রিফাত মেহেদী, সাভার (ঢাকা)
আশুলিয়ার আওয়ামী লীগের কমিটিতে বিএনপি নেতা কর্মীরা পদ পাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার জন্য অভিযোগ উঠেছে খোদ থানা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ফারুক হাসান তুহিনের বিরুদ্ধে। এরই মধ্যে আওয়ামী লীগের ওয়ার্ড কমিটিতে পদ পাওয়া এক নেতা পূর্বে বিএনপির সাংসদের সঙ্গে মিছিলে অংশগ্রহণের ছবিও ভাইরাল হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে তোলপাড় আশুলিয়া আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বসহ সাধারণ মানুষের মধ্যে।
বিষয়টি অস্বীকার করলেও এরই মধ্যে সশরীরে সেই বিতর্কিত কমিটির ফুলের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন গ্রহণ করেছেন ফারুক হাসান তুহিন। তবে বিষয়টি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের লিখিতভাবে অবহিত করলেও এখনো কোনো সুরাহা মেলেনি বলে জানিয়েছেন নেতা কর্মীরা।
এর আগে ১৯ অক্টোবর আশুলিয়া থানাধীন ইয়ারপুর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডে সম্মেলন করে সেখানে বসেই ৯টি ওয়ার্ডের কমিটি ঘোষণা করা হয়। থানা আহ্বায়কের ছত্রচ্ছায়ায় ইয়ারপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান সাহেদ সভাপতি কাদির দেওয়ানকে না জানিয়েই পকেট কমিটি ঘোষণা করেন।
এ দিকে ফারুক হাসান তুহিনের মদদ ও নেতৃত্বে মুজিবুর রহমান সাহেদ ৯টি ওয়ার্ডে বিএনপি পদধারী নেতাদের নিয়ে কোটি টাকার পদ বাণিজ্যের কমিটি গঠন করার অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে নিন্দা জানিয়ে প্রতিবাদ সমাবেশ করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে আশুলিয়ার নরসিংহপুর এলাকায় ইয়ারপুর আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ কাদির দেওয়ানের নেতৃত্বে এ সমাবেশে অংশ নেয় কয়েকশ নেতা কর্মী।
এ দিকে বিএনপির পদে থাকা নেতা-কর্মীরা কীভাবে আওয়ামী লীগে কমিটিতে ঠাঁই পেলেন তা নিয়ে চলছে নানা গুঞ্জন। নতুন কমিটি ১১ অক্টোবর স্বাক্ষর হলেও তা প্রকাশ করা হয়নি। তবে ২৮ অক্টোবর গণমাধ্যমকর্মীরা হাতে পায় সেই তালিকা।
বিএনপি ও আওয়ামী লীগ উভয় কমিটির আলাদা তালিকা ঘেঁটে দেখা যায়, ইয়ারপুর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড কমিটির সভাপতি ইউনুসের বাবা মো. এজাজ উদ্দিন পালোয়ান ৩ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির ওয়ার্ড কমিটির সদস্য। ২ নম্বর ওয়ার্ডের নব্য সাধারণ সম্পাদক মো. সোহরাব হোসেন সরকারও ছিলেন বিএনপির শ্রম বিষয়ক সম্পাদক।
সোহরাব হোসেন বলেন, ‘আমি বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত নই। আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।’ তবে বিএনপির সাবেক সাংসদের সাথে মিছিলে তাঁর ছবি পাওয়া গেছে। এ ছাড়া আওয়ামী লীগের কমিটিতে আসার পর বর্তমান সংসদ সদস্য ডা. এনামুর রহমানের সাথেও শুভেচ্ছা বিনিময়ের ছবি দেখা যায়।
৪ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মো. আমজাদ হোসেন হয়েছেন ৪ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তার দাবি, তাঁর নাম আমজাদ দেওয়ান। তিনি দীর্ঘদিন ধরে যুবলীগের রাজনীতিতে ছিলেন। পরে আওয়ামী লীগের সঙ্গে যুক্ত হন।
৮ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মামুন ব্যাপারী ছিলেন ওয়ার্ড বিএনপির সহসাধারণ সম্পাদক। এ বিষয়ে মামুন ব্যাপারীর দাবি করে বলেন, ‘বিএনপিতে কেউ যদি আমার নাম দিয়ে থাকে আমার জানা নেই। আমি আওয়ামী লীগ রাজনীতিতেই আছি।’ তবে এর আগে আওয়ামী লীগের কোনো পদ ছিল না বলেও জানান তিনি।
৯ নম্বর ওয়ার্ড কমিটির সভাপতি মো. গিয়াস উদ্দিন মোল্লা ছিলেন ওয়ার্ড বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক এবং সাধারণ সম্পাদক মো. দেলোয়ার হোসেন মোল্লা ছিলেন ওয়ার্ড বিএনপির একই কমিটির সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক।
আওয়ামী লীগের তালিকায় থাকা গিয়াস উদ্দিন মোল্লা দাবি করেন, তাঁর একই নামে আরও একজন চাচাতো ভাই রয়েছেন। তিনি বিএনপি দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত। তিনি বলেন, ‘আমি সেই ব্যক্তি নই। আমার নামে অপপ্রচার করা হচ্ছে।’
দেলোয়ার দাবি বলেন, ‘আমার পুরো নাম দেলোয়ার হোসেন মাতবর। আর আমার প্রতিবেশী দেলোয়ার হোসেন মোল্লা। তিনি বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। আমি নই।’
এ বিষয়ে আশুলিয়ার ইয়ারপুর ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ কাদির দেওয়ান বলেন, ইয়ারপুরে মোট ৯টি ওয়ার্ডে কর্মীদের প্রস্তুতি সভার নির্দেশনা দেন থানা আহ্বায়ক। পরবর্তীতে হঠাৎ করে ৭ সদস্যের সার্চ কমিটির মাধ্যমে ৯টি ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের কমিটি ঘোষণা করেন। কানাঘুষা শুনলেও সেই ওয়ার্ড কমিটির নেতারা যখন বিভিন্ন ব্যানার ফেস্টুন দিতে শুরু করে তখন বিষয়টি নজরে আসে। দলের গঠনতন্ত্র মতে ইউনিয়ন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের স্বাক্ষরে ওয়ার্ড কমিটি গঠন করার কথা। সেখানে আমাকে কিছু না জানিয়ে সাধারণ সম্পাদক ও সহসভাপতির স্বাক্ষর মূলে এই কমিটি ঘোষণা করা হয়। তার চেয়ে বড় বিষয় প্রতিটি কমিটিতে বিএনপির পদধারী নেতা জায়গা পেয়েছেন। যা স্থানীয় আওয়ামী লীগ কোনোভাবেই মানতে পারছেন না।
কাদির দেওয়ান বলেন, এর পেছনে পুরো কলকাঠি নাড়ান থানা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ফারুক হাসান তুহিন। তিনি থানা আহ্বায়কের পদ পাওয়ার পর থেকেই আশুলিয়া আওয়ামী লীগের নানা ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছেন। দলের কর্মীদের মধ্যে বাড়ছে ক্ষোভ ও হতাশা। বিএনপির কিছু কমিটির কাগজ সংগ্রহ করে দেখা যায়, এমন ১৩ জন আওয়ামী লীগের পদ পেয়েছে। পুরো কমিটির কাগজ সংগ্রহ করতে পারলে আরও লোকজন বেরিয়ে আসবে বলেও দাবি করেন কাদির দেওয়ান।
সাভার উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সার্চ কমিটির সদস্য মেহেদী হাসান মঞ্জু বলেন, ২ নম্বর ওয়ার্ডের সোহরাব আগে বিএনপি করলে করতে পারে। আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী অন্য দল থেকে কেউ আসলে সে প্রথমে সদস্য হবে পরে সাংগঠনিক কাজ করবে। আমরা বিএনপির কমিটির কাগজ খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি। অভিযোগ সত্য হলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কাজ করতে গেল ভুল হতেই পারে। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে থানা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ফারুক হাসান তুহিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি আর যুগ্ম আহ্বায়ক সাইফুল দুইজনে মিলে আশুলিয়ার প্রতিটি ইউনিয়নে ওয়ার্ড কমিটি দেওয়ার জন্য থানা কমিটির সদস্যদের নিয়ে টিম গঠন করে দিয়েছি। টিম নিয়ে কাজ করতে গেলে ভুল ত্রুটি হতেই পারে। যদি ভুলত্রুটি হয়েই থাকে আমাদের কাছে লিখিত অভিযোগ দিবে। আমরা তদন্ত কমিটি গঠন করে দিব। তদন্ত কমিটি মনে করলে আমরা কমিটি বাতিল করে দিব। আমাদের কাছে কোনো অভিযোগ না দিয়ে এগুলো করার মানে আমি বুঝতেছি না। কোথাও কোথাও ওয়ার্ডে সম্মেলন হয়েছে, সেখানে আমি বা সাইফুল কি গেস্ট ছিলাম? টিম ছিল। আমাদের থাকারও কথা না। কিন্তু তারা তো উদ্দেশ্যমূলকভাবে অভিযোগ তুলে ধরছেন।’
আশুলিয়ার আওয়ামী লীগের কমিটিতে বিএনপি নেতা কর্মীরা পদ পাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার জন্য অভিযোগ উঠেছে খোদ থানা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ফারুক হাসান তুহিনের বিরুদ্ধে। এরই মধ্যে আওয়ামী লীগের ওয়ার্ড কমিটিতে পদ পাওয়া এক নেতা পূর্বে বিএনপির সাংসদের সঙ্গে মিছিলে অংশগ্রহণের ছবিও ভাইরাল হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে তোলপাড় আশুলিয়া আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বসহ সাধারণ মানুষের মধ্যে।
বিষয়টি অস্বীকার করলেও এরই মধ্যে সশরীরে সেই বিতর্কিত কমিটির ফুলের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন গ্রহণ করেছেন ফারুক হাসান তুহিন। তবে বিষয়টি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের লিখিতভাবে অবহিত করলেও এখনো কোনো সুরাহা মেলেনি বলে জানিয়েছেন নেতা কর্মীরা।
এর আগে ১৯ অক্টোবর আশুলিয়া থানাধীন ইয়ারপুর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডে সম্মেলন করে সেখানে বসেই ৯টি ওয়ার্ডের কমিটি ঘোষণা করা হয়। থানা আহ্বায়কের ছত্রচ্ছায়ায় ইয়ারপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান সাহেদ সভাপতি কাদির দেওয়ানকে না জানিয়েই পকেট কমিটি ঘোষণা করেন।
এ দিকে ফারুক হাসান তুহিনের মদদ ও নেতৃত্বে মুজিবুর রহমান সাহেদ ৯টি ওয়ার্ডে বিএনপি পদধারী নেতাদের নিয়ে কোটি টাকার পদ বাণিজ্যের কমিটি গঠন করার অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে নিন্দা জানিয়ে প্রতিবাদ সমাবেশ করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে আশুলিয়ার নরসিংহপুর এলাকায় ইয়ারপুর আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ কাদির দেওয়ানের নেতৃত্বে এ সমাবেশে অংশ নেয় কয়েকশ নেতা কর্মী।
এ দিকে বিএনপির পদে থাকা নেতা-কর্মীরা কীভাবে আওয়ামী লীগে কমিটিতে ঠাঁই পেলেন তা নিয়ে চলছে নানা গুঞ্জন। নতুন কমিটি ১১ অক্টোবর স্বাক্ষর হলেও তা প্রকাশ করা হয়নি। তবে ২৮ অক্টোবর গণমাধ্যমকর্মীরা হাতে পায় সেই তালিকা।
বিএনপি ও আওয়ামী লীগ উভয় কমিটির আলাদা তালিকা ঘেঁটে দেখা যায়, ইয়ারপুর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড কমিটির সভাপতি ইউনুসের বাবা মো. এজাজ উদ্দিন পালোয়ান ৩ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির ওয়ার্ড কমিটির সদস্য। ২ নম্বর ওয়ার্ডের নব্য সাধারণ সম্পাদক মো. সোহরাব হোসেন সরকারও ছিলেন বিএনপির শ্রম বিষয়ক সম্পাদক।
সোহরাব হোসেন বলেন, ‘আমি বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত নই। আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।’ তবে বিএনপির সাবেক সাংসদের সাথে মিছিলে তাঁর ছবি পাওয়া গেছে। এ ছাড়া আওয়ামী লীগের কমিটিতে আসার পর বর্তমান সংসদ সদস্য ডা. এনামুর রহমানের সাথেও শুভেচ্ছা বিনিময়ের ছবি দেখা যায়।
৪ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মো. আমজাদ হোসেন হয়েছেন ৪ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তার দাবি, তাঁর নাম আমজাদ দেওয়ান। তিনি দীর্ঘদিন ধরে যুবলীগের রাজনীতিতে ছিলেন। পরে আওয়ামী লীগের সঙ্গে যুক্ত হন।
৮ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মামুন ব্যাপারী ছিলেন ওয়ার্ড বিএনপির সহসাধারণ সম্পাদক। এ বিষয়ে মামুন ব্যাপারীর দাবি করে বলেন, ‘বিএনপিতে কেউ যদি আমার নাম দিয়ে থাকে আমার জানা নেই। আমি আওয়ামী লীগ রাজনীতিতেই আছি।’ তবে এর আগে আওয়ামী লীগের কোনো পদ ছিল না বলেও জানান তিনি।
৯ নম্বর ওয়ার্ড কমিটির সভাপতি মো. গিয়াস উদ্দিন মোল্লা ছিলেন ওয়ার্ড বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক এবং সাধারণ সম্পাদক মো. দেলোয়ার হোসেন মোল্লা ছিলেন ওয়ার্ড বিএনপির একই কমিটির সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক।
আওয়ামী লীগের তালিকায় থাকা গিয়াস উদ্দিন মোল্লা দাবি করেন, তাঁর একই নামে আরও একজন চাচাতো ভাই রয়েছেন। তিনি বিএনপি দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত। তিনি বলেন, ‘আমি সেই ব্যক্তি নই। আমার নামে অপপ্রচার করা হচ্ছে।’
দেলোয়ার দাবি বলেন, ‘আমার পুরো নাম দেলোয়ার হোসেন মাতবর। আর আমার প্রতিবেশী দেলোয়ার হোসেন মোল্লা। তিনি বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। আমি নই।’
এ বিষয়ে আশুলিয়ার ইয়ারপুর ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ কাদির দেওয়ান বলেন, ইয়ারপুরে মোট ৯টি ওয়ার্ডে কর্মীদের প্রস্তুতি সভার নির্দেশনা দেন থানা আহ্বায়ক। পরবর্তীতে হঠাৎ করে ৭ সদস্যের সার্চ কমিটির মাধ্যমে ৯টি ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের কমিটি ঘোষণা করেন। কানাঘুষা শুনলেও সেই ওয়ার্ড কমিটির নেতারা যখন বিভিন্ন ব্যানার ফেস্টুন দিতে শুরু করে তখন বিষয়টি নজরে আসে। দলের গঠনতন্ত্র মতে ইউনিয়ন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের স্বাক্ষরে ওয়ার্ড কমিটি গঠন করার কথা। সেখানে আমাকে কিছু না জানিয়ে সাধারণ সম্পাদক ও সহসভাপতির স্বাক্ষর মূলে এই কমিটি ঘোষণা করা হয়। তার চেয়ে বড় বিষয় প্রতিটি কমিটিতে বিএনপির পদধারী নেতা জায়গা পেয়েছেন। যা স্থানীয় আওয়ামী লীগ কোনোভাবেই মানতে পারছেন না।
কাদির দেওয়ান বলেন, এর পেছনে পুরো কলকাঠি নাড়ান থানা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ফারুক হাসান তুহিন। তিনি থানা আহ্বায়কের পদ পাওয়ার পর থেকেই আশুলিয়া আওয়ামী লীগের নানা ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছেন। দলের কর্মীদের মধ্যে বাড়ছে ক্ষোভ ও হতাশা। বিএনপির কিছু কমিটির কাগজ সংগ্রহ করে দেখা যায়, এমন ১৩ জন আওয়ামী লীগের পদ পেয়েছে। পুরো কমিটির কাগজ সংগ্রহ করতে পারলে আরও লোকজন বেরিয়ে আসবে বলেও দাবি করেন কাদির দেওয়ান।
সাভার উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সার্চ কমিটির সদস্য মেহেদী হাসান মঞ্জু বলেন, ২ নম্বর ওয়ার্ডের সোহরাব আগে বিএনপি করলে করতে পারে। আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী অন্য দল থেকে কেউ আসলে সে প্রথমে সদস্য হবে পরে সাংগঠনিক কাজ করবে। আমরা বিএনপির কমিটির কাগজ খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি। অভিযোগ সত্য হলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কাজ করতে গেল ভুল হতেই পারে। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে থানা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ফারুক হাসান তুহিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি আর যুগ্ম আহ্বায়ক সাইফুল দুইজনে মিলে আশুলিয়ার প্রতিটি ইউনিয়নে ওয়ার্ড কমিটি দেওয়ার জন্য থানা কমিটির সদস্যদের নিয়ে টিম গঠন করে দিয়েছি। টিম নিয়ে কাজ করতে গেলে ভুল ত্রুটি হতেই পারে। যদি ভুলত্রুটি হয়েই থাকে আমাদের কাছে লিখিত অভিযোগ দিবে। আমরা তদন্ত কমিটি গঠন করে দিব। তদন্ত কমিটি মনে করলে আমরা কমিটি বাতিল করে দিব। আমাদের কাছে কোনো অভিযোগ না দিয়ে এগুলো করার মানে আমি বুঝতেছি না। কোথাও কোথাও ওয়ার্ডে সম্মেলন হয়েছে, সেখানে আমি বা সাইফুল কি গেস্ট ছিলাম? টিম ছিল। আমাদের থাকারও কথা না। কিন্তু তারা তো উদ্দেশ্যমূলকভাবে অভিযোগ তুলে ধরছেন।’
সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ ও কবি নজরুল সরকারি কলেজের সঙ্গে ডেমরার ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ধাওয়া ও পাল্টা ধাওয়া এবং সংঘর্ষের ঘটনায় কেউ নিহত হয়নি। তবে ২৫ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছে
৯ মিনিট আগেচট্টগ্রামে সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র ও আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘের (ইসকন) নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাশ ব্রহ্মচারীকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে বিক্ষোভ হয়েছে। বিকেলে গ্রেপ্তারের খবর ছড়িয়ে পড়লে নগরীর জামালখানে তাঁর অনুসারীরা জড়ো হতে থাকেন।
১৪ মিনিট আগেঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের ভূমি অধিগ্রহণে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য উত্তরা দিয়াবাড়ীতে নির্মিত পুনর্বাসন ভিলেজে লটারির মাধ্যমে প্রথম ধাপে ফ্ল্যাট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের সম্মেলন কক্ষে এই লটারি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
১৯ মিনিট আগেরাজধানী ঢাকায় পুলিশের গুলিভর্তি ম্যাগাজিন চুরি ও এপিসি গাড়িতে হামলা-ভাঙচুরের অভিযোগে ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজসহ বিভিন্ন কলেজের অজ্ঞাতনামা আট হাজার শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ।
৩২ মিনিট আগে