Ajker Patrika

বার্ন ইউনিটে এসেছেন অগ্নিদগ্ধ আরও ১১ জন

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২৪ ডিসেম্বর ২০২১, ২৩: ৫৮
বার্ন ইউনিটে এসেছেন অগ্নিদগ্ধ আরও ১১ জন

বার্ন ইউনিটে আগের ৬ জনের পর নতুন করে আরও ১১ জন এসেছেন। এখন শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে বরগুনাগামী লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মোট ১৭ জন ভর্তি আছেন। রাত সাড়ে নয়টার দিকে নতুন করে আরও ১১ জন বার্ন ইউনিটে এসেছেন। 

নতুন ভর্তি হওয়া ১১ জন হলেন মারুফা আক্তার (৪৮), সেলিম রেজা (৪৫), বঙ্কিম চন্দ্র মজুমদার (৬০), স্ত্রী মনিকা রানী (৪০), গোলাম রাব্বি (২০), খাদিজা আক্তার (২৭), রাসেল (৩৮), হাবীব খান (৪৫), মমতাজ বেগম (৭০) নাতনি লামিয়া আক্তার (১৩)। এই ঘটনায় আহত আরেকজন মিলন (৩৮) ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি রয়েছেন। বঙ্কিম চন্দ্রের ছেলে বিকাশ মজুদারকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। 

দুর্ঘটনায় আহত হাবীব খানের স্ত্রী সাহেরা বেগম বলেন, ‘আমরা দোতলায় ঘুমায় ছিলাম। ঘুমের মধ্যে দেখি চারদিকে আগুন লাগছে। ঘুম ভাইঙ্গা উইঠা দেখি সবাই দৌড়াদৌড়ি করতেছে। চারপাশে আমার স্বামীরে খুইজাও পাই নাই। পরে মানুষের ধাক্কায় পানিতে পইড়া গেসিলাম। সেখান থেইকা স্বামীরে প্রথমে ঝালকাঠি হাসপাতালে যাই। সেখানে লিস্ট দেইখা বলে বরিশাল পাঠাইসে। সেখান থেকে তারে নিয়ে আসছি।’ 

দুর্ঘটনায় আহত বালুশ্রমিক গোলাম রাব্বির মামা জহুরুল ইসলাম বলেন, ‘রাব্বীর বাড়ি বরগুনাতে। সে চাঁদপুরে কাজ করে। বাড়ি যাওয়ার উদ্দেশে লঞ্চে উঠেছিল। আগুন লাগার পর হুড়োহুড়ি শুরু হলে সে বাঁচার জন্য লঞ্চ থেকে পানিতে লাফিয়ে পড়ে। পরে তাঁকে বরিশাল মেডিকেলে পাওয়া গেছে।’ 

রাসেল তাঁর পরিবারের নয়জনকে নিয়ে বেড়াতে যাচ্ছিলেন। লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের পর ৪ জনকে পাওয়া গেলেও আরও ৫ জনকে এখনো পাওয়া যায়নি। আহত রাসেলের প্রতিবেশী মাদারটেকের বাসিন্দা ময়না বলেন, ‘রাসেল তাঁর স্ত্রী পুতুল, দুই ছেলে জীবন ও ইমন, তাঁর দুই শ্যালক কালু ও রবিন, রাজেলের শাশুড়ি, কালুর স্ত্রী রুমা ও অহনাকে নিয়ে বরগুনায় রাসেলের ভায়রার বাড়িতে বেড়াতে যাচ্ছিলেন। এ ঘটনায় রাসেলের শাশুড়ি, দুই ছেলে, মেজ শ্যালকের স্ত্রী রুমা ও অহনাকে এখনো পাওয়া যায়নি। তাঁরা কী অবস্থায় আছেন আমরা এখনো জানি না।’ 

দগ্ধ লামিয়া আক্তার (১৩) ও তাঁর দাদি মমতাজ বেগমকে (৭০) নিয়ে বার্ন ইনস্টিটিউটে আসেন মমতাজের ছেলে মো. আলামিন। আল আমিন বলেন, ‘তাঁদের বাড়ি বরগুনা সদর উপজেলার পরিরখাল গ্রামে। বর্তমানে উত্তর বাড্ডায় থাকেন। ভাই ইসমাঈল, মা মমতাজ বেগম, স্ত্রী রাজিয়া সুলতানা, মেয়ে নুশরাতকে (৭) নিয়ে গ্রামের বাড়িতে যাচ্ছিলেন। এর মধ্যে ইসমাঈলের স্ত্রী রাজিয়া ও মেয়ে নুশরাত এখনো নিখোঁজ রয়েছেন। ইসমাঈল বরিশাল মেডিকেলে ভর্তি আছেন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ভারতের ভিসা নীতি দুই দেশের মানুষের মধ্যে সম্পর্কে প্রভাব ফেলছে: বলছেন কূটনীতিকেরা

ফাইনালে ভারতের ‘যম’কে খেলানো নিয়ে দোটানায় নিউজিল্যান্ড

বিকেলে সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে ছাত্রদল ও এনসিপি

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বিলুপ্তের সিদ্ধান্ত হয়নি, নাহিদের মন্তব্যের জবাবে উমামা

আ.লীগ নেতার গ্রেপ্তার নিয়ে রাজশাহীতে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত