সাভার (ঢাকা) প্রতিনিধি
কোটা সংস্কার আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে চাকরি থেকে স্বেচ্ছায় অব্যাহতি নিয়েছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক জাহিদুল করিম। আজ বৃহস্পতিবার ই-মেইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার আবু হাসানের মাধ্যমে উপাচার্য বরাবর পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করা এই শিক্ষক।
বিষয়টি সহযোগী অধ্যাপক জাহিদুল করিম নিজেই নিশ্চিত করেছেন। তিনি সংবাদমাধ্যমকে জানান, শিক্ষার্থীদের ওপর নৃশংস হামলার প্রতিবাদে স্বেচ্ছায় চাকরি থেকে পদত্যাগ করেছেন। আজ পদত্যাগপত্রটি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরাবর ই-মেইলের মাধ্যমে জমা দিয়েছেন।
অব্যাহতিপত্রে জাহিদুল করিম উল্লেখ করেন, ‘আমি বিগত প্রায় ১৪ বছর ধরে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগে শিক্ষকতা করছি। দেশের সাম্প্রতিক সহিংসতা ও নৈরাজ্য সৃষ্টির জন্য সরকারের উদাসীনতা এবং শিক্ষকদের দলীয় মনোভাব আমাকে ব্যথিত করেছে। আমি সব সময় সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে কথা বলেছি এবং শিক্ষার্থীদের ন্যায্য অধিকার আদায়ে সর্বদা পাশে থেকেছি। শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কারের একটি ন্যায্য অধিকার আদায়ের আন্দোলনের বিরুদ্ধে সরকারের আগ্রাসী মনোভাবের কারণে অনেক সাধারণ শিক্ষার্থীর মূল্যবান জীবন দিতে হয়েছে। সরকার চাইলে দ্রুত শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নিতে পারত। তাহলে এত প্রাণহানির ঘটনা ঘটত না।’
অব্যাহতিপত্রে লেখা হয়, ‘যেসব শিক্ষার্থী নিহত হয়েছে, তাদের নিয়ে তাদের পরিবারের অনেক স্বপ্ন ছিল। সন্তান হারানোর বেদনায় তারা আজ দিশেহারা। তাদের সঙ্গে সঙ্গে সমগ্র জাতি আজ শোকাহত। এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে সাধারণ শিক্ষার্থীর ওপর ছাত্রলীগ, পুলিশ, র্যাব ও বিজিবি যে হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে, তা এই জাতির জন্য একটি কালো অধ্যায়ের জন্ম দিয়েছে। স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষকে হত্যা এবং কিছুসংখ্যক প্রতিবাদী শিক্ষককে রক্তাক্ত করার মধ্য দিয়ে ১৯৭১ সালের বর্বরতাকেও হার মানিয়েছে। এই হত্যাকাণ্ড দেখেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং শিক্ষকদের আমি নির্লিপ্ত থাকতে দেখেছি।’
জাহিদুল করিম অব্যাহতিপত্রে উল্লেখ করেন, ‘শিক্ষকদের ভূমিকা আজ জাতির কাছে প্রশ্নবিদ্ধ। রাজনৈতিক দলীয়করণের কারণে শিক্ষক সমাজের বিবেক লোপ পেয়েছে, শিক্ষক-শিক্ষার্থীর সম্পর্ক ভূলুণ্ঠিত হয়েছে। শহীদ সকল শিক্ষার্থী এবং আহত সকল শিক্ষক-শিক্ষার্থীর প্রতি আমার গভীর শ্রদ্ধা, ভালোবাসা প্রকাশ করছি এবং তাদের জন্য দোয়া করছি। সমগ্র বাংলাদেশের শিক্ষক সমাজের মূল্যবোধ ও নৈতিকতাবোধকে জাগ্রত করতে আমি সহযোগী অধ্যাপক, ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় চাকরি থেকে স্বেচ্ছায় অব্যাহতি ঘোষণা করছি।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার আবু হাসান বলেন, ই-মেইলে পাঠানো পদত্যাগপত্র তিনি পেয়েছেন।
প্রসঙ্গত, ২০০০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের ছাত্র হিসেবে শিক্ষা জীবন শুরু করেন জাহিদুল করিম। ২০০৭ সালে এমবিএ ডিগ্রি অর্জন করে ২০০৯ সালে ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটিতে শিক্ষকতা শুরু করেন। এর আগে কিছুদিন বিইউবিটি এবং বিএফটিআইতে শিক্ষকতা ও রিসার্চে কাজ করেন। ২০১০ সালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন তিনি। ছাত্র জীবনে এমবিএতে সম্মিলিত মেধা তালিকায় প্রথম স্থান অধিকার করেন। ২০২১ সালে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে পড়াশোনা করতে যান। বর্তমানে পড়াশোনার কাজে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন তিনি।
কোটা সংস্কার আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে চাকরি থেকে স্বেচ্ছায় অব্যাহতি নিয়েছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক জাহিদুল করিম। আজ বৃহস্পতিবার ই-মেইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার আবু হাসানের মাধ্যমে উপাচার্য বরাবর পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করা এই শিক্ষক।
বিষয়টি সহযোগী অধ্যাপক জাহিদুল করিম নিজেই নিশ্চিত করেছেন। তিনি সংবাদমাধ্যমকে জানান, শিক্ষার্থীদের ওপর নৃশংস হামলার প্রতিবাদে স্বেচ্ছায় চাকরি থেকে পদত্যাগ করেছেন। আজ পদত্যাগপত্রটি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরাবর ই-মেইলের মাধ্যমে জমা দিয়েছেন।
অব্যাহতিপত্রে জাহিদুল করিম উল্লেখ করেন, ‘আমি বিগত প্রায় ১৪ বছর ধরে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগে শিক্ষকতা করছি। দেশের সাম্প্রতিক সহিংসতা ও নৈরাজ্য সৃষ্টির জন্য সরকারের উদাসীনতা এবং শিক্ষকদের দলীয় মনোভাব আমাকে ব্যথিত করেছে। আমি সব সময় সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে কথা বলেছি এবং শিক্ষার্থীদের ন্যায্য অধিকার আদায়ে সর্বদা পাশে থেকেছি। শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কারের একটি ন্যায্য অধিকার আদায়ের আন্দোলনের বিরুদ্ধে সরকারের আগ্রাসী মনোভাবের কারণে অনেক সাধারণ শিক্ষার্থীর মূল্যবান জীবন দিতে হয়েছে। সরকার চাইলে দ্রুত শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নিতে পারত। তাহলে এত প্রাণহানির ঘটনা ঘটত না।’
অব্যাহতিপত্রে লেখা হয়, ‘যেসব শিক্ষার্থী নিহত হয়েছে, তাদের নিয়ে তাদের পরিবারের অনেক স্বপ্ন ছিল। সন্তান হারানোর বেদনায় তারা আজ দিশেহারা। তাদের সঙ্গে সঙ্গে সমগ্র জাতি আজ শোকাহত। এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে সাধারণ শিক্ষার্থীর ওপর ছাত্রলীগ, পুলিশ, র্যাব ও বিজিবি যে হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে, তা এই জাতির জন্য একটি কালো অধ্যায়ের জন্ম দিয়েছে। স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষকে হত্যা এবং কিছুসংখ্যক প্রতিবাদী শিক্ষককে রক্তাক্ত করার মধ্য দিয়ে ১৯৭১ সালের বর্বরতাকেও হার মানিয়েছে। এই হত্যাকাণ্ড দেখেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং শিক্ষকদের আমি নির্লিপ্ত থাকতে দেখেছি।’
জাহিদুল করিম অব্যাহতিপত্রে উল্লেখ করেন, ‘শিক্ষকদের ভূমিকা আজ জাতির কাছে প্রশ্নবিদ্ধ। রাজনৈতিক দলীয়করণের কারণে শিক্ষক সমাজের বিবেক লোপ পেয়েছে, শিক্ষক-শিক্ষার্থীর সম্পর্ক ভূলুণ্ঠিত হয়েছে। শহীদ সকল শিক্ষার্থী এবং আহত সকল শিক্ষক-শিক্ষার্থীর প্রতি আমার গভীর শ্রদ্ধা, ভালোবাসা প্রকাশ করছি এবং তাদের জন্য দোয়া করছি। সমগ্র বাংলাদেশের শিক্ষক সমাজের মূল্যবোধ ও নৈতিকতাবোধকে জাগ্রত করতে আমি সহযোগী অধ্যাপক, ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় চাকরি থেকে স্বেচ্ছায় অব্যাহতি ঘোষণা করছি।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার আবু হাসান বলেন, ই-মেইলে পাঠানো পদত্যাগপত্র তিনি পেয়েছেন।
প্রসঙ্গত, ২০০০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের ছাত্র হিসেবে শিক্ষা জীবন শুরু করেন জাহিদুল করিম। ২০০৭ সালে এমবিএ ডিগ্রি অর্জন করে ২০০৯ সালে ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটিতে শিক্ষকতা শুরু করেন। এর আগে কিছুদিন বিইউবিটি এবং বিএফটিআইতে শিক্ষকতা ও রিসার্চে কাজ করেন। ২০১০ সালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন তিনি। ছাত্র জীবনে এমবিএতে সম্মিলিত মেধা তালিকায় প্রথম স্থান অধিকার করেন। ২০২১ সালে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে পড়াশোনা করতে যান। বর্তমানে পড়াশোনার কাজে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন তিনি।
দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশেও খ্যাতি ছড়িয়েছিল অবিভক্ত ব্রিটিশ-ভারতে প্রতিষ্ঠিত শতবর্ষী যশোর ইনস্টিটিউট। একটা সময় যশোরের শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া জগৎ উন্নয়নে বিশেষ অবদান রাখে মাতৃস্থানীয় এ সংগঠন।
১৭ মিনিট আগেভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের আগে পর্যন্ত রাজশাহীর সুলতানগঞ্জ ও ভারতের মুর্শিদাবাদের ময়া পর্যন্ত পদ্মা নদীতে চালু ছিল একটি নৌ-রুট। ৫৯ বছর পর নৌ প্রটোকল চুক্তির আওতায় আবার এই নৌ-রুট চালুর উদ্যোগ নেয় বিগত সরকার।
২৯ মিনিট আগেযশোরের বেনাপোল পৌর বাস টার্মিনাল চালু করতে বেনাপোল বন্দর আন্তর্জাতিক বাস টার্মিনাল বন্ধ করে দিয়েছে পৌর কর্তৃপক্ষ। গত বৃহস্পতিবার এ সিদ্ধান্ত কার্যকরের পর গতকাল শনিবার সারা দেশ থেকে বেনাপোল রুটে বাস চলাচল বন্ধ করে দেয় পরিবহন ব্যবসায়ী সমিতি।
৩৬ মিনিট আগেকালাবদর নদের তীরের গ্রাম বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ জাঙ্গালিয়া। গভীর রাতে খননযন্ত্রের (এক্সকাভেটর) শব্দে গ্রামটির মানুষের ঘুম ভেঙে যায়। প্রতিরাতে একদল লোক কয়েকটি ট্রলারে এসে এক্সকাভেটর দিয়ে নদের তীরের মাটি কেটে নিয়ে যায়। গ্রামবাসী ভয়ে প্রতিবাদ করার সাহস পায় না।
১ ঘণ্টা আগে