Ajker Patrika

সাটুরিয়ায় সড়কের কাজে ধীর গতি, জনদুর্ভোগ চরমে

সাটুরিয়া (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি
সাটুরিয়ায় সড়কের কাজে ধীর গতি, জনদুর্ভোগ চরমে

মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় সড়কের কাজে ধীর গতি হওয়ায় জনদুর্ভোগ দেখা দিয়েছে। ঠিকাদার সড়কটির কাজ বন্ধ রেখে চলে যাওয়ায় এ সমস্যা দেখা দিয়েছে। যথাসময়ে সড়কের কাজ শেষ করার জন্য সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে তাগিদ দিয়েছে সাটুরিয়া উপজেলা প্রকৌশলী।

হোসাইন কনস্ট্রাকশনের ম্যানেজার বৃন্দাবন মন্ডল রাস্তার কাজ বন্ধ থাকার কথা স্বীকার করে বলেন আগামী মাস থেকে কাজ শুরু করা হবে। 

সাটুরিয়া উপজেলা এলজিইডি অফিস সূত্রে জানা যায়, মানিকগঞ্জের হোসাইন কনস্ট্রাকশন নামের এক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ২০২১-২২ অর্থবছরের ২০২১ জুলাই কাজ শুরু করে। সাটুরিয়া থেকে দড়্গ্রাম পর্যন্ত ৫ দশমিক ৮৫ কিলোমিটার সড়কের আরসিসি ও কার্পেটিং কাজের জন্য সড়কটির সংস্করণের ব্যয় ধরা হয়েছে ৯ কোটি ২০ লাখ টাকা। যা চলতি বছরের এপ্রিল মাসে কাজটি শেষ হওয়ার কথা।

প্রতিদিনই এই সড়ক দিয়ে যাতায়াত করেন বেসরকারি চাকরিজীবী মাসুদ রানা। তিনি আজকের পত্রিকাকে জানান, এক বছর আগে এই সড়কটির কাজ শুরু হলেও ঠিকাদারের লোকজন কাজ বন্ধ করে চলে যাওয়ায় আমাদের এই দুর্ভোগ দেখা দিয়েছে। রাস্তার ইটের খোয়ার ধুলোয় জামা কাপড় নষ্ট হয়ে যায়। অফিসে যেয়ে জামা কাপড় পরিবর্তন করতে হয়।

মাসুদ রানা আরও বলেন, ‘মুমূর্ষু রোগীকে এ রাস্তা দিয়ে হাসপাতালে নিতে গেলে ঝাঁকুনিতে ওই রোগী আরও অসুস্থ হয়ে পড়েন। আমাদের এই কষ্ট দেখার যেন কেউ নেই।’

সাটুরিয়া থেকে দড়্গ্রাম পর্যন্ত ৫ দশমিক ৮৫ কিলোমিটার সড়কের বেহাল দশাকথা হয় ভ্যান চালক মোকছেদ আলীর সঙ্গে। তিনি জানান, এই ভাঙাচোরা সড়কে গাড়ি চালাতে যেয়ে গাড়ি বেশি নষ্ট হয়। মাঝেমধ্যে গাড়ি উল্টিয়ে দুর্ঘটনা ঘটে, এতে অনেক যাত্রী আহত হয়। তাই তাড়াতাড়ি এ রাস্তাটি ভালো করার জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কাছে অনুরোধ জানান তিনি। 

এই সড়কের পাশেই ৬০ বছরের জোহরা খাতুনের বাড়ি। তিনি বলেন, ‘কি আর বলুম বাবা, এই রাস্তার ধুলাবালি আমাদের খাবারে যায়। সেই খাবার খেয়ে ছেলে মেয়ে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে যেতে হয়। কাজ তো বন্ধ বছর খানেক হয়। আর কত দিন যে লাগে আল্লাহ জানেন।’

এ বিষয়ে সাটুরিয়া উপজেলা প্রকৌশলী নাজমুল করিম সড়কের কাজটি বন্ধ থাকার কথা স্বীকার করে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যথাসময়ে সড়কের কাজ শেষ করার জন্য সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে তাগিদ দেওয়া হয়েছে। চলতি বছরের এপ্রিল মাসে কাজটি শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত