কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
কিশোরগঞ্জে নকশা না মেনেই একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণকাজ শুরুর অভিযোগ উঠেছে। প্রধান শিক্ষক বলছেন, এতে বিদ্যালয়ের সৌন্দর্য নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি শিশুরা পর্যাপ্ত আলো বাতাস ও খেলাধুলার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হবে। অভিযোগ রয়েছে, বিদ্যালয়ের দাতা সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেনের বাড়ির সৌন্দর্য নষ্ট না করতেই নকশা পরিবর্তন করে কাজ শুরু হয়েছে।
এদিকে দাতা সদস্যের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ ওঠার পর আজ রোববার উপজেলা প্রকৌশলী নির্মাণকাজ বন্ধ করেন। পাকুন্দিয়া উপজেলার বুরুদিয়া ইউনিয়নের ৪৯ নম্বর মধ্যমান্দারকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চিত্র এটি।
স্থানীয়দের অভিযোগ, বিদ্যালয়টির পেছনেই দাতা সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন মাজুর বাড়ি। নকশা যেভাবে হয়েছে তা বাস্তবায়িত হলে সড়ক থেকে দাতা সদস্যের বাড়িটি চোখে পড়বে না। তাই দাতা সদস্য পাকুন্দিয়া উপজেলা প্রকৌশল বিভাগের সঙ্গে যোগসাজশ করেছেন। সে জন্য নকশা না মেনেই পাকুন্দিয়া উপজেলা প্রকৌশল বিভাগ কাজ শুরু করেছে।
ভবনের নকশা পর্যালোচনা করে দেখা যায়, অনুমোদিত নকশা এবং দিকনির্দেশনা চিহ্ন অনুযায়ী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবনটি হবে দক্ষিণমুখী। এতে বিদ্যালয়ের সম্মুখে মাঠ থাকবে, অন্যথায় মাঠ একপাশে থাকবে এবং বিদ্যালয়ের সৌন্দর্য নষ্ট হবে।
কিন্তু ভবনটি পূর্বমূখী করে খনন কাজ শুরু করা হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, এতে করে বিদ্যালয়ের পেছনে থাকা দাতা সদস্যের বাড়িটি সড়ক থেকে সরাসরি চোখে পড়বে। তাঁর বাড়ির সৌন্দর্য নষ্ট না করতেই ভবনটি নকশা পরিবর্তন পূর্বমুখী করে কাজ শুরু করা হয়েছে।
উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয় সূত্র জানায়, চতুর্থ প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচি (পিইডিপি–৪) প্রকল্পের আওতায় প্রায় ৯৫ লাখ টাকা ব্যয়ে তিন তলাবিশিষ্ট মধ্যমান্দারকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অতিরিক্ত শ্রেণিকক্ষের ভবন নির্মাণ করা হবে। ইতিমধ্যে ভবনের নির্মাণকাজ শুরু হয়েছে।
মধ্যমান্দারকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পারভীন আক্তার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রকৌশল অফিস থেকে যেভাবে প্ল্যান দিছে কাজটা ওইভাবে শুরু হয়নি। যেভাবে কাজ শুরু হয়েছে এভাবে ভবনটি হলে স্কুলের সৌন্দর্য ও পরিবেশ ছাত্রছাত্রীদের অনুকূলে থাকবে না। এভাবে ভবনটি হলে বিদ্যালয় থেকে মাঠটি পেছনে পড়ে যাবে। বিদ্যালয়ের ভবনটি যদি নকশা অনুযায়ী হয় তাহলে কোমলমতি শিশুরা পর্যাপ্ত আলো বাতাস ও খেলাধুলার সুযোগ পাবে।’
ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. সেলিম সামাদ বলেন, ‘নকশা অনুযায়ী অতিরিক্ত শ্রেণিকক্ষের ভবনটি দক্ষিণমুখী। কিন্তু কী কারণে কীভাবে পূর্বমুখী করে ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করেছে তা জানি না। নকশার অনুমোদন হয়েছে একভাবে, আর কাজ শুরু করেছে আরেকভাবে। আমরা ম্যানেজিং কমিটিতে যারা আছি সবাই চাচ্ছি ভবনটি নকশা অনুযায়ীই হোক।’
বুরুদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য হাবিবুর রহমান রতন বলেন, ‘আমি চাই নকশা অনুযায়ী ভবনটি তৈরি হোক। আমরা জানি ভবনটি দক্ষিণমুখী করে নির্মাণ হবে। কিন্তু হঠাৎ করে ভেকু মেশিন দিয়ে মাটি খনন করেছে। এই খনন দেখে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে ভবনটি পূর্বমুখী করে নির্মাণকাজ শুরু করেছে।’
আতিক এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী ঠিকাদার মোস্তাফিজুর রহমান নয়ন বলেন, ‘প্রকৌশলী যেভাবে লে–আউট দেবেন আমি সেভাবেই কাজ করব। উনি যদি আমাকে পুকুরে কাজ করতে বলেন আমি সেখানেই করব। প্রকৌশলী আমাকে যেভাবে কাজ করতে বলেছে আমি সেভাবেই কাজ শুরু করেছি।’
দাতা সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন মাজুকে মোবাইল ফোনে অভিযোগের বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে তিনি কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি। তিনি বলেন, ‘সবাই আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে এসব করতেছে।’
এ বিষয়ে পাকুন্দিয়া উপজেলা প্রকৌশলী যুবায়েত হোসেন বলেন, ‘সার্বিক দিক বিবেচনা করে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) এসি অফিসের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দিক পরিবর্তন করা হয়েছে। তবে আপাতত কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে। ম্যানেজিং কমিটি, সহকারী শিক্ষা অফিসার, শিক্ষা অফিসার, প্রধান শিক্ষক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
কিশোরগঞ্জে নকশা না মেনেই একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণকাজ শুরুর অভিযোগ উঠেছে। প্রধান শিক্ষক বলছেন, এতে বিদ্যালয়ের সৌন্দর্য নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি শিশুরা পর্যাপ্ত আলো বাতাস ও খেলাধুলার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হবে। অভিযোগ রয়েছে, বিদ্যালয়ের দাতা সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেনের বাড়ির সৌন্দর্য নষ্ট না করতেই নকশা পরিবর্তন করে কাজ শুরু হয়েছে।
এদিকে দাতা সদস্যের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ ওঠার পর আজ রোববার উপজেলা প্রকৌশলী নির্মাণকাজ বন্ধ করেন। পাকুন্দিয়া উপজেলার বুরুদিয়া ইউনিয়নের ৪৯ নম্বর মধ্যমান্দারকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চিত্র এটি।
স্থানীয়দের অভিযোগ, বিদ্যালয়টির পেছনেই দাতা সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন মাজুর বাড়ি। নকশা যেভাবে হয়েছে তা বাস্তবায়িত হলে সড়ক থেকে দাতা সদস্যের বাড়িটি চোখে পড়বে না। তাই দাতা সদস্য পাকুন্দিয়া উপজেলা প্রকৌশল বিভাগের সঙ্গে যোগসাজশ করেছেন। সে জন্য নকশা না মেনেই পাকুন্দিয়া উপজেলা প্রকৌশল বিভাগ কাজ শুরু করেছে।
ভবনের নকশা পর্যালোচনা করে দেখা যায়, অনুমোদিত নকশা এবং দিকনির্দেশনা চিহ্ন অনুযায়ী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবনটি হবে দক্ষিণমুখী। এতে বিদ্যালয়ের সম্মুখে মাঠ থাকবে, অন্যথায় মাঠ একপাশে থাকবে এবং বিদ্যালয়ের সৌন্দর্য নষ্ট হবে।
কিন্তু ভবনটি পূর্বমূখী করে খনন কাজ শুরু করা হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, এতে করে বিদ্যালয়ের পেছনে থাকা দাতা সদস্যের বাড়িটি সড়ক থেকে সরাসরি চোখে পড়বে। তাঁর বাড়ির সৌন্দর্য নষ্ট না করতেই ভবনটি নকশা পরিবর্তন পূর্বমুখী করে কাজ শুরু করা হয়েছে।
উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয় সূত্র জানায়, চতুর্থ প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচি (পিইডিপি–৪) প্রকল্পের আওতায় প্রায় ৯৫ লাখ টাকা ব্যয়ে তিন তলাবিশিষ্ট মধ্যমান্দারকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অতিরিক্ত শ্রেণিকক্ষের ভবন নির্মাণ করা হবে। ইতিমধ্যে ভবনের নির্মাণকাজ শুরু হয়েছে।
মধ্যমান্দারকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পারভীন আক্তার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রকৌশল অফিস থেকে যেভাবে প্ল্যান দিছে কাজটা ওইভাবে শুরু হয়নি। যেভাবে কাজ শুরু হয়েছে এভাবে ভবনটি হলে স্কুলের সৌন্দর্য ও পরিবেশ ছাত্রছাত্রীদের অনুকূলে থাকবে না। এভাবে ভবনটি হলে বিদ্যালয় থেকে মাঠটি পেছনে পড়ে যাবে। বিদ্যালয়ের ভবনটি যদি নকশা অনুযায়ী হয় তাহলে কোমলমতি শিশুরা পর্যাপ্ত আলো বাতাস ও খেলাধুলার সুযোগ পাবে।’
ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. সেলিম সামাদ বলেন, ‘নকশা অনুযায়ী অতিরিক্ত শ্রেণিকক্ষের ভবনটি দক্ষিণমুখী। কিন্তু কী কারণে কীভাবে পূর্বমুখী করে ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করেছে তা জানি না। নকশার অনুমোদন হয়েছে একভাবে, আর কাজ শুরু করেছে আরেকভাবে। আমরা ম্যানেজিং কমিটিতে যারা আছি সবাই চাচ্ছি ভবনটি নকশা অনুযায়ীই হোক।’
বুরুদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য হাবিবুর রহমান রতন বলেন, ‘আমি চাই নকশা অনুযায়ী ভবনটি তৈরি হোক। আমরা জানি ভবনটি দক্ষিণমুখী করে নির্মাণ হবে। কিন্তু হঠাৎ করে ভেকু মেশিন দিয়ে মাটি খনন করেছে। এই খনন দেখে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে ভবনটি পূর্বমুখী করে নির্মাণকাজ শুরু করেছে।’
আতিক এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী ঠিকাদার মোস্তাফিজুর রহমান নয়ন বলেন, ‘প্রকৌশলী যেভাবে লে–আউট দেবেন আমি সেভাবেই কাজ করব। উনি যদি আমাকে পুকুরে কাজ করতে বলেন আমি সেখানেই করব। প্রকৌশলী আমাকে যেভাবে কাজ করতে বলেছে আমি সেভাবেই কাজ শুরু করেছি।’
দাতা সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন মাজুকে মোবাইল ফোনে অভিযোগের বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে তিনি কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি। তিনি বলেন, ‘সবাই আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে এসব করতেছে।’
এ বিষয়ে পাকুন্দিয়া উপজেলা প্রকৌশলী যুবায়েত হোসেন বলেন, ‘সার্বিক দিক বিবেচনা করে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) এসি অফিসের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দিক পরিবর্তন করা হয়েছে। তবে আপাতত কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে। ম্যানেজিং কমিটি, সহকারী শিক্ষা অফিসার, শিক্ষা অফিসার, প্রধান শিক্ষক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বাসচাপায় মো. ফটিক ইসলাম (৩৫) নামে পথচারী এক যুবক নিহত হয়েছেন। গতকাল শনিবার রাতে উপজেলার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বাড়বকুণ্ড বাজার এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। বার আউলিয়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খোকন চন্দ্র ঘোষ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
৪২ মিনিট আগেকক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলায় অজ্ঞাত গাড়ির চাপায় মোটরসাইকেল আরোহী দুই যুবক নিহত হয়েছেন। গতকাল শনিবার রাত সোয়া দশটার দিকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের উপজেলার উত্তর হারবাং এলাকার আজিজনগর নুরু চেয়ারম্যান ঘাট এলাকায় এ দুর্ঘটনায় ঘটে। নিহত দুজনের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
১ ঘণ্টা আগেরাজধানীর বঙ্গবাজারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র ফজলে নূর তাপসসহ ৩০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন ভুক্তভোগী এক ব্যক্তি। ৫০০ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণের কথা মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।
৮ ঘণ্টা আগেযশোর টেকনিক্যাল অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট কলেজকে পারিবারিক প্রতিষ্ঠান বানিয়ে নজিরবিহীন অনিয়ম-দুর্নীতি করার অভিযোগ উঠেছে অধ্যক্ষ জাহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে। ১৪ বছর ধরে কর্মস্থলে না গিয়ে একই সঙ্গে দুটি প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ হিসেবে বেতন ভাতা উত্তোলন করেছেন। স্ত্রীকে হিসাব সহকারী পদে নিয়োগ দিয়ে প্রায় ১৪ বছর ধরে
৯ ঘণ্টা আগে