হত্যা মামলায় শম্ভু ৬ দিনের রিমান্ডে, আমু কারাগারে

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশ : ১২ নভেম্বর ২০২৪, ১৪: ০৮
ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু ও আমির হোসেন আমু। ছবি: সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে রাজধানীর নিউমার্কেট থানা এলাকায় ব্যবসায়ী আব্দুল ওয়াদুদের মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের করা হত্যা মামলায় আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক উপমন্ত্রী ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুকে ৬ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। এদিকে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আমির হোসেন আমুকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. শরীফুর রহমান এসব আদেশ দেন।

সকালে শম্ভুকে ও আমুকে আদালতে হাজির করে ডিবি পুলিশ। শম্ভুকে এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পরিদর্শক জাহাঙ্গীর আরিপ। অন্যদিকে রিমান্ড শেষে আমুকে আদালতে হাজির করে একই তদন্ত কর্মকর্তা কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। শম্ভুর পক্ষে রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন তার আইনজীবীরা। আমুর পক্ষে জামিনের আবেদন করেন আইনজীবীরা। শুনানি শেষে আদালত উভয়ের জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে শম্ভুর ৬ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন এবং আমুকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

গতকাল সোমবার রাত ৯টার দিকে উত্তরার একটি বাড়ি থেকে শম্ভুকে আটক করে ডিবি পুলিশ। এরপর এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে হাজির করা হয়।

গত ৭ নভেম্বর আমির হোসেন আমুকে ৬ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। এর আগে ৬ নভেম্বর রাত পৌনে এগারোটায় রাজধানীর পশ্চিম ধানমন্ডির এক আত্মীয়ের বাসা থেকে আমির হোসেন আমুকে আটক করে ডিবি পুলিশ। পরে এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গত ১৯ জুলাই বিকেলে নিউমার্কেট থানার নীলক্ষেত এলাকায় গুলিতে ব্যবসায়ী আব্দুল ওয়াদুদ মারা যান। এ ঘটনায় তার শ্যালক আব্দুর রহমান বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেন। মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ ১৩০ জনকে আসামি করা হয়। মামলায় অভিযোগ করা হয়, এজাহার নামীয় আসামি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ মন্ত্রী পরিষদের অন্যান্য সদস্যদের উসকানিতে পুলিশ, স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা ঘটনাস্থলে আন্দোলন দমানোর উদ্দেশ্যে হামলা করে এই হত্যাকাণ্ড ঘটায়। এ সময় অনেকেই গুরুতর আহত হন।

শম্ভুর রিমান্ড আবেদনে বলা হয়েছে, আটকের পর তিনি ব্যবসায়ী আব্দুল ওয়াদুদ হত্যার ঘটনায় জড়িত ছিলেন বলে স্বীকার করেন। তাঁর জড়িত থাকার বিষয়ে সাক্ষ্য প্রমাণও পাওয়া যাচ্ছে। হত্যার মূল রহস্য উদ্‌ঘাটন, মূল অপরাধী চক্র শনাক্তকরণ, এ মামলার এজাহার নামীয় ও পলাতক আসামিদের অবস্থান নির্ণয়পূর্বক গ্রেপ্তারে অভিযান পরিচালনা করার জন্য তাঁকে রিমান্ডে নেওয়া প্রয়োজন।

আমুর বিষয়ে বলা হয়েছে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে, যা যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে রাখা প্রয়োজন।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

টাঙ্গাইলে দুই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান র‍্যাবের হাতে গ্রেপ্তার

পুলিশ ফাঁড়ি দখল করে অফিস বানিয়েছেন সন্ত্রাসী নুরু

ঢাকার রাস্তায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালকদের বিক্ষোভ, জনদুর্ভোগ চরমে

শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ সুরক্ষায় নতুন উদ্যোগ

জাতিকে ফ্রি, ফেয়ার অ্যান্ড ক্রেডিবল নির্বাচন উপহার দিতে চাই: নতুন সিইসি

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত