আইনে যাকে তাকে যখন ইচ্ছে ধরে নিয়ে আসা যায়। এই আইনের কুফল মানুষ পাচ্ছে। এটা আমাদের গণতন্ত্রকে উল্টোদিকে নিয়ে যাচ্ছে। এই আইন সাংবাদিক, ছাত্র, আমাদের রাজনীতি বিরোধীদের দমনের জন্য করা হয়েছে। উন্নয়ন দুই প্রকার, একটা দৃশ্যমান আরেকটা হলো অদৃশ্যমান। দেশে গণতন্ত্র, আইনের শাসন এগুলোর উন্নয়ন হয়নি।
বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বলেন, আগে রায় দিয়ে পরে তদন্ত করা, এটা আবার কেমন আইন? তদন্ত করতে করতে কয়েক বছর চলে যায়। এই আইনে রাষ্ট্র একজনকে নয়, পুরো সমাজের ক্ষতি করছে। এ আইনে ভারসাম্য রক্ষা হয়নি। এটার প্রয়োগের চেয়ে অপপ্রয়োগ বেশি হচ্ছে।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু বলেন, মানহানির মামলা ঠিক আছে, কিন্তু অনুভূতিতে আঘাত হানা এটা আবার কি? যার যার অনুভূতিটা কী, সেটা লেখা উচিত। যাকে নিয়ে কিছু বলা হয় তার আঘাত লাগেনা, আঘাত লাগে আরেকজনের। হ্যাকিংয়ের জন্য আইন করা যায়, কিন্তু ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য নয়।
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন হলো সমাজ এবং রাষ্ট্রকে নিরাপত্তা দেওয়া। রাসুল (সা.) কে নিয়ে যে অবমাননা করবেন, তার জন্য সিকিউরিটি আইনের কি দরকার নেই? গুজব, মিথ্যা এগুলো ছড়াবেন, তার জন্য কি এই আইনের দরকার নেই? লেখক মোশতাকের যে মৃত্যু হয়েছে এটা কি হত্যা? স্বাভাবিকভাবে তার মৃত্যু হয়েছে।
সিজিএসের নির্বাহী পরিচালক জিল্লুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে সিজিএসের চেয়ারম্যান ড. মনজুর আহমেদ চৌধুরী বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের সব প্রয়োগই অপপ্রয়োগ। এই আইনে মানুষ কি অপরাধ করেছে, সে নিজেই অনেক সময় বুঝে উঠতে পারে না। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরুদ্ধে বললে মামলা হবে বলা হলেও, এত দিনেও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা কি তার সংজ্ঞা দেওয়া হয়নি।
বাংলাদেশের সংবিধান নাগরিকদের বাক্স্বাধীনতা, চিন্তার স্বাধীনতা এবং সংবাদপত্রের স্বাধীনতা দিলেও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন তা ক্ষুণ্ন করেছে। এই আইনের সবটাই অপপ্রয়োগ হচ্ছে। সরকারের দৃশ্যমান উন্নয়ন হলেও গণতন্ত্র, আইনের শাসনের মতো অদৃশ্যমান উন্নয়ন হয়নি। সরকার ক্ষমতায় থাকার জন্য এ আইন করেছে। এই আইন সরকারের গদি রক্ষার আইন।
সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত এক ওয়েবিনারে আজ সোমবার বক্তারা এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ এবং প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্য করলে শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে। আর এটা যে বিরূপ মন্তব্য তা নির্ধারণ করার জন্য পুলিশকে একচেটিয়া ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। এই আইনে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি নিজে মামলা না করলেও অনেকে একাধিক মামলা করছে। আমাদের সংবিধানে বাক এবং সংবাদপত্রের যে স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে এই আইন তার সম্পূর্ণ বিপরীত। এটা সরকারের অগণতান্ত্রিকভাবে নেওয়া গদী রক্ষার আইন। যে দেশে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কথা বলা যায় না সেটা ফ্যাসিবাদের লক্ষণ। এই আইনে লেখক মোশতাককে ছয়বার জামিন দেওয়া হয়নি। তাঁকে পরে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে।
বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) চেয়ারম্যান ও সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন একটা সস্তা আইন। এটাকে বানানোই হয়েছে মানুষকে ভয় দেখানোর জন্য। জনগণের নিরাপত্তার জন্য আইন হয়, কিন্তু এই আইন করা হয়েছে সরকারকে ক্ষমতায় রাখার জন্য। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন দরকার, তবে তা শুধু সাইবার সিকিউরিটির জন্য। এই আইনের কারণে পত্রিকায় আর কার্টুন দেখা যাচ্ছে না। আইন হবে জনগণকে রক্ষার জন্য, যা সরকারের জন্য ব্যবহার করা হবে না। তাই এই আইন সরিয়ে ফেলা উচিত।
জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, এই আইনে যাকে তাকে যখন ইচ্ছে ধরে নিয়ে আসা যায়। এই আইনের কুফল মানুষ পাচ্ছে। এটা আমাদের গণতন্ত্রকে উল্টোদিকে নিয়ে যাচ্ছে। এই আইন সাংবাদিক, ছাত্র, আমাদের রাজনীতি বিরোধীদের দমনের জন্য করা হয়েছে। উন্নয়ন দুই প্রকার, একটা দৃশ্যমান আরেকটা হলো অদৃশ্যমান। দেশে গণতন্ত্র, আইনের শাসন এগুলোর উন্নয়ন হয়নি।
বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বলেন, আগে রায় দিয়ে পরে তদন্ত করা, এটা আবার কেমন আইন? তদন্ত করতে করতে কয়েক বছর চলে যায়। এই আইনে রাষ্ট্র একজনকে নয়, পুরো সমাজের ক্ষতি করছে। এ আইনে ভারসাম্য রক্ষা হয়নি। এটার প্রয়োগের চেয়ে অপপ্রয়োগ বেশি হচ্ছে।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু বলেন, মানহানির মামলা ঠিক আছে, কিন্তু অনুভূতিতে আঘাত হানা এটা আবার কি? যার যার অনুভূতিটা কী, সেটা লেখা উচিত। যাকে নিয়ে কিছু বলা হয় তার আঘাত লাগেনা, আঘাত লাগে আরেকজনের। হ্যাকিংয়ের জন্য আইন করা যায়, কিন্তু ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য নয়।
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন হলো সমাজ এবং রাষ্ট্রকে নিরাপত্তা দেওয়া। রাসুল (সা.) কে নিয়ে যে অবমাননা করবেন, তার জন্য সিকিউরিটি আইনের কি দরকার নেই? গুজব, মিথ্যা এগুলো ছড়াবেন, তার জন্য কি এই আইনের দরকার নেই? লেখক মোশতাকের যে মৃত্যু হয়েছে এটা কি হত্যা? স্বাভাবিকভাবে তার মৃত্যু হয়েছে।
সিজিএসের নির্বাহী পরিচালক জিল্লুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে সিজিএসের চেয়ারম্যান ড. মনজুর আহমেদ চৌধুরী বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের সব প্রয়োগই অপপ্রয়োগ। এই আইনে মানুষ কি অপরাধ করেছে, সে নিজেই অনেক সময় বুঝে উঠতে পারে না। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরুদ্ধে বললে মামলা হবে বলা হলেও, এত দিনেও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা কি তার সংজ্ঞা দেওয়া হয়নি।
নগরীর বিভিন্ন এলাকায় পুলিশের অভিযানে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের ৩৩ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি)। মঙ্গলবার (৪ মার্চ) রাত ১২টা থেকে বুধবার (৫ মার্চ) রাত ১২টা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
১২ মিনিট আগেচাঁদাবাজির অভিযোগ এনে মিঠামইন উপজেলা যুবদলের সভাপতি নৌশাদ শিকদারকে মারধর করেছে শহীদ জিয়া পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক টুটুল ও জিয়া প্রজন্ম দলের যুগ্ম আহ্বায়ক সজীবের নেতৃত্বে ১০-১২ জন ব্যক্তি। বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) দুপুরে মিঠামইন উপজেলার মিঠামইন বাজারের শিকদার গেস্টহাউসের নিচে এ ঘটনা ঘটে।
১৪ মিনিট আগেখাম ছাড়া নারী দিবসের চিঠি দেওয়ায় ফরিদপুরের সালথা উপজেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা ফেরদৌস আরা ডলির ওপর ক্ষিপ্ত হয়েছেন জামায়াতের এক কর্মী। এমনকি ওই কর্মকর্তাকে সালথা ছেড়ে চলে যেতে বলা হয়। আজ বৃহস্পতিবার মহিলা কর্মকর্তার মোবাইল ফোনে এ কথা বলেন ওয়ালি উজ জামান নামের এক ব্যক্তি।
১ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রামের রাউজানে ব্যবসায়ী মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমকে হত্যার ঘটনায় আরাফাত মামুন ও বিপ্লব বড়ুয়া নামের দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁদের মধ্যে আরাফাত মামুন রাউজানে যুবদলের নেতা হিসেবে পরিচিত। বিএনপির সক্রিয় রাজনীতি করলেও তাঁর কোনো পদ-পদবি নেই।
১ ঘণ্টা আগে